রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩২

বিষাদ বসুধা

শাহবাজ খান ঘুমের ঘোরে মোহিনীকে ডাকছেন। নীলিমা খান অবাক বিস্ময়ে তার দিকে তাকিয়ে আছেন। ওই নাম শুনে তার শরীরে কাঁপন ধরেছে। বুকের মধ্যে চিনচিন করে ব্যথা শুরু হয়েছে। মাথাটা উথালপাথাল ঘুরছে। আতঙ্ক আর বিস্ময়ভরা কণ্ঠে তিনি বললেন, এ কী সর্বনাশা কাণ্ড! মোহিনী! এ নাম তো আগে কখনো শুনিনি! তার বান্ধবীর তালিকায় আরেকটি নাম নতুন যুক্ত হলো! নাকি মোহিনীর প্রেমে সে দেওয়ানা! ঘুমের ঘোরে কখন মানুষ কারও নাম ধরে ডাকে?

নীলিমা খান উৎকট মদের গন্ধ টের পান। শাহবাজ খান যে রাতভর মদ গিলেছে সেই কথা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন। তিনি জানেন, শাহবাজ খানের পেটে মদ পড়লেই মনের কথা সব বেরিয়ে যায়। মোহিনীর সঙ্গে নিশ্চয়ই তার কোনো বিশেষ সম্পর্ক আছে। অথবা নতুন তৈরি হয়েছে। তা না হলে এই নাম বলার কথা না। মোহিনার নাম শোনার পরই তার মাথায় আগুন ধরে যায়। তিনি শাহবাজ খানের কাছে এগিয়ে যান। তাকে ডাকেন। এই! শাহবাজ! কী হয়েছে তোমার?

শাহবাজ খান এদিক সেদিক মোড়ামুড়ি দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। নীলিমা শাহবাজ খানের মোবাইল হাতে নিয়ে কললিস্ট দেখেন। কললিস্টে মোহিনীর নাম দেখে তার মেজাজটা আরও বিগড়ে যায়। তিনি নম্বরটা নিজের মোবাইলে সেভ করেন। তারপর বিছানা ছেড়ে সোফায় গিয়ে বসেন। রাজ্যের ভাবনা তার মাথায় ঘুরপাক খায়। মোহিনী কে? কী করে সে? সে কি কোনো মডেল? নাটক-সিনেমা করে? নাকি অন্য কিছু...? নীলিমা মনে মনে এও ভাবেন, শাহবাজ খান কিছুতেই মোহিনীর কথা স্বীকার করবে না। সে যে তার নাম ধরে ডেকেছে এটাকে বলবে, আমার বানানো গল্প। ইস! আমি যদি রেকর্ড করে রাখতাম! এত দ্রুত কি আর রেকর্ড করা সম্ভব! মোহিনী নামটা আগে কখনো আমি শুনিনি। এটা যে নতুন জুটেছে সেটা আমি নিশ্চিত। ঘুম ভাঙার পর তাকে ধরতে হবে। মোহিনী কে তা তাকে বলতে হবে।

এসব কথা ভাবতে ভাবতেই নীলিমা কেঁদে ওঠেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করেও পারেন না। কাজের লোকগুলো বাইরে থেকে কান্নার শব্দ পেয়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়। কৌতূহলের বসে দরজা নক করে। নীলিমা ধমকের সুরে বলেন, এই কে! মুহূর্তের মধ্যে সবাই চলে যায়। তারা যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নীলিমা বসে থাকেন। তার মাথায় হাজারো ভাবনা ঘুরপাক খায়। তিনি নিজের মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢোকেন। শাহবাজ খানের ফ্রেন্ডলিস্ট দেখেন। পাঁচহাজার বন্ধু তালিকায় মোহিনী নাম নেই। তার ফলোয়ারের সংখ্যা দুই লাখ। নিশ্চয়ই ফলোয়ার তালিকায় থাকবে। নীলিমা এবার নিজের ফেসবুকে মোহিনী নাম সার্চ দেন। বেশ কিছু নাম তার মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। কেউ ছাত্রী। কেউ চাকরিজীবী। কেউ গৃহিণী। চেহারা দেখে একটাও তার পছন্দ হয় না। তার মনেই হয় না, এর মধ্যে কেউ শাহবাজ খানের বান্ধবী হবে। তারপরও তিনি মনে মনে বলেন, পুরুষ মানুষকে ভিমরতিতে পেলে কাজের লোকের সঙ্গেও শুতে পারে। সে তুলনায় এগুলো তো ভালোই!

নীলিমার কোনো কিছুই ভালো লাগছে না। সবকিছু কেমন এলোমেলো লাগছে। সংসার শুরুর সময়ও সে এ রকম ঝামেলায় পড়েছিল। প্রতিরাতে মদ খেয়ে শাহবাজ খান একেক জনের নাম ধরে ডাকত! কী যে ভয়ঙ্কর ছিল সেই সময়গুলো! তার অসংখ্য বান্ধবী। এদের কেউ না কেউ তার বিদেশ যাত্রার সঙ্গী হতো। এ নিয়ে কত ঝগড়াঝাটি, কান্নাকাটি করেছে! কোনো কিছুতেই যখন কাজ হচ্ছিল না, তখন শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে নালিশ করল। তারপর কিছুদিন বন্ধ ছিল। ইদানিং আবার বান্ধবীদের নিয়ে ঘোরাঘুরি শুরু হয়েছে।
নীলিমা মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন, এর একটা বিহিত করতেই হবে। সে যদি তার অভ্যাস পরিবর্তন করতে না পারে তাহলে আমি আর থাকব না। অথবা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করব। তার আগে বিষয়টা কি শ্বশুর-শাশুড়িকে জানাব? বার বার সে একই কাণ্ড করবে; আর আমি শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে নালিশ করবে! এই করে কতদিন! আমি বরং তাকেই জিজ্ঞাসা করি। সে আসলে কী চায়? কেন সে আমার সঙ্গে এমন প্রতারণা করছে? সে কি ভাবছে, আমার আর যাওয়ার জায়গা নেই! সেটা যদি ভেবে থাকে তাহলে সে আমাকে ভুল চিনেছে। আমি ছেলে মেয়ে দেখব না। নিজের জীবনই যদি বিপন্ন হয় তাহলে ওসব দিয়ে কী হবে!

নীলিমা আবার কাঁদেন। কাঁদতে কাঁদতে দুই চোখ ফুলে যায়। তিনি বাথরুমে দাঁত ব্রাশ করেন। চোখে পানির ঝাপটা দেন। নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। মনকেও শক্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলেন। দেখ নীলিমা; তোমাকে অনেক বেশি শক্ত হতে হবে। এভাবে ভেঙে পড়লে চলবে না। তোমার বাবা অনেক সম্পদ তোমার জন্য রেখে গেছেন। তুমি যদি চলেও যাও তাহলে তোমার কোনো সমস্যা হবে না। ইচ্ছা করলে তোমার দুই প্রজন্ম শুয়ে বসে খেতে পারবে। এত কী ভাবছ! তুমি শাহবাজের মুখোমুখি দাঁড়াও। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাও। দেখ কি জবাব দেয়। তুমি যদি তার জবাবে সন্তুষ্ট না হও তখন সরাসরি তাকে বলবে। কঠিনভাবে বলবে। দেখ শাহবাজ, তুমি যদি তোমার অভ্যাস পরিবর্তন করতে না পারো তাহলে কিন্তু আমি আর থাকব না। আমাকে তুমি হারাবে।

নীলিমা আবার ঘরে আসেন। সোফায় হেলান দিয়ে বসেন। শাহবাজ খানের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু তার ঘুম থেকে ওঠার কোনো লক্ষণ নেই। সম্ভবত আরও কয়েক ঘণ্টা সে ঘুমাবে। সারাদিন ঘুম থেকে নাও উঠতে পারে। নীলিমা আর অপেক্ষা না করে বাইরে বের হন। বাচ্চাদের খোঁজখবর নেন। তারপর বাচ্চাদের নিয়ে নাশতার টেবিলে যান। অনেকদিন পর নীলিমা আবার শাহবাজ খানের মুখোমুখি হন। তার কাছে তিনি জানতে চান, তুমি আমাকে সত্যি করে বলো, হু ইজ মোহিনী? একটুও মিথ্যা বলবে না।
মোহিনী? কেন, কী হয়েছে?
আমি যা জানতে চেয়েছি তার জবাব দাও।
আচ্ছা, হঠাৎ মোহিনীকে নিয়ে তুমি এত উত্তেজিত কেন?
কারণ নিশ্চয়ই আছে। তুমি বলো কে সে?
আমার একটা ফ্রেন্ড। একসঙ্গে পড়েছি।
তাই! কই আগে তো কখনো বলোনি!
বলিনি প্রসঙ্গ আসেনি।
দুয়েক দিনের মধ্যে তার সঙ্গে কি দেখা হয়েছে?
না।
কথা হয়েছে?
হ্যাঁ।
আর তাতেই সারাক্ষণ তার নাম জপছো!
মানে!
ভোরে ঘুমের ঘোরে মোহিনী মোহিনী বলে ডাকাডাকি করেছ। কেন করেছ?
বোগাস কথা বলার আর জায়গা পাও না!
মোটেই না। আমি তাহলে মোহিনীর নাম কি করে জানলাম?
সেটা আমি কী করে জানব?
দেখ, এসব বাদ দাও। আর যদি বাদ দিতে না পারো সেটাও আমাকে খোলাখুলি বলো।
কী বাদ দেব? আমার বন্ধুবান্ধব?
না। তোমার বান্ধবীদের বাদ দেবে।
আচ্ছা, কিছু দিন পর পর তোমার কী হয়? এমন কেন করো তুমি?
তুমি করাও বলেই তো করি! তুমি আমার পাশে শুয়ে আরেক নারীর নাম জপবে; আর আমি তা সহ্য করব? মোটেই না। কিছুতেই না।
আমার মনে হয় তোমার মানসিক সমস্যা আছে।
মানসিক সমস্যা যদি হয়েই থাকে সেটা তোমার কারণে।
বাজে কথা রাখো তো!
কোনটা বাজে কথা?
তুমি যা বলছ।
সত্য কথাগুলো সব বাজে কথা; তাই না?
নীলিমার কথায় শাহবাজ খানের মেজাজ চড়ে যায়। তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবে না। তাহলে কিন্তু ভালো হবে না।
নীলিমা ক্রোধের দৃষ্টিতে শাহবাজ খানের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তারপর বলেন, বাড়াবাড়ি আমি করছি না তুমি করছ?
আবার কথা বলো! ভালো না লাগলে তোমার সিদ্ধান্ত তুমি নিতে পারো। আমার ঝগড়াঝাটি ভালো লাগে না।
ঠিক আছে। আমার সিদ্ধান্ত আমিই নেব।
কথা শেষ করে নীলিমা হনহন করে চলে গেলেন। বিরক্তি আর বিস্ময় ভরা দৃষ্টিতে শাহবাজ খান তার চলে যাওয়া দেখলেন।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩১

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩০

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৯

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

 

Header Ad
Header Ad

সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর

ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সিন্ধুর উপনদী ঝিলামে অতিরিক্ত পানি ছেড়েছে ভারত। এর ফলেই হঠাৎ করেই মাঝারি মাত্রার বন্যার কবলে পড়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একাংশ। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীতীরবর্তী হাজারো মানুষ।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরবাদের বিভাগীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ঝিলাম নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পানি ছাড়ছে ভারত। ফলে নদীর পানি হু হু করে বেড়ে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আকস্মিক বন্যা।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘দুনিয়া নিউজ’ জানায়, ভারত কোনো ধরনের আগাম বার্তা না দিয়েই শনিবার সকাল থেকে বাড়িয়ে দেয় পানির প্রবাহ। এতে করে অনন্তনাগ অঞ্চল থেকে প্রবাহিত পানি চাকোঠি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করতে থাকে। মসজিদের মাইকে সতর্কতা প্রচার করা হয়, স্থানীয়দের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়।

প্রসঙ্গত, সিন্ধু নদ এবং তার উপনদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’। তবে সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। ভারত এ হামলার জন্য পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং প্রতিক্রিয়ায় একতরফাভাবে চুক্তি স্থগিত করে নয়াদিল্লি।

এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, ভারত যদি সিন্ধু নদী থেকে পানির প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে, তবে তারা একে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে বিবেচনা করবে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির নেতারাও। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, “সিন্ধু দিয়ে হয় পানি বইবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।”

এদিকে ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রী জানালেন, পানির প্রবাহ ঠেকাতে ইতোমধ্যেই একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ড্রেজিং করে পানির গতি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজও চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

ছবি: সংগৃহীত

নিশ্বাস বন্ধ করে দেওয়া এক ফাইনাল, যেখানে নাটক, উত্তেজনা, এবং আবেগ সবই একসঙ্গে ঠাঁই পেয়েছে। কোপা দেল রে’র এবারের ফাইনালে বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদ উপহার দিয়েছে পাঁচ গোলের রোমাঞ্চ। আর শেষ হাসি হেসেছে কাতালানরা—১১৬তম মিনিটে জুলস কুন্দের দুর্দান্ত গোলে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালকে শিরোপা জিতে নেয় বার্সেলোনা।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ভোরে সেভিয়ার এস্তাদিও দে লা কার্তুইয়ায় অনুষ্ঠিত হয় এই ঐতিহাসিক ম্যাচ। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ম্যাচের ১২ মিনিটে দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটে বার্সাকে এগিয়ে দেন পেদ্রি। প্রথমার্ধে রিয়াল খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড়দের নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় আনচেলত্তির দল।

৭০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান। এরপর কর্নার থেকে চুয়ামেনির হেডে রিয়াল নেয় লিড। কিন্তু সেই আনন্দ টিকল না বেশি সময়। ৮৪ মিনিটে ইয়ামালের পাস থেকে ফেরান তোরেস গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। গোলরক্ষক কর্তোয়া ও রুডিগারের ভুলের সুযোগ কাজে লাগান তরেস।

৯০ মিনিট শেষে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে বার্সা আবার ফিরে পায় নিয়ন্ত্রণ। একাধিক সুযোগ তৈরি করে তারা। শেষ পর্যন্ত ১১৬ মিনিটে লুকা মদ্রিচের পাস কেটে নিয়ে দূর থেকে নিচু শটে গোল করে নায়ক হয়ে ওঠেন ডিফেন্ডার জুলস কুন্দে। বার্সার জার্সিতে এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল।

রিয়াল যদিও শেষ দিকে আবার পেনাল্টির দাবি তোলে, কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। উত্তেজনায় ফেটে পড়ে রিয়ালের বেঞ্চ, যার ফল হিসেবে দুই বদলি খেলোয়াড় রুডিগার ও লুকাস ভাজকেজ দেখেন লাল কার্ড।

এই জয়ে চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার দ্বিতীয় শিরোপা এল ঘরে। এর আগে স্প্যানিশ সুপার কাপেও তারা হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এটি বার্সার ৩২তম শিরোপা—যা সর্বোচ্চ।

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি