রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দুদকে এখনো বহাল ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেষণে আসা অর্ধশত কর্মকর্তা  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একের পর এক ব্যক্তি স্বার্থে নিয়োগ পাচ্ছেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডাররা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের (স্বার্থ রক্ষায়) প্রেষণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা থেকে আসা অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। তাদের মধ্যে আলোচিত একটি দুর্নীতির মামলায় আসামি হয়েও উপসচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা পরিচালক পদে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়েছেন। একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আমলে প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের বহাল রাখা এবং একটি নির্দিষ্ট ক্যাডার থেকে ধারাবাহিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হলে দুদক ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে যাবে। পাশাপাশি, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশ বাস্তবায়ন করাও অসম্ভব হয়ে পড়বে।

দুদকের বিধিতে বলা আছে, প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনধিক ৩ বছর থাকতে পারবেন। ৩ বছরের অধিক হলে তারা নিজ সংস্থায় ফেরত যেতে বাধ্য। অথচ অনেক কর্মকর্তা প্রেষণে যোগদানের পর পদোন্নতি পান। আবার বছরের পর বছর দুদকের শীর্ষ পদগুলোয় বহালও থাকেন। এমনকি তাদের কেউ কেউ আট বছর ধরে দুদকে কর্মরত আছেন-এমন নজিরও আছে, যা দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি নং ০৮(২) (ক)-এর সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।

জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুদক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আগে এ ধরনের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে স্থগিত রাখা উচিত। সুপারিশ বাস্তবায়নের আগে এ ধরনের প্রেষণে প্রেরণ করা শুরু হলে তা দুদকের জন্য বিব্রতকর হবে। তাহলে ধরে নিতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে এমন কিছু মহল আছে, যারা চাচ্ছে সংস্কারের আগে দুদককে আরও অকার্যকর করে ফেলা, যাতে পরবর্তীকালে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা না যায়। এটিকে ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করতে হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো দুর্নীতি মামলার আসামিকে মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে পাঠাতে চাইলেও কমিশনের উচিত হবে তাকে প্রত্যাখ্যান করা। সে ক্ষমতাও কমিশনের আছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সরকারি অফিসে থাকা পতিত সরকারের দোসর হিসাবে চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত, অনেককে ওএসডি করা হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেষণে আসা ‘ভাড়াটে’ কর্মকর্তাদের বেশির ভাগ এখনো বহাল তবিয়তে। এসব কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে পতিত সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আমলাদের দুর্নীতির অভিযোগের ফাইল বছরের পর বছর চাপা দিয়ে রেখেছেন। আবার অনেকের দুর্নীতির অভিযোগের ফাইল যাচাই-বাছাই পর্যায়েই বাতিল করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর নতুন কমিশন দায়িত্ব নিলেও পতিত সরকারের আমলে প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের সরানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার দুদককে স্বাধীন কার্যকর সংস্থা হিসাবে গড়ে তুলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বললেও বাস্তবে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। রহস্যজনকভাবে আগের মতোই দুদকের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ পদগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই। ৬ জানুয়ারি মহাপরিচালক (প্রশাসন) পদে আবু হেনা মোর্শেদ জামান, ১১ জানুয়ারি ঈশিতা রনিকে পরিচালক পদে (জাবাক সদস্য), একেএম সাইফুল আলমকে চেয়ারম্যানের পিএস, ৫ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ ইকবাল বাহারকে পরিচালক (প্রসিকিউশন) হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সবশেষ গত রোববার মো. আমিন আল পারভেজ ও মো. কামরুজ্জামানকে প্রেষণে দুদকে বদলি করা হয়। তারা সবাই প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

দুদক থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, দুদকের পরিচালক আব্দুল মাজেদ (জনসংযোগ), মো. আব্দুল আওয়াল ও উত্তম কুমার মণ্ডল তিন বছরের জন্য প্রেষণে দুদকে এসে সাত বছরের বেশি সময় কর্মরত আছেন। পরিচালক ফজলুল জাহেদ পাভেল আছেন ছয় বছর। উপপরিচালক সাবরিনা নার্গিস আট বছর, উপপরিচালক একেএম মাহবুবুর রহমান আছেন সাত বছর। প্রশাসন, পুলিশ ও জুডিশিয়ারি থেকে তিন বছরের জন্য তারা প্রেষণে বদলি হয়ে দুদকে আসেন।

প্রসঙ্গত, দুদক সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে ৩৬ নম্বর সুপারিশে বলা হয়েছে-মহাপরিচালক, পরিচালক ও উপপরিচালক প্রতিটি স্তরে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পদের নিয়োগ প্রেষণে বদলির মাধ্যমে হতে পারে। তবে তদন্ত, প্রসিকিউশন বা বিচারের স্বার্থে বিচারকর্ম বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারা এই হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। এই সুপারিশ বাস্তবায়নের আগেই একের পর এক প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রেষণে দুদকে পাঠানো হচ্ছে।

জানতে চাইলে দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (আইন ও প্রসিকিউশন) মইদুল ইসলাম বলেন, ‘পট পরিবর্তন হলেও দুদকে কার্যত তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মরতরা চাকরিজীবনে মামলা তদন্তের অভিজ্ঞতা অর্জন না করলেও তারা প্রেষণে দুদকে বছরের পর বছর চাকরি করছেন। বিধি অনুযায়ী প্রেষণ তিন বছরের জন্য হলেও নিয়ম ও বিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনেকেই ৭/৮ বছরও থাকছেন। এক্ষেত্রে দুদক তাদের সরিয়ে নিতে বলছে না। আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও তাদের বদলি করছে না। এমনও হতে পারে-যারা আছেন, তারা তদবির করেই আছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় যাদের দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তারা তা দেখছে না। প্রেষণের মেয়াদ তিন বছরের আইন করাই হয়েছে যাতে এখানে কোনো গোষ্ঠী গড়ে উঠতে না পারে।’ প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন দুদকে আসতে এত আগ্রহী কেন-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের লোকজন ব্যাপকভাবে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তাদের রক্ষার জন্যই প্রশাসনের লোকজন ধারাবাহিকভাবে দুদকে প্রেষণে পাঠানো হয়। এমনকি যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাকেও দুদকে প্রেষণে পাঠানোর নজির সৃষ্টি করা হয়েছে। এভাবে চললে দুর্নীতি দমনের যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা কখনো হবে না।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য-দুদক আইনের ৩ (২) ধারায় বলা আছে, ‘এই কমিশন একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন হইবে।’ অথচ ওই আইন ও বিধি ভঙ্গ করে প্রশাসন ক্যাডারের এতসংখ্যক কর্মকর্তা প্রেষণে কাজ করলে দুদক নামের প্রতিষ্ঠানটির স্বাতন্ত্র্য থাকে না।

জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে পিবিআই ভবন নির্মাণ প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির মামলার (এলএ কেস) আসামি হন আমিন আল পারভেজ। মামলাটির তদন্ত হয় দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা)-২-এ। সংস্থার একজন উপসহকারী পরিচালক মামলাটির (নং-১, তারিখ : ১০.০৩/২০২০ইং ও স্পেশাল মামলা নং ০৬/২০২০ইং) তদন্ত করেন। তদন্তে পিবিআই কার্যালয় নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পের ২২ কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০২০ সালে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রায় পাঁচ বছর চলে গেলেও কোনো ধরনের ‘কোয়ারিজ’ ছাড়া চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ সংক্রান্ত ফাইলটি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এতকিছুর পরও পারভেজকে দুদকের পরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অর্থ আত্মসাৎ ও জালজালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় যেখানে অন্যান্য আসামির সঙ্গে আমিন আল পারভেজ এখন কারাগারে থাকার কথা, সেখানে তাকে করা হয়েছে দুদকের পরিচালক। নিজ ও সহকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা আলোচিত এই মামলাটি ‘গায়েব’ করতে পারভেজ কৌশলে দুদকের পরিচালক পদে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়েছেন।

জানতে চাইলে মো. আমিন আল পারভেজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো মামলা নেই। কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি হয়েছিল। আমি ওই কমিটির একজন সদস্য ছিলাম। কমিটি নিরপেক্ষভাবে কাজ করেনি মর্মে অভিযোগ এনে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে আমাকে আসামি করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কী, আমার অপরাধ কী, সে বিষয়ে দুদক কর্মকর্তা আমার কাছে কখনো কিছু জানতে চাননি। কোনো নোটিশও করেননি। আসামি করতে হলে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটা প্রমাণ তো তদন্ত কর্মকর্তাকে দিতে হবে। আবার ওই প্রতিবেদন দুদক গ্রহণও করেনি। তাহলে আমাকে দুর্নীতি মামলার আসামি বলা কতটা সমীচীন।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা