রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৪

নেই দেশের নাগরিক

“কীসের বাড়ি? বাড়ি থাকলেই তো যাবি?” সাদ্দাম চ্যাটাং করে ওঠে।
“বাড়ি থাক না থাক, জন্মেছি যখন তখন জন্মভিটে। সে ঘাটই হোক আর মাঠই হোক। আর জন্মভিটের টান কি কেউ কখনো অস্বীকার করতে পারে?”
“সব টানই একদিন বাসি হয়ে যায়, যদি মাঝে বাধা এসে পড়ে। সে বাধা প্রকৃতিরও হতে পারে। আবার মানুষেরও হতে পারে।“
“কিছু টান কখনই বাসি হয় না, বন্ধু। এই যেমন রক্তের টান, নাড়ির টান ঠিক তেমনই জন্মভিটের টান।“ কথায় আবেগ ঝরে পড়ে আতিফের। চোখমুখ নষ্টালজোয়িক হয়ে ওঠে। বেখেয়াল মনে এসে নাড়া বাঁধে আপনজনের স্মৃতি। জন্মভিটের বাৎসল্য। শিকড়ের বাঁধন।
“বাধা কোথায় নেই? এই যেমন দেখ, স্রোত কীভাবে বাধা সৃষ্টি করছে।“
“এত বাধা বাধা করছিস কেন বলতো? তুই কিন্তু আমার কাছে কিছু লুকোচ্ছিস।“ সাদ্দামের দিকে চোখ ঘোরায় আতিফ।
“ওই যে বললাম, বাধা।“
“খুব দেখছি হেঁয়ালি শিখেছিস। কথায় কথায় প্যাঁচ। সত্যি করে বল তো, বিজিবির নয়াপাড়া সীমান্ত চৌকির ভেতরে কী ঘটেছে? তোর হাবভাব দেখে তখন থেকেই একটা সন্দেহ হচ্ছে। মেজর মহম্মদ আসলামের সাথে নিশ্চয় কিছু একটা ঘটিয়েছিস। তুই বললি, উনি দুটো জিনিসের একটা ছাড়া এতটুকুও মচকান না। হয় টাকা অথবা মেয়ে। কিন্তু তুই তো ওসব কিছু না নিয়ে গিয়েই, ওরকম দুঁদে সেনাঅফিসারকে পটিয়ে ফেললি! আমার তো অবাক লাগছে। কী করে উনাকে রাজি করলি বল তো? ব্যাপারটা জানার জন্যে আমার মন তখন থেকে উসখুস উসখুস করছে। তোকে এক-আধবার জিজ্ঞেসও করলাম। তুই এড়িয়ে গেলি। কথাটাকে অন্য কথা দিয়ে চেপে দিলি। এবার সত্যি কথাটা খুলে বল তো।“
“সব সমাধানের শেষ সমাধান।“ সাদ্দামের ঠোঁটে রহস্যের হাসি।
“মানে!” গাল টুস্কে চোখ ছোট করে বলল আতিফ।
“মানে, খুন।“ ফট করে বলল সাদ্দাম।
“খুন!” ঘাড় ঘুরিয়ে আশপাশ দেখল আতিফ। পেছনে চৌকির পাঁচিল পর্যন্ত দৃষ্টির জরিপ ফেলল। কেউ পেছনে তাড়া করে আসছে না তো!
“হ্যাঁ, খুন, শেষমেশ ওটাই করতে বাধ্য হলাম।“ জিভ দুমড়ে কথা বের করে দিল সাদ্দাম। তারপর চোখ বড় করে বলল, “উপায় ছিল না। খুনটা না করলে হয়ত বোটটা পেতাম না।“
“কিন্তু, তুই কাকে খুন করলি?” থুতনি উপরে তুলল আতিফ।
“যাকে না খুন করলে, কাজ হাসিল হতো না, তাকে।“
“মানে, মেজর মহম্মদ আসলামকে!”
“হ্যাঁ, মালটাকে একেবারে জানে মেরে দিয়েছি।“
“কিন্তু কেন?”

“আরে মালটা কোনোমতেই রাজি হচ্ছিলেন না, বার বার বলছিলেন, ওই খাড়া দুধওয়ালী মেয়েটাকে নিয়ে আয়। ওর বুকটায় একবার নাক ডুবিয়ে চাটি। শালার, মেয়ের উপর চরম নেশা। ওর প্রত্যেক রাতে একটা করে নতুন মেয়ে চাই-ই চাই। রোহিঙ্গা মেয়ে হলে, আরও ভালো। রোহিঙ্গা মেয়েদের শরীরে উনি নাকি জান্নাতের সুখ পান। আমি যতই বলছি, ও মেয়েটা পাচার হয়ে গেছে, ও কথা কানই করছিলেন না! একই কথা ঘ্যানর ঘ্যানর করে যাচ্ছিলেন। আসলে মালটা, মদে চুর হয়েছিলেন। বাইরের কোনো কথাই ওর কানে ঢুকছিল না। আমি এত করে বললাম, আপনাকে আগামীকাল অন্য একটা খাসা মেয়ে এনে দেব, ও সেসব গ্রাহ্যই করলেন না। উল্টে আমাকে লকআপে পুরে দেওয়ার ভয় দেখাতে লাগলেন। শেষে আমার মাথাটা আর থির থাকল না। মাথায় বিগেড় উঠে গেল। রাগে ঝিনঝিন করতে লাগল। ধীরে ধীরে আমার দাঁত নেকড়ের দাঁত হয়ে উঠতে লাগল। আমার নখে এসে জুড়তে লাগল, হায়েনার নখ। আমার চোখ হয়ে উঠতে লাগল জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মুখ। বেরিয়ে আসতে লাগল গনগনে লাভা। আমার মাথা তখন শূন্যে ভাসছে। মাথার ঘেলু বলছে, মার, মার, মার শালাকে। ভেতর থেকে কে যেন বলছে, যে রোহিঙ্গা মা-মেয়েদের শিয়াল কুত্তার মতো ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়, তাকে এখনো জানে বাঁচিয়ে রেখেছিস? কলিজা চিপে জানটা বের করে নে। জিভটা ছিড়ে কুকুরকে খাইয়ে দে। আমি তখন ক্ষোভে পড়পড় করে পুড়ছি। খবিস অফিসারটাকে তখন চোখের সম্মুখে কোনো মানুষ মনে হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, একজন ইবলিশ। উর্দির ভেকধারী একটা রাক্ষস। এক্ষনি চিবিয়ে খাই। পেটের মধ্যে ভুজালিটা চালিয়ে দিয়ে এফোঁড় ওফোঁড় করে দিই। বন্দুকের নলটা নলীতে ঠেকিয়ে, ‘ভড়াম’ করে ট্রিগারটা টিপে দিই। তারপর পরনের কাপড়টা খুলে ফেলে দিয়ে, যৌনাঙ্গটাতে ভ্যাকাম করে লাথি মারি। কলসা টিপে মুখ ফাঁক করে ছ্যাচ্ছ্যাড় করে মুতে দিয়ে বলি, খা, এবার খা, রোহিঙ্গার মুত খা, এতদিন শরীর খেয়েছিস, এবার মুত খা। তারপর ঘ্যাঁচ করে ভুজালি দিয়ে গলাটা জবাই করে মুণ্ডুটা আলাদা করে দিই।“

“তুই বলছিস কী!” চোখ কপালে আতিফের।
“হ্যাঁ, দিলামও তাই। পাশের টেবিলে রাখা তার ভুজালি দিয়েই তার গলাটা কেটে দুই ভাগ করে দিলাম। অবশ্য তার আগে নিজের কাজটা হাসিল করে নিলাম। গলায় ভুজালি ধরে, বোট ম্যানেজারকে একটা ফোন করিয়ে নিলাম। ওর মুখ দিয়ে আমার মুখের কথা বলিয়ে নিলাম। মালটা কুঁত পেরে পেরে বোট ম্যানেজারকে আমার নাম করে বললেন, একটা স্পিডবোট দিয়ে দিতে। বোট ম্যানেজার আমার আগে থেকেই চেনা। এর আগে অনেকবার ওর কাছে এসেছি। সেসবই অবশ্য মেজর আসলামের দৌলতে। ফোনে কথা বলে শেষ হলেই, মালটাকে পরলোকে পাঠিয়ে দিলাম। গালি দিয়ে বললাম, যা এবার জাহান্নামের আগুনে পুড় গা।“
“জানে না মারলেও তো পারতিস?” একবার ঘুঘুপাখির মতো পেছনে তাকিয়ে বলল আতিফ।
“তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে! এত কিছুর পর ওঁকে বাঁচিয়ে রাখা মানে, সাক্ষাত আজরাইলকে কাঁধে চাপিয়ে নেওয়া। মনে রাখিস, আহত বাঘ সব থেকে ভয়ংকর! একটু সুযোগ পেলেই ‘হালুম’ করে উঠবেই।“
“কিন্তু, এতে তো তোর আগামী দিনে এখানে টিকে থাকা মুশকিল হবে। বিজিবি তো সব জেনে যাবে। তুই যেহেতু ওদের চেনা লোক, ফলে তোর এখানে গোপন করে থাকাও মুশকিল হবে।“
“সে, দেখা যাবে, আগে চাচাদের তো উদ্ধার করি।“ বোটের স্পিড আরও বাড়িয়ে দেয় সাদ্দাম।

হাঙর মাছের মতো সাঁ সাঁ করে ছুটে চলে বঙ্গোপসাগরের দিকে। রাত পাড় থেকে উধাও হলেও নদীতে সাদা কুয়াশার জাল বিছিয়ে শেষ তল্পিতল্পা গুটোচ্ছে। শেষ ভোরের হলুদ আলো দিগন্ত থেকে ঠিকরে পড়ছে নদীর থলথলে বুকে। দূরের হলুদাভ দিগন্ত যেন নদী থেকে ঝুপ মেরে স্নান সেরে উঠছে। রঙিন দিগন্ত মাথা ঝুকে নদীর সাথে যেন ফিসফিস করে কী সব কথা বলছে। একটা দুটো পাখি ডানা মেলে আকাশ ফুঁড়ে মিশে যাচ্ছে আকাশের নীলে। নদীর পুবপারে টহল দিচ্ছে মায়ানমার সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর ট্রলার। সেনাবোট। সেসবের মাথায় পতপত করে উড়ছে মায়ানমারের জাতীয় পতাকা। আতিফ একবার পূর্বপারে চোখ ফেলছে আবার একবার সুচের মতো কুয়াশা ভেদ করে দৃষ্টি হাংছে দূরের নৌকোসারির দিকে। দুদিকই তাকে হুহু করে টানছে। একদিকে জন্মভূমি আর একদিকে আপনজন। শূন্য নদীর ওপরে এক সব হারানো সন্তান, জীবন থেকে ছেড়ে যাওয়া জীবনকে পাওয়ার তাড়নায় হন্যে হয়ে ছুটছে। চোখে দেখে মনে হচ্ছে, সবই হাতের নাগালের মধ্যে, হাত বাড়ালেই পাওয়া যাবে। কিন্তু, সেসব অনেক দূর। মন থেকে এতটুকু দূর না হলেও, হাতের স্পর্শ থেকে কয়েক চীন দূরে। ওই যে সারি সারি রোহিঙ্গা নৌকো কলোনি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে নদীর উপর, তার মধ্যে আদৌ কি তাদের বাড়ির নৌকোটা আছে? ওই যেমন দূরের জন্মভূমি থেকেও নেই, ঠিক তেমনই ‘ঘাট বাড়ি কৌশা’ নৌকোটা না থাকতেও তো পারে। অথবা নৌকোটা হয়ত আছে, কিন্তু নৌকোর সওয়ারিগুলো হয়ত আর কেউ বেঁচে নেই! আশ্বিনের ঝড়ে জলের রাক্ষুসে স্রোতে ভেসে অচীনদেশে চলে গেছে!
“ডানদিক স্লো করে চল।“ ডানদিকের পাড়ে থোক থোক কিছু নৌকো দাঁড় করানো দেখে আতিফ সাদ্দামকে সেদিকে স্পিড বোটটা নিয়ে যেতে বলল। তারপর প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে, নবীকে একটা ফোন লাগাল।

এ ফাঁড়া স্বয়ং আল্লাহ নিজে হাতে বাঁচিয়ে দিলেন। তা না হলে যেভাবে হুমড়ি খেয়ে জলে পড়েছিল নুহু তাতে জানে বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনায় ছিল না তার। আসলে, রাখে খোদা মারে কে। তবে মতির কাছে আচ্ছা ঝাড় খেল নুহু।
নুহু কাকভেজা গায়ে হলহল করে হালতে হালতে তিড়বিড় করে না উঠলেও, বিড়বিড় করে বলেছিল, ঝড়টা কি আমি ফুঁ দিয়ে বানালাম? না আমি মেঘ কেটে বৃষ্টি আনলাম? হাওয়াটা কোথা থেকে জট পাকিয়ে বাউন্ডুলে হয়ে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মতো ধেয়ে এল তো আমি কী ল্যাওড়া করব? আমি কি আল্লাহর ফেরেশতা যে হাত দিয়ে আটকে দেব? না, আল্লাহর নবী মুসা, যে লাঠি উঁচিয়ে পাগলা ঝড়কে বলব, এই থাম, আর অমনি ঝড়টা থেমে যাবে? নুহুর একটা পা কোনোমতে নৌকোর তলার খাঁচে ভাগ্যিস আটকে গেছিল, না হলে ব্যাচারি জলের তোড়ে ভেসে যেত। জড়িবুটির মতো তার ডানপাটা আটকে না গেলে, সে এতক্ষণে মাছের খাবার হয়ে যেত।

“কোথায় এসেছি রে, কিছুই তো বুঝতে পারছি ন্যা! আশপাশে একটাও নৌকো চোখে পড়ছে না!” ঝড়ে মোচড়ানো নৌকোর চুপসানো দুমড়ানো ছইটাকে বুক দিয়ে ঠেলে খাড়া করতে করতে কুঁত পেরে বলল মতি। নুহু দূরের ঝাপসা একটা জাহাজ দেখিয়ে বলল, “ওই দ্যাখো কত বড় জাহাজ! কালাপানিতে ভাসছে। জাহাজ দেখে মনে হচ্ছে, সাগরের মুখে চলে এসেছি!”
“তাইই হবে, তা না হলে আশেপাশেও কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না, আবার এপারও দেখা যাচ্ছে না ওপারও দেখা যাচ্ছে না! শুধু ধুধু পানি আর পানি!“ একটা বাতাকে দড়ি দিয়ে আচ্ছা করে টাইট দিল মতি। ‘কট’ করে বাঁধনের শব্দ হলো। নুহু দাঁত চিপে একটা বাঁশের চাঁছিকে বেঁকিয়ে ছইয়ের খাঁজে পুরে দিল। চাঁছিটা বাঁধন ছিঁড়ে খাড়া হয়ে বেরিয়ে গেছিল। চাঁছিটাকে ঠেসে পুরতে পুরতে বলল, “তাড়াতাড়ি নয়াপাড়ার দিকে চল, অন্যসব নৌকোর কলোনিতে ভিড়তে হবে। ঠোঙার মতো টিমটিম করে একা পড়ে থাকলে, ত্রাণের কানাকড়িও কপালে জুটবে না! কোনো হেলিকপ্টারের চোখেও সুজবে না। খাবারপানি না পেলে কী করে বেঁচে থাকব? নৌকোয় যা ছিল, তা সবই তো প্রায় ফুরোনোর দিকে।“

চলবে...
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>


নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক