সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘খুনিদের নির্বাচনে আনতে হবে এত আহ্লাদ কেন’

জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নিতে অনুরোধ করার বিষয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মানুষ খুন করেছে তাদের নির্বাচনে আনতে হবে- এত আহ্লাদ কেন আমি বুঝি না।’

তিনি বলেন, ‘অপারেশন ক্লিনহাটের নামে যারা আমাদের নেতাদের হত্যা করেছে, আগুন সন্ত্রাস করে যারা মানুষ খুন করেছে, হত্যা, খুন এটাই তো ওদের চরিত্র। তাদের সঙ্গে বসতে হবে? তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, তাদের খাতির করতে হবে? তাদের নির্বাচনে আনতে হবে? এত আহ্লাদ কেন আমি তো বুঝি না। বাংলাদেশে কী মানুষ নেই?’

রবিবার (২১ আগস্ট) সকালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দীর্ঘ কয়েক বছর পর তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করলেন। তার আগে সকালে একুশে আগস্ট শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিরোধী দলের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশিদের কাছে কান্নাকাটি। সেখানে গিয়ে তারা অনুরোধ করে কোনোরকম তাদের একটু জায়গা দেওয়া যায় কি-না! জায়গা দেবে কি দেবে না সেটা ভাববে জনগণ। সে সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আবার কি সন্ত্রাসীর যুগে ফেরত যাবে? নাকি আজকে যে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে সেই উন্নয়নের যুগে থাকবে। এই সিদ্ধান্ত তো জনগণকে নিতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর একটা কথা বলার মতো অধিকার তারা দেয়নি। মাত্র ১৫ দিন আগে রেহেনা আর আমি দেশ থেকে গেলাম। কিছুতেই যাব না, কারণ ১৫ তারিখে আব্বা ইউনিভার্সিটিতে আসবে। আমি ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। এটা আমার জন্য কতটা গৌরবের ছিল কিন্তু চলে যাই।‌ ওয়াজেদ (শেখ হাসিনার স্বামী) সাহেবকে যখন ফোন করে বললাম তিনি ভীষণ রাগ করলেন। তখন আব্বা বললেন ঠিক আছে তুমি যাও। আমার মনটা পড়েছিল এখানেই। হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ১৪ তারিখেও কথা হলো আব্বা আম্মার সঙ্গে। পরদিন শুনতে পেলাম আমাদের কেউ বেঁচে নেই।

সেই সময়ের বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জার্মানিতে ছিলাম। সেখানে সানাউল হক সাহেব আগের দিন রাতে আমাদের ডিনার করালেন। যখন খবর এল আমার আব্বাকে হত্যা করা হয়েছে তিনি (সানাউল হক সাহেব) হুমায়ুন রশীদ সাহেবকে ফোন করে বললেন আমার কাছে যে আপদ রেখেছেন নিয়ে যান। আমরা তার কাছে আপদ ছিলাম। এই ব্যবহারটা তখন করেছেন। তিনি তো ডিপ্লোম্যাট ছিলেন না, তিনি একজন সুশীল মানুষ। তার কাছ থেকে পেলাম আমরা এই ব্যবহার। হুমায়ূন রশিদ সাহেবের ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাট।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক কোনো পরিচয় ছিল না। জার্মানিতে যেয়ে পরিচয় হয়, কিন্তু তিনি আমাদের আশ্রয় দিয়েছেন। সব রকম সহযোগিতা করেছেন। ১৬ তারিখ সকালে কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি গিয়েছিলেন জার্মানির বন শহরে হুমায়ন রশীদ সাহেবের বাসায়। রেহেনা তার হাত চেপে ধরেছিল, বলছিল আপনি একটি প্রতিবাদ করেন।‌ আপনি তো ফরেন মিনিস্টার, তিনি কিন্তু তা করেননি। এমনকি আমরা পরবর্তীতে কোথায় কী অবস্থায় আছি সে খোঁজটাও কামাল হোসেন নেননি। এরপর ১৯৮০ সালের দিকে রেহেনা তাকে খুঁজে পায় একটা মিষ্টির দোকানে, তিনি (কামাল হোসেন) মিষ্টি কিনছিলেন তখন রেহেনা তাকে ধরে। তাকে বলে আপনারা থাকতেও একবারও প্রতিবাদ হয়নি কেন? এরকম চড়াই উৎতরাই পার হয়ে যখন বাংলাদেশে এসেছি। প্রতি পদে পদেই তো বাধা। তারপরেও ক্ষমতায় আসতে পেরেছি, দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রথম পাঁচ বছর কাজ করার পর পরবর্তী সাত বছর আসতে পারিনি। বিএনপির অপকর্মের কারণে জরুরি অবস্থা হলো। সবার আগে আমি গ্রেপ্তার হলাম। ক্ষমতায় ছিল খালেদা জিয়া কিন্তু আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো সর্বপ্রথম। মামলা দেওয়া হলো একটার পর একটা। আমাকে প্রথমে দেশে আসতে দেবে না আমি জোর করে এলাম। আমি তো জোর করে বার বার এসেছি। এসে তো আমি কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৮ নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। জনগণ আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছে, আস্থা রেখেছে। ২০১৪ তে আমরা নির্বাচনে জিতেছি। ২০১৮ এর নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছি। জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। সেই নির্বাচনগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। যারা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাদের বেশিদূর যাওয়া লাগবে না, জিয়াউর রহমান, এরশাদ তারা কীভাবে নির্বাচনকে কলুষিত করেছে? আমি বেশিদূর যাব না ২০০১ সালের নির্বাচন খোঁজ করে দেখেন না, কেমন নির্বাচন হয়েছিল? কতজন মানুষ ভোট দিতে পেরেছিল। তারপরও তো আমরা ভোট বেশি পেয়েছিলাম আমাদের সিট পেতে দেওয়া হয়নি। ২০০৮ সালে নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়ে আসি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি।

বিএনপিকে উদ্দেশে করে বলেন, তারা নির্বাচন করবে কীভাবে? যে দলের নেতাই নেই, সাজাপ্রাপ্ত অথবা ফিউজিটিভ বা পলাতক তারা নির্বাচন করবে কীভাবে? জনগণ ভোট দেবে কীভাবে? ভোট কাকে দেখে দেবে এটাই তো প্রশ্ন। তারপরও অনেক চক্রান্ত আছে। এখনো নানারকম চক্রান্ত। নির্বাচন এলেই চক্রান্ত শুরু হয়। কিন্তু আমার এদেশের মানুষের ওপর বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে। উন্নয়নটা করে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পেরেছি। হয়তো এটাই বড় অপরাধ। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত সফলভাবে দেশ চালিয়ে মানুষের হৃদয়ে আস্থা অর্জন করেছিলাম সেজন্যই তো একুশে আগস্টের ঘটনা আমাকে শেষ করার পরিকল্পনা। আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে সেজন্য আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম।

তিনি আরও বলেন, আজ ২০২২। ২০০৪ থেকে ২০২২ ১৮ বছর হয়ে গেল। যারা এখনো স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন প্রত্যেকে কিন্তু কষ্ট ভোগ করছেন। যত বয়স বাড়ছে ততই তাদের শরীরে যন্ত্রণাটা বাড়ছে। আমি সবার খোঁজ রাখি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বারবার আঘাতের শিকার হয়েছে। ‌আমরা সরকারে এসে তো কাউকে নির্যাতন করতে যাইনি। আমরা তো ওদের ঘরবাড়িও দখল করিনি। হাতুড়ি দিয়ে পিটিও মারিনি। ‌ কারাগারেও রাখিনি, কিছুই করিনি। যে মামলাগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল সেই মামলাগুলি চলছে। অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা। খুন খারাপি করে দেশ থেকে পালিয়েছে। একুশে আগস্ট যারা হত্যা করেছে তারা দেশ থেকে পালিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের যারা দেশে ছিলেন তাদের সাজা কার্যকর করছি; বাকিরা পালিয়েছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় কর্নেল রশিদ ও ডালিম বাংলাদেশ ছিল। এই চক্রান্তের সঙ্গে খালেদা জিয়া ছিল। খালেদা জিয়া কর্নেল রশীদ ও মেজর ডালিমকে যেভাবেই হোক দেশ থেকে চলে যেতে সাহায্য করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঘাত আসবে আবার। আমি জানি আমার তো পথে পথে বাধা। খালেদা জিয়ার সেই সময়কার বক্তব্য স্মরণ করবেন। যখন কোটালীপাড়ায় বোমা পুতে রাখা হলো ঠিক তার আগে খালেদা জিয়া বক্তব্য দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামার আগে খালেদা জিয়ার বক্তৃতায় বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাও কোনোদিন হতে পারবে না। সেই বক্তব্য সে আগাম দিল কীভাবে? তার মানে আমাকে হত্যা করবে। ‌সেই পরিকল্পনা তারা নিয়ে ফেলেছে।

এসএম/এসএন

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে অবস্থান করে নানা ধরনের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দিচ্ছেন।

সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তবে মোদি জানিয়েছেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না। কারণ দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উন্মুক্ত, এটা ব্যবহার করে কেউ বক্তব্য দিলে তিনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৭ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

‘টক টু আল-জাজিরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, আওয়ামী লীগ সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ আসে।

আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার বলেন, শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?

এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

এ সময় আল-জাজিরার সাংবাদিক জানতে চান, তখন মোদি কী বলেছিলেন। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিক মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কি না। তারা এখনো কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সেটা নয়। অন্যান্য দল আছে যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আল-জাজিরার উপস্থাপক এক পর্যায়ে প্রশ্ন করেন- এটা কি বলা ঠিক যে শেখ হাসিনার পতনের পরের মধুচন্দ্রিমা এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অন্যরা রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। যেমন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারে?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুটি বিষয়, একটি জনগণের অধৈর্য নিয়ে, তা মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনো মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেতে দাও। আজ আমাদের নির্বাচন। কেউ তা বলেনি। এই দিকেই আমরা যাচ্ছি। আমরা এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি যেখানে লোকেরা বলছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের হস্তান্তর করো।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা, জাতিসংঘের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি এবং এই লোকেরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যও কাজ করছি। আমাদের চিন্তা হলো, কীভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া তৈরি করা যায়, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে এবং নিরাপদ পুনর্বাসন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা