সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন শাজাহান খান

শাজাহান খান। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলের নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়ম সামনে আসতে শুরু করে। জানা গেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুসারে শাজাহান খান ছিলেন ঋণগ্রস্ত। ৪২ লাখ টাকার বেশি ঋণ ছিল তাঁর। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দ্রুত দিন বদলে যায় তার। সাবেক এই মন্ত্রীর এমন আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পেছনে রয়েছে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। আওয়ামী শাসনামলে করা তার বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশের একটি গণমাধ্যম।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৬ বছরে শাজাহান খান কী পরিমাণ চাঁদাবাজি করেছেন এবং সেই অর্থ কোথায় কীভাবে ব্যয় হয়েছে—এসব তথ্য গণমাধ্যমটির কাছে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট শ্রমিক নেতা ও ব্যক্তি এবং পরিবহন খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শাজাহান খান। ছবি: সংগৃহীত

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি নিবন্ধিত যানবাহন থেকে ৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করত শ্রমিক ফেডারেশন। প্রতিবছর দিনের ও যানবাহনের সংখ্যায় কমবেশি থাকায় প্রতি দুই বছর করে হিসাব করা হয়েছে। সেখানে দুই বছরের মোট দিনের সঙ্গে নিবন্ধিত যানবাহন বিবেচনায় নিয়ে চাঁদার পরিমাণ বের করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে বাণিজ্যিক যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯১ হাজার ২৪৭। ২০০৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব গাড়ি থেকে মোট এক হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

অন্যদিকে ২০১১ ও ২০১২ সালের পুরো সময়ে মোট ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৭০৬টি গাড়ি থেকে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা এবং ২০১৩ ও ২০১৪ সালের পুরো সময়ে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬৭টি গাড়ি থেকে ২ হাজার ৮০ কোটি টাকা আদায় করা হয়।

২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৭৩০ দিনে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৬১টি গাড়ি থেকে ৫০ টাকা করে ২ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৭৩০ দিনে সাত লাখ ৯৩ হাজার ৩১০টি গাড়ি থেকে দুই হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৩০ দিনে ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৭টি গাড়ি থেকে চাঁদা তোলা হয় ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত মোট চাঁদা আদায় করা হয় ৬ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে নিবন্ধিত যানবাহনের মাধ্যমে প্রায় ১৯ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

এ ছাড়া অনিবন্ধিত অটোরিকশা, অটোটেম্পো রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ, ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক ৬ লাখ, নছিমন-করিমন-আলমসাধু ও ভটভটি ৩ লাখ। ফলে দেশে অনিবন্ধিত যান রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ। এসব যানবাহন থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত ২৪৯টি ইউনিয়ন বেআইনিভাবে নিয়মিত হারে চাঁদা আদায় করে।

এসব চাঁদার এক-পঞ্চমাংশ কল্যাণ তহবিলের নামে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা দিতে হয়। গত ১৫ বছরের বেশি সময়ে এই খাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদা হিসেবে শ্রমিক ফেডারেশনে জমা হয়েছে, কিন্তু এসব টাকার সর্বজনীন সুফল শ্রমিকরা পাননি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকলেছুর রহমান ছিলেন শাজাহান খানের ঘনিষ্ঠ সহচর। শাজাহান খানের প্রভাব খাটিয়ে তারা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন বেআইনি কাজ করাতেন। এর মধ্যে অন্যতম মিশুক যানের প্রতিস্থাপন।

২০১২ সালে তৎকালীন সরকারের সময় যেসব মিশুকের আয়ুষ্কাল ৯ বছর উত্তীর্ণ হয়, সেখান থেকে প্রকৃত মালিকদের মধ্যে দুই হাজার ৬৯৬টি মিশুক প্রতিস্থাপন করা হবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু প্রকৃত মালিকদের বাদ দিয়ে অন্যদের এই সুবিধা দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন দুজন। দুজনই অঢেল সম্পত্তির মালিক।

এর মধ্যে ওসমান আলীর রয়েছে রাজধানীতে দুটি ফ্ল্যাট, গাজীপুরে স্ত্রীর নামে মার্কেট, পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে ২০টির বেশি বাস, সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন রয়েছে। এই সিএনজি স্টেশনটি আবার সলিড ব্যাটারির বাংলাদেশের একমাত্র পরিবেশক। শেরপুরে রয়েছে ২০০ বিঘার ওপর বাগানবাড়ি।

জানতে চাইলে শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, শাজাহান খান শ্রমিক কল্যাণের নামে নিজের কল্যাণ করেছেন। নিজের সম্পদের পাহাড় গড়তেই ব্যস্ত ছিলেন। আর আশপাশের লোকজনের অঢেল সম্পত্তি তৈরিতে সহায়তা করেছেন। মন্ত্রী হয়েও শ্রমিকদের কল্যাণে তিনি কোনো ভূমিকা রাখেননি।

জানা গেছে, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী শাজাহান খানের নিজ নামে স্থাবর সম্পদ ছিল মাত্র তিনটি স্থানে। গ্রামের বাড়িতে যৌথ মালিকানায় স্থাবর সম্পত্তি ছিল। ২০২৪ সালে শাজাহান খানের নিজ নামে স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে কমপক্ষে ১৫টি স্থানে। এ ছাড়া যৌথ মালিকানায় রয়েছে ছয়টি স্থানে। স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পদ রয়েছে ১৩টি স্থানে। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর তার সম্পদ শতগুণ বেড়েছে। শাজাহান খান মূলত সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল ব্যাবসায়িক গ্রুপের মাধ্যমে বেশির ভাগ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সার্বিক পরিবহনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে দুই শতাধিক গাড়ি। এর বাইরে নির্মাণ ও আবাসন, ফিলিং স্টেশন, কৃষি ও খাদ্য খাত, হোটেল, হাসপাতাল, প্রেস, ইটভাটা, জ্বালানি তেলের ব্যবসা এবং শিপিং ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

পরিবহন খাতে অন্যায়ভাবে চাঁদাবাজিকে বৈধতা দেন শাজাহান খান। বছরের পর বছর শ্রমিক ফেডারেশনের নির্বাহী সভাপতির পদে থেকে কাজ করেছেন স্বৈরাচার সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর সর্দার হিসেবে। ২০১৩ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসার বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দিয়ে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় কিশোর আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় শাজাহান খান জেলহাজতে থাকায় শাজাহান খানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক তথ্য বলছে, গত ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তার বেশির ভাগই তারা বিদেশে পাচার করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ৭০ জনের বেশি মন্ত্রী-এমপি, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত। এই তালিকায় শ্রমিক নেতা হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা তথ্য বলছে, শেখ হাসিনা সরকারের দেড় দশকের শাসনামলের মধ্যে ১৪ বছরে শুধু সড়ক ও মহাসড়ক প্রকল্পের নির্মাণকাজে ২৯ হাজার থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির ব্যাপকতা ও গভীরতা অনেক বেশি। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে দলীয় রাজনীতির কাছে এই খাতটি জিম্মি। চাঁদাবাজির বাণিজ্যের মাধ্যমে গুটিকয়েক মানুষ সম্পদশালী হচ্ছে, কিন্তু প্রকৃত মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। এটি নির্মূল করতে হলে এর পেছনের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও প্রভাবশালী শক্তিগুলোকে নির্মূল করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা