রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে আর্সেনাল

ছবি: সংগৃহীত
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দৃঢ়তা আর রিয়াল মাদ্রিদের ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস—দুটোই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলো আর্সেনালের সামনে। ইউরোপিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসরে ১৬ বছর পর সেমিফাইনালে জায়গা করে নিলো ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল।
দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে জায়গা করে নেয় মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। দুই লেগ মিলিয়ে অ্যাগ্রিগেট দাঁড়ায় ৫-১।
প্রথম লেগে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকা রিয়াল ম্যাচের শুরুতেই গোলের সুযোগ পেলেও অফসাইডের কারণে কিলিয়ান এমবাপের গোল বাতিল হয়ে যায়। এরপর আর্সেনাল শক্ত রক্ষণ গড়ে তোলে এবং রিয়ালের আক্রমণগুলো বারবার ব্যর্থ করে দেয়। ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল নাটকীয়তায় ভরা। দুটি পেনাল্টি সিদ্ধান্ত, একটির ব্যর্থতা এবং অপরটির ভিএআরের মাধ্যমে বাতিল—সব মিলিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ায়।

১৩তম মিনিটে পেনাল্টি পেলেও বুকায়ো সাকার পানেনকা শট ঠেকিয়ে দেন থিবো কর্তোয়া। এরপর রিয়াল পেনাল্টির সুযোগ পায় এমবাপের জার্সি টেনে ধরার ঘটনায়, তবে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় সাকার করা গোল। ৬৪ মিনিটে সেই গোল আর্সেনালকে এগিয়ে দেয় এবং দুই লেগে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-০। রিয়াল তখনও লড়াইয়ে ছিল, এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে তারা ব্যবধান কমায় ৪-১-এ।
তবে শেষ সময়ে রিয়াল যতই চেষ্টা করুক না কেন, আর্সেনালের রক্ষণ আর ভাঙেনি। উল্টো অতিরিক্ত সময়ে প্রতিআক্রমণে গিয়ে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি আরেকটি গোল করে রিয়ালের সব আশা শেষ করে দেন।
এই জয়ে ২০০৯ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল আর্সেনাল। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। অন্যদিকে রিয়ালের জন্য এটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২০২০ সালের পর প্রথম সেমিফাইনাল মিস করা।
