ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) থেকে দর্শনা বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ছুটি শেষ হওয়ায় পরদিন শনিবার সকাল থেকে আবারও পণ্য পরিবহন শুরু হয়।
দর্শনা বন্দরের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট রফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে মালামাল আমদানি কমে গেছে। আশা করি এবার আগের মতো সচল হয়ে উঠবে বন্দরটি।
এদিকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু ছিল দর্শনা বন্দরে। পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভারত-বাংলাদেশ গমনাগমন করেছে। দর্শনার বন্দর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ রমজান আলী জানান, বছরে ৩৬৫ দিনই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চলমান থাকে। আসলে ছুটি বলে কিছু নেই ইমিগ্রেশনে।
কিছু সদস্য ছুটিতে থাকলেও যাত্রীদের যাতায়াতে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি এবার ঈদে। দর্শনা বন্দরের কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটির পর বন্দরের কোয়ারান্টাইন কার্যালয় খোলা হয়েছে। ভারত থেকে আমদানি করা মালামাল সংগনিরোধের সার্টিফাই করে ছাড় দেয়া হচ্ছে।
দর্শনা কাস্টমস শুল্ক স্টেশনেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আব্দুস সাত্তার বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ। ভারত।থেকে আমদানি করা পণ্যের যথাযথ শুল্তায়ন করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গেদে বন্দর হয়ে কেবলমাত্র রেলপথে মালামাল আমদানি হয়। দর্শনা বন্দর দিয়ে সড়ক পথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হওয়ার প্রকল্পটি চলমান রয়েছে।
