সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

৭০ সচিবসহ ১০৬ জনের অফিসার্স ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত

অফিসার্স ক্লাব ঢাকা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সংগঠন ‘অফিসার্স ক্লাব’ বর্তমান কমিটির পক্ষ থেকে ১০৬ জন সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবসহ ৭০ জন সচিব রয়েছেন।

এছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, সাবেক সংসদ সদস্য এবং পুলিশের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা অফিসার্স ক্লাবকে রাজনৈতিক আখড়ায় পরিণত করেছেন।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সাধারণ সভায় এই সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সদস্যপদ স্থগিত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "কোনো কারণ ছাড়া আমাদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। তবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ বা কারণ জানায়নি।"

তিনি আরো বলেন, "আমি তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু আমার সঙ্গে এমন অযাচিত আচরণ করা হচ্ছে, যা আমি মেনে নিতে পারি না।"

অফিসার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক এবিএম আব্দুস সাত্তারকে ফোন করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

সদস্যপদ স্থগিতের তালিকায় রয়েছেন যারা- সদ্য সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সাবেক মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার, সাবেক সচিব ইকবাল মাহমুদ, সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার, সাবেক সচিব নাসিমা বেগম, সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, সাবেক সচিব ও এমপি ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক সচিব ও দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, মমিনুন্নেছা মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহের অধ্যক্ষ কাজী কাইয়ুম শিশির, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, ডিএমপির সাবেক কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, সাবেক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রাহমাতুল মুনিম, সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

সাবেক সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, সাবেক সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, সাবেক সচিব আবদুল মান্নান, সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, সাবেক সচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার, সাবেক সচিব ওয়াহিদা আক্তার, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সচিব মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী, সাবেক সচিব মো. মহিবুল হক, সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সচিব এম এ এন সিদ্দিক, সাবেক সচিব শাহজাহান আলী মোল্লা, সাবেক সচিব ইকবাল খান চৌধুরী, সাবেক সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনছার আলী খান, সাবেক সচিব বরুণ দেব মিত্র, সাবেক সচিব মরতুজা আহমদ, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, সাবেক সচিব সুরাইয়া বেগম, সাবেক সচিব ড. এম. আসলাম আলম, সাবেক সচিব মো. নিয়াজ উদ্দিন মিঞা, সাবেক সচিব চৌধুরী বাবুল হাসান, সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, সাবেক সচিব আবদুল মালেক, সাবেক সচিব জিল্লার রহমান, সাবেক সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান, সাবেক সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সাবেক সচিব পবন চৌধুরী, সাবেক সচিব অপরূপ চৌধুরী, সাবেক সচিব শামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী, সাবেক সচিব আখতারী মমতাজ, সাবেক সচিব শাহ কামাল।

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়, সাবেক সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন, সাবেক সচিব ও উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক সচিব ও উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব এ. এস. এম. মামুনুর রহমান খলিলী, নাটোরের সাবেক ডিসি আবু নাছের ভূঞা, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমদ, সিএমপির সাবেক কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, সাবেক ডিআইজি বিনয় কৃষ্ণ বালা, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান, সাবেক ডিসি মো. মোখলেছুর রহমান, সাবেক সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, সাবেক সচিব জাফর আহমদ খান, সাবেক মো. আখতার হোসেন, সাবেক সচিব খান মো. বেলায়েত হোসেন, সাবেক সচিব ও এমপি সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সচিব মো. আবুল মনসুর, সাবেক আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব কে. এম. আলী আজম, সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, সাবেক সচিব নাছিমা বেগম, সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব খান।

সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার, ডিবি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, উপ কর কমিশনার মহিদুল ইসলাম, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মেহনাজ মোশারফ, সহকারী কর কমিশনার লিংকন রায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোবাশ্বেরা হাবিব খান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার গাইনি ডা. লায়লা খায়রুন নাহার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি ইফতেখারুল আমিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (মেডিসিন) ডা. যোবায়ের আনম চৌধুরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. ওয়ালিদ বিন কাশেম, সহকারী পুলিশ কমিশনার সচিব মো. শিবলী নোমান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাবিলা তাবাসসুম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ এনাম রেজা, সহকারী এ্যরোডম কর্মকর্তা মাহমুদুল হক সৈকত, সাবেক এপিডি মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম, সাবেক জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসূফ হারুন এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ হোসেন সেরনিয়াবাত।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে অবস্থান করে নানা ধরনের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দিচ্ছেন।

সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তবে মোদি জানিয়েছেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না। কারণ দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উন্মুক্ত, এটা ব্যবহার করে কেউ বক্তব্য দিলে তিনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৭ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

‘টক টু আল-জাজিরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, আওয়ামী লীগ সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ আসে।

আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার বলেন, শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?

এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

এ সময় আল-জাজিরার সাংবাদিক জানতে চান, তখন মোদি কী বলেছিলেন। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিক মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কি না। তারা এখনো কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সেটা নয়। অন্যান্য দল আছে যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আল-জাজিরার উপস্থাপক এক পর্যায়ে প্রশ্ন করেন- এটা কি বলা ঠিক যে শেখ হাসিনার পতনের পরের মধুচন্দ্রিমা এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অন্যরা রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। যেমন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারে?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুটি বিষয়, একটি জনগণের অধৈর্য নিয়ে, তা মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনো মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেতে দাও। আজ আমাদের নির্বাচন। কেউ তা বলেনি। এই দিকেই আমরা যাচ্ছি। আমরা এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি যেখানে লোকেরা বলছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের হস্তান্তর করো।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা, জাতিসংঘের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি এবং এই লোকেরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যও কাজ করছি। আমাদের চিন্তা হলো, কীভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া তৈরি করা যায়, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে এবং নিরাপদ পুনর্বাসন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা