গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলায় একই পরিবারের ১৩ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের বানি সুহেলা এলাকায় একটি বাড়ির ওপর বোমা ফেললে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন শিশু ও নারী।
স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বারাকা পরিবারের বাড়িটিকে সরাসরি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নিহতদের মরদেহ ও বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। হামলায় পার্শ্ববর্তী আরও কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়াও, গাজার উত্তরাঞ্চলের তাল আল-জাতার এলাকায় আরেকটি পরিবারের বাড়িতে চালানো বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও ১১ জন নিহত হয়েছেন। এর পাশাপাশি, পশ্চিম খান ইউনিসে আরেকটি বাড়িতে হামলায় একজন বাবা ও তার শিশুপুত্র প্রাণ হারান।
এর একদিন আগেই, বৃহস্পতিবার, ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন আশ্রয়শিবিরে অবস্থানরত সাধারণ মানুষ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় যে সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল, তা এখনো থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একটি স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল, তবে ১৮ মার্চ থেকে তা ভেঙে নতুন করে শুরু হয় ইসরায়েলের অভিযান।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজার ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার। নিহতদের মধ্যে বিপুল সংখ্যকই নারী ও শিশু।
এদিকে, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস জানিয়েছে, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্তে তারা বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে প্রস্তুত রয়েছে। এই প্রস্তাব ইতোমধ্যে ইসরায়েলকে জানানো হয়েছে বলে দলটির শীর্ষ এক নেতা নিশ্চিত করেছেন।
