সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

গাছ কাটলেই ঝরতে থাকে রক্ত...!

ছবি: সংগৃহীত

গাছ কাটলেই ঝড়তে থাকে ‘রক্তের’ ফোয়ারা। গাছের ভিতর থেকে এমন ভাবে ‘রক্ত’ বেরিয়ে আসে যে, দেখে মনে হয় যেন রক্তমাংসের কোনও জীবকে কেটে ফেলা হচ্ছে। কল্পনা নয়, বাস্তবে এমন একটি গাছ রয়েছে যা কাটা হলে তার ভিতর থেকে রক্তবর্ণের এক ধরনের তরল গড়িয়ে পড়তে থাকে। এই ‘রক্ত’ দিয়ে নাকি কঠিন রোগ নিরাময় করা যায়। এই গাছটির নাম ড্রাগন ব্লাড।

গাছটির এই নামকরণ এই তরল নির্গত হওয়ার কারণেই। তরলটি হাতে নিয়ে দেখলেও মনে হয় যেন রক্ত লেগে রয়েছে।

ড্রাগন ব্লাড গাছটি সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রাতেও জন্মাতে পারে। সাধারণত আরব সাগরের একটি দ্বীপপুঞ্জে চিরহরিৎ এই বৃক্ষের সন্ধান পাওয়া যায়। ইয়েমেনের সকোট্রা দ্বীপপুঞ্জে প্রচুর পরিমাণে ড্রাগন ব্লাড গাছটি দেখা যায়। এই গাছটি প্রায় ৬৫০ বছর ধরে বেঁচে থাকতে পারে। ইয়েমেনের জাতীয় গাছ এটি।

ড্রাগন ব্লাড গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম ড্রাকাইনা সিনাবারি। ১০ থেকে ১২ মিটার উচ্চতা হয় এই গাছের। বেরির মতো সুস্বাদু ফলও হয় এই গাছে।

ড্রাগন ব্লাড গাছটি এমন ভাবে বেড়ে ওঠে যে তলার শাখা-প্রশাখাগুলি আকারে ছোট হয় এবং উপরিভাগের শাখাগুলি চওড়া হয়। দূর থেকে এক নজরে দেখলে মনে হবে কেউ যেন মাথার উপর ছাতা খুলে রেখেছেন।

প্রতি তিন থেকে চার বছর অন্তর ড্রাগন ব্লাড গাছ থেকে সমস্ত পাতা ঝরে যায়। এই গাছে বেরি জাতীয় ফল উৎপন্ন হয় যার মধ্যে এক থেকে তিনটি বীজ থাকে। ড্রাগন ব্লাড গাছের ফল পরিণত হতে শুরু করলে সবুজ থেকে কালো রং ধারণ করে। কমলা বর্ণ ধরলে বোঝা যায় ফল পেকে গিয়েছে। ফল পরিণত হতে মোট পাঁচ মাস সময় লাগে।

ড্রাগন ব্লাড গাছের শাখা-প্রশাখা কাটলে লাল রঙের এক ধরনের রেসিন নির্গত হয়। এই রেসিন ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করেন দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা। সকোট্রা দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, ড্রাগন ব্লাড গাছ থেকে যে রেসিন নির্গত হয় তা খেলে জ্বর থেকে শুরু করে আলসার জাতীয় রোগ খুব সহজেই সেরে যায়।

অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বেড়ে ওঠা ড্রাগন ব্লাড গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল বাতাস, মেঘ এমনকি কুয়াশা থেকে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে সঞ্চয় করে রাখা।

তবে দিনের পর দিন ড্রাগন ব্লাড গাছের পরিমাণ কমছে। এই গাছ থেকে নির্গত রেড রেসিন কাজে ব্যবহার করেন স্থানীয়েরা। রেড রেসিনের কারণেই প্রচুর পরিমাণ গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানা যায়। প্রাচীন কাল থেকে রোগ নিরাময়কারী ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয় ড্রাগন ব্লাড গাছের রেসিন। রং করার জন্যও স্থানীয়েরা এই রেসিন ব্যবহার করেন।

দাঁত মাজার পেস্ট, লিপস্টিকের মতো প্রসাধনী তৈরিতেও ব্যবহৃত হয় ড্রাগন ব্লাড গাছের রেসিন। আঠারো শতকে ইটালির বেহালাবাদকেরা তাঁদের বাদ্যযন্ত্রকে বার্নিশ করার কাজে ড্রাগন ব্লাড গাছের রেসিন ব্যবহার করতেন। এখনও কিছু ক্ষেত্রে বেহালা বার্নিশ করার জন্য ব্যবহৃত হয় এই রেসিন।

ড্রাগন ব্লাড গাছের রেসিন ছাড়াও এই গাছের পাতা দড়ি তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া কৃত্রিম ভাবে মৌচাক তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় এই গাছ।

 

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা