সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ডাটা সেন্টারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন

মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইএসপি, এবি এবং বিটিআরসি ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী (জুনাইদ আহমেদ পলক) বারবার ইন্টারনেট বন্ধের দায় চাপিয়েছেন মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাকে। তবে মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

তারা জানান, আজ আমরা ভবন পরিদর্শন করে এবং ভবনের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি এখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলা দরকার, ডাটা সেন্টার হল কেবল সার্ভার সংরক্ষণাগার অর্থাৎ এক প্রকার লকার।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনটি ইন্টারনেট সেবা খাতে ক্ষয়ক্ষতি ও নাশকতা তদন্তে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে। এর আগে মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অবস্থিত ডাটা সেন্টার পরিদর্শন করেন তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬-১৭ তারিখে সীমিত পরিসরে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ১৮ তারিখ সন্ধ্যা থেকে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাসহ মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক আমরা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের সভাপতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানতে পারি, মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রেখে ন্যারো ব্র্যান্ডের ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্যদিকে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, গুজব প্রতিরোধে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রীও বলেছেন বিভিন্ন স্থানে ফাইবার কাটা এবং ডাটা সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। আমাদের জানামতে বিশ্বে একটানা সাত দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকা নজিরবিহীন। এমনকি যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা ও ইউক্রেনে ইন্টারনেট সেবা এত দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকেনি।

ইন্টারনেট বন্ধের ফলে গ্রাহকের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, বিমানে টিকেট সংগ্রহ, এমনকি গ্যাস বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় গ্রাহকদের থাকতে হয়েছে। ব্যাংকে টাকা থাকা সত্ত্বেও টাকা উত্তোলন করতে না পেরে অনেকে অভুক্ত ছিলেন। ইন্টারনেট সেবা বন্ধের ফলে মূল ধারার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত না হওয়ায় গুজব ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে প্রাণহানি ও ভয়াবহ সহিংসতা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস এবং লুণ্ঠন করা হয়। গুজব এবং উসকানিমূলক পোস্ট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মেটা, ইউটিউব, টিকটক, এমনকি বিটিআরসি এবং আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে জরিমানার পাশাপাশি আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ইন্টারনেট খুলে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট, এবং দেশের ১৮ কোটি মানুষের জোরালো দাবি রয়েছে। তাই আমরা মনে করি, ইন্টারনেট বন্ধ করার যৌক্তিকতা এবং কারণ উদঘাটনে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সহায়তায় দেশের প্রযুক্তি ও টেলিযোগ খাতের বিশেষজ্ঞ, স্টেক হোল্ডার, গণমাধ্যম এবং গ্রাহকদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা জরুরি।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা