রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত

দেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলার অবকাশ নেই। আমি বরং এভাবে যদি বলি যে, সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীদের কথায় মনে হয়, তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চান এবং সেক্ষেত্রে তারা উদার, মহান। সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীদের ভাষ্য হলো, নির্বাচন বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই হবে এবং তা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে।

আওয়ামী লীগ একটানা কয়েক মেয়াদে ক্ষমতায়। তাদের দাবি, ক্ষমতার ধারাবাহিকতা থাকায় দেশের অনেক উন্নতি করেছে। মানুষের গড় আয় ও আয়ু দুটোই বেড়েছে। মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের বিরোধিতা সত্ত্বেও নিজস্ব অর্থায়নে তারা পদ্মা সেতু করে দেখিয়ে দিয়েছে, ‘আমরাও পারি।’ একইভাবে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জটি নিয়ে দেখাক, তাদের আমলে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনও সম্ভব।

আমরা যা দেখছি, সেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অবস্থা তো দেশে নেই। সবক্ষেত্রে সরকারের অনুগত লোক বসিয়ে রাখা হয়েছে। এরা আদেশ-নিষেধ পালনের জন্য বসে আছে, দায়িত্ব পালনের জন্য নয়। কার্যত ২০১৮-র পরে দেশে নির্বাচন বলে কিছু নেই। শৈশবে পাকিস্তানে আমরা সত্যিকার ভোট দেখিনি, দেখেছি বেসিক ডেমোক্র্যাসি। এখন আমাদের উত্তর প্রজন্মও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত।

১৯৭০ সালে পাকিস্তানে প্রথম ও শেষ সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সামরিক ও বেসামরিক চক্র নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছয় দফা এক দফায় পরিণত হয়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এরপর আমরা একটি গণতান্ত্রিক সংবিধানও পেলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং সমর্থন দিয়েছেন বলেই পদ্মা সেতু নির্মাণে সমর্থ হয়েছি। যারা বাধা দিয়েছিল, তাদের একটা উপযুক্ত জবাব দিয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু করে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী করেছেন, সন্দেহ নেই। স্বাভাবিকভাবে মানুষ চাইবে গণতন্ত্রের ভিতটিও শক্তিশালী হোক।

কীভাবে সেটা সম্ভব? একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। সংবিধান অনুযায়ী জনগণ বাংলাদেশের মালিক। নির্বাচনই হলো সেই মালিকানা নির্ধারণের প্রধান অবলম্বন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন প্রশ্নে সরকার সংবিধানের এক সুতাও বাইরে যাবে না। প্রশ্নটি বাইরে বা ভেতরে যাওয়ার নয়। প্রশ্নটি হলো একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে সরকারের সদিচ্ছা আছে কি না।

রাজনীতিকেরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী সংবিধান, নির্বাচন, গণতন্ত্র, সংসদীয় ব্যবস্থা ইত্যাদির ব্যাখ্যা দেন। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা কোনো আদর্শ উপায় নয়, চোর ঠেকানো। আমরা যখন সত্যিকারভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করতে পারব, তত্ত্বাবধায়কের প্রয়োজন হবে না। যেখানে দলীয় সরকার প্রশাসন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে ইভিএম— সবকিছু নিজের দখলে নেন, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া বিকল্প কী? উচ্চ আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে (যদিও সেই রায়ে দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার কথা বলা হয়েছিল) তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করার পর আওয়ামী লীগেরই দায়িত্ব ছিল দলীয় সরকারের অধীন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখানো। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তারা সেটি পারেনি।

আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৩ বছর একটানা ক্ষমতায়। তাদের দাবি, ক্ষমতার ধারাবাহিকতা থাকায় দেশের অনেক উন্নতি করেছে। স্বল্প আয়ের দেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাচ্ছে। মানুষের গড় আয় ও আয়ু দুটোই বেড়েছে। মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের বিরোধিতা সত্ত্বেও নিজস্ব অর্থায়নে তারা পদ্মা সেতু করে দেখিয়ে দিয়েছে, ‘আমরাও পারি।’ যে দল বিশ্বব্যাংকের বিরোধিতা সত্ত্বেও পদ্মা সেতু করতে পারে, সেই দল কেন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে না? কাজেই একইভাবে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জটি নিয়ে দেখাক, তাদের আমলে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনও সম্ভব।

আনু মুহাম্মদ: অর্থনীতিবিদ

এসএন

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক