যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বালু উত্তোলন কাঝে ব্যহৃত জব্দকৃত ভেকু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল অসাধু একটি মহল। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বুধবার বিকালে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সিরাজকান্দি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম।
এসময় বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের কারাদন্ড দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভ্রাম্যামাণ আদালত। আটককৃতদের মধ্যে ৫ জনকে এক মাস করে এবং ২ জনকে ৭দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৪টি ভেকু (মাটিকাটার যন্ত্র) ও নগদ ২৮ হাজার ৮৫০টাকা জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে কারাদন্ডপ্রাপ্তদের টাঙ্গাইল কারাগারে প্রেরণ করে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। দুপুরে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সিরাজকান্দী গ্রামের মৃত সাত্তার মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া (৩৬), একই গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আক্তার (৩৬), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে সুমন (৩০), মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে দিলদার হোসেন (৬০), একই গ্রামের ওসমান (৪০) ও আবুল কাশেম (৪৮) এবং একই ইউনিয়নের পলশিয়া গ্রামের মৃত অহম আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫)।
জানা গেছে, যমুনা ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন সিরাজকান্দী এলাকায় যমুনা নদীতে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলণ করে ট্রাকযোগে বিক্রি করছিল একটি মহল। এ খবর পেয়ে গত বুধবার বিকালে অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী। এতে বালু উত্তোলনে জড়িত ৭ জনকে আটক করা হয়। এসময় ২৮ হাজার ৮৫০টাকা ও ৪টি ভেকু জব্দ করা হয়।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, উপজেলার সিরাজকান্দী এলাকায় যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে বুধবার অভিযান পরিচালনা করে ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে বৃহস্পতিবার সকালে কারাদন্ডপ্রাপ্তদের টাঙ্গাইল কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে সিরাজকান্দী এলাকায় যমুনা নদীতে বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির দায়ে ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে এবং নগদ ২৮ হাজার ৮৫০ টাকাসহ ৪টি ভেকু (মাটিকাটার যন্ত্র) জব্দ করা হয়। এ ধরণের অভিযান নিয়মিত চলমান থাকবে।
