রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ভয় পাচ্ছেন 'গডফাদার অব এআই' হিন্টন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার 'ব্যাপক আগ্রাসন' নিয়ে ভয় পাচ্ছেন প্রযুক্তি বিশ্বে 'গডফাদার অব এআই' বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঈশ্বর হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে হিন্টন। দীর্ঘ এক দশক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করার পর এখন এর 'অন্ধকার দিক' নিয়ে কথা বলতে চান তিনি। আর তাই গেল সপ্তাহে গুগল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এই এআই জায়ান্ট।

সোমবার (১ মে) যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস-কে তথ্যটি নিশ্চিত করে হিন্টন জানিয়েছেন, "তিনি যে প্রযুক্তির বিকাশে সহায়তা করেছিলেন তার 'ঝুঁকি' সম্পর্কে কথা বলার জন্য তিনি গুগল ছেড়ে দিয়েছেন।"

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা পরিচালিত বর্তমানের অনেক পরিসেবায় ব্যবহৃত নিউরাল নেটওয়ার্কে হিন্টনের অবদান ব্যাপক। টেক জায়ান্ট গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন কাজে তিনি প্রায় এক দশক ধরে খণ্ডকালীন হিসেবে কাজ করেছেন, কিন্তু এখন তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং এটিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

হটাৎ করে এআই থেকে সরে আসা নিয়ে এবং এআই সম্পর্কে অনুশোচনা করে নিউ ইয়র্ক টাইমস-কে হিন্টন বলেছেন, 'আমি স্বাভাবিক অজুহাত দিয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দেই এই বলে যে, যদি আমি এটি না করতাম তাহলে অন্য কেউ করত।'

সোমবার এক টুইট বার্তায় হিন্টন লিখেছেন, 'গুগলের উপর কেমন প্রভাব পড়বে তা বিবেচনা করা ছাড়াই যেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভয়ঙ্কর দিক নিয়ে কথা বলতে পারি সেজন্য আমি গুগল ছেড়েছি। তবে গুগল অবশ্য খুব দায়িত্বশীলভাবে কাজ করছে।'

গুগলে হিন্টনের এক দশকের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গুগলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জেফ ডীন বলেছেন, হিন্টন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় মৌলিক সাফল্য এনেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা সিএনএন-কে দেওয়া এক বক্তব্যে ডীন বলেছেন, 'আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য একটি দায়িত্বশীল পদ্ধতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাহসিকতার সাথে উদ্ভাবন করার পাশাপাশি আমরা ক্রমাগত উদীয়মান ঝুঁকিগুলি বুঝতে শিখছি।'

নিউ ইয়র্ক টাইমস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিন্টন দুটো বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, একটি হল মানুষের চাকরিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা ও অপরটি হল এমন এক বিশ্ব তৈরি হওয়া যেখানে আসল সত্য কি সেটা কেউই জানতে পারবে না।

হিন্টন বলেন, 'কিছু মানুষের বিশ্বাস ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসলে মানুষের চেয়েও অধিকতর বুদ্ধিসম্পন্ন হতে পারে। অধিকাংশদের মতে তা অনেক দূরের পথ। আমিও ভেবেছিলাম তা আসলেই অনেক পরে হবে। আমি ভেবেছিলাম হয়তো ৩০ বা ৫০ বছর বা আরও পরে। কিন্তু এখন আর তা মনে করি না।'

এমনকি গুগল থেকে সরে যাওয়ার আগেও জনসমক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্ট ক্ষতির পাশাপাশি ভাল সম্ভাবনা সম্পর্কে কথা বলেছিলেন হিন্টন।

২০২১ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে 'ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি বোম্বে'তে কমেন্সমেন্ট অ্যাড্রেসে বক্তব্য দেওয়ার সময় হিন্টন বলেছিলেন, 'আমি বিশ্বাস করি যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত অগ্রগতি সমাজকে এমনভাবে রূপান্তরিত করতে চলেছে যা আমরা পুরোপুরি বুঝতে পারি না এবং এর সমস্ত প্রভাব ভাল হতে চলেছে না।

তিনি উল্লেখ করেছেন, কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে আবার একই সঙ্গে প্রাণঘাতী মারাত্মক অস্ত্রের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলবে।

হিন্টন বলেছেন, আমি দেখতে পাচ্ছি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে সম্ভাবনা তৈরি করেছিল রোবটরা গ্রহণের চেয়ে তা আরও অনেক বেশি তাৎক্ষণিক ও ভয়ঙ্কর। আমি মনে করি এ সম্ভাবনা অনেক দূরের পথ অতিক্রম করবে।

এমন এক সময়ে হিন্টন এ সিদ্ধান্ত নিলেন যখন 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত চ্যাট-বট গুলোর কারনে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া এবং মানুষের চাকরিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা' সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক আইন প্রণেতা, অ্যাডভোকেসি গ্রুপ এবং প্রযুক্তির অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা শঙ্কা জাগিয়েছেন।

গেল বছরের শেষ দিকে ওপেন এআই এর চ্যাট-বট চ্যাট জিপিটি, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি অদৃশ্য অস্ত্র প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে দেয়। যার ফলে সবাই অনুরূপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত পরিসেবার বিকাশ ঘটাতে শুরু করে। ইতোমধ্যে ওপেন এআই, মাইক্রোসফট এবং গুগল এ প্রতিযোগিতার পুরোধা। তবে এর বাইরে আইবিএম, অ্যামাজন, বাইদু এবং টেনসেন্টও এ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

চলতি বছরের মার্চে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবাধ বিচরণকে 'সমাজ এবং মানবতার জন্য গভীর ঝুঁকি' উল্লেখ করে কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী এআই সিস্টেমের প্রশিক্ষণ বন্ধ করে রাখতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবগুলোর প্রতি দেওয়া একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন প্রযুক্তি বিশ্বের খ্যাতিমান কয়েক বিশিষ্টজন।

চিঠিটি প্রকাশ করেছিল বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ও প্রযুক্তি পুরোধা ইলন মাস্কের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান 'ফিউচার অব লাইফ ইন্সটিটিউট'। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত ওপেন এআই-এর নতুন শক্তিশালী চ্যাট-বট চ্যাট জিপিটি ফোর অবমুক্ত করার ঘোষণা দেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় এই চিঠিটি প্রকাশিত হয়। ওপেন এআই-এর নতুন এই চ্যাট-বটটি পরীক্ষামূলক ব্যবহারের সময় দেখা গেছে এটি মামলার খসড়া তৈরি, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের একাডেমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এবং হাতে আঁকা স্কেচ থেকে একটি কার্যকরী ওয়েবসাইট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি লাল কার্ড দেখানো প্রথম গুগল কর্মী কেবল জিওফ্রে হিন্টন নন। গেল বছরের জুলাই মাসে কর্মসংস্থান এবং ডেটা সুরক্ষা নীতি লঙ্ঘনের অজুহাত দিয়ে গুগল তাদের এক প্রকৌশলীকে চাকরিচ্যুত করেছিল। সেই প্রকৌশলী দাবি করেছিলেন, একটি অপ্রকাশিত এআই সিস্টেম সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা অনেকেই এখন সেই প্রকৌশলীর বক্তব্যকে জোরালোভাবে তুলে ধরছেন।

/এএস

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দায় সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি’র সভাপতি ও জাতীয় পার্টি’র নেতা আব্দুল মান্নানকে গণধোলাই এর শিকার হয়েছেন। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তাকে গণধোলাই দিয়ে সতীহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকায় আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। মান্নান উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মান্দা উপজেলা জাতীয়পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

গ্রাহকদের অভিযোগ, বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে এফডিআরের নামে আমানত সংগ্রহ করেন আব্দুল মান্নান ও ওই সমবায় সমিতির সম্পাদক শাহিন আক্তার মিঠু। শুরুর দিকে মুনাফার টাকা দিলেও বেশ কিছুদিন টালবাহানা করেন তারা। এ অবস্থায় আমানতের টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিলে সমিতির সাইনবোর্ড গুটিয়ে নিয়ে সটকে পড়ার পাঁয়তারা করেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক লাখপতি অফারে আমানতের নামে শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন। প্রত্যেক মাসে এক লাখ টাকায় দুই হাজার টাকা করে মুনাফা দেওয়ার চুক্তি ছিল। প্রথমদিকে সঠিকভাবে মুনাফার টাকা পরিশোধ করা হলেও গত ছয় মাস ধরে টালবাহানা শুরু করেন তারা।

গ্রাহক ফারমিন আক্তার বলেন, ‘বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে ওই সংস্থার সভাপতি আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নেয়। গত দেড় বছর ধরে মুনাফা দিচ্ছেন না। আমানতের টাকা ফেরত দিতেও টালবাহানা করছে তিনি।’

আরেক গ্রাহক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এক লাখ টাকায় মাসিক দুই হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ার অঙ্গীকারে আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সঠিকভাবে কয়েক মাস মুনাফা পেয়েছি। বর্তমানে সংস্থার লোকজন কার্যক্রম গুটিয়ে আত্মগোপনে আছেন। রবিবার সকালে আব্দুল মান্নানকে পেয়ে গ্রাহকরা আটকিয়ে গণধোলাই দেয়।’

সংস্থার সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া টাকা মাঠেই পড়ে আছে। যারা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তারা টাকা ফেরত দিচ্ছে না। মাঠ থেকে টাকা উঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। টাকাগুলো উঠে এলেই গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

স্থানীয় গনেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে গ্রাহকরা আমানতের টাকা ফেরতের জন্য আমার কাছে অভিযোগ দিয়ে আসছিল। পর্যায়ক্রমে টাকা ফেরতের অঙ্গীকারও করেছিলেন সংস্থার সভাপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা। এ অবস্থায় আজ তাকে ধরে গণধোলাই দেয় গ্রাহকরা।’

মান্দা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহকের টাকা আটকে রাখা সঠিক হয়নি। আমানতের টাকা ফেরত পাওয়া গ্রাহকের ন্যায্য অধিকার।’

এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। তবে,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এরই ধারাবাহিকতায়, ভারতের বিজেপি সংসদ সদস্য নিশিকান্ত দুবে বাংলাদেশকেও পানি সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানায়, পেহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এ সময়ে, নিশিকান্ত দুবে বাংলাদেশের পানি সরবরাহও বন্ধ করার দাবি তুলেছেন এবং ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানি চুক্তিকে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই চুক্তি ছিল কংগ্রেস সরকারের একটি ভুল সিদ্ধান্ত, যা এখন সংশোধন করার সময় এসেছে।

দুবে আরও দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে লস্কর-ই-তৈয়বার সম্পর্ক রয়েছে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক রোধ করতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত আরও সুরক্ষিত করার প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে দেওয়া বক্তব্যের কথা, যেখানে তারা বাংলাদেশকে পানি সরবরাহ বন্ধ করার পক্ষে কথা বলেছেন।

পেহেলগাম হামলার পর ভারত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা বাতিল, বাণিজ্য স্থগিত করা এবং বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা অন্তর্ভুক্ত। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতীয়দের জন্য ভিসা বন্ধ করেছে এবং ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ