রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বৈষম্য বিরোধী আইনের ত্রুটি দূর হোক

একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়ন আমাদের দীর্ঘকালের দাবি। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন, মানবাধিকার কর্মী–সবারই দাবি ছিল এরকম একটি বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়নের। মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বে থাকার সময় আমরা বাংলাদেশ লিগ্যাল সার্ভিসেস ট্রাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নাগরিক উদ্যোগ, আদিবাসী ফোরাম, আইন কমিশনের মতো সংস্থার সঙ্গে মিলে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করে একটি খসড়া করেছিলাম। সবকিছু বিচার বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে আইন কমিশন থেকে সেটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হয়েছিল এবং জাস্টিস এবিএম খায়রুল হক নিজের হাতে আইনটিকে চূড়ান্ত রূপ দিয়েছিলেন।

২০১৪ সালের দিকে আমরা খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিলাম। আমরা তখন থেকেই চেয়েছিলাম যে, একটি আইন হোক এবং সেটি জাতীয় সংসদে নিয়ে যাওয়া হোক। দীর্ঘকাল যাবৎ আইনটি ফেলে রাখা হয়েছিল। সন্দেহ দেখা দিয়েছিল, আদৌ আইনটি আলোর মুখ দেখবে কি না। আবার তারা নতুন করে কাজটি শুরু করেছে। যেহেতু আইনটি উত্থাপিত হয়েছে সংসদে, আমরা অবশ্যই পুলকিত, আনন্দিত। সাধুবাদ জানাই। তবে একই সঙ্গে আমাদের একটি উৎকণ্ঠা আছে। যে খসড়াটি আমরা করেছিলাম, সেখানে একটি জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছিল–যে কোনো ধরনের বৈষম্যকে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। তবে যে খসড়াটি এখন উত্থাপিত হয়েছে, সেখানে কিন্তু ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে রাখা হয়নি।

আমরা চেয়েছিলাম–আমি যদি বৈষম্যের শিকার হই, একজন নাগরিক হিসেবে এর প্রতিকার পাওয়া আমার মৌলিক অধিকার। আমি যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, এতে আমার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। সুতরাং আমি আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারব এবং আমি মামলা করতে পারব। বর্তমান খসড়ায় একজন ভুক্তভোগী সরাসরি আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। মাঝখানে আমলাতান্ত্রিক একটা কূটকৌশল রেখে দেওয়া হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে বৈষম্য দেখভাল কমিটি। আমি যখন বৈষম্যের শিকার, তখন আমার কতটুকু ব্যথা সেটি আমার থেকে বেশি কী করে বুঝবেন ওই কমিটির লোকজন।

অথচ আইনে বলা আছে, বৈষম্যের শিকার হলে আমি তার কাছে যাব, তাকে বলব–আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে, আমি আইনের আশ্রয় চাই। আমার কতটুকু ব্যথা সেটি আমার চেয়ে বেশি বুঝতে হবে ওই আমলাকে। এখন কমিটি যদি মনে করে, বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তখন তাদের উপস্থিতিতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর অর্থ হলো–আইনে থাকছে দীর্ঘসুত্রিতা। সেই সঙ্গে হয়রানির একটি সুযোগ রেখে দেওয়া হয়েছে। এগুলো একটি অধিকারকে সুরক্ষিত না করার কূটকৌশল।

এত বছর পর যে আইনটিকে আনা হলো, সেটিকে আমরা আরও ভালো অবস্থায় দেখতে চেয়েছিলাম। এমন বেশকিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, সেগুলো আইনটিকে একদমই অকার্যকর করে দিতে পারে। আমরা আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সরকার যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে, ত্রুটিমুক্ত করে, সংশোধন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা আগে যেভাবে অপেক্ষাকৃত ভালো আইন করেছিলাম, আমরা যেভাবে এগিয়ে গিয়েছিলাম, যেখানে সাবেক প্রধান বিচারপতি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন, সেরকম একটি পরিশীলিত আইন প্রণয়ন করতে পারি।

আমি আশা করব, সত্যিকার অর্থেই বৈষম্যমূলক আচরণ দূর হয়ে সবাই সমভাবে নাগরিক অধিকার ভোগ করবে। রাষ্ট্রের ইচ্ছা এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকার যদি থাকে, তাহলে আইনটি ফলপ্রসূ হবে বলে বিশ্বাস করি। একই সঙ্গে নাগরিক সমাজ, শিক্ষক, মিডিয়া, বিভিন্ন ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের সবারই দায়িত্ব আছে। সামাজিক বৈষম্য আমাদের অনেকদিনের সমস্যা। জাতি, ধর্ম, গোত্র, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে বৈষম্য ছিল এবং আছে। কাজেই গণমানুষের সরকার, স্বাধীনতার সপক্ষের সরকার, সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষার্থে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করবে–এটিই প্রত্যাশা।

লেখক: সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এসএ/

Header Ad
Header Ad

রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

ছবি: সংগৃহীত

নিশ্বাস বন্ধ করে দেওয়া এক ফাইনাল, যেখানে নাটক, উত্তেজনা, এবং আবেগ সবই একসঙ্গে ঠাঁই পেয়েছে। কোপা দেল রে’র এবারের ফাইনালে বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদ উপহার দিয়েছে পাঁচ গোলের রোমাঞ্চ। আর শেষ হাসি হেসেছে কাতালানরা—১১৬তম মিনিটে জুলস কুন্দের দুর্দান্ত গোলে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালকে শিরোপা জিতে নেয় বার্সেলোনা।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ভোরে সেভিয়ার এস্তাদিও দে লা কার্তুইয়ায় অনুষ্ঠিত হয় এই ঐতিহাসিক ম্যাচ। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ম্যাচের ১২ মিনিটে দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটে বার্সাকে এগিয়ে দেন পেদ্রি। প্রথমার্ধে রিয়াল খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড়দের নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় আনচেলত্তির দল।

৭০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান। এরপর কর্নার থেকে চুয়ামেনির হেডে রিয়াল নেয় লিড। কিন্তু সেই আনন্দ টিকল না বেশি সময়। ৮৪ মিনিটে ইয়ামালের পাস থেকে ফেরান তোরেস গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। গোলরক্ষক কর্তোয়া ও রুডিগারের ভুলের সুযোগ কাজে লাগান তরেস।

৯০ মিনিট শেষে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে বার্সা আবার ফিরে পায় নিয়ন্ত্রণ। একাধিক সুযোগ তৈরি করে তারা। শেষ পর্যন্ত ১১৬ মিনিটে লুকা মদ্রিচের পাস কেটে নিয়ে দূর থেকে নিচু শটে গোল করে নায়ক হয়ে ওঠেন ডিফেন্ডার জুলস কুন্দে। বার্সার জার্সিতে এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল।

রিয়াল যদিও শেষ দিকে আবার পেনাল্টির দাবি তোলে, কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। উত্তেজনায় ফেটে পড়ে রিয়ালের বেঞ্চ, যার ফল হিসেবে দুই বদলি খেলোয়াড় রুডিগার ও লুকাস ভাজকেজ দেখেন লাল কার্ড।

এই জয়ে চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার দ্বিতীয় শিরোপা এল ঘরে। এর আগে স্প্যানিশ সুপার কাপেও তারা হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এটি বার্সার ৩২তম শিরোপা—যা সর্বোচ্চ।

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি