বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ভুক্তভোগী নারী দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা।
পারিবারিক কলহে স্বামীর সঙ্গে তার যোগাযোগ বন্ধ ছিল। সেই সুযোগে ফেসবুকে পরিচয় হয় কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর শামীম হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে। নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে শামীম তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের আশ্বাস দেন।
প্রেমের এই প্রলোভনে পড়ে গত ৫ মার্চ বিকেলে ১৫ মাসের শিশু সন্তান ও স্বামীর গচ্ছিত ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়েন গৃহবধূ। শামীমের কথায় তিনি কাউনিয়ার সারাই ইউনিয়নের ধুমেরকুঠি এলাকায় পৌঁছান। সেখানে এক অজ্ঞাত যুবক তাকে একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায়। রাত গভীর হলে সংঘবদ্ধভাবে তাকে ধর্ষণ করা হয় এবং তার সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ১৭ এপ্রিল হারাগাছ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে পুলিশ। ১৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে শামীম ও আজম আলীকে এবং ১৯ এপ্রিল ধুমেরকুঠি থেকে সিয়াব বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জানান, ঘটনার পরদিন তার স্ত্রী একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে তাকে বিস্তারিত জানান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানকে উদ্ধার করেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
হারাগাছ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং মামলার তদন্তে আরও অগ্রগতি হচ্ছে।
