রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের ৮৪ বছর

সাংহাইয়ের ধ্বংসাবশেষে জাপানি সৈন্যরা

মানব সভ্যতার ইতিহাস যুদ্ধ-বিগ্রহের ইতিহাস। ইতিহাসের কালপরিক্রমায় আধুনিক বিশ্বের অন্যতম দুই পরাশক্তি চীন ও জাপান দুই দুইবার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। যা চীন-জাপান যুদ্ধ নামে পরিচিত। ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের আদ্যপান্ত তুলে ধরা হলো।

দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের সূত্র লুকিয়ে আছে ১৮৯৪-৯৫ সনের প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধে। সে যুদ্ধে চীনের কুইং রাজবংশ জাপানের কাছে হেরে গিয়ে তাইওয়ান ছেড়ে দিতে এবং কোরিয়ার স্বাধীনতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। কুইং রাজবংশের পতনের পর চীনে অনেক সামন্ত রাজার উত্থান ঘটে এবং বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে জাপান সাম্রাজ্য আধুনিক ও শক্তিশালী হতে থাকে। ধীরে ধীরে চীনের বিভিন্ন এলাকায় জাপান তার প্রভাব বলয় সৃষ্টি করতে থাকে।

১৯২০-৩০ এর দশকে চিয়াং কাই-শেক এর কুয়ো মিনটাং সরকার চীনকে একীভূত করতে শুরু করে। সেসময় সরাসরি জাপানের সাথে যুদ্ধ করার সামর্থ্য ছিল না চীনের। তবে চিয়াং কাই-শেক একে একে সামন্ত রাজাদের পরাজিত করতে থাকেন। অন্যদিকে তিনি চীনা কমিউনিস্টদের সাথেও গৃহযুদ্ধ শুরু করেন। হাতছাড়া হয়ে যাবার ভয়ে ১৯৩২ সালে জাপান উত্তর চীনের মাঞ্চুরিয়া প্রদেশ দখল করে ফেলে ও সেখানে পুতুল রাষ্ট্র মাঞ্চুকিয়ো স্থাপন করে।

নিজেদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য চীনারা একটি সিরিজ রেলপথ নির্মাণ শুরু করে যা আংশিকভাবে জাপানি লাইনকে ঘিরে ফেলে এবং হুলুদাওতে গিয়ে শেষ হয়। হুলুদাওতে একটি বন্দর চীনারা নির্মান করছিল। এদিকে মাঞ্চুরিয়ার শাসক ঝাং জুওলিন ১৯২৮ সালে জাপানি অফিসারদের দ্বারা নিহত হলে তার ছেলে ঝাং জুয়েলিয়াং চীনকে বিদেশী নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার জন্য কুওমিনতাং-এ (ন্যাশনালিস্ট পার্টি) যোগ দেন। মাঞ্চুরিয়াতে জাপানি বাহিনী আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের সকল পথ বন্ধ করে দেন।

এই অবস্থায় চীনারা শহরের কাছে দক্ষিণ মাঞ্চুরিয়া রেলপথের ট্র্যাকের কিছু অংশ উড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে জাপান ১৯৩১ সালের ১৮-১৯ সেপ্টেম্বর মুকডেন (বর্তমান শেনিয়াং) দখল করে নেয়। চীনের জাতীয়তাবাদী শক্তির সামান্য প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়ে, জাপানিরা ১৯৩২ সালে মাঞ্চুরিয়াতে একটি পুতুল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। এর পর জাপান সমগ্র চীনের ওপর তাদের আধীপত্য বিস্তারে মনোযোগি হয়। ১৯৩৪ সালের টোকিও থেকে একটি ঘোষণাপত্রে বলা হয় চীনের কোনও শক্তি জাপানের সম্মতি ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারে না। এতে সমস্ত চীনকে কার্যকরভাবে জাপানের অধীনস্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

জাপানি সাম্রাজ্যের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ

জাপানি সাম্রাজ্যের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ

১৯৩৫ সালে জাপানিরা হেবেই এবং চাহার (বর্তমানে মঙ্গোলিয়ার একটি অংশ) থেকে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর জাপান বিরোধী সদস্যদের প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। এর ফলে এই অঞ্চলগুলি আংশিকভাবে জাপানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং সুইয়ুয়ান, শানসি (শানঝি), এবং শান্তুং (শানডং) প্রভূতি অঞ্চল হুমকির সম্মুখীন হয়। চীনের জাতীয়তাবাদী নেতা চিয়াং কাই-শেক প্রকাশ্য এর বিরোধিতা করেননি। ১৯৩৬ সালের ডিসেম্বরে চিয়াং কাই-শেক তার নিজের জেনারেলদের ক্ষমতাচূত্য হন এবং জাপানের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্ট কমিউনিস্টদের সাথে মিত্র হতে বাধ্য হয়েছিলেন।

এই অবস্থায় চীন-জাপানের মধ্যে শীঘ্রই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৩৭ সালের ৭ জুলাই পেইপিং (বেইজিং) থেকে সামাস্য দূরে অবস্থিত মার্কো পোলো ব্রিজে চীনা ও জাপানি সৈন্যদের মধ্যে একটি ছোটখাটো সংঘর্ষের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় চিন-জাপান যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। জাপানিরা অনুভব করেছিল যে, যেহেতু চিয়াং এবং জাতীয়তাবাদী সরকার জাপানের কাছে নতি স্বীকার করবে না তাই তাদের অবশ্যই নির্মূল করতে হবে। তাছাড়া জাপানের বিরুদ্ধে চীনের ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী জোয়ার জাপানকে বিক্ষুদ্ধ করে তুলেছিল।

১৯৩৭ সালের জুলাই নাগাদ কার্যত সমস্ত চীনা আঞ্চলিক সামরিক ও রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী সরকার ও চিয়াং কাই-শেককে সমর্থন করার জন্য সমাবেশ করেছিল। কমিউনিস্টরা, যারা ১৯৩৫ সাল থেকে জাপানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল, তারা তাদের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং তাদের সেনাবাহিনীকে নামমাত্র সরকারের অধীনে রেখেছিল।

ছবি: জেনারেলিসিমো চিয়াং কাই-শেক, 1942 থেকে 1945 পর্যন্ত চীন থিয়েটারে মিত্রবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ

তবে জাপানের সামরিক শক্তি চীনের তুলনায় এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তার সেনাবাহিনী প্রাথমিকভাবে দ্রুত সাফল্য অর্জন করেছিল। দুই বছরের মধ্যে জাপান চীনের বেশিরভাগ বন্দর, প্রধান শহর যেমন সুদূর পশ্চিমে হ্যানকো (হানকো) এবং রেলপথের বড় অংশ দখল করে নেয়। পেপিং এবং তিয়েনসিন (তিয়ানজিন) অঞ্চল ১৯৩৭ সালের জুলাই মাসে দখল করা হয়। প্রচণ্ড যুদ্ধের পর ১৯৩৭ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি চীনা সেনাবাহিনীকে সাংহাই এলাকা থেকে বিতাড়িত করে জাপান। চীনের জাতীয়তাবাদীদের রাজধানী নানকিং-এর (নানজিং) ১৯৩৭ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পতন ঘটে। সেই শহরে জাপানিরা যে হত্যাযজ্ঞ চালায় তা নানজিং গণহত্যা হিসাবে পরিচিত হয়। নানজিং শহরে প্রায় ৩০০,০০০ চীনা বেসামরিক নাগরিক এবং আত্মসমর্পণকারী সেনা নিহত হয়েছিল। তাছাড়া জাপানি কমান্ডার মাতসুই ইওয়ানের নির্দেশে হাজার হাজার নারীকে ধর্ষণ করা হয়।

রাজধানী পশ্চিমে হ্যানকোতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৩৮ সালের অক্টোবরে জাপানীরা সেই শহরটিকে দখল করে নেয়। একই মাসে চীনারা ক্যান্টন (গুয়াংজু) হারায়। জাপানিরা পেপিং থেকে উত্তর ও পশ্চিম দিকে রেললাইন ধরে শানসি এবং অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ায় নজর দেয়। তারা শান্টুং-এ আধিপত্য বিস্তার করে এবং ইয়াংজি উপত্যকার নীচের অংশে পেইপিং-হ্যাঙ্কো, তিয়েনসিন-পিউ-কাউ এবং লুং-হাই রেলপথ দখল করে। সমুদ্রে তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। আকাশ যুদ্ধে জাপানিরা সবসময় এগিয়ে ছিল। আগে থেকেই তারা চীনা বিমান বাহিনীকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছিল এবং চীনা শহরগুলিতে ইচ্ছামতো বোমাবর্ষণ করেছিল। এই অবস্থায় চীনে ব্যপক প্রাণহানি ঘটেছিল।

এসবের পরেও চীনারা শেষ পর্যন্ত হারেনি। যুদ্ধ জাপানের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দীর্ঘায়িত হয়েছিল। চিয়াং কাই-শেক তার রাজধানী সেচওয়ানে (সিচুয়ান) থেকে ইয়াংজি গর্জেসের পশ্চিম প্রান্তে চুংকিং-য়ে (চংকিং) স্থানান্তরিত করেন। চীনের বেশিরভাগ নেতৃত্ব সেচওয়ান এবং ইউনানে (ইউনান) থেকে সুদূর পশ্চিমে চলে যান। দখলহীন চীন দীর্ঘ প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়। অধিকৃত চীনে জাপান যে সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল সেই সরকারে অনেক চীনাকে অন্তর্ভূক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এমনকি চীনের অধিকৃত অঞ্চলে জাপানের নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র শহর এবং রেললাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

এর বাইরে সাধারন মানুষ চীনের জাতীয়তাবাদী সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। তাছাড়া এসব অঞ্চলে জাপান চীনের গেরিলা যোদ্ধাদের দ্বারা ব্যপকভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছিল। কমিউনিস্টরা জাপানকে প্রতিরোধ করার জন্য গেরিলা পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশেষভাবে সফল হয়েছিল। এই গেরিলা আক্রমন দ্রুত জাপান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর রাজনৈতিক-সামরিক অবস্থানকে ভেঙে দেয়। কমিউনিস্ট সৈন্য এবং সংগঠকরা জাপানি নিয়ন্ত্রণের পেছনে বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকায় চলে যায়। তারা গ্রামীণ আত্মরক্ষা ইউনিট সংগঠিত করে। স্থানীয় সরকার গঠন করে এবং তাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী, অষ্টম রুট আর্মি এবং নিম্ন ইয়াংজি উপত্যকায় নিউ ফোর্থ আর্মি প্রসারিত করে।

কিছু সময়ের জন্য জাপান ব্রিটিশদের বার্মা (মিয়ানমার) থেকে ইউনানের কুন-মিং পর্যন্ত রাস্তাটি বন্ধ করে রাখে। পরে বার্মা রোডটি আবার চালু হয় এবং যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রসদ সরবরাহকারী লাইন হয়ে উঠে। এই অবস্থার কিছুকাল পরে ৭ই ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে জাপান আমেরিকার পাল হারবার আক্রমণ করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। চীনও আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে। সমন্বিত চীনা বাহিনী বার্মা এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেয়। জাপানিরা তাদের সামরিক শক্তি ও অনুকূল ভৌগলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে দ্রুত পূর্ব এশিয়ার উপকূলে নিজেদের প্রভাবশালী করে তোলে।

অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী চীন শক্তিশালী জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে গুরুতর অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সন্মূখীন হয়। তাদের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষা উপকরণের ঘাটতি, অপুষ্টি, এবং সরকার কর্তৃক রেজিমেন্টেশনের প্রচেষ্টা সবই একটি খারাপ প্রভাব ফেলেছিল।

এই যুদ্ধাবস্থা চীন সরকারকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। প্রতিরোধের প্রথম বছরগুলিতে চীন যে শক্তিশালী জনসমর্থন লাভ করেছিল তা হ্রাস পেয়ে তলানীতে ঠেকে। সরকারকে মূল্যস্ফীতি, দুর্নীতি এবং অতিরিক্ত কর আরোপের জন্য দায়ী করা হয়। কমিউনিস্টরা জনবিরোধী হিসাবে পুনরায় আবির্ভূত হতে শুরু করলে তারা জনগনের ওপর দমন নীতি প্রয়োগ করে। এই অবস্থার মধ্যেও চীন চিয়াং কাই-শেকের নেতৃত্বে জাপানের সাথে আত্মসমর্পণ বা আলোচনায় বসতে অস্বীকার করে।

সাত বছরের যুদ্ধ এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে চীনের জাতীয়তাবাদী সরকার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে এই অবস্থায় মাও সেতুং-এর নেতৃত্বে কমিউনিস্টদের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৯৪৫ সাল থেকে চীন আমেরিকার সাহায্যে অবরুদ্ধ এলাকা মুক্ত করতে শুরু করে। এরসাথে সোভিয়েত ইউনিয়নও যোগ দেয়। ১৫ই অগাস্ট ১৯৪৫, আণবিক বোমা বিস্ফোরণের সাথে সাথে জাপানের যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। ৯ই সেপ্টেম্বর জাপান আত্মসমর্পণ করে।

 

 অনুবাদক: শাহাদাত হোসেন

Source: The Editors of Encyclopaedia Britannica

/এএস

Header Ad
Header Ad

রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

ছবি: সংগৃহীত

নিশ্বাস বন্ধ করে দেওয়া এক ফাইনাল, যেখানে নাটক, উত্তেজনা, এবং আবেগ সবই একসঙ্গে ঠাঁই পেয়েছে। কোপা দেল রে’র এবারের ফাইনালে বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদ উপহার দিয়েছে পাঁচ গোলের রোমাঞ্চ। আর শেষ হাসি হেসেছে কাতালানরা—১১৬তম মিনিটে জুলস কুন্দের দুর্দান্ত গোলে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালকে শিরোপা জিতে নেয় বার্সেলোনা।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ভোরে সেভিয়ার এস্তাদিও দে লা কার্তুইয়ায় অনুষ্ঠিত হয় এই ঐতিহাসিক ম্যাচ। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ম্যাচের ১২ মিনিটে দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটে বার্সাকে এগিয়ে দেন পেদ্রি। প্রথমার্ধে রিয়াল খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড়দের নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় আনচেলত্তির দল।

৭০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান। এরপর কর্নার থেকে চুয়ামেনির হেডে রিয়াল নেয় লিড। কিন্তু সেই আনন্দ টিকল না বেশি সময়। ৮৪ মিনিটে ইয়ামালের পাস থেকে ফেরান তোরেস গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। গোলরক্ষক কর্তোয়া ও রুডিগারের ভুলের সুযোগ কাজে লাগান তরেস।

৯০ মিনিট শেষে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে বার্সা আবার ফিরে পায় নিয়ন্ত্রণ। একাধিক সুযোগ তৈরি করে তারা। শেষ পর্যন্ত ১১৬ মিনিটে লুকা মদ্রিচের পাস কেটে নিয়ে দূর থেকে নিচু শটে গোল করে নায়ক হয়ে ওঠেন ডিফেন্ডার জুলস কুন্দে। বার্সার জার্সিতে এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল।

রিয়াল যদিও শেষ দিকে আবার পেনাল্টির দাবি তোলে, কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। উত্তেজনায় ফেটে পড়ে রিয়ালের বেঞ্চ, যার ফল হিসেবে দুই বদলি খেলোয়াড় রুডিগার ও লুকাস ভাজকেজ দেখেন লাল কার্ড।

এই জয়ে চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার দ্বিতীয় শিরোপা এল ঘরে। এর আগে স্প্যানিশ সুপার কাপেও তারা হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এটি বার্সার ৩২তম শিরোপা—যা সর্বোচ্চ।

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি