শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মুক্তিযুদ্ধে অসমাপ্ত প্রেম

করিমের সাথে রহিমা বিবির দেখা হয় গঞ্জের বাজারে। রহিমা স্থানীয় একটি ডিগ্রী কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী। তার বাবা না থাকায় সব সময় গঞ্জে গিয়ে বাজার-সদায় করে আনতো। একদিন হালকা গরমে সুন্দর আমেজে হৈমন্ত মাসের পড়ন্ত বিকেলে রহিমা বাজার বেশি হওয়ায় সে আনতে পারছেনা বলে করিম আগ বাড়িয়ে রহিমার উপকার করতে চাইলে প্রথমে রহিমা তাঁকে খারাপ ছেলে মনে করে দুরে ঠেলে দেয়। পরে অব্যশই জানতে পারে করিম একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা খুবই নম্র ভদ্র বিনয়ী ও পরোপকারী ভালো ছেলে। রহিমা আস্তে আস্তে করিমের আশে পাশে চলাচল বাড়িয়ে দেয়। এই ভাবে আস্তে আস্তে তাদের পরিচয় হয়। শুরু হয় তাদের পথচলা এই ভাবেই দু'জন দু’জনকে জানতে বুঝতে শিখে। দু'জনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় শত বিপদে ও দু'জন দু'জনকে কখনো ছেড়ে যাবে না। যদি কোন বড় বিপর্যয় অথবা আর্থিক শারিরীক যত সমস্যা হোক না কেন শুধু জীবন থাকে একে অন্য কে গ্রহন করার মরণোত্তর প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হলেন। প্রতিদিন তারা কোন না কোন ভাবে দেখা বা চিঠি বিনিময় করে সম্পর্ক গাঢ় করতো। তারা তাদের প্রেম ইতিহাসের অমর করে রাখতে লাইলী-মজনু, শিরি- ফরহাদের মতো ইতিহাস সেরা প্রেমিক যুগল হয়ে মৃত্যু বরণ করবে তবুও কেউ কাউকে ছেঁড়ে যাবো না বলে প্রতিশ্রতি বদ্ধ হয়েছে। পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ের ও সিন্ধান্ত হয় ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে। এর মধ্যে শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ।


১৯৭১ সাল ২৫ মার্চ রাতে পাক-হানাদার বাহিনীরা করিমদের পাশের গ্রামের কয়েকটি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এই ভাবে প্রায় ২ মাস হতে চলছে জ্বালাও পোড়াও খুন ধর্ষণ লুটতরাজ পাক বাহিনীর। চলছে মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে হানাদার ও তাদের দোসরদের নানা ধরণের অপকর্ম। গ্রামের সবাই বসে সিন্ধান্ত নিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে ভাষণে স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে গ্রামের যুবক শ্রেণীর আগ্রহী সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করবে। করিমের সমবয়সী বাড়ী এবং গ্রামের অনেকেই ভারতের আগরতলায় ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলো। অনেকের সাথে করিম ও গেলো, ট্রেনিং শেষে তাঁকে সাব-সেক্টর কমান্ডারের হাতে অনেকের সাথে তাকে তুলে দিলো করিমদের গ্রুপের লিডার। করিম মনোযোগী হলো মুক্তিযুদ্ধে। তার ভাবনায় ছিলো সারাক্ষণ দেশেকে স্বাধীন করার এবং স্বাধীন দেশে জমজমাট ভাবে বিয়ের আয়োজন করবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী তার সহযোগিরা। সে এর মধ্যে বীরত্বের সহিত অনেক এলাকা অপারেশন সফলতার সাথে শেষ করে। এই জন্য তাঁকে একটি বড় অপরেশনের দায়িত্ব দেওয়া হলো। সেই অপারেশনে অক্টোবরের শেষের দিকে আলোকদিয়া গ্রামে রাত ৩টা চারদিকে নীরব নীস্তবতা গভীর অন্ধকার ঝি ঝি পোঁকার ডাক শুনার যাচ্ছে, এর মাঝে ক্লোরিং করে প্রথমে অগ্রযাত্রা প্রথম দল ছোট্ট একটা গ্রুপ পাঠানো হয় পাক-বাহিনীর অবস্থান জানার জন্য। দুভাগ্য বসত করিমদের গ্রুপের সাংকেতিক টর্চলাইটের আলো পাক- বাহিনীর নজরে আসলেই পাক-বাহিনী আক্রমন শুরু হয়। এদের বাঁচাতে আক্রমনের তাদের দ্বিতীয় গ্রুপ কিন্তু না অবস্থা বেগতিক দেখে করিম তার মূল বাহিনী নিয়ে এগিয়ে যেতে শুরু হলো তুমূল যুদ্ধ। এই যুদ্ধে অনেকেই হতাহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় অনেকের মধ্যে করিমকে পাওয়া যায় বামহাত-ডান পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় খালের পাড়ে। হাসপাতালে নেওয়ার তিনদিন পর জ্ঞান ফিরে করিমের। এর মাঝে তার সহযোগী অনেকে হাসপাতালে কেউ মৃত্যু বরণ করেন আবার কেউ কেউ চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকের সাথে করিমও পঙ্গু অবস্থায় গ্রামে ফিরে যায়। গিয়ে পিতা হারা করিম দেখে তার ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুনতে পায় তার মাকে জ্বালিয়ে দেওয়া ঘরে অঙ্গার অবস্থায় পাওয়া যায়। তার পরিবারের অন্য সদস্যরা ও কে কোথায় আছে তার খবর কেউ জানে না। রহিমার খোঁজ নিলে জানা যায় রহিমাদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পর কোথায় গেছে কেউ জানে না। করিমও অক্ষম চোখে মুখে অন্ধকার। কি করবে কোথায় যাবে। বিভিন্ন মাধ্যমে একটা কাজের সন্ধানে হাহাকার করেছে অনেক দিন পরিচিত জনের কাছে। কিন্তু কোন সাড়া পায় নি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ভিক্ষা ভিত্তিকে বেচে নিতে হয়েছে। রাস্তার পাশে প্রতিদিন মতো ভিক্ষা করার সময় হঠাৎ দেখতে পায় তার হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান করা মুক্তিযুদ্ধের পরে জীবন সঙ্গিনী করার প্রতিশ্রæতিবদ্ধ রহিমাকে। সে চিৎকার করে বলে রহিমা আমাকে চিনতে পারছো আমি তোমার সেই প্রিয়জন করিম। রহিমা হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে তার চিন্তায় ভাজ পড়ে আসলে লোকটা কে আমার নাম কি করে জানলো। একজন রাস্তার ভিক্ষুক তো জানার কথা না। এরপর সে চিনতে পারলো তার প্রিয়জন রহিম। কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে অবাক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে দেখে দু’জনের চোখে পানি পড়ছে। করিম চিৎকার করে বললো থাকলো যুদ্ধে আমার হাত পা হারালাম কিন্তু পেলাম স্বাধীন দেশের স্বাধীন পতাকা।

এর মাঝে অনেক লোকের ভিড় জমে গেলো। রহিমা নিজের আত্মসম্মান রক্ষা করার জন্য আমি তোমাকে চিনি না বলে চলে গেলো। করিম পিছনে অবাক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে রইল আর চিৎকার করে কাঁদতে থাকলো এইতো আমার স্বাধীন দেশের অসমাপ্ত প্রেম।

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলাবাসীর গলার কাঁটা মালঞ্চি-নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধটি। গোনা ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় আশির দশকে নির্মিত বেড়িবাঁধটি বছরের পর বছর স্থায়ী ভাবে সংস্কার কিংবা মেরামত না করার কারণে বাঁধটির প্রায় ৬ কিলোমিটার অংশই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় ছিলো।

গত ২০২২সালে প্রথমবারের মতো বাঁধের অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ কিছু অংশ মেরামত করা হলেও বর্তমানে পুরো অংশটিই খুবই নাজুক। অবশেষে সেই নাজুক অংশ মেরামতের কাজ শুরু করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ।

সুত্রে জানা, পূর্বে বর্ষা মৌসুমে ছোট যমুনা নদীতে যখনই পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হতো তখনই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা ছোটাছুটি শুরু করতো আর যখন নদীতে পানি থাকে না তখন বাঁধটি মেরামত কিংবা সংস্কার করার কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করা হতো না। একাধিকবার ঝূঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং হাজার হাজার হেক্টর জমির ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে। এমন অবস্থা থেকে মুক্ত হতে জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্দ্যোগে বর্ষার আগেই সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন জনবান্ধব কর্মকান্ডে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। অন্তত এবার নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বন্যা হওয়ার শঙ্কা নিয়ে রাত কাটাতে হবে না বলে জানিয়েছে বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসরত বাসিন্দারা।

রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ( পিআইও) মো. নজরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ওই বেড়িবাঁধের কৃষ্ণপুর আলাউদ্দিনের জমি থেকে বেলালের জমি পর্যন্ত সাড়ে ৪০০ ফিট আর বেলালের জমি থেকে রফিকুলের জমি অভিমুখে ৪২৬ ফিট মোট ৮২৬ ফিট বাঁধের বিপরীত অংশে মাটি দিয়ে প্রশস্তকরণ কাজ শুরু করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে এই সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। পূর্বে ওই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের উপরের বিভিন্ন অংশের প্রস্থ ছিলো গড়ে ৬ থেকে ১০ ফিটের মধ্যে যা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়ার ভয় ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সংস্কারের মাধ্যমে মাটি দিয়ে বাঁধের উপরের অংশের প্রস্থ ২৪ ফিট আর নিচের অংশের প্রস্থ করা হচ্ছে ৫০ ফিট যা নদীতে বিপদসীমার উপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হলে ভেঙ্গে যাওয়ার কোন ভয় থাকবে না। সার্বক্ষণিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে সংস্কার কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন। বেড়িবাঁধের এমন সম্প্রসারণ কাজের কারণে দুই উপজেলার মানুষরা বাঁধ ভেঙ্গে হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া বন্যার কবল থেকে রেহাই পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানান ইতিমধ্যেই কৃষ্ণপুর নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর বাম তীরে ভাঙ্গন কবলিত স্থানে ২৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় জিও বস্তা ডাম্পিং ও প্লেসিং এর মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে অস্থায়ী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্মিলিত ভাবে বেড়িবাঁধের প্রশস্তকরণ কাজ চলমান রেখেছে। আশা রাখি এমন কাজে দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী ভাবে সুফল পাবেন।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান জানান প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষনের কারণে ছোট যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই বাঁধের ঝ’কিপূর্ণ স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতো। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের যে কোন স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে রাণীনগর ও আত্রাই এই দুই উপজেলার শতাধিক গ্রামসহ হাজার হাজার হেক্টর ফসলের জমি তলিয়ে যাওয়ার ভয়ে থাকতো। বিভিন্ন সময় ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে অস্থায়ী ভাবে বাঁধের মেরামত করা হলেও সেটি দীর্ঘস্থায়ী ছিলো না। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই প্রতিবছরই বাঁধের ঝূঁকিপূর্ণ অংশ মেরামতের প্রয়োজন দেখা দিতো। এমন সমস্যার স্থায়ী সমাধাণের লক্ষ্যে সম্প্রতি ঝ’কিপূর্ণ বাঁধটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বর্ষা মৌসুমের আগেই বেড়িবাঁধের ঝূঁকিপূর্ণ অংশ স্থায়ী ভাবে মেরামত ও সংস্কার করার নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক চলতি মাসের শুরু থেকে বেড়িবাঁধের নদীর বিপরীত পাশে মাটি দিয়ে প্রশস্তকরণ কাজ শুরু করা হয়েছে।

এই কাজের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের নদীর ভিতরের অংশে জিও বস্তা ডাম্পিং ও প্লেসিং এর মাধ্যমে সংস্কার করছে যাতে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও বাঁধের ঝূঁকিপূর্ণ কোন অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার শঙ্কা থাকবে না।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানান, যে কোন উন্নয়ন মূলক কাজে স্বচ্ছ ও দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা থাকা জরুরী। ছোট যমুনা নদীর মালঞ্চি-নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধটি শুধু দুই উপজেলার নয় পুরো জেলার জন্যও গলার কাটা ছিলো। সেই বাঁধে বার বার অর্থ খরচ না করে এবার জরুরী অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আগেই স্থায়ী ভাবে মেরামতের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চলমান সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে এবার আর বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের মানুষদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে না। ধারাবাহিক ভাবে এই বাঁধসহ জেলার অন্যান্য উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নিয়ে স্থায়ী ভাবে সংস্কার/মেরামত করা হবে বলেও তিনি জানান।

Header Ad
Header Ad

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ১০ মিনিট থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

বিভিন্ন স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্টেশন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের কাজ চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার মেট্রোরেল চালু করা হবে বলে তারা আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পাথর বোঝাই ট্রাকে অভিযান চালিয়ে ২৬ কেজি গাঁজাসহ ট্রাকটি জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় ওই ট্রাকের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার বিলকলমী সরকারপাড়া গ্রামের মৃত শহীদুল্লা সরকারের ছেলে ট্রাক চালক বিপুল সরকার (৩৫) ও হেলপার পাবনার সাথিয়া উপজেলার চিনানাড়ী গ্রামের আবু দাউদ আকাশ (২৫)।

শনিবার সকালে গাইবান্ধা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহ্-নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বুজরুক বোয়ালিয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পাবনাগামী একটি পাথরবোঝাই ট্রাক থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ২৬ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। পরে ট্রাকটিসহ গাঁজাগুলো জব্দ করা হয়। সেইসঙ্গে ট্রাকের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করে হয়েছে বলেও জানান জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি