রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সোহেলকে ঘিরেই আটকে আছে ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারির তদন্ত!

ই-কমার্সের নামে প্রতারণা ও অনলাইনে অবৈধ বহুস্তর বিপণন ব্যবসা (এমএলএম) চালিয়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর গ্রাহকদের হতাশা কাটছে না। ইভ্যালির বিষয়ে হাইকোর্টের নতুন নির্দেশনায় আশা দেখছেন গ্রাহকরা কিন্তু ই-অরেঞ্জ প্রতারণা আটকে আছে তদন্তে। তবে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে তারা জমা দিয়েছেন। প্রতারণার শিকার হওয়া গ্রাহকদের প্রশ্ন— ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারি তদন্তের অগ্রগতি কতদূর, দেশে কি ফেরত আসবে টাকা ও অপরাধী?

তথ্য মতে, ই-অরেঞ্জ এর মাধ্যমে প্রায় হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। বর্তমানে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষের কেউ জেলে, কেউ পলাতক। কেউবা জামিনে মুক্ত আছেন। অনেকে বলছেন, এ সবের নেপথ্যের মূল হোতা বনানী থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সোহেল ভারতে পালিয়ে যান। ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে গ্রেপ্তার হন। সোহেল এখন কোচবিহারের একটি কারাগারে। গ্রাহকরা বলছেন, তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় কি ব্যর্থ হচ্ছে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার ঘটনায় যে সব মামলা হয় তার তদন্তে বিশেষ কোনো অগ্রগতি নেই বলে মনে করছেন গ্রাহকরা। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মতো প্রতারণা করছে এমন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটাও কাগজে কলমে থেকে গেছে বলে মনে করেন গ্রাহকরা।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রাহকদের কি পরিমাণ অর্থ কোথায় সরানো হয়েছে তা সোহেল ভালো বলতে পারবেন। যে কারণে সোহেলকে ঘিরেই আটকে আছে তদন্ত। তবে বেশ কিছু মামলার তদন্তের প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

২০২১ সালের ১৭ আগস্ট ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে তাহেরুল নামের এক ব্যক্তি প্রথম মামলা দায়ের করেন। এরপর এক এক করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অন্তত ২৪টির বেশি মামলা হয়। এই ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ও মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু কোনো মামলার তদন্তের অগ্রগতি নেই বললেই চলে।

ই-কমার্স প্রতারণার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিউলি আক্তার বলেন, নতুন কাউকে আপাতত গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে। তাছাড়া সোহেল রানা গ্রেপ্তার হলে অনেক কিছু জানা যাবে।

এ সব বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখা সিআইডি ও পিবিআইর কয়েকজন তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, ই-কমার্সের নামে প্রতারণা ও অনলাইনে অবৈধ বহুস্তর বিপণন ব্যবসা (এমএলএম) চালিয়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪১টিরও বেশি মামলা চলছে। এ সব মামলায় প্রায় ১১০ থেকে ১৫০ জন আসামি রয়েছে। এর বাইরে অজ্ঞাত রয়েছে অনেক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের বিশেষ টিম ২৯টির বেশি মামলা তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। মামলাগুলোর বেশ কিছু তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে ইতোমধ্যে বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা আছে। তা ছাড়া সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা দেশে ফিরে এলে এ সব প্রতারণার আসল তথ্য পাওয়া যাবে।

শুধু গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া নয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে। এমনটা জানিয়ে সিআইডি বলছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, টোয়েন্টিফোর টিকিট লিমিটেড, এসপিসি ওয়ার্ল্ড এবং সমবায় প্রতিষ্ঠান এহসান গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তে ৫০০ কোটি টাকা অপরাধলব্ধ আয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সব ঘটনায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) আইনে আলাদা আলাদা মামলা হয়। মানি লন্ডারিং আইনে হওয়া মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। তবে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রায় শেষ, আদালতে প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশের আগ্রহ দেখছে না মামলার বাদী ও সাধারণ গ্রাহকরা। মামলার তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি না থাকায় হতাশায় ভুগছেন তারা। তাদের দাবি, সব টাকা ফেরত পাবেন কি না তা নিয়ে বড় অনিশ্চয়তায় রয়েছেন অনেকেই। একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা বাদী এম ফরহাদ বলেন, মামলার বিষয়ে এখন আর পুলিশের তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

অন্য একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা নাম বলতে অনিচ্ছুক আরেক ব্যক্তি বলেন, নিজের জমানো ও স্বজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ৪৮ লাখ টাকার পণ্য কিনেছিলাম। টাকা ফেরত পায়নি। এখন আমার জীবন বিপর্যয়ের মধ্যে আছে।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, সোহেলকে ফিরিয়ে আনতে ভারতীয় পুলিশের এলসিবি শাখায় কয়েকটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তারা কোনো চিঠির জবাব দেননি। পরে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সোহেলকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, আমাদের সিআইডির বিভিন্ন সময়ে বিশেষ কিছু অভিযানে ই-কমার্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় বেশকিছু প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা যে কোনো প্রতারণার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা বেড়ে গেছে এরমধ্যে অনলাইন প্রতারণাটা বেশি। ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা বা যেসব প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি এবং বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি রেখে আমাদের বিশেষ বিশেষ টিম কাজ করছে।

এদিকে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তেমন কোনো তথ্য দিতে পারছেন না।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি-প্রশিক্ষণ) এনসিবির তৎকালীন এআইজি মহিউল ইসলাম বলেছেন, এনসিবির দায়িত্বে থাকাকালে সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের এনসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। তবে এই বিষয়টি এখন কী অবস্থায় আছে সেটি এখন বলতে পারছি না।

এদিকে সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়, ই-কমার্স ও অনলাইনে প্রতারণা ঠেকাতে কঠোরভাবে কাজ করছে তারা।

জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, ই-কমার্স ও অনলাইনসহ মানি লল্ডারিংয়ের মামলাগুলো বেশ আমলে নিয়ে সিআইডি কাজ করে যাচ্ছে। তা ছাড়া গত কয়েক বছরে, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, সোস্যাল মিডিয়া ও অনলাইনে বিনিয়োগসহ ঋণ প্রদানের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজারো কোটি টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগে ২৬টির বেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সিআইডি এ সব প্রতারণা ঠেকাতে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নজরদারি চলমান রেখেছে। তিনি বলেন, সিআইডি যেসব মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিল প্রায় অধিকাংশ মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে বলে জানতে পেয়েছি।

কেএম/আরএ/

Header Ad
Header Ad

ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়ার (১৭) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেকের ৬নং রোডের ভাড়া বাসা থেকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই কলেজছাত্রীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকিতে। তিনি গত ১৮ মার্চ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।

‎প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তার। শনিবার মার্কেট থেকে কিছু কাপড়ও কিনেছেন। রাত আটটায় নিহতের মা ছোট মেয়েকে বাসার পাশেই মাদরাসায় দিয়ে আসতে যান। সেই সুযোগে রাত নয়টার দিকে রুমের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন লামিয়া।

এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান।

‎নিহতের মামা সাইফুল ইসলাম জানান, আমি দোকানে বসা ছিলাম। হঠাৎ ফোনে জানতে পারি, আমার ভাগনি মারা গেছে। আমি দৌঁড়ে হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগনির মরদেহ হাসপাতালে পড়ে আছে। জুলাই আন্দোলনে আমার বোন স্বামীহারা হলো। এখন মেয়েকে হারিয়েছে। এখন আমার ভাগনি চলে গেছে। আমরা কার কাছে বিচার চাইব। কে বিচার করবে আমাদের।

নিহত কলেজছাত্রীর চাচা বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে তার ভাতিজির আত্মহত্যার খবর পান তিনি। এরপর তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান।

আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল চন্দ্র ধর বলেন, শেখেরটেকের একটি বাসা থেকে ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যাজনিত। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। পুলিশ পুরো ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা জানিয়েছিলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার শহীদ স্বামীকে দুমকি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তার কলেজ শিক্ষার্থী মেয়ে। ধর্ষণের সময় এজাহারভুক্ত আসামিরা তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। এরপর ভুক্তভোগী তার মা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ মার্চ থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। সন্ধ্যায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয়।

মামলার এজাহারে উপজেলার একটি ইউনিয়নের দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা হওয়ার দিন রাতে এজাহারভুক্ত ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২১ মার্চ অন্য আসামিকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাদের যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।

জানা যায়, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শহিদ জসীম উদ্দিনের মেয়ে তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। পথে নলদোয়ানী থেকে অভিযুক্তরা পিছু নেয়। হঠাৎ পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির বাগানে নিয়ে যায় সাকিব ও সিফাত। একপর্যায়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এমনকি তার নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা।

Header Ad
Header Ad

সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর

ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সিন্ধুর উপনদী ঝিলামে অতিরিক্ত পানি ছেড়েছে ভারত। এর ফলেই হঠাৎ করেই মাঝারি মাত্রার বন্যার কবলে পড়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একাংশ। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীতীরবর্তী হাজারো মানুষ।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরবাদের বিভাগীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ঝিলাম নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পানি ছাড়ছে ভারত। ফলে নদীর পানি হু হু করে বেড়ে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আকস্মিক বন্যা।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘দুনিয়া নিউজ’ জানায়, ভারত কোনো ধরনের আগাম বার্তা না দিয়েই শনিবার সকাল থেকে বাড়িয়ে দেয় পানির প্রবাহ। এতে করে অনন্তনাগ অঞ্চল থেকে প্রবাহিত পানি চাকোঠি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করতে থাকে। মসজিদের মাইকে সতর্কতা প্রচার করা হয়, স্থানীয়দের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়।

প্রসঙ্গত, সিন্ধু নদ এবং তার উপনদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’। তবে সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। ভারত এ হামলার জন্য পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং প্রতিক্রিয়ায় একতরফাভাবে চুক্তি স্থগিত করে নয়াদিল্লি।

এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, ভারত যদি সিন্ধু নদী থেকে পানির প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে, তবে তারা একে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে বিবেচনা করবে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির নেতারাও। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, “সিন্ধু দিয়ে হয় পানি বইবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।”

এদিকে ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রী জানালেন, পানির প্রবাহ ঠেকাতে ইতোমধ্যেই একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ড্রেজিং করে পানির গতি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজও চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

ছবি: সংগৃহীত

নিশ্বাস বন্ধ করে দেওয়া এক ফাইনাল, যেখানে নাটক, উত্তেজনা, এবং আবেগ সবই একসঙ্গে ঠাঁই পেয়েছে। কোপা দেল রে’র এবারের ফাইনালে বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদ উপহার দিয়েছে পাঁচ গোলের রোমাঞ্চ। আর শেষ হাসি হেসেছে কাতালানরা—১১৬তম মিনিটে জুলস কুন্দের দুর্দান্ত গোলে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালকে শিরোপা জিতে নেয় বার্সেলোনা।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ভোরে সেভিয়ার এস্তাদিও দে লা কার্তুইয়ায় অনুষ্ঠিত হয় এই ঐতিহাসিক ম্যাচ। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ম্যাচের ১২ মিনিটে দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটে বার্সাকে এগিয়ে দেন পেদ্রি। প্রথমার্ধে রিয়াল খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড়দের নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় আনচেলত্তির দল।

৭০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান। এরপর কর্নার থেকে চুয়ামেনির হেডে রিয়াল নেয় লিড। কিন্তু সেই আনন্দ টিকল না বেশি সময়। ৮৪ মিনিটে ইয়ামালের পাস থেকে ফেরান তোরেস গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। গোলরক্ষক কর্তোয়া ও রুডিগারের ভুলের সুযোগ কাজে লাগান তরেস।

৯০ মিনিট শেষে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে বার্সা আবার ফিরে পায় নিয়ন্ত্রণ। একাধিক সুযোগ তৈরি করে তারা। শেষ পর্যন্ত ১১৬ মিনিটে লুকা মদ্রিচের পাস কেটে নিয়ে দূর থেকে নিচু শটে গোল করে নায়ক হয়ে ওঠেন ডিফেন্ডার জুলস কুন্দে। বার্সার জার্সিতে এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল।

রিয়াল যদিও শেষ দিকে আবার পেনাল্টির দাবি তোলে, কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। উত্তেজনায় ফেটে পড়ে রিয়ালের বেঞ্চ, যার ফল হিসেবে দুই বদলি খেলোয়াড় রুডিগার ও লুকাস ভাজকেজ দেখেন লাল কার্ড।

এই জয়ে চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার দ্বিতীয় শিরোপা এল ঘরে। এর আগে স্প্যানিশ সুপার কাপেও তারা হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এটি বার্সার ৩২তম শিরোপা—যা সর্বোচ্চ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা