মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার শুল্কযুদ্ধ আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দফায় দফায় শুল্ক বৃদ্ধির জবাবে এবার পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে চীন।
গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যে নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা পূর্বের ২০ শতাংশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দাঁড়ায় ৫৪ শতাংশে। এর জবাবে চীনও ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
শুল্কযুদ্ধের এই প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানায়, চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর করা হবে। এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা পরে আরও বাড়ানো হয়। এই পরিস্থিতিকে চীন একতরফা ‘গুন্ডামি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার বেইজিংয়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, “মার্কিন শুল্ক নিয়ে চীন ভীত নয়। চীন ও ইউরোপের উচিত একসঙ্গে আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন করা এবং আমেরিকার এই একতরফা পদক্ষেপ প্রতিহত করা।” বৈঠকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রীও মত দেন যে, বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনার কারণে ইউরোপ-চীন সহযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়। উল্লেখ্য, স্পেন প্রতি বছর চীন থেকে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “বাণিজ্যযুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না। চীন এ ধরনের লড়াই চায় না, তবে এতে আমরা ভীতও নই।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শুল্কযুদ্ধের ফলে বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়তে পারে, যার প্রভাব পড়বে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতেও।
