রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভারতের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায়

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা পান্নুন। ছবি: সংগৃহীত

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুন অভিযোগ করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার বিদেশে ভিন্নমতালম্বীদের চুপ করানোর চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশে ভারতের কনস্যুলেটগুলো গুপ্তচর নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি মার্কিন বিচার বিভাগ নিউ ইয়র্কে মার্কিন-কানাডিয়ান দ্বৈত নাগরিক পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, যিনি একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

পান্নুন রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, "মোদি সরকারের শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড বিদেশে পরিচালনার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার উচিত জানিয়ে দেওয়া যে মোদির মতো কাউকে তাদের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেওয়া হবে না।" তিনি আরও বলেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় কনস্যুলেটগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।

পান্নুনের বক্তব্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেটগুলো গুপ্তচর নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে। যদিও এ বিষয়ে পান্নুন কোনও প্রমাণ সরবরাহ করেননি। তবে তার এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কিছু শিখ কর্মীও।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পান্নুনের এই অভিযোগ সম্পর্কে রয়টার্সের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি। পান্নুন, যিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২০ সাল থেকে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত রয়েছেন, বলেন তার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, যদিও এতে তার জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন।

গত বছর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আরেক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডে ভারতের সরকারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছিলেন। ট্রুডোর অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং উভয় দেশ থেকে ছয়জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়।

ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ ভারত-কানাডা সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্কের পরীক্ষায় ফেলেছে। পান্নুন জানান, মার্কিন অভিযোগে অভিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তা বিকাশ যাদব শুধুমাত্র মাঝারি স্তরের সেনা ছিলেন এবং তার ওপর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ ছিল। তবে তিনি কোনও প্রমাণ দেননি বা কীভাবে তিনি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তাও জানাননি।

খালিস্তান আন্দোলন ভারতের পাঞ্জাব রাজ্য থেকে শিখ মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালিত একটি আন্দোলন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপে খালিস্তান আন্দোলনের স্বাধীন গণভোটের পক্ষে প্রচারণা চালানো পান্নুন বলেন, তার আন্দোলন শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান চায়। ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, বিদেশে খালিস্তান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন বাড়লে পাঞ্জাব রাজ্যে নতুন করে বিদ্রোহের শঙ্কা দেখা দিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা