শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নারী পুনর্বাসনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। চারিদিকে বিজয়ের আনন্দ। কিন্তু সেই আনন্দ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের মনে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করতে পারেনি। জনসংখ্যার একটি বড় অংশ তখন মানসিকভাবে বিব্রত ও বিপর্যস্ত। যুদ্ধের সময় মানুষ কোনো রকম প্রাণে বেঁচে থাকাটাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে।

কিন্তু যুদ্ধ শেষে দেখা গেল প্রায় সাড়ে চার লাখ নারীর বেচেঁ থাকাটাই হয়ে উঠেছে লজ্জা আর অপমানের। শুধু ধর্ষণের শিকার নারীরাই নন, তার পরিবার, আত্মীয়স্বজনের পরিবারও তাদের নিয়ে বিব্রত ছিল। এই পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে অনেকে আত্মহত্যা করেছে, অনেকে আত্মপরিচয় গোপন করেছে, অনেকে দেশ ত্যাগ করেছে। বাঙালির ঐতিহ্য বা প্রথা অনুসারে সমাজে ধর্ষিতার কোনো স্থান নেই। সে অপবিত্র, হেয় ও নিন্দার পাত্র। এই রকম প্রতিকূল পরিস্থিতে নির্যাতিতা নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। মুস্তফা চৌধুরী তার’ ৭১- এর যুদ্ধশিশু অবিদিত ইতিহাস গ্রন্থের ৮ পৃষ্ঠায় বলেন—
‘১৯৭২- এর জানুয়ারি এবং এপ্রিল মাসের মধ্যে আত্মহত্যার বিষয়ে যে দালিলিক প্রমাণ গেছে, তাতে ২০০ জন নারীর আত্মহত্যার উল্লেখ রয়েছে। ডা. ডেভিস ও তার সহকর্মীদের কাছে ২০০ আত্মহত্যার হিসেবটি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। তাদের মতে, যুদ্ধের পর পরিবারের ভালোর জন্য তারা মনে করেন আত্মহত্যার বিষয় সবাই একটু রক্ষণশীলতার সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন।’

এ বিষয়ে ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ দৈনিক বাংলায় একটি সম্পাদকীয় ছাপা হয়। সম্পাদকীয়টির শিরোনামই ছিল— ‘অবলাদের আত্মহত্যা’।

‘একটি শঙ্কিত হবার মত সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি সপ্তাহে গড়ে দুশো থেকে তিনশো নির্যাতিতা বীরাঙ্গনা আত্মহত্যা করছেন। কর্তৃপক্ষীয় সূত্র থেকে এ সংবাদটি পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে। সময়মতো সত্যিকার সাহায্য সহযোগিতা লাভে ব্যর্থ হয়েই এইসব নির্যাতিতা বীরাঙ্গনারা নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য এই পথ বেছে নিয়েছেন।’

১০ জানুয়ারি ১৯৭২- এ বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি আগেই জানতেন। কাজেই তিনি দেশে ফিরেই বদরুন্নেসা আহমেদ ও নূরজাহান মুর্শিদকে দায়িত্ব দেন একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য। সেই পরিকল্পনায় শুধু বীরাঙ্গনারাই নয়, থাকবে পরিত্যক্ত, আশ্রয়হীন বিধবা ও অসহায় নারীর পুনর্বাসনের প্রসঙ্গেও।
পরিকল্পনানুযায়ী ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গঠন করেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় নারীপুনর্বাসন বোর্ড’। বোর্ডকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হলেও এটি ছিল স্বায়ত্তশাসিত বোর্ড। বোর্ডের চেয়্যারম্যান ছিলেন বিচারপতি জনাব কে এম সোবহান। এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন মিস্টার আবদুল আউয়াল। এ ছাড়া সদস্য ছিলেন ১১ জন। এরা হলেন— বেগম বদরুন্নেসা এম সিএ, বেগম নূরজাহান মোরশেদ এম সিএ, বেগম সাজেদা চৌধুরী এম সি এ, বেগম মমতাজ বেগম এম সি এ, মিস রাফিয়া আখতার ডলি এম সিএ, ডক্টর নীলিমা ইব্রাহীম, কবি বেগম সুফিয়া কামাল, ডাক্তার মিসেস জাহানারা রাবিব, মিসেস মুনির চৌধুরী, মিসেস জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও মিসেস মোসফেকা মাহমুদ। ৯ ফেব্রুয়ারি বোর্ড সারা বাংলাদেশের নির্যাতিতা নারীদের বিষয়ে একটি কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাবনা জেলার নগরবাড়ির উত্তরে বসন্তপুর গ্রামে যান। সেখানে বাঁধ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করবেন তিনি। চারদিকে লোকে লোকারণ্য। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা দেওয়ার জন্য মঞ্চে উঠবেন। এমন সময় বঙ্গবন্ধুর কাছে কয়েকজন নারী আসতে চাচ্ছেন। কিন্তু তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বিষয়টি লক্ষ করলেন এবং নির্দেশ দিলেন তাদের আসতে দিতে। তারা ছুটে এসে বঙ্গবন্ধুর সামনে তার পায়ে লুটিয়ে পড়লেন। একজন জানালেন, হানাদার বাহিনী তাকে লাঞ্ছিত করেছে। তাই তার স্বামী তাকে সংসারে নিতে চাচ্ছে না। সমাজের মানুষও তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করছেন না। বঙ্গবন্ধু সব শুনলেন। মঞ্চে উঠে বক্তৃতা দিলেন। বললেন, ‘আজ থেকে পাকিস্তান বাহিনীর নির্যাতিত মহিলারা সাধারণ মহিলা নয়। তারা এখন থেকে ‘বীরাঙ্গনা’ খেতাবে ভূষিত। কেননা দেশের জন্য তারা ইজ্জত দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে তাদের অবদান কম নয়। বরং কয়েক ধাপ উপরে, যা আপনারা সবাই জানেন, বুঝিয়ে বলতে হবে না। তাই তাদের বীরাঙ্গনা মর্যাদা দিতে হবে এবং যথারীতি সম্মান দেখাতে হবে আর সেই স্বামী পিতাদের উদ্দেশে আমি বলছি যে আপনারাও ধন্য। কেননা এ ধরনের ত্যাগী ও মহৎ স্ত্রীর স্বামী বা মেয়ের পিতা হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু তাদের কেবল বীরঙ্গনা খেতাব ভূষিত করে চুপ করে বসে থাকেননি। তাদের পারিপারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল ছিলেন। বীরাঙ্গনারা সবচেয়ে বড় লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন স্বাধীন দেশের নিজ সামজে। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ধর্ষিতা মেয়ে বাবার নামের জায়গায় আমার নাম লিখে দাও শেখ মুজিবুর রহমান। আর ঠিকানা লিখে দাও ধানমন্ডি বত্রিশ। মুক্তিযুদ্ধে আমার মেয়েরা যা দিয়েছে তার ঋণ আমি কীভাবে শোধ করবো।’ বলেই বঙ্গবন্ধু ডুকরে কেঁদে উঠেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাদের দহন যন্ত্রণা হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন সর্বজনীন পিতা, অসহায় মানুষের নিরাপদ আশ্রয়, নির্ভরযোগ্য এক মহিরুহ। শুধু বঙ্গবন্ধু নন, বেগম মুজিবও এই সময় যোগ্যমায়ের ভূমিকা পালন করতে এগিয়ে আসেন। ঢাকার দুটি ক্লিনিক পরিদর্শনে যান বেগম মুজিব। সেই সময় তিনি বলেন, ‘এই বীরাঙ্গনা রমণীদের জন্য জাতি গর্বিত। তাদের লজ্জা ও গ্লানিবোধের কোনো কারণ নেই।’

মার কাছে সন্তদানের কোনো লজ্জা ও গ্লানিবোধ নেই। সব লজ্জা ও গ্লানি তুচ্ছ করে তারা বেগম মুজিবকে মাতৃত্বের অধিকারে গ্রহণ করতে পারেন। তারা জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছেন সত্য, কিন্তু সব হারাননি। এই সামান্য সান্তনাই তাদের এই দুঃখ ভারাক্রান্ত পৃথিবীতে বাঁচার প্রেরণা দেবে।

নির্যাতনের শিকার নারীদের পুনর্বাসন একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল প্রক্রিয়া। একটি সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে এই কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা খুবই কষ্টসাধ্য। তবুও বঙ্গবন্ধু তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছেন এবং দেশি-বিদেশি সকল প্রতিষ্ঠানের সাহায্য কামনা করেছেন। এইসব নারীদের আঘাতের ক্ষত মুছে তাদের খাবার, আশ্রয় ও কাজ দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের হৃদয়ের যন্ত্রণা আন্তরিকতার সাথে অনুভব করতে পারতেন। আর তাই তিনি হয়ে উঠেছিলেন জাতির পিতা। তার উদার বক্ষের আশ্রয় থেকে কেউ বঞ্চিত হোক এমনটা তিনি কখনোই ভাবেননি। তাই নিজের পৃষ্ঠপোষকতায় নারীপুনর্বাসনের মতো একটি জটিল প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। নারীর দৈনিক জীবন যাত্রার নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা দিয়ে তার জীবনে গুনগত পরিবর্তন আনা সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই কঠিন কাজ ছিল। তবু বঙ্গবন্ধু দুহাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, ন্যায় ও মূল্যবোধের পক্ষে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষুধার হাত থেকে লাঞ্ছিতা মহিলা ও এতিম শিশুদের বাঁচতে। দেশের সত্যিকার নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন বোর্ডকে।

সেই মোতাবেক বোর্ড মহিলাদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। বোর্ড মহিলাদের ক্যারিয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খোলে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ছিল বাংলাদেশে প্রথম। বেইলি রোডে তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহর পরিচালনায় কাজ শুরু হয়। তাহেরুন্নেসা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন—আমি ডিরেক্টর ট্রেনিং হিসেবে সেখানে যোগ দিই। আমাদের মেইন অফিস ছিল মোহাম্মদপুরে। ওখানে একটি ট্রেনিং সেন্টারও ছিল। আর বেইলি রোডে ‘ফেডারেশন অব ইউনিভাসির্টি ওমনে’- এর বিল্ডিং-এ ‘উইমেন্স ক্যারিয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ চালু করা হয়।” এ ছাড়া বোর্ড সেক্রেটারিয়াল কোর্স চালু করে হ্যান্ডিক্রাফটের কাজ শুরু হয়। মোহাম্মদপুর সেলাই ও কারুশিল্প প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সাভারে খোলা হয় পোল্ট্রি ফার্ম।

নারীপুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল প্রেগন্যান্সি। নির্যাতনের শিকার, কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া নারীদের মধ্যে একটা বড় অংশই গর্ভবতী হয়ে পড়েন। ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট জানিয়েছিল-
‘জানা যায় পাকিস্তানি সৈন্যরা ব্যাপক ধর্ষণ চালিয়েছে প্রাপ্তবয়ষ্ক নারী ও কমবয়সি মেয়েদের ওপর। অসংখ্য সূত্র থেকে ঘটনা সম্পর্কে স্বীকারোক্তি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে যে, ৭০,০০০- এর বেশি নারী এ সব ধর্ষনের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে।’

এ থেকে স্পষ্টই প্রমাণিত হয় যে, বিবাহিতা ও অবিবাহিতা নারীর এই অবঞ্ছিত গর্ভধারনের জন্য সমাজ কোনোভাবেই প্রস্তুত ছিল না। এর ফলে ধর্মীয় অনুশাসন, সামাজিক ঐতিহ্য ও প্রথার ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হয় যা দূর করার জন্য বঙ্গবন্ধু এগিয়ে আসেন। তিনি বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ধর্ষণের শিকার নারীদের গর্ভপাতের জন্য ঢাকায় পৌঁছায় ব্রিটিশ, আমেরিকান এবং অস্ট্রেলিয়ান ডাক্তাররা। এছাড়া ভারত ও ডেনমার্ক থেকেও আসেন। তারা বাংলাদেশে পৌঁছার পরেই স্থাপন করা হয় গর্ভপাত কেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলো মূলত সেবা সদন নামেই পরিচিত পায়।
সেই সময় নির্যাতিতা নারীদের জন্য সরকারে পুর্নবাসন বোর্ড বাংলাদেশে ৫০টি সেবা সদন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় যার মধ্যে চারটি ঢাকায় এবং অপর ৪৬টি দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা পর্যায়।

৩ মার্চ ১৯৭২- এ নারীপুর্নবাসন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি কে এম সোবহান সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি জানান এ যাবৎ সংস্থার সেবা সদনে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের মধ্যে চৌদ্দ বছরের কম মেয়ের সংখ্যাই বেশি এবং এদের মধ্যে শতকরা প্রায় সত্তর ভাগই হচ্ছেন স্কুলের ছাত্রী।

বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসনের একটি প্রক্রিয়া ছিল তাদের বিয়ে। বঙ্গবন্ধু বাঙালি সমাজের প্রথা ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতেন। তিনি জানতেন কাজটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই দুরূহ ও জটিল্ তবু তিনি ট্যাবু ভাঙলেন। যুবকদের আহ্বান জানালেন। বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতার দেশের তরুণ সমাজের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করেন। তিনি নির্যাতনের শিকার নারীদের সমাজে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তরুণদের বৈবাহিক সম্পর্কে স্থাপনে উৎসাহিত করেন। এ কারণে দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন অনেকেই বীরাঙ্গনাদের জীবন সঙ্গিনী করতে আগ্রহী হয়েছিল। এতে সাড়া দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চত থেকে যুবকেরা বীরাঙ্গনাদের বিয়ে করার জন্য চিঠি পাঠাতে লাগলেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশও হচ্ছিল পত্রিকায়। বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই বাংলার বাণীসহ অন্যান্য পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করেছিল যাতে সমাজে বিদ্যমান ট্যাবু ভেঙে যায়। যাতে বীরাঙ্গনাদের দোষী ও অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার প্রবণতা কমে যায়।

এদিকে বঙ্গবন্ধু নির্দেশে মফস্বলেও যে নারীপুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল তার মধ্যে সিরাজগঞ্জ ছিল এগিয়ে। তৎকালীন এমপি, সৈয়দ হায়দার আলী, এমএনএ মোতাহার হোসেন ও মহকুমা আওয়ামী লীগ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে মিটিং করেন এবং সিরাজগঞ্জে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যেগ নেন। ১৯৭২ সালের ১৩ মার্চ গঠিত হয় দশ সদস্য বিশিষ্ট এক কমিটি। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন সখিনা হোসেন তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ মিসেস ফজিলাতুননেসা (স্বামী হাফিজুর রহমান), সাংগঠনিক সম্পাদক সাফিনা লোহানী, সদস্য আমিনা বেগম মিনা (স্বামী আজিজুল হক বকুল, মুক্তিযোদ্ধা), মিসেস শাহানা আবেদিন (স্বামী জয়নাল আবেদীন), মিসেস ইসাবেলা হোসেন (স্বামী সিরাজ খলিফা), জসিম ডাক্তারের স্ত্রী ও সাহেব আলী ডাক্তারের স্ত্রী। এই সময়ে এসডিও মহকুমা প্রশাসক এস এ মালিক নারীপুনর্বসানের জন্য ভিক্টোরিয়া স্কুল রোডে পরিত্যক্ত টিনশেডের একটি বাড়ি অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দেন। সেই সময় সাফিনা লোহানীর উদ্যোগে নারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়িয়েছেন পরিত্যক্তা ও বীরাঙ্গনাদের খোঁজে। এই কেন্দ্রে শুরুতে খুব কম সংখ্যক নারী এলেও পরে প্রায় ১০০ জন বীরাঙ্গনা সেখানে আশ্রয় পেয়েছিলেন। স্থানীয়রা ছাড়াও সেখানে দূর-দূরান্ত থেকেও নারীরা এসেছিলেন এবং চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে গেছেন। সেই সময় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের ডা. রেজাউল করিম নির্যাতনের শিকার মা-বোনের চিকিৎসা সেবা দিতেন।

১৯৭২ সালেই বঙ্গবন্ধু ‘সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশায়িত প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে শতকরা ১০টি শূন্যপদে নির্যাতিতা মহিলা বা মুক্তিযুদ্ধে যাহাদের আত্মীয় স্বজন মারা গেছে এমন সব মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার আদেশ দেন।’
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বীরাঙ্গনাদের প্রসঙ্গটা একেবারেই অন্ধকারে তলিয়ে যায়। বীরাঙ্গনা প্রশ্নে সামাজিক ‘কলঙ্ক’ ইস্যুটি ক্রমেই একটি নীরবতার সংস্কৃতি তৈরি করেছিল। একাত্তরের পর বিষয়টি বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান হলেও বঙ্গবন্ধু সেই ট্যাবু ভেঙে দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু ৭৫- এর পরে বিষয়টি একেবারেই নীরবতার অন্ধকারে তলিয়ে যায়।

এখন জানা প্রায় অসম্ভব-পুনর্বাসন কেন্দ্রে ঠিক কতজন বীরাঙ্গনা কবে, কোথায়, কীভাবে, আশ্রয় পেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে দুর্বিষহ নির্যাতনের শিকার নারীদের আর্তনাদ, হাহাকার ইতিহাস গৌণ বিষয় হিসেবেই চাপা পড়ে গেল। ১৯৯০-এর দিকে পিপলস ট্রাইব্যুনাল বা গণ-আদালত প্রতিষ্ঠা হলেও তা বীরাঙ্গনাদের ক্ষেত্রে কার্যত কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। অথচ বঙ্গবন্ধু এইসব নারীদের অবস্থানকে চিহ্নিত করেছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধার অবস্থানের সমকক্ষ হিসেবেই। এজন্যই তিনি তাদের মা বলে ডেকেছিলেন। আর তিনিও হয়ে উঠেছিলেন তাদের সত্যিকারের পিতা।

ড. মাহবুবা রহমান: সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা,

আরএ/

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা

মৃত বাবুল আকতার। ছবি : সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মৃত্যুর চার দিন পর একজন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা নিয়ে জেলায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল অসুস্থতার কারণে মারা যান পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাবুল আকতার (পিতা: আব্দুল জলিল মিয়া, গ্রাম: ডাকুনী)। মৃত্যুর পর ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

কিন্তু ১৯ এপ্রিল গোবিন্দগঞ্জ থানায় জামায়াত নেতা আজাদুল ইসলাম বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে বাবুল আকতারকে ১৫৫ নম্বর আসামি করা হয়। মামলায় মোট ২২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "শুনেছি তিনি মারা গেছেন, তবে বিষয়টি যাচাই চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।"

 

Header Ad
Header Ad

গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাট রাজ্যে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযানে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতভর আহমেদাবাদ ও সুরাট শহরে যৌথ বাহিনীর এই অভিযান চালানো হয়। শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভারতের বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভির নির্দেশে পরিচালিত এই অভিযানে আহমেদাবাদ থেকে প্রায় ৮৯০ জন এবং সুরাট থেকে ১৩৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ, নারী ও শিশুরাও রয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি সতর্ক করে বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সুরাট পুলিশের যুগ্ম কমিশনার রঘবেন্দ্র ভাটস জানান, আটককৃতদের পরিচয় যাচাইয়ের কাজ চলছে এবং যাচাই শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

গুজরাট সরকারের এই অভিযান দেশজুড়ে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলাবাসীর গলার কাঁটা মালঞ্চি-নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধটি। গোনা ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় আশির দশকে নির্মিত বেড়িবাঁধটি বছরের পর বছর স্থায়ী ভাবে সংস্কার কিংবা মেরামত না করার কারণে বাঁধটির প্রায় ৬ কিলোমিটার অংশই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় ছিলো।

গত ২০২২সালে প্রথমবারের মতো বাঁধের অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ কিছু অংশ মেরামত করা হলেও বর্তমানে পুরো অংশটিই খুবই নাজুক। অবশেষে সেই নাজুক অংশ মেরামতের কাজ শুরু করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ।

সুত্রে জানা, পূর্বে বর্ষা মৌসুমে ছোট যমুনা নদীতে যখনই পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হতো তখনই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা ছোটাছুটি শুরু করতো আর যখন নদীতে পানি থাকে না তখন বাঁধটি মেরামত কিংবা সংস্কার করার কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করা হতো না। একাধিকবার ঝূঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং হাজার হাজার হেক্টর জমির ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে। এমন অবস্থা থেকে মুক্ত হতে জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্দ্যোগে বর্ষার আগেই সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন জনবান্ধব কর্মকান্ডে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। অন্তত এবার নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বন্যা হওয়ার শঙ্কা নিয়ে রাত কাটাতে হবে না বলে জানিয়েছে বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসরত বাসিন্দারা।

রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ( পিআইও) মো. নজরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ওই বেড়িবাঁধের কৃষ্ণপুর আলাউদ্দিনের জমি থেকে বেলালের জমি পর্যন্ত সাড়ে ৪০০ ফিট আর বেলালের জমি থেকে রফিকুলের জমি অভিমুখে ৪২৬ ফিট মোট ৮২৬ ফিট বাঁধের বিপরীত অংশে মাটি দিয়ে প্রশস্তকরণ কাজ শুরু করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে এই সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। পূর্বে ওই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের উপরের বিভিন্ন অংশের প্রস্থ ছিলো গড়ে ৬ থেকে ১০ ফিটের মধ্যে যা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়ার ভয় ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সংস্কারের মাধ্যমে মাটি দিয়ে বাঁধের উপরের অংশের প্রস্থ ২৪ ফিট আর নিচের অংশের প্রস্থ করা হচ্ছে ৫০ ফিট যা নদীতে বিপদসীমার উপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হলে ভেঙ্গে যাওয়ার কোন ভয় থাকবে না। সার্বক্ষণিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে সংস্কার কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন। বেড়িবাঁধের এমন সম্প্রসারণ কাজের কারণে দুই উপজেলার মানুষরা বাঁধ ভেঙ্গে হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া বন্যার কবল থেকে রেহাই পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানান ইতিমধ্যেই কৃষ্ণপুর নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর বাম তীরে ভাঙ্গন কবলিত স্থানে ২৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় জিও বস্তা ডাম্পিং ও প্লেসিং এর মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে অস্থায়ী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্মিলিত ভাবে বেড়িবাঁধের প্রশস্তকরণ কাজ চলমান রেখেছে। আশা রাখি এমন কাজে দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী ভাবে সুফল পাবেন।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান জানান প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষনের কারণে ছোট যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই বাঁধের ঝ’কিপূর্ণ স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতো। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের যে কোন স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে রাণীনগর ও আত্রাই এই দুই উপজেলার শতাধিক গ্রামসহ হাজার হাজার হেক্টর ফসলের জমি তলিয়ে যাওয়ার ভয়ে থাকতো। বিভিন্ন সময় ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে অস্থায়ী ভাবে বাঁধের মেরামত করা হলেও সেটি দীর্ঘস্থায়ী ছিলো না। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই প্রতিবছরই বাঁধের ঝূঁকিপূর্ণ অংশ মেরামতের প্রয়োজন দেখা দিতো। এমন সমস্যার স্থায়ী সমাধাণের লক্ষ্যে সম্প্রতি ঝ’কিপূর্ণ বাঁধটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বর্ষা মৌসুমের আগেই বেড়িবাঁধের ঝূঁকিপূর্ণ অংশ স্থায়ী ভাবে মেরামত ও সংস্কার করার নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক চলতি মাসের শুরু থেকে বেড়িবাঁধের নদীর বিপরীত পাশে মাটি দিয়ে প্রশস্তকরণ কাজ শুরু করা হয়েছে।

এই কাজের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের নদীর ভিতরের অংশে জিও বস্তা ডাম্পিং ও প্লেসিং এর মাধ্যমে সংস্কার করছে যাতে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও বাঁধের ঝূঁকিপূর্ণ কোন অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার শঙ্কা থাকবে না।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানান, যে কোন উন্নয়ন মূলক কাজে স্বচ্ছ ও দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা থাকা জরুরী। ছোট যমুনা নদীর মালঞ্চি-নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধটি শুধু দুই উপজেলার নয় পুরো জেলার জন্যও গলার কাটা ছিলো। সেই বাঁধে বার বার অর্থ খরচ না করে এবার জরুরী অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আগেই স্থায়ী ভাবে মেরামতের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চলমান সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে এবার আর বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের মানুষদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে না। ধারাবাহিক ভাবে এই বাঁধসহ জেলার অন্যান্য উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নিয়ে স্থায়ী ভাবে সংস্কার/মেরামত করা হবে বলেও তিনি জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প