শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার

‘সিংহভাগ শিক্ষক তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি’

দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান সংকট, প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। সেখানে তিনি এ সংকট উত্তরণের পথও তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শেহনাজ পূর্ণা। নিচে সাক্ষাৎকারটির চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল—

ঢাকাপ্রকাশ: শিক্ষাঙ্গনে প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি ভয়াবহ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এর কারণ কি?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: দেশের শিক্ষাঙ্গনে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে কতগুলো কারণে। একটি হচ্ছে— লোভের সংস্কৃতি, যা ইতোমধ্যে আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সমাজের উচ্চস্তর থেকে নিম্নস্তর অবধি সর্বত্র এই সংস্কৃতি প্রসারমাণ। এখন বেশির ভাগ মানুষ প্রতিমাসে যা আয় করে তার থেকে অনেক বেশি পেতে চায়। কারণ যদি সে তা না পায়, তাহলে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। একজন শিক্ষক, যার বেতন খুবই কম এবং যার কোনো উপরি উপার্জনের পথ নেই, তার পক্ষে যদি নিজের সম্মানটুকু বজায় রেখে চলতে হয়, তাহলে টিউশন করা ছাড়া উপায় নেই। যারা টিউশন করে টাকা পয়সা উপার্জন করেন, ছেলেমেয়েদের যাদের বিয়ে দিতে হয় ,সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হয়, তাদের পক্ষে সেই ব্যয়ভারটুকু বহন করাও কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। ফলে কেউ কেউ তারা নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে নানা উপায়ে টাকাপয়সা উপার্জন করতে চান। এদের সংখ্যা বাড়ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা সবসময়ই শাস্তির বাইরে থেকে যাচ্ছে কেন? তাদের ব্যাপারে আইনগত কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: দুঃখের বিষয় হল, আইনের প্রয়োগ আমাদের দেশে হয় না। আইনের শাসনের অবস্থা খুব দুর্বল। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে সেই দেশে যে দেশে আইনের শাসন নেই। অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি আমাদের পেনাল কোডে আছে। কিন্তু ক্ষমতাধর অপরাধীদের কোনো শাস্তি হয় না। ফলে, অপরাধ করে যখন পার পেয়ে যায় মানুষ, তখন সেটি সোনা চোরাচালান থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের দুর্নীতিতে মানুষ বেপরোয়া হয়ে যায়। মানুষ ভাবে শাস্তি যেহেতু হবে না, কাজেই যেকোনো অপরাধই সিদ্ধ বলে গৃহীত হয়ে যাবে, কোনো সমস্যা হবে না।
এখন প্রশ্ন আসে, এটি সাধারণ দুর্বৃত্তরা করতে পারে কিন্তু শিক্ষকরা কেন করবেন? তার মানে হচ্ছে, শিক্ষকতায় এখন অপরাধপ্রবণ মানুষজন আছেন, অর্থাৎ উঁচু নৈতিকতার মানুষ অনেকেই আসছেন না। শিক্ষকদের প্রতি সম্পূর্ণ সহানুভূতি ও ভালবাসা থেকেই বলছি, সিংহভাগ শিক্ষক তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। কিন্তু যদি এক শতাংশ শিক্ষকও থাকেন, যারা আদর্শচ্যুত হয়ে নীতি-নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে, এ সব করতে থাকেন, তাহলে সমগ্র শিক্ষক সমাজের উপর সেটির একটি প্রভাব পড়বে।

এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে এবং আগামীতে হয়ত আরও বাড়বে। এটি কোনো একটি কারণে হয়নি। একদিনেও হয়নি। সামাজিক অস্থিরতা থেকে, লোভের সংস্কৃতি থেকে, আইন শৃঙ্খলার যথাযথ প্রয়োগের অভাব থেকে, দুর্বৃত্তদের আইনের ফাঁক-ফোঁকর গড়িয়ে ঢালাওভাবে পার পেয়ে যাওয়ার উপায় থেকে, এগুলো উদ্ভূত হয়েছে। কিছু দুষ্টুচক্রের কারণে এটি হচ্ছে কিন্তু দুর্নামটি হচ্ছে সমগ্রের। এটি আমাদের মনে রাখতে হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: এ রকম একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কি?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: এ রকম একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য় আমি মনে করি, প্রথমেই শুরু করতে হবে আইনশৃঙ্খলার সুষ্ঠু প্রয়োগ এবং অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে। কোনো অপরাধীকে (যে ধরনের অপরাধই সে করুক না কেন) বিচার প্রক্রিয়ার ভেতর নিয়ে আসতে হবে। অকারণ কালক্ষেপণ করা যাবে না। সেই বিচার প্রক্রিয়া যদি স্বচ্ছ হয়, সত্যিকার অপরাধী যদি শাস্তি পায় এবং কাগজে কলমে সেটি দৃষ্টান্তমূলক হয়ে যায়, তাহলে এটি প্রধান একটি অন্তরায় হয়ে যাবে। সবাই তখন ভয় পেয়ে যাবে যে, এটি করা যাবে না। পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সময় নৈতিকতার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আমাদের এখানে অনেক নিয়োগ হয় টাকা পয়সার বিনিময়ে। এভাবে যদি শিক্ষক নিয়োগ হয়, তাহলে যে টাকা তিনি খরচ করবেন, নিশ্চয় তা তুলে আনার চেষ্টা করবেন। কীভাবে? এ ধরনের দুর্নীতির মাধমেই তিনি ঘুষ দেওয়া টাকাটা ফেরত পেতে চাইবেন। এই যে ভয়াবহ একটি ধংসের সম্ভাবনা দেখছি শিক্ষকতায়, এটি বাস্তব রূপ ধারণ করেছে দেশের বেশির ভাগ কর্মক্ষেত্রে। এর ফলে আমার মনে হয় না যে, এটি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার মত। আমি যতই সমাধানের কথা বলি, হয়ত তা বলব একটি আদর্শিক দৃষ্টিকোণ থেকে, সাংবাদিক ছাপাবেন একটি আদর্শিক অবস্থান থেকে, সমাজের জনগণ, তারাও এটি বিচার করবে একটি আদর্শিক পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু সেই আদর্শটুকু আমাদের থাকতে হবে।

আমি শুধু শিক্ষকদের নৈতিকতার কথা বলব না, আমি মনে করি, তাদের বেতন ভাতারও উন্নতি করতে হবে। একজন শিক্ষকের থেকে যখন কম শিক্ষিত একজন ব্যবসায়ী অথবা একজন ঠিকাদারের আয় অনেক গুণ বেশি থাকে বেচারা শিক্ষককে হয়ত চারপাশের মানুষ এমনকি পরিবারের লোকজন থেকেও তার অক্ষমতা নিয়ে কটু কথা শুনতে হয়। শিক্ষকদের যদি আমরা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিই, বেতন ভাতা বাড়িয়ে দিই, তার পক্ষে দুর্নীতি করার কারণ থাকবে না। দুর্নীতিকে কখনো উৎসাহিত করা যাবে না। যারা অপরাধ করেন, তাদের অপরাধ প্রমাণিত হলে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে দুর্নীতির বিষয়টি চিরতরে বাদ দিতে হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: এক সময় একাধিক প্রশ্নপত্র সেট ছিল। এখন সেই প্রক্রিয়াটি নেই কেন?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: আমাদের সময় পরীক্ষাপত্রের সেট একটিই থাকতো। তখন এমন একটি নৈতিকতার পরিবেশ ছিল, কেউ নকল করার কথা চিন্তাই করতে পারত না। আমাদের যারা শিক্ষক ছিলেন, যারা কর্মকর্তা ছিলেন, কেরানি ছিলেন, কারো মাথাতেই এ সব চিন্তা আসত না। এখন যেহেতু নকল হয়, সেজন্য আমাদের কিছু চালাকির আশ্রয় নিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, চালাকির মাধ্যমে আমরা যদি এই পদ্ধতিকে হারাতে চাই, মনে রাখতে হবে এই চালাকিটা ধরে ফেলে আরও বড় চালাকি করার মানুষ কিন্তু বাংলাদেশে আছে। কাজেই আমি বলব, প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করলেও কাজ হবে না যদি আমি মানুষটি অসৎ থাকি। যাদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সেটগুলো যাবে বিভিন্ন জায়গায়, সেই মানুষগুলো যদি দুর্বৃত্ত হয়, তখন কোনো সেটেই কাজ হবে না। কাজেই আমি মনে করি অধিক সেট তৈরি করা কোনো গুরুত্বপূর্ণ সমাধান নয়। এজন্য বিকল্প ভাবনার অর্থাৎ সেই চালাকির প্রয়োজন। এর জন্য প্রযুক্তি নিশ্চয় আছে। না থাকলে উদ্ভাবন করতে হবে।

আমি আরও একটি বিষয় এখানে সংযুক্ত করতে চাই। সেটি হল এ সব অনাচারের জন্য গুটি কয়েক শিক্ষক জড়িত থাকতে পারেন অথবা অন্য অনেকেই থাকতে পারেন। কিন্তু সব শিক্ষককে এজন্য দায়ী করা ঠিক হবে না। সাধারণীকরণ করা ঠিক হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: সম্প্রতি নতুন কারিকুলাম প্রণীত হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীল মেধা বিকাশে সেটি কতটুকু কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আপনি মনে করছেন?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সব অপরাধ থেকে বের হওয়ার আরেকটি পথ আছে। সম্প্রতি আমরা নতুন কারিকুলাম তৈরি করেছি। প্রাইমারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। ভবিষ্যতে এটি আরও সম্প্রসারিত হবে। পরীক্ষা কমিয়ে সৃজনশীলতার দিকে আমাদের বেশি নজর দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে পাঠ্যপুস্তক ও মুখস্ত নির্ভর না হয়ে সৃজনশীলতার চর্চা করে এবং জানার মাধ্যমে নিজের ভাবনার বিকাশ করতে পারে এ বিষয়টির উপর এখন থেকে জোর দেওয়া হবে। এটি সফল হলে নোটবই, গাইডবইয়ের দরকার হবে না।

নোটবই, গাইডবই সিন্ডিকেট করে কিছু মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে। এ সব গাইডবই নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। টিউশন বাণিজ্যগুলো যারা করে, বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিয়ে এ সব করে, এগুলো থেকে দূরে সরে গিয়ে আমাদের এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা উচিত, যে শিক্ষাব্যবস্থায় বাচ্চারা নিজেরাই শিক্ষার উপকরণ তৈরি করবে। উদাহরণস্বরূপ— আমি একটি অভিজ্ঞতা ভাগ করতে পারি। নরওয়ের একটি স্কুল পরিদর্শনে গেলে আমাকে বলা হল, আজকে আমাদের বাচ্চারা বাটারফ্লাই অর্থাৎ প্রজাপতি নিয়ে শিখবে। আপনি একটু থাকুন। সেখানে শিক্ষক প্রথমে প্রজাপতি সম্পর্কে বলে দিলেন, তারপর বললেন, তোমরা গুগলে যাও, যতটা পারো জানো ছয়জনের একটি গ্রুপ ব্যস্ত হয়ে পড়ল প্রজাপতি সম্পর্কে জানতে। তারপর ওরা নিজের ভাষায় যে প্রেজেন্টেশন দিল, তাতে এত সুন্দরভাবে প্রজাপতি সম্পর্কে বলল যে, আমি মুগ্ধ হয়ে শুনলাম। এই যে ওরা শিখলো, এটিতো সারাজীবন তাদের মাথায় থাকবে। আমাদের এখানে ছুটির ঘণ্টা বাজলে অর্থাৎ স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা দৌড়ে বাড়ি যেতে চায়, আর ওই দেশে দেখেছি স্কুল ছুটি হলে খুব মন খারাপ করে থাকে। আমাদের বাচ্চাদের যেন আমরা সেভাবেই শিখাতে পারি। আমাদের সেদিকেই যেতে হবে। যে পাঠ্যক্রম চালু হচ্ছে, তা শতভাগ সফল হবে, সেকথা আমি বলছি না, তবে শুরুটাতো হলো। এভাবে যদি আমরা এগোতে পারি, তাহলে আগামী দশ বছরে দ্বিতীয় পর্বে এবং তারপরের পাঁচ বছরে তৃতীয় পর্বে পৌঁছাতে পারবো। ফলে ১৫ থেকে ২০ বছরে একটি নতুন প্রজন্ম আমাদের তৈরি হয়ে যাবে, যারা মুখস্থ-পরীক্ষা-নকল-প্রশ্নপত্র ফাঁস এ রকম নানা ছক থেকে বেরিয়ে সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। এরপর আমাদের আর পেছন ফিরতে হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ। সেইসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ও পাঠকদেরও ধন্যবাদ।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ১০ মিনিট থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

বিভিন্ন স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্টেশন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের কাজ চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার মেট্রোরেল চালু করা হবে বলে তারা আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পাথর বোঝাই ট্রাকে অভিযান চালিয়ে ২৬ কেজি গাঁজাসহ ট্রাকটি জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় ওই ট্রাকের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার বিলকলমী সরকারপাড়া গ্রামের মৃত শহীদুল্লা সরকারের ছেলে ট্রাক চালক বিপুল সরকার (৩৫) ও হেলপার পাবনার সাথিয়া উপজেলার চিনানাড়ী গ্রামের আবু দাউদ আকাশ (২৫)।

শনিবার সকালে গাইবান্ধা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহ্-নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বুজরুক বোয়ালিয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পাবনাগামী একটি পাথরবোঝাই ট্রাক থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ২৬ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। পরে ট্রাকটিসহ গাঁজাগুলো জব্দ করা হয়। সেইসঙ্গে ট্রাকের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করে হয়েছে বলেও জানান জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

Header Ad
Header Ad

আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার

আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার আদমদীঘিতে বিএনপি অফিসে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা তোহাবিন আলম তোহা (২৫) গ্রেপ্তার হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার কোমারপুর চারমাথা এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরদিন শনিবার (২৬ এপ্রিল) তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

তোহা আদমদীঘি উপজেলার কোমারপুর গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ৪ আগস্ট আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিরোধে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ককটেল, পেট্রোল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিএনপি অফিসের সামনে হামলা চালান। ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর পর তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় একই বছরের ২৫ আগস্ট রাতে ১২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও প্রায় ২৫০ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের হয়।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তোহাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং মামলার আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি