১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এমনিতেই রয়েছে তীব্র সমালোচনার মুখে। এর মধ্যেই নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছে বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিটের (এফডিআর) বিপুল অঙ্কের অর্থ স্থানান্তরের খবর।
একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিসিবি তাদের প্রায় ২৩৮ কোটি টাকা ১৪টি নতুন ব্যাংকে স্থানান্তর করেছে। এ নিয়ে উত্তপ্ত দেশের ক্রিকেট অঙ্গন, শুরু হয়েছে প্রশ্নের ঝড়। বিষয়টি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
তিনি জানিয়েছেন, এফডিআরের এই স্থানান্তর ছিল বোর্ডের আর্থিক লাভের স্বার্থে, আর তা অনুমোদিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হয়েছে।
তিনি বলেন, “২৩৮ কোটি টাকা নিয়ে একটা নিউজ হয়েছে যে, না জানিয়ে টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটা সত্য নয়। আমি কোথাও সাইন করি না। সবকিছু হয়েছে বোর্ডের ফাইনান্স কমিটির অনুমোদন ও তত্ত্বাবধানে।"
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিবি যে ব্যাংকগুলোতে টাকা স্থানান্তর করেছে, সেগুলো থেকে আগের তুলনায় ২-৫ শতাংশ বেশি সুদ (ইন্টারেস্ট রেট) পাচ্ছে। বিশেষ করে, আইএফআইসি ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের মতো ঝুঁকিপূর্ণ (হলুদ তালিকাভুক্ত) ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে মধুমতী ব্যাংকে নেয়া হয়েছে, যেখান থেকে বেশি ইন্টারেস্ট মিলছে।
এছাড়াও বিসিবি পেয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকার স্পন্সরশিপ, এবং আরও ২৫ কোটি টাকার অবকাঠামোগত বিনিয়োগ (Infrastructure Investment) পাওয়ার প্রতিশ্রুতি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলমান আরেকটি আলোচনায় বলা হচ্ছে, বিসিবি সভাপতি একাই টাকা সরিয়ে নিয়েছেন, বোর্ড পরিচালকদের না জানিয়ে। তবে সেই অভিযোগও নাকচ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, এই স্থানান্তরের পুরো প্রক্রিয়ায় ফাইনান্স কমিটির প্রধানসহ একাধিক পরিচালক জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, "রেড জোন থেকে টাকা তুলে গ্রিন আর ইয়েলো জোনে দিয়েছি। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডে আছে ১২ কোটি টাকা। এভাবে আমরা বোর্ডের জন্য ভালো রিটার্ন নিশ্চিত করছি।”
উল্লেখ্য, বোর্ডের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড এবং জাতীয় দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ রয়েছেন সমালোচনার মুখে। তার বিরুদ্ধে বিপিএল আয়োজন, টিকিট বিতরণে অনিয়ম, ডিপিএলে বিতর্ক, দর্শক অসন্তোষসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। তারই মধ্যে এই অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
