ভূট্টা ক্ষেতে পড়েছিল শিশুর লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা

ছবি: সংগৃহীত
পাবনার চাটমোহরে ভয়াবহ ও হৃদয়বিদারক একটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায়। উপজেলার রামপুর বিলের একটি ভূট্টা ক্ষেত থেকে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে জুঁই খাতুন (৬) নামের এক শিশুর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহের মুখমণ্ডলে ছিল পোড়া ও ক্ষতবিক্ষত চিহ্ন, গলায় প্যান্ট পেঁচানো ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
নিহত শিশু জুঁই নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। সে গাড়ফা আজেদা নূরানী কিন্ডার গার্ডেন মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেলে জুঁই তার দাদার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা রামপুর বিলের একটি ভুট্টা খেতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। শিশুটির গায়ে কোনো কাপড় ছিল না, মুখে ছিল দাহ্য পদার্থে ঝলসানোর চিহ্ন এবং তার পড়নের প্যান্ট গলায় পেঁচানো ছিল।
নিহত শিশুর মা মমিনা খাতুন বলেন, "মেয়েটা প্রায়ই দাদার বাড়ি যেত। কিন্তু গতকাল রাতে যখন খোঁজ নেই, তখন জানতে পারি সে সেখানে যায়নি। সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। আজ সকালে লাশ পাওয়া গেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।"
দাদি জহুরা খাতুন বলেন, "নিজে খুঁজতে বেরিয়ে ভুট্টা খেতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। আমি এই ঘটনার জন্য দোষীদের ফাঁসি চাই।"
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান,"শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।"
ঘটনার পর চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরজুমা আক্তার, চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম এবং বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এখন পর্যন্ত শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বা পুলিশ কেউই নিশ্চিত নয় কে বা কারা এই নৃশংস ঘটনার সাথে জড়িত। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুতই ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
