সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। -ফাইল ছবি

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির অন্তত ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

বিমা কোম্পানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) একটি অডিট রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।

কোম্পানিটির বরখাস্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমানের অভিযোগের ভিত্তিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) অডিটটি পরিচালনা করে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস অবশ্য কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়মের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।

২০২৩ সালে গোলাম কুদ্দুসকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগসহ ১৭টি অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য আইডিআরএ গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অডিট ফার্ম হোদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানিকে নিয়োগ দেয়।

সোনালী লাইফ পরবর্তীতে রাশেদকে বরখাস্ত করে। গোলাম কুদ্দুসের বড় মেয়ের সাবেক স্বামী রাশেদ। কোম্পানির টাকা আত্মসাতের মামলায় বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।

অডিট শুরু হওয়ার পর ১৮ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন গোলাম কুদ্দুস।

অডিট প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইডিআরএ কোম্পানিটি পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগের কথা ভাবছে।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা কোম্পানি ও পলিসি হোল্ডারদের স্বার্থে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

অডিটে দেখা গেছে, গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের ছয় সদস্য পরিচালক হিসেবে নিজেদের জন্য শেয়ার ইস্যু, গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন কোম্পানিকে অবৈধ অর্থ প্রদান এবং তার পরিবারের সদস্য পরিচালকদের বেতন পরিশোধসহ বিভিন্ন উপায়ে তহবিল আত্মসাৎ করেছেন।

অবৈধভাবে বিলাসবহুল গাড়ি কেনা এবং গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য পরিচালকদের অতিরিক্ত লাভ দেওয়ার পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণ ও চিকিৎসার বিলের মাধ্যমে তারা বিপুল অর্থ পকেটে ভরেছে।

তারা গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স পলিসি থেকে অবৈধ কমিশনের মাধ্যমেও মোটা অঙ্কের টাকা আয় করেছে, বলা হয়েছে ওই অডিট রিপোর্টে।

ড্রাগন ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেশন লিমিটেড, ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড এবং ইম্পেরিয়াল সোয়েটার লিমিটেড অস্থাবর সম্পদ কেনার জন্য সোনালী লাইফ থেকে বিভিন্ন সময়ে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা পেয়েছে, যার অনুমোদন দিয়েছেন গোলাম কুদ্দুস।

অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের অর্থপ্রদানের জন্য আইডিআরএর অনুমতি প্রয়োজন হলেও কোম্পানিটি তা নেয়নি, যা অবৈধ।

২০১৮ সালে সোনালী লাইফ প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে এক কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে নিজের পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চেয়েছিল এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর অনুমোদন দেয়।

কিন্তু পরিবারের চার সদস্য পরিচালক নূর-ই-হাফজা, ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, এস সোবহান চৌধুরী ও শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েলের কাছ থেকে কোনো টাকা না নিয়েই অভিহিত মূল্যে তাদেরকে নয় কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার দেওয়া হয়। এটি করা হয় ২০১৮ সালের ১৪ জুন।

একই দিনে অন্য তিনজন পরিচালক মায়া রানী রায়, এ রাজীব সামদানী ও হোদা আলী সেলিমও শেয়ার পেয়েছেন কোনো টাকা না দিয়েই। তবে, তাদের শেয়ারের অভিহিত মূল্য ছিল দ্বিগুণ। এই তিন পরিচালক গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য নয়।

অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলাম কুদ্দুস তার স্ত্রী ফজলুতুন নেসার কাছ থেকে ছয় লাখ ২৫ হাজার, ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান ও মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়ার কাছ থেকে ২৬ দশমিক আট লাখ, সোবহানের স্ত্রী এস সোবহান চৌধুরীর কাছ থেকে তিন লাখ এবং মেয়ের স্বামী ড্যানিয়েলের কাছ থেকে ১২ লাখ শেয়ার পেয়েছেন।

পরে গোলাম কুদ্দুস তার এক মেয়ের কাছে ১৪ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার, স্ত্রীর কাছে দুই লাখ ৩০ হাজার শেয়ার এবং ছেলে ও পুত্রবধূর কাছে ছয় লাখ ৫০ হাজার শেয়ার হস্তান্তর করেন।

এর মাধ্যমে একই পরিবারের সাত সদস্য কোম্পানি বোর্ডে পারিবারিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে অডিট প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমানে, সোনালী লাইফের ২০ জন পরিচালক রয়েছেন, যাদের মধ্যে সাতজন একটি পরিবারের সদস্য।

কোম্পানির একটি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটির সাত লাখ ৮৮ হাজার বিমা গ্রাহক রয়েছেন এবং এর পরিশোধিত মূলধন ৪৭ কোটি টাকা। গত বছর কোম্পানিটি বিমার প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৮৩২ কোটি টাকা।

অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনালী লাইফ আর্থিক আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে কয়েকজন পরিচালকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, ফলে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে। এতে বিমাকারী ও গ্রাহকদের ক্ষতি করছে।

উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে ১৮ কোটি টাকা অবৈধভাবে বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই গোলাম কুদ্দুসের ব্যক্তিগত ব্যবসা ড্রাগন সোয়েটারের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছিল, যা অবৈধ।

এ ছাড়া, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিমা কোম্পানিটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৯৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট হয়ে গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন একটি কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।

অডিট প্রতিবেদনে এটিকে 'জালিয়াতি, অর্থ পাচার ও আত্মসাৎ' বলে অভিহিত করা হয়েছে।

অডিটে আরও দেখা গেছে, বছরে গড়ে ২২ কোটি টাকা বা মাসে প্রায় দুই কোটি টাকা নগদ ব্যয় করা হয়েছে এবং নগদ চেকের মাধ্যমে বেশকিছু এককালীন বড় লেনদেন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অর্থ তছরুপের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

কোম্পানিটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভসহ প্রায় সব স্বাক্ষরকারীই গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য এবং এর ফলে এসব লেনদেনে তারা কোনো প্রশ্ন তোলেননি।

সীমাবদ্ধতা থাকায় কোম্পানিতে হওয়া অন্যান্য দুর্নীতি এই অডিট প্রতিবেদনে উঠে আসেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানির সার্বিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য একটি বিশদ অডিট প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অসম্পূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ বা তথ্য গোপন করা, অস্বচ্ছ অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতি এবং অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অনুপস্থিতি কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে গোলাম কুদ্দুস বলেন, এই অডিট প্রতিবেদনের ফলাফল 'অসত্য' এবং তিনি শিগগিরই তার অবস্থান স্পষ্ট করে আইডিআরএকে চিঠি দেওয়ার 'প্রস্তুতি' নিচ্ছেন।

আইডিআরএর তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সোনালী লাইফের সারা দেশে ২৬ হাজার ৬৯৩ জন বিমা এজেন্টসহ ২০৪টি শাখা রয়েছে। এটি ২০২০ সালে মোট বিমা দাবির ৯৯ দশমিক নয় শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৯ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৯৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ নিষ্পত্তি করেছে। ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ১২২ কোটি ২৬ লাখ টাকার প্রায় সব বিমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে।

 

সংবাদ সূত্র: ডেইলি স্টার

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা