রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৮

‘কত রাজপথ জনপদ ঘুরেছি, সাতটি যে পৃথিবীর বিস্ময়...’ সেই সাত বিস্ময়ের দুটিই মিশরে। এই সাত আশ্চর্যের প্রথমটি এবং এখন পর্যন্ত টিকে থাকা একমাত্র নিদর্শন গিজার পিরামিড দেখা হয়ে গেছে। অন্যটি আলেক্সিন্দ্রিয়ার বাতিঘর প্রবল ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ বছর আগে। কিন্তু এখনো প্রতি বছর অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক উত্তর মিশরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, বন্দর নগরী আলেক্সান্দ্রিয়ায় আসেন বিশ্বখ্যাত লাইব্রেরি আর নিশ্চিহ্ন বাতিঘরের শহরে।

আমরাও ভোরবেলা রওনা দিয়েছি কায়রো থেকে। গাড়ির ড্রাইভিং সিটে সৌরভ, তার পাশে রানা ভাই, পেছনে আমি আর হেনা। দিনটা বৃহস্পতিবার বলে রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটে সাত সকালে শহর থেকে বেরোবার মুখেই বেশ কয়েকবার আটকাতে হলো। সৌরভ নিজে গাড়ি চালিয়ে বেশ কয়েকবার আলেক্সান্দ্রিয়ায় গেছে, কাজেই পথঘাট তার চেনা। কায়রোর ছাড়িয়ে কিছুটা এগোবার পরে হাইওয়েতে উঠে যাবার জন্যে গাড়ি ঘুরিয়ে বিকল্প পথে শহরতলীর একটি আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়ল সৌরভ। এরপার চেনা পথ অচেনা হতে হতে পথ হারিয়ে এক সময় আমরা একটা বাগানবাড়ি কিংবা কারখানার গেটের সামনে এসে থেমে গেলাম। এখান থেকে বেরোবার কোনো পথ নেই। সৌরভ নেমে দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করলে সে আকারে ইঙ্গিতে একটা রাস্তা দেখিয়ে দিল। গাড়ি ঘুরিয়ে খানিকটা কাঁচা রাস্তা, কিছুটা ভাঙাচোরা পথে এগিয়ে যেখান থেকে হাইওয়ে ছেড়েছিলাম তার কাছাকাছি একটা জায়গায় পৌঁছালাম। তবে ততোক্ষণে রাস্তায় যানজট একটু কমেছে, আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা রোড সাইড রেস্টুরেন্টে এসে দাঁড়ালাম।

       পথে পথে অসংখ্য মসজিদ

কায়রো থেকে হালকা চা- নাশতা খেয়ে বেরিয়েছিলাম। কাজেই পথের পাশের রেস্তোরাঁর ভেতর থেকে ব্রেকফাস্ট হিসাবে ক্রসো এবং বেশ বড় একটা কফি মগ হাতে নিয়ে সত্যিই পথের ধারে এসে বসলাম। পাশ দিয়ে হুশ হাশ করে গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রশস্ত ফুটপাথে ঘাসের মতো সবুজ কার্পেটে পাতা টেবিলে বসে নাশতা শেষ করলাম। তারপরে আবার উত্তরমুখি ছুটতে থাকা। শহরের বাইরে পথের পাশে ম্যাডোনাল্ডস বা কেএফসির মতো খাবারের দোকান থাকতেই পারে। কিন্তু এতো দূরে ক্যারিফোর, নাইকি এবং এইচ অ্যান্ড এম-এ জুতা, ছাতা, জামা-কাপড় কিনতে কারা আসে ভেবে পাই না। মাঝে মাঝে খেজুর বাগান আর ছোট ছোট জনপদের ফাঁকে পথের দুপাশেই চোখে পড়ে একের পর এক মসজিদ। প্রতি কিলোমিটারে জনমানুষহীন রাস্তার ধারে গোটা কয়েক সুদৃশ্য মসজিদ দেখে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক— এত মসজিদে নামাজ পড়ে কারা! 

         আলেক্সান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

মসজিদগুলোর নির্মাণ শৈলী এবং বহিরাঙ্গণের রঙের তফাৎ থাকলেও প্রায় প্রতিটি মসজিদেই রয়েছে একটি করে গম্বুজ এবং একটি মিনার। একাধিক গম্বুজ বা তিন চারটি মিনার বিশিষ্ট মসজিদ যে নেই তা নয়। এ ছাড়া সুনির্মিত সুদৃশ্য তোরণযুক্ত মসজিদও দেখা গেল বেশ কয়েকটি। যারা ঢাকাকে মসজিদ নগরী এবং বাংলাদেশকে মসজিদের দেশ মনে করেন, তারা নিশ্চয়ই কায়রো শহরের অলিগলিতে পা রাখেননি এবং মিশরে শহরাঞ্চলের বাইরে কোথাও যাবার সুযোগ তাদের হয়নি। কয়েকটি মসজিদের সামনের তোরণে কয়েকটি ঘোড়ার মূর্তি দেখে মনে হলো ইসলামে যে মূর্তি নির্মাণ হারাম তা হয়ত এদেশের মানুষ এখনো জানে না। এইসব মসজিদ, ছোট দুই একটি শহর এবং অসংখ্য খেজুর বিথী দেখতে দেখতে এবং গাড়ির সিডি প্লেয়ারে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনতে শুনতে আমরা এক সময় আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে এসে পৌঁছলাম।    

      লাইব্রেরির বৃত্তাকার দেয়াল

মিশরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সাতটি আশ্চর্যের অন্যতম বাতিঘর ছাড়াও ঐতিহাসিক লাইব্রেরির জন্য খ্যাত আলেক্সান্দ্রিয়া ছিল প্রাচীন পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এই শহর এক সময় জ্ঞান-বিজ্ঞান, বুদ্ধিবৃত্তি ও সুকুমার কলার চর্চায় গ্রিসের এথেন্সকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে শোনা আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটের নামে যে শহরের নাম সেই আলেক্সান্দ্রিয়ায় আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছাবার কথা থাকলেও আমাদের সময় লেগেছে সাড়ে তিন ঘণ্টা। সমুদ্র নগরীতে প্রবেশের পথেই চোখে পড়ে হাতের ডান দিকে ভূমধ্যসাগরের নিস্তরঙ্গ নীল জলে ভেসে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট নৌযান। সমুদ্রের ঢেউ থেকে শহর রক্ষার জন্যে তৈরি প্রকাণ্ড পাথরে বাধানো বাঁধের এ পাশের প্রশস্ত ফুটপাথের উপর কংক্রিটের রেলিংয়ে তরুণ তরুণীরা বসে আড্ডা দিচ্ছে। বেলা এগারোটায় কড়া রোদে সমুদ্র তীরে দীর্ঘ সারিতে তরুণ-তরুণীদের জমায়েত একটু বিসদৃশ্য মনে হচ্ছিল। তবে একটু পরেই বিবলোথিক আলেক্সান্দ্রিয়া, অর্থাৎ আলেক্সান্দ্রিয়া গ্রন্থাগারের সামনে এসে দাঁড়ালে গাড়ি থেকে নেমেই দেখলাম উল্টো দিকে ইউনিভার্সিটি অব আলেক্সান্দ্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো কাছে সমুদ্র থাকতে তরুণ-তরুণীরা রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেতে আড্ডা দেবে না এটাই স্বাভাবিক।

         দেমিত্রিয়াস ফলেরিয়াস

নগরকেন্দ্রের একটা চমৎকার অবস্থানে প্রাচীন বন্দরের কাছাকাছি গড়ে তোলা হয়েছে নতুন বিবলিওথিকা আলেক্সান্দ্রিয়া। শুরুতে আমাদের পরিকল্পনা ছিল হোটেলে লাগেজ রেখে হাত মুখে পানি দিয়ে লাইব্রেরিতে আসব। কিন্তু বৃহস্পতিবারে দর্শনার্থীদের জন্যে লাইব্রেরির দরজা বন্ধ হয়ে যাবে বিকেল সাড়ে তিনটায়। দেরিতে ঢুকে বিশাল লাইব্রেরি ঘুরে দেখার যথেষ্ট সময় নাও থাকতে পারে। সেই কারণে চেক-ইনের আগেই আমাদের তিনজনকে লাইব্রেরি ভবনের সামনে নামিয়ে দিয়ে সৌরভ হোটেলে চলে গেল। হোটেলের রুমে বসেই সে অফিসের কাজে করবে অনলাইনে। আমরা পাঠাগার পরিভ্রমণ শেষ করে হোটেলে ফিরে লাঞ্চ করব। চত্বরের বাইরে কয়েকটি কাউন্টারে টিকেট বিক্রি হচ্ছে। লাইব্রেরিতে প্রবেশের জন্য নন-ইজিপ্টশিয়ানদের দিতে হবে ৭০ পাউন্ড অর্থাৎ সোয়া চারশ টাকা। দুই হাজার দুইশ সাতষট্টি বছর আগের একটা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের জন্যে চার পাঁচশ টাকা খুব বেশি নয়। লাইব্রেরি চত্বরে প্রবেশের আগেই ভবনটির দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য দৃষ্টি আকর্ষণ করল। বাইরের দেয়াল জুড়ে বিশাল বৃত্তাকার কাঠামো স্থাপত্য শিল্পের একটি ভিন্ন ধরনের নিদর্শন। এই বিস্তৃত কাঠামোর পাথুরে দেয়ালের প্রতিটি ব্লকে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার অক্ষরের কিছু লেখা খোদাই করা। রানা ভাই  আগেও একবার আলেক্সান্দ্রিয়ার লাইব্রেরিতে এসে গেছেন। বললেন, ‘এখানে বাংলা অক্ষরে লেখাও দেয়ালে খোদাই করে রাখা আছে। অগণিত ভাষার ভেতর থেকে বাংলা খুঁজে বের করা সম্ভব হলো না। দেখলাম দলে দলে শিক্ষার্থী, পর্যটক, দর্শনার্থী ভবনে ঢুকে পড়ছে। আগেই জেনেছিলাম প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিনশ পর্যটক লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে পারেন। যদিও টিকেট কেনা হয়ে গেছে, তারপরেও যদি কোনো কারণে আটকে দেয়! অতএব বাইরের অংশ পরেও দেখা যাবে ধরে নিয়ে আমরা নিরাপত্তা ফটক পার হয়ে মূল ভবনে ঢুকে পড়লাম।   

       লাইব্রেরির একাংশ

লাইব্রেরির সংগ্রহশালায় প্রবেশের আগে পুরো লাইব্রেরি চত্বর ও ভবনের মডেল দেখে এর স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য বুঝতে চেষ্টা করি, দেয়াল জুড়ে সুদৃশ্য ধাতব মুর্যালের কারুকাজ দেখি। ভবনটি নতুন করে নির্মাণের পরে প্রেসিডেন্ট হুসনী মোবারক উদ্বোধন করেছিলেন ২০০২ সালের ১৬ই অক্টোবর। উদ্বোধনী স্মারকে The whole world celebrated with Egypt and her President, the rebirth of the library to be a beacon of knowledge and home to meeting and dialogue between people and culture, লেখাটি নিঃসন্দেহে সুচিন্তিত ও গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিই তো হুসনী মোবারককে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করলেও তার সময়কালেই বিবলিওথিকা আলেক্সান্দ্রিয়ার পুনর্জন্ম ঘটেছে সে কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।  

       লাইব্রেরিতে বইয়ের সারি

উদ্বোধনী ফলক ছাড়াও প্রবেশ পথের পাশে রয়েছে শ্বেত পাথরে তৈরি দেমিত্রিয়াস ফালেরিয়াসের প্রমাণ সাইজের মূর্তি। খ্রিস্টের জন্মের শ তিনেক বছর আগে এথেন্সের কবি দার্শনিক ও বক্তা দেমিত্রিয়াস ছিলেন জ্ঞানে ও শিক্ষায় সমৃদ্ধ অপ্রতিদ্বন্দ্বী একজন মানুষ। এ ধরনের মানুষের শত্রুর অভাব হয় না। তাই তাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল প্রথমে থিবস নগরী অর্থাৎ বর্তমানের লুস্করে। পরে তিনি আলেক্সান্দ্রিয়ায় এসে একটি জ্ঞান ভান্ডার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেটিই পরবর্তীকালে হয়ে ওঠে বিশ্বনন্দিত গ্রন্থাগার। একজন প্রজ্ঞাবান কাজের মানুষ নির্বাসিত জীবনেও যে অবদান রেখে গেছেন আড়াই হাজার বছর পরেও তার স্বীকৃতি স্বরূপ বিবলোথিক আলেক্সান্দ্রিয়ার প্রবেশ পথেই শ্বেতপাথরের ভাস্কর্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।  লাইব্রেরির ভেতরে প্রথমেই এর বিশালত্ব একটা চমক সৃষ্টি করে। উপরের স্তর থেকে নিচে বাঁ দিকে তাকিয়ে দেখি কয়েকটি স্তরের সবচেয়ে নিচের স্তরে সারি সারি চেয়ার টেবিল সাজানো, তার উপরের একটি স্তরে সাজানো টেবিলগুলোর প্রত্যেকটিতে একটি করে ডেস্কটপ কম্পিউটার। তবে এখানে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা তেমন বেশি নয়। তারও উপরের একটি স্তরে ছাপাখানার বিবর্তনের ইতিহাস হিসাবে প্রদর্শিত হচ্ছে কয়েকশ বছরের পুরোনো কয়েকটি মুদ্রণযন্ত্র। প্রত্যেক স্তর থেকেই উপরে বা নিচের স্তরে যাবার জন্যে চারিদিকে রয়েছে অনেকগুলো সিঁড়ি।   

     শেক্সপিয়ার বেঞ্চ

আমরা পিনপতন নীরবতার ভেতর দিয়ে ডান দিকে এগিয়ে যাই। ডান দিকের স্তরগুলোতে সারি সারি তাকে অসংখ্য বই সাজানো। একটা দীর্ঘ করিডোরের ডান পাশে বইয়ের তাক আর অন্য পাশটা রেলিং দিয়ে ঘেরা, যার নিচেই আরেক স্তরের পাঠক সমাবেশের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে টেবিল। করিডোরের শুরুতে হলুদ ফিতা টানিয়ে নিষেধাজ্ঞা ঝুলছে, দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। অতএব আমরা করিডোর ধরে না এগিয়ে সিঁড়ি বেয়ে আরও উপরে উঠে যাই। এখানে শুরুতেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেক্সপিয়ারের নাম লেখা একটি বিশাল খোলা বই। বইটি আসলে একটি বেঞ্চ, দর্শণার্থীরা ক্লান্ত হয়ে পড়লে বসে পড়তে পারেন। আমরা ক্লান্ত হলেও একটা খোলা বইয়ের উপর বসে পড়াটা কেন যেন আমাদের সংস্কারের সঙ্গে মানায় না, তাই এই স্তরের করিডোর ধরে এগোতে থাকি। একের পর এক লেখক কবি নাট্যকারের আবক্ষ মূর্তি চোখে পড়ে বিভিন্ন স্তরে, করিডোরের কোণায় এবং পথের বাঁকে। দ্বাদশ শতকের আজারবাইজানের কবি নিজামী গাঞ্জাভি, গ্রিক কবি সি পি ক্যাভাফি এবং হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডরসনের মতো খ্যাতিমানদের পাশাপাশি একমাত্র ভারতীয় হিসাবে জায়গা করে নিয়েছেন মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী! গান্ধীজী কাব্যকলা কিংবা সাহিত্য সংস্কৃতিতে কী অবদান রেখেছেন আমার জানা নেই, তবে ভারত সরকার রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য না পাঠিয়ে প্রতিনিধি হিসাবে গান্ধীজীকে পাঠিয়ে দিয়েছে। বলে রাখা ভালো, এখানে প্রদর্শিত প্রায় সব শিল্পকর্মই সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের উপহার। 

      কবি নিজামী গাঞ্জাবি

এই গ্রন্থাগারের এগারোতলা ভবনে চল্লিশ লক্ষ বই ভবনটিতে সাজিয়ে রাখা সম্ভব, আর সংরক্ষণের জন্য রাখা যাবে আশি লক্ষ পর্যন্ত বই। কিন্তু বর্তমানে লাইব্রেরির দুটি শাখায় নয় লক্ষ পুস্তকের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নানা ভাষার বই থাকলেও বাংলা ভাষায় রচিত কোনো বই নেই। রানা ভাই কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে জানালেন, লাইব্রেরির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের সঙ্গে বসে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, বাংলা ভাষায় লেখা বাংলাদেশি বা ভারতীয় কোনো বই তাদের সংগ্রহে নেই। তবে বাংলাদেশ সরকার বা জাতীয় গ্রন্থাগারের মতো প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কোনো ব্যক্তি যদি বই পাঠাতে চান তাহলে তা সাদরে গৃহীত এবং সংরক্ষিত হবে। বই পাঠাবার নিয়ম-কানুন রানা ভাই জেনে এসেছেন এবং তার নিজের ও আমার লেখা কয়েকটি বই পাঠিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে এসেছেন। 

আলেক্সান্দ্রিয়ার আড়াই হাজার বছর আগের গ্রন্থাগারের ভেতরে ঘুরতে ঘুরতেই ভাবছিলাম আমাদের ন্যাশনাল লাইব্রেরি এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকাশকদের তদবিরের বই, আমলাদের বই এবং ভাগ বাটোয়ার বই পুস্তক কিনেই সময় এবং অর্থের সংকুলান করতে পারেন না, তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বইপত্র সম্পর্কিত বৈদেশিক বিষয়ের খোঁজ-খবর নেবেন কখন! 

চলবে...    

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৭ 

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক