রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

টুইটারে পাকিস্তানিদের মুজিব বন্দনা, ক্ষমা প্রার্থনা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে চলছে ইমরান খান ট্রেন্ড। হ্যাশ ট্যাগ ইমরান খান। আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের ঘটনায় পুরো পাকিস্তানজুড়ে চলছে সহিংসতা আর টুইটারে বইছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) এর বিরুদ্ধে অনলাইন এক্টিভিটিস্টদের সমালোচনার ঝড়।

টুইটারের ট্রেন্ডিং ইস্যুগুলোর প্রথমেই উঠে এসেছে ইমরান খানের নাম। এখন পর্যন্ত টুইট করা হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার বার। এরই মাঝে যুক্ত হয়েছে পাকিস্তানিদের মুজিব বন্দনা। হ্যাশ ট্যাগ শেখ মুজিব বা হ্যাশ ট্যাগ মুজিব।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার যেন ভরে উঠেছে অনুশোচনার বার্তায়। পাকিস্তানি নেটিজেনরা ক্ষমা চাচ্ছেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে। পাকিস্তান সেনা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন শাহবাজ শরীফের সরকারকে ছি ছি করছেন নেটিজেনরা। তারা বলছেন 'এখন আমরা বুঝতে পারছি বাংলাদেশ কেন স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে আলাদা হয়ে গিয়েছিল, এখন আমরা বুঝতে পারছি, শেখ মুজিব ভুল ছিলেন না।

অনেকেই আবার বাংলাদেশিদের উদ্দেশে লিখেছেন 'তোমরা অনেক ভাগ্যবান, তোমাদের রক্ষা করার জন্য একজন শেখ মুজিব ছিলেন।'

করাচি থেকে জৈন গোপলানি লিখেছেন, 'আপনি কি মনে করেন তিনি ভিলেন ছিলেন? আপনি কি মনে করেন তিনি পাকিস্তান ভেঙে দিয়েছেন? এখন সময় এসেছে আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের বাঙালি ভাইয়েরা কখনো আমাদের (পাকিস্তানের জনগণকে) ঘৃণা করেনি, তারা কখনো পাকিস্তান মুর্দাবাদ স্লোগান দেয়নি। শেখ মুজিব গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা ছিলেন! তাহলে ভেবে দেখুন, ভিলেন কে ছিল?

তিনি আরও লিখেছেন, আপনি কি মনে করেন যে আমরা ১৯৭১ সালে যা হয়েছিল সেখানে ফিরে যাচ্ছি? আপনি কি মনে করেন শেখ মুজিবের সঙ্গে যা করা হয়েছিল ইমরান খানের সঙ্গেও তাই করা হচ্ছে? আপনি এখন কি পার্থক্য দেখতে পান?

তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে মিঞা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ লিখেছেন, 'শেখ মুজিব যে সঠিক ছিলেন তা বুঝতে এ জাতির ৫০ বছর লেগেছে। আজ আবার একাত্তরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।'

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাহির রিয়াজ লিখেছেন, 'আমরা আমাদের বাংলাদেশি ভাইদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করি। ১৯৭১ সালের ঘটনার সাথে বর্তমান পরিস্থিতির সংযোজন করা হৃদয়বিদারক। প্রথমে তারা পূর্ব পাকিস্তান হারিয়েছে, আর এখন তারা হারাল পাকিস্তানি জনগণকে।'

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পাকিস্তানের অন্যতম উন্মুক্ত গণমাধ্যম খালিজ ম্যাগ বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি প্রকাশ করেছে। সে ছবিটি রি টুইট করা হয়েছে ৬৭৫ বার। যার বিশাল অংশই বঙ্গবন্ধুর কাছে পাকিস্তানি নেটিজানদের ক্ষমা প্রার্থনা করে লেখা।

মেহের উদ্দিন আলি লিখেছেন, 'বাঙালিরা আজও বলে একাত্তরে আমাদের মা-বোনের সম্ভ্রম লুণ্ঠিত হয়েছিল, আমরা কখনো বিশ্বাস করিনি। আজ এসব দেখে, আমি নিশ্চিত যে উনিশ শতকে অনেক কিছু ঘটেছে......... দেখুন কিভাবে তারা টেনে নিয়ে যাচ্ছে।'

যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি থেকে ইমতিয়াজ খান লিখেছেন, 'তিনি (শেখ মুজিব) ছিলেন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের নায়ক। সত্তর এর দশকে পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে অপরাধ করেছিল তার জন্য বাংলাদেশিদের কাছে পাকিস্তানিদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুর্দাবাদ। পাকিস্তান জিন্দাবাদ বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।'

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে সিয়াম বাট লিখেছেন, 'সারাজীবন আমাদের পাকিস্তানিদের বলা হয়েছে বাঙালিরা দেশদ্রোহী, এখন আমরা জানি আসল দেশদ্রোহী কারা, দুঃখিত বাংলাদেশি ভাই আমরা আপনাদের প্রতি ভুল করেছি।'

করাচি থেকে সোহাইল লিখেছেন, পুরো পাকিস্তান যদি সেই সময় আমাদের বাংলাদেশি ভাইদের পাশে দাঁড়াতেন, তাহলে আজ আমরা ভিন্ন পাকিস্তানের সাক্ষী থাকতাম। শেখ মুজিবুর রহমান, সমগ্র জাতি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।'

যুক্তরাষ্ট্র থেকে রিজ লিখেছেন, 'আমরা দুঃখিত স্যার! এখন আমরা বুঝতে পারছি যে আপনি এবং বাঙালিরা তখন কিসের মদ্য দিয়ে গেছেন।'

সিন নামে এক নেটিজেন লিখেছেন, 'ইদানীং আমার উপলব্দি হয়, আমাদের কতটা মগজ ধোলাই করা হয়েছে যে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও মনে হয়েছে বাঙালিরা আমাদের শত্রু। সত্যি বলছি, এখন যেখানেই একজন বাঙালির সঙ্গে দেখা হবে, আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাইব! আমি সত্যিই এটা করব।'

/এএস

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা