শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পল্লিতে শেকড়ের স্বপ্ন

ছোটবেলা থেকেই গ্রামকে হৃদয়ে বেঁধে রেখেছি। ভীষণ রকমের স্বপ্নে বিভোর থাকি শেকড়কে নিয়ে। হৃদয় যেন গেঁথে আছে এক মায়াবী হরিণের সঙ্গে। পল্লি উন্নয়ন গবেষণা অনুসন্ধানে কাজ করেছি দীর্ঘ ১২ বছর। যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি— এমএসএস এ একটা কোর্স ছিল রুরাল ডেভেলপমেন্ট। শ্রদ্ধেয় প্রফেসর গিয়াস উদ্দীন স্যার আমাদের কোর্স টিচার ছিলেন। স্যার তখন বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন একাডেমি নিয়ে অনেক গল্প করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার পূর্বে তিনি বগুড়া আরডিএতে চাকরি করতেন। তখনকার সময়ের অভিজ্ঞতা তিনি ক্লাসে শেয়ার করতেন। আমিও মনোযোগ দিয়ে শুনতাম আর ভাবতাম এই অপরুপ সৌন্দর্যের পল্লি কেন এভাবে অবহেলিত হবে। জল জমি জনতার প্রাণ পল্লিকে শ্রীহীন হতে দেওয়া যাবে না। এই সমাজের উন্নয়নে আমরা কী কিছুই করতে পারি না। এই ভাবনা থেকেই মনে হলো পল্লি উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা করার।

গবেষণার কাজে যখন এক পল্লি থেকে আরেক পল্লিতে ঘুরেছি। লক্ষ্য করেছি একটা বিষয় তাহলো— বেকারত্ব, ঋণগ্রস্ততা, দারিদ্র্য ও নিম্নমানের জীবনযাত্রা, আয়স্বল্পতা, অধিক জনসংখ্যা, অনুন্নত কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা, অপুষ্টি, অশিক্ষা, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অজ্ঞতা উন্নয়নকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং গলাচেপে ধরতে এগুলো সমানতালে শাসন করছে। সমস্যা সৃষ্টি এবং সমস্যা টিকিয়ে রাখার জন্য এগুলো প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলছে পল্লি সমাজে। পল্লি সমাজে যেহেতু শিক্ষার হার কম সেকারণে যৌতুক প্রথা, নারী নির্যাতন, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মের অপব্যাখ্যা, চতুরমুখী ঠক প্রতারকদের সংখ্যাও কম নয়। এক ভাইয়ের সম্পদ লুণ্ঠন করছে আরেক ভাই অর্থাৎ সম্পদের মালিকানার অসম বণ্টনও ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত। পল্লির সমগ্র জনগোষ্ঠীর জীবনের সার্বিক মানোন্নয়ন ও জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে।

‘আমার গ্রাম আমার শহর’ যেখানে গ্রামগুলো পাবে নগরের ছোঁয়া। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে গ্রাম পর্যায়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। কর্দমাক্ত রাস্তার বদলে পিচঢালা রাস্তায় পথ পাড়ি দিতে পারছে, স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে স্মার্ট হয়েছে। চার্লস মেটকাফের মতে, বাংলাদেশের গ্রামগুলো ছিল এক একটি ক্ষুদ্র প্রজাতন্ত্রের মতো। সবদিক দিয়ে এগুলো ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। তেমন গ্রামই আমরা প্রত্যাশা করি।

ড. আখতার হামিদ খান পল্লি উন্নয়নের একজন পথিকৃৎ। এক্ষেত্রে এদেশে তার কর্মকাণ্ড সত্যিই প্রশংসনীয়। বার্ড প্রতিষ্ঠা করে তিনি পল্লি উন্নয়নের ঝাণ্ডা তুলে ধরেছেন। যার আলো বিচ্ছুরিত হয়েছে নিভৃত পল্লিতে। টেকসই পল্লি উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যেসমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বেশিরভাগ তারই অবদান। কুমিল্লার দরিদ্র কিষাণ-কিষানীর পাশে থেকেছেন সুখ-দুঃখের বন্ধু হিসেবে। পল্লি উন্নয়ন জোয়ারের স্থপতি ছিলেন পল্লির গণমানুষের প্রাণপুরুষ ড. আখতার হামিদ খান। তার সৃজনশীল উদ্যোগেই একাডেমি কুমিল্লা সদর থানার ৩০০টি গ্রামের দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন সাধন করেছিল, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। এর সফলতায় পরবর্তীতে বাংলাদেশে সবুজ বিপ্লবের পথ রচনা করে।

পল্লি উন্নয়নে এক অপরাজেয় শিল্পীর তুলিতে গ্রাম বাংলার বিচিত্র শোভা প্রস্ফুটিত হয়েছে। গ্রামের মাটি ও মানুষকে নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন আত্মার বন্ধন শেকড়ের স্বপ্ন। বাংলাদেশের হাজার হাজার গ্রামের কৃষি ও ভূমিহীন পরিবারকে আশার আলো দেখিয়েছেন কুমিল্লা পদ্ধতির মাধ্যমে। পল্লি জনতার দেশে এই জনতা হলো বড় শক্তি। আখতার হামিদ খান একটি মসৃণ পথ সৃষ্টি করে রেখে গেছেন তাদের জন্য। তিনি পল্লি উন্নয়নের রূপকার, শিল্পী বা কারিগর। একটা শাশ্বত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মানসে প্রান্তিক পর্যায়ে তার এক আশ্চর্য রকম চাহনি। শতাব্দীর শোষণ ও বঞ্চনায় ধসে যাওয়া পল্লি সমাজ ও অর্থনীতির কাঠামো ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষার উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

এ অবস্থায় পরিবর্তন ও বিনির্মাণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। এজন্য প্রয়োজন মেধাদীপ্ত সৎ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে পল্লির শাশ্বত জীবনধারার সঙ্গে সংগতি রেখেই এমন নেতৃত্ব গড়া খুবই দরকার।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহতে বসে দরিদ্র অসহায় মানুষের কথা ভেবেছেন তার লেখনীতে যা প্রস্ফুটিত হয়েছে। ১০ মে ১৮৯৩ সালে শিলাইদহে লিখেছেন, এই দরিদ্র প্রজাগুলোকে দেখলে আমার ভারী মায়া করে। এরা যেন বিধাতার শিশু সন্তানের মতো নিরুপায়। তিনি এদের মুখে নিজে হাতে কিছু তুলে না দিলে এদের আর গতি নেই। পৃথিবীর স্তন যখন শুকিয়ে যায় তখন এরা কেবল কাঁদতে জানে, কোনোমতে একটুখানি ক্ষুধা ভাঙলেই আবার তখনই সমস্ত ভুলে যায়।’

আমরা স্বপ্ন দেখি পল্লির মানুষের উৎপাদন, আয়, বণ্টন, ভোগ, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতির গুণগত ও পরিমাণগত উন্নয়নের। যেখানে মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেয়ে পরে বাঁচতে পারবে, কৃষকেরা উৎপাদিত দ্রব্যের নায্যমূল্য পাবে। নাভিশ্বাসে জড়ানো অর্থনীতি চাই না, আমরা চাই নির্ভেজাল অর্থনীতি। আশার আলো খুঁজে পাবার প্রত্যাশায় আমরা এখন।

ড. সারিয়া সুলতানা: পল্লিউন্নয়ন গবেষক ও সহকারি সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ২৪ডটকম

আরএ/

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা

মৃত বাবুল আকতার। ছবি : সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মৃত্যুর চার দিন পর একজন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা নিয়ে জেলায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল অসুস্থতার কারণে মারা যান পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাবুল আকতার (পিতা: আব্দুল জলিল মিয়া, গ্রাম: ডাকুনী)। মৃত্যুর পর ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

কিন্তু ১৯ এপ্রিল গোবিন্দগঞ্জ থানায় জামায়াত নেতা আজাদুল ইসলাম বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে বাবুল আকতারকে ১৫৫ নম্বর আসামি করা হয়। মামলায় মোট ২২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "শুনেছি তিনি মারা গেছেন, তবে বিষয়টি যাচাই চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।"

 

Header Ad
Header Ad

গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাট রাজ্যে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযানে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতভর আহমেদাবাদ ও সুরাট শহরে যৌথ বাহিনীর এই অভিযান চালানো হয়। শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভারতের বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভির নির্দেশে পরিচালিত এই অভিযানে আহমেদাবাদ থেকে প্রায় ৮৯০ জন এবং সুরাট থেকে ১৩৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ, নারী ও শিশুরাও রয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি সতর্ক করে বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সুরাট পুলিশের যুগ্ম কমিশনার রঘবেন্দ্র ভাটস জানান, আটককৃতদের পরিচয় যাচাইয়ের কাজ চলছে এবং যাচাই শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

গুজরাট সরকারের এই অভিযান দেশজুড়ে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলাবাসীর গলার কাঁটা মালঞ্চি-নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধটি। গোনা ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় আশির দশকে নির্মিত বেড়িবাঁধটি বছরের পর বছর স্থায়ী ভাবে সংস্কার কিংবা মেরামত না করার কারণে বাঁধটির প্রায় ৬ কিলোমিটার অংশই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় ছিলো।

গত ২০২২সালে প্রথমবারের মতো বাঁধের অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ কিছু অংশ মেরামত করা হলেও বর্তমানে পুরো অংশটিই খুবই নাজুক। অবশেষে সেই নাজুক অংশ মেরামতের কাজ শুরু করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ।

সুত্রে জানা, পূর্বে বর্ষা মৌসুমে ছোট যমুনা নদীতে যখনই পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হতো তখনই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা ছোটাছুটি শুরু করতো আর যখন নদীতে পানি থাকে না তখন বাঁধটি মেরামত কিংবা সংস্কার করার কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করা হতো না। একাধিকবার ঝূঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং হাজার হাজার হেক্টর জমির ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে। এমন অবস্থা থেকে মুক্ত হতে জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্দ্যোগে বর্ষার আগেই সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন জনবান্ধব কর্মকান্ডে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। অন্তত এবার নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বন্যা হওয়ার শঙ্কা নিয়ে রাত কাটাতে হবে না বলে জানিয়েছে বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসরত বাসিন্দারা।

রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ( পিআইও) মো. নজরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ওই বেড়িবাঁধের কৃষ্ণপুর আলাউদ্দিনের জমি থেকে বেলালের জমি পর্যন্ত সাড়ে ৪০০ ফিট আর বেলালের জমি থেকে রফিকুলের জমি অভিমুখে ৪২৬ ফিট মোট ৮২৬ ফিট বাঁধের বিপরীত অংশে মাটি দিয়ে প্রশস্তকরণ কাজ শুরু করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে এই সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। পূর্বে ওই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের উপরের বিভিন্ন অংশের প্রস্থ ছিলো গড়ে ৬ থেকে ১০ ফিটের মধ্যে যা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়ার ভয় ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সংস্কারের মাধ্যমে মাটি দিয়ে বাঁধের উপরের অংশের প্রস্থ ২৪ ফিট আর নিচের অংশের প্রস্থ করা হচ্ছে ৫০ ফিট যা নদীতে বিপদসীমার উপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হলে ভেঙ্গে যাওয়ার কোন ভয় থাকবে না। সার্বক্ষণিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে সংস্কার কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন। বেড়িবাঁধের এমন সম্প্রসারণ কাজের কারণে দুই উপজেলার মানুষরা বাঁধ ভেঙ্গে হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া বন্যার কবল থেকে রেহাই পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানান ইতিমধ্যেই কৃষ্ণপুর নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর বাম তীরে ভাঙ্গন কবলিত স্থানে ২৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় জিও বস্তা ডাম্পিং ও প্লেসিং এর মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে অস্থায়ী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্মিলিত ভাবে বেড়িবাঁধের প্রশস্তকরণ কাজ চলমান রেখেছে। আশা রাখি এমন কাজে দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী ভাবে সুফল পাবেন।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান জানান প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষনের কারণে ছোট যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই বাঁধের ঝ’কিপূর্ণ স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতো। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের যে কোন স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে রাণীনগর ও আত্রাই এই দুই উপজেলার শতাধিক গ্রামসহ হাজার হাজার হেক্টর ফসলের জমি তলিয়ে যাওয়ার ভয়ে থাকতো। বিভিন্ন সময় ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে অস্থায়ী ভাবে বাঁধের মেরামত করা হলেও সেটি দীর্ঘস্থায়ী ছিলো না। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই প্রতিবছরই বাঁধের ঝূঁকিপূর্ণ অংশ মেরামতের প্রয়োজন দেখা দিতো। এমন সমস্যার স্থায়ী সমাধাণের লক্ষ্যে সম্প্রতি ঝ’কিপূর্ণ বাঁধটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বর্ষা মৌসুমের আগেই বেড়িবাঁধের ঝূঁকিপূর্ণ অংশ স্থায়ী ভাবে মেরামত ও সংস্কার করার নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক চলতি মাসের শুরু থেকে বেড়িবাঁধের নদীর বিপরীত পাশে মাটি দিয়ে প্রশস্তকরণ কাজ শুরু করা হয়েছে।

এই কাজের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের নদীর ভিতরের অংশে জিও বস্তা ডাম্পিং ও প্লেসিং এর মাধ্যমে সংস্কার করছে যাতে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও বাঁধের ঝূঁকিপূর্ণ কোন অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার শঙ্কা থাকবে না।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানান, যে কোন উন্নয়ন মূলক কাজে স্বচ্ছ ও দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা থাকা জরুরী। ছোট যমুনা নদীর মালঞ্চি-নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধটি শুধু দুই উপজেলার নয় পুরো জেলার জন্যও গলার কাটা ছিলো। সেই বাঁধে বার বার অর্থ খরচ না করে এবার জরুরী অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আগেই স্থায়ী ভাবে মেরামতের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চলমান সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে এবার আর বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের মানুষদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে না। ধারাবাহিক ভাবে এই বাঁধসহ জেলার অন্যান্য উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নিয়ে স্থায়ী ভাবে সংস্কার/মেরামত করা হবে বলেও তিনি জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প