রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর এপিএস বাশারের সম্পদের পাহাড়

সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আ ন ম আহমাদুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পাড়ি জমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে থলের বিড়াল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তার অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং আমলাই আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতোই রাতারাতি বনে গিয়েছেন বিপুল সম্পদের মালিক। এমনই একজন হচ্ছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আ ন ম আহমাদুল বাশার।

গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রীর এপিএস হয়েই মাত্র পাঁচ থেকে ছয় বছরেই বাশার হয়ে গেছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। দিনাজপুর জেলা ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর প্রভাবে নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, দলীয় পদ দেওয়ার নামে কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। এসব টাকা পাচারে নিজেই নিয়েছেন এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার মালিকানা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আ ন ম আহমাদুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নাম পরিচয় কাজে লাগিয়ে যে শুধু নিজের স্বার্থ হাসিল করেছেন ব্যাপারটি এমন নয়। শতকোটি টাকার মালিক বানিয়েছেন নিজের মোটরসাইকেল চালককেও! একসময় মাদক কারবার ও নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হলেও খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর প্রভাবে সীমাহীন দুর্নীতি চালিয়ে গেছেন এপিএস বাশার।

এপিএস হওয়ার আগের সময়টা খুব একটা ভালো ছিল না বাশারের। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের টেনা এলাকার দরিদ্র কৃষক তাইজুল ইসলামের তিন ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় তিনি। স্থানীয়রা জানান, একসময় বাশারের পরিবারের সম্পদ ছিল তিন থেকে চার বিঘা জমি। সেই জমিতে কোনো রকম আবাদ করে কষ্টে দিন কাটত এ পরিবারের। ছেলেদের পড়াশোনার খরচ চালাতে একসময় জমি বন্ধকও রেখেছিলেন কৃষক তাইজুল। তবে বাশারের অবৈধ টাকার কেরামতিতে সেই পরিবার এখন ফুলেফেঁপে কলাগাছ।

স্থানীয় মুদি দোকানদার রহমান আলীর ভাষ্যে, কেউ আলাদীনের চেরাগ পেলেও হয়তো এত দ্রুত কোটি কোটি টাকা, জায়গা-জমি, পুকুর, বাড়ি-গাড়ির মালিক হতে পারে না, যতটা এপিএস বাশার মাত্র ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে করেছেন।

জানা গেছে, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সংসদীয় আসন বোচাগঞ্জের বাসিন্দা। এই সুবাদে তার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন বাশার। এক পর্যায়ে এলাকার পাশাপাশি ঢাকার রাজনীতিতেও বেশ প্রভাব খাটানো শুরু করেন তিনি। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় ২০১১ সালে খালিদ মাহমুদের সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হন বাশার। তবে সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু করেন নিয়োগ-বাণিজ্য। শিক্ষক নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের টেন্ডার নেওয়া থেকে শুরু করে শেরেবাংলা নগর এলাকায় মাদকের রমরমা কারবার শুরু করেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে কলেজ গেট এলাকায় একটি বাসায় গড়ে তৈরি করেছিলেন নিজস্ব টর্চার সেল। ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের এবং টেন্ডার ও মাদক কারবারে কেউ বাধা দিলে সাঙ্গোপাঙ্গদের দিয়ে তাদের তুলে নিয়ে সেই টর্চার সেলে নির্যাতন করতেন। এসব অপকর্মের কারণে কমিটির এক বছরের মাথায় সভাপতির পদ ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হন।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, বাশারের অত্যাচারে ক্যাম্পাসে টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তো বটেই, ছাত্রলীগের যারা রাজনীতি করত, তাদেরও নির্যাতন করত বাশার। তার কথার বাইরে কোনো নিয়োগ হতো না। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকের কারখানা বানিয়ে ফেলেছিলেন।

আ ন ম আহমাদুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

তবে এত কিছুর পরও খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ হতো বাশারের মাধ্যমেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পরপরই ২০১৩ সালে তৎকালীন দিনাজপুর-২ আসনের এমপি খালিদ মাহমুদ তাকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদের অধীনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে খালিদ মাহমুদ দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাশারকে। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং প্রতিমন্ত্রীর ক্ষমতার কারণে বাশার হয়ে ওঠেন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। রাজধানীসহ দিনাজপুর জেলায় শুরু হয় বাশারের তাণ্ডব।

বিআইডব্লিউটিএ ভবনে খালিদের চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান ছিলেন বাশার: জানা যায়, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মন্ত্রী হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) প্রধান কার্যালয় দখলে নেন এপিএস বাশার। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন বিকেল ৪টার পর তার নিজস্ব ঠিকাদার ও ব্যক্তিগত ক্যাডার বাহিনী নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে প্রবেশ করে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের কক্ষে গিয়ে তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতেন তিনি। অপছন্দের ঠিকাদারকে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে প্রবেশ করতে দিতেন না। কেউ গেলেই ক্যাডার বাহিনী নিয়ে হামলা করতেন তিনি।

বিআইডব্লিউটিএ ভবনের কয়েকজন তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০ লাখ টাকার ওপরে যে কোনো কাজে এপিএস বাশারকে কাজের বিপরীতে কমিশন না দিলে কাজ পাওয়া যায় না। ওই ভবনে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আক্ষেপ করে বলেন, বিগত পাঁচ বছর থেকে টেন্ডার কাজে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে এপিএস বাশার হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েকশ কোটি টাকার ওপরে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাশারের বড় সহযোগী ছিলেন সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর চাচাতো ভাইয়ের বউয়ের ছোট বোনের স্বামী মো. আরশাদ। এই দুজন মিলে নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রণালয়ের সবকিছু। তাদের মাধ্যমেই কাজের পার্সেন্টেজ নিতেন প্রতিমন্ত্রী। কাকে কাজ দেওয়া যাবে, তা ঠিক করতেন আরশাদ আর বাশার। বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, চট্টগ্রাম বন্দর, পায়রা পোর্টের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিজেদের সিন্ডিকেটের লোক বসাতেন এই দুজন। তাদের মধ্যে আরশাদ নৌপ্রতিমন্ত্রীর ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ছিলেন সবার কাছে। মূলত এই আরশাদই প্রতিমন্ত্রীর হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে দিনাজপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্যক্তিগত সহকারী হলেও বাশার এলাকায় কখনো কখনো খোদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর চেয়েও বেশি ক্ষমতা দেখাতেন। দিনাজপুরে তার হয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন বাশার।

দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি জানান, জেলার ডিসি, এসপি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতারা তটস্থ থাকতেন বাশারের ভয়ে। বাশার চাইলেই যে কাউকে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী কাছে নায়ক বা ভিলেন বানাতে পারতেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা বাশার করেননি। নিজের অযোগ্য আত্মীয়স্বজনের দিয়ে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। যে যত বেশি তার আত্মীয়দের খুশি করতে পারতেন, সেই পদ ক্ষমতাসহ অর্থের মালিক হতেন।

বাশারের যত সম্পদ: স্থানীয় নেতাকর্মী ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিজ গ্রাম টেনাসহ আশপাশের গ্রামে নামে-বেনামে ৩০০ বিঘা জমি রয়েছে বাশারের। এছাড়া কালুপীর বাজারের পাশে মসলাবাটি নামক স্থানে ১৫০ বিঘার ওপর পুকুরের সঙ্গে রয়েছে খামারবাড়ি। কালুপীর বাজারে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি, দোকান ও গোডাউন করেছেন বাশার। পার্শ্ববর্তী উপজেলা পীরগঞ্জের ৫ নম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়নে ৯০ বিঘা জমির ওপর আমবাগান, পীরগঞ্জ উপজেলায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ৫৮ শতাংশ জমি, সেতাবগঞ্জ বাজারে নিজের নামে এবং আত্মীয়স্বজনের নামে কয়েক কোটি টাকার ১ হাজার ৭৪১ শতাংশ জমি, বিরল স্থলবন্দরের পাশেই ৩৮৬ শতাংশ জমি, দিনাজপুর শহরে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের নামে ৫টি প্লট রয়েছে বাশারের। এ ছাড়া ঢাকার লালমাটিয়া, আদাবর, শেখেরটেক, মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটি, বাবর রোড়, হুমায়ুন রোডে রয়েছে ১৩টি ফ্ল্যাট এবং বছিলা ও ঢাকা উদ্যানে ৫ শতাংশ করে অসংখ্য প্লট রয়েছে বাশারের নামে।

টাকা পাচারে খালাতো ভাইয়ের নামে ‘খালাতো এন্টারপ্রাইজ’: মন্ত্রণালয় এবং বাশারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব, নিয়োগ-বাণিজ্য আর মাদকের কারবারের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশেও পাচার করেছেন বাশার। পাচারের দিকটা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তার অন্যতম সহযোগী খালাতো ভাই রনি। এই রনিকে সবাই ‘খালাতো এন্টারপ্রাইজ’ নামে চেনে। রনিকে দিয়ে ‘খালাতো এন্টারপ্রাইজ’ নামে প্রতিষ্ঠান খুলে বোচাগঞ্জ উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করতেন বাশার। তাকে দিয়েই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা নিয়েছিলেন তিনি। এই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আড়ালে প্রতি সপ্তাহে বিদেশে টাকা পাচার করতেন তিনি। এ ছাড়া খালাতো এন্টারপ্রাইজ দিয়ে এলাকার সব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন রনি। চাকরি-বাণিজ্য, বদলি, থানায় প্রভাব বিস্তার, মাদক-বাণিজ্য, সরকারি জমি গ্রাস—এমন কোনো কাজ নেই, যা রনি করতেন না। সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর কাছে যারা বিভিন্ন চাকরির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরির জন্য যেতেন, বাশার তাদের রনির কাছে পাঠাতেন। রনি প্রতিজনের কাজ থেকে ৫ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত টাকা নিতেন।

স্থানীয়রা জানান, কারও যদি কপালে চাকরি লেখা থাকত তাহলে হতো, আর না হলে ওই টাকা আর কখনো ফেরত পাওয়া যেত না। টাকা ফেরত চাইলেই মিথ্যা মামলা আর নির্যাতনের ভয় দেখানো হতো।

এদিকে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে বিদেশে গেলে তার মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের সঙ্গে আত্মগোপনে চলে যান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তার সঙ্গে আত্মগোপনে গেছেন এপিএস বাশার ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরাও। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়ম ও লুটপাটের বিষয়ে তাদের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা