সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

স্বামীর ফোন তল্লাশি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, হতে পারে কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

স্বামীর অনুমতি ছাড়াই তার ফোন তল্লাশি বা গোপনে নজরদারি করা সৌদি আরবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে, এমনটাই সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির এক শীর্ষ আইনজীবী রীম ইব্রাহিম। তিনি জানান, এমন অপরাধে স্ত্রীর বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের জরিমানা এবং কঠোর শাস্তি আরোপ করা হতে পারে।

গালফ নিউজে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সৌদি আরবের আইনে এ ধরনের গোপনীয়তা লঙ্ঘনকে ‘ইবসড্রপিং’ (অবৈধভাবে তথ্য শোনা) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা অপরাধমূলক।

আইনজীবী রীম ইব্রাহিম আরও বলেন, যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীর ফোন গোপনে তল্লাশি করেন, তবে এটি সাইবার অপরাধ আইন লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন অপরাধের জন্য স্ত্রীর বিরুদ্ধে এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা হতে পারে, কিংবা এই দুটি শাস্তির যে কোন একটি। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, স্বামী তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন যদি তিনি তার ফোনের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ার অভিযোগ করেন।

তবে, এ বিষয়ে আইনের আরও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আল ওহাইবি। তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে শুদ্ধতা বা ভুল বিচার করা সহজ নয়। তিনি বলেন, যদি স্ত্রীর কাছে স্বামীর ফোনের পিন নম্বর থাকে, তবে ফোনে প্রবেশ করা আইনি হিসেবে গণ্য হবে এবং এটি অপরাধ হিসেবে ধরা হবে না। এমনকি যদি স্ত্রীর উদ্দেশ্য স্বামীর ফোনে কিছু খোঁজ করা হয়, তাও আইনগতভাবে কোনো সমস্যা তৈরি করবে না।

মোহাম্মদ আল ওহাইবি উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করেন, "যেমন, যদি আপনি কাউকে আপনার বাড়ির চাবি দেন, তাহলে সে বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে। তারপর, আপনি কি তাকে বাড়ির গোপনীয়তা ভঙ্গ করার অভিযোগ করতে পারেন?" তিনি আরও বলেন, যদি স্ত্রীর ফোনে কোনো অপরাধের আলামত, যেমন ছবি বা ভিডিও পাওয়া যায়, তাহলে সে বৈধভাবে ফোনটি খুলে প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে।

এ ধরনের আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এ ধরনের গোপনীয়তা ভঙ্গের শাস্তির ভয়াবহতা আরও স্পষ্ট হয়। ২০২১ সালে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ আদালত এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে তার স্বামীর ফোনে নজরদারি করার কারণে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিল।

এই ধরনের আইনগত পদক্ষেপগুলো আমাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রদান করে: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে গোপনীয়তা, আস্থা এবং সম্মান রাখা অত্যন্ত জরুরি। আইন অনুযায়ী, গোপনীয়তা ভঙ্গ করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হতে পারে, যার ফলস্বরূপ হতে পারে শাস্তি, জরিমানা কিংবা পারিবারিক অশান্তি। তাই, সতর্কতা অবলম্বন এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া, এই আইনি পরামর্শগুলো আমাদের দেশে নতুন আইনের প্রয়োগ এবং প্রযুক্তিগত বিষয়ে সচেতন থাকার প্রয়োজনীয়তাকেও সামনে নিয়ে আসে, যাতে আমরা স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের মধ্যে সঠিক আইন এবং শিষ্টাচারের প্রতি সম্মান রাখতে পারি।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা