রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শিক্ষা ও শিক্ষার্থী: অধিকার, বঞ্চনা ও আন্দোলন

বাংলাদেশে বহু বছর ধরে শিক্ষার অধিকার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন বাংলাদেশে অনেকগুলো গণতান্ত্রিক অধ্যায় তৈরি করেছে। ১৯৬২ সালে শিক্ষার অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন হয়, সে আন্দোলনই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধের সূচনা করেছিল। তার ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামরিক শাসন প্রতিরোধের এক একটা দুর্গ তৈরী হয়েছিল। শিক্ষকরাও জড়িত ছিলেন। শিক্ষার অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়েই তারা বুঝতে পেরেছেন যে, যে রাষ্ট্রব্যবস্থার অধীনে শিক্ষা চলছে, তার পরিবর্তন না করলে শিক্ষার অধিকারও পাওয়া যাবে না। সেজন্য তারা সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন করেছেন এবং এক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান তারই ফসল। ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানে ১১ দফা এই ছাত্র আন্দোলনের মধ্য থেকেই উত্থাপিত হয়েছিল।

এই আন্দোলন দমাতে তখন একটা সংগঠন আইয়ুব খানের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে। তাদের নাম হচ্ছে 'এন.এস.এফ '(ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফ্রন্ট)। যেখানেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে তারা বাধা দিচ্ছিল, যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে, শিক্ষকরা প্রতিবাদ করেছে সেখানেই তারা অত্যাচার নির্যাতন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হলে হলে তারা আতঙ্ক তৈরী করছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. আবু মাহমুদ-এর উপরও তারা আক্রমণ চালিয়েছিল।

স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে সেই এন.এস.এফ এর ধারাবাহিকতার অবসান ঘটবে সেটিই আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বাধীনতার এতোবছর পরেও সেই এন.এস.এফ জীবিত আছে। বিভিন্ন সরকারের সময় এন.এস.এফ বিভিন্ন নামে আবির্ভূত হয় এবং গত ১৪ বছরে যে সরকার রয়েছে, সে সরকারের ছাত্র সংগঠন এন.এস.এফ হিসেবে সবচাইতে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। সমস্ত ধরনের প্রতিবাদে-মানুষের অধিকার, শিক্ষার্থীদের অধিকার , জনগণের অধিকার সেগুলোর উপরে হামলা করা, নিপীড়ন সন্ত্রাসই তাদের প্রধান কাজ। যারা প্রশাসনে থাকে, যারা দখলদার, যারা লুটেরা পুঁজিপতি, যারা নির্যাতক তাদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করা যেন তাদের দায়িত্ব। যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল তার উল্টো যাত্রাই দেখেছি আমরা বিভিন্ন সরকারের সময়ে এবং শিক্ষার ভয়াবহ বাণিজ্যিকীকরণ তার অন্যতম সহযাত্রী।

মুক্তিযুদ্ধের আগে লড়াই করেছে শিক্ষার্থীরা,মুক্তিযুদ্ধের পরেও শিক্ষার জন্য গণতন্ত্রের জন্য সেই আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হয়েছে। আমরা আশির দশকে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন দেখেছি। আশির দশকে এরশাদের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন ষাট দশকের মতোই ছাত্র আন্দোলন দিয়েই শুরু হয়েছিল। ১৯৮৩, ৮৪ সালে আমরা খুবই শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলন বিকশিত হতে দেখি। সেই আন্দোলন গড়ে তোলায় ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পর রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকেই অনুসরণ করেছে। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের আগে সকল ছাত্র সংগঠন মিলে একটা ঐক্যমতে এসেছিল দশ দফার ভিত্তিতে।

১৯৬৯ এর ১১ দফা, ৮০ দশকের ৫ দফা, তারপর ৯০ সালের যে দশ দফা এই সবগুলোর মধ্যেই শিক্ষা সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে, সকল নাগরিক তার আয় যাই থাকুক না কেন শিক্ষায় প্রবেশে তার কোন বাধা থাকবেনা , রাষ্ট্র সেটা নিশ্চিত করবে। কিন্তু গত ৫ দশকে আমরা রাষ্ট্রীয় যাত্রা দেখছি উল্টো। মুক্তিযুদ্ধের আগে যারা ছাত্রনেতা ছিলেন , যারা ১১ দফা দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই পরে মন্ত্রী হয়েছেন, বড় বড় কোটিপতি হয়েছেন, এই উল্টো যাত্রায় তারাও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের ভূমিকা পালন করেছেন। এটাকে বলতে হবে বিশ্বাসঘাতকতা। ৯০ এর দশ দফায় যারা ছিলেন ছাত্রনেতা তারাও পরে অনেকেই বড় বড় কর্তা হয়েছেন, তারাও এই উল্টো যাত্রাকে আরো গতি দিয়েছেন।

আজকে যে মাত্রায় সারা বাংলাদেশে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে তা পৃথিবীর খুব কম দেশেই হয়েছে। আমরা পুঁজিবাদের বিশ্ব ব্যবস্থার মধ্যে আছি। কিন্তু পুঁজিবাদের কেন্দ্র যে দেশ যুক্তরাষ্ট্র কিংবা পুঁজিবাদের আরেক অঞ্চল ইউরোপ এই সমস্ত জায়গাতেও শিক্ষা প্রধানত রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্রে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র এগুলো নিয়েছে কী কারণে? নিয়েছে এই কারণেই যে সেই সময় সেই সমস্ত অঞ্চলে জনগণের শক্তিশালী লড়াই ছিল, পাশাপাশি সোভিয়েত ইউনিয়নের যে অস্তিত্ব ছিল যেখানে শিক্ষা , চিকিৎসা সবকিছুই ছিল জনগণের অধিকার। আশ্রয় , বাসস্থান , কাজ সবকিছুই সেখানে নিশ্চিত। সেই ব্যাবস্থার সঙ্গে মোকাবেলা করতে গিয়ে পুঁজিবাদ আপোষ করেছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র শিক্ষা একটা কেনা বেচার জিনিস। যার কাছে বেশি টাকা থাকবে সে উচ্চ মানের শিক্ষা কিনতে পারবে, যার কাছে টাকা থাকবেনা সে পারবেনা। ক্রমান্বয়ে শিক্ষার ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে । সরকারী স্কুল, সরকারী কলেজে বেতন কম। কিন্তু তাদের পরীক্ষাতে পাশ করতে হলে গাইড বই কিনতে হবে, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে হবে। গাইড বই , কোচিং সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন এবং শিক্ষকদের নিয়োগ বাণিজ্য সমস্ত কিছু মিলিয়ে শিক্ষা খাত মুনাফাখোরদের খাতে পরিণত হয়েছে। প্রশ্নফাঁস হচ্ছে এটারই একটা অনিবার্য পরিণতি। যদি কোচিং সেন্টারকে বাণিজ্য করতে হয় , যদি মুনাফা নিশ্চিত করতে হয় তাহলে তাদেরও চেষ্টা থাকবে এইসব । অর্থ উপার্জন, পুঁজি সঞ্চয় একটা উন্মাদনার পর্যায়ে গেছে।

বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বাণিজ্যিকীকরণ , দলীয়করণসহ ভয়াবহ অবনতি তাই বিস্ময়কর কোন ঘটনা নয়। এমনকি সর্বজন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আমরা দেখছি এখন বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকায় যে HEQEP কর্মসূচী চলছে সেটার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সিলেবাস সমস্ত কিছুকে একটা বাণিজ্যিক তৎপরতায় পরিণত করা। যেখানে একজন শিক্ষককে ব্যস্ত থাকতে হয় কেনাকাটা নিয়ে। বাণিজ্যিকীকরণের ফলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে , পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে একদিকে যেমন এই HEQEP এর বিভিন্ন তৎপরতায় ব্যাস্ত থাকতে হচ্ছে, অন্যদিকে তাঁদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে উইকেন্ড ইভনিংসহ নানা প্রাইভেট বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়েছে। অর্থ উপার্জন যেখানে মূল লক্ষ্য সেখানে এই তৎপরতা শিক্ষকদেরও গ্রাস করবে এটাই স্বাভাবিক।

শিক্ষকদেরও একটা বড় অংশ তাই বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা নিচ্ছেন নিজেদের শিক্ষকতাকে বিসর্জন দিয়ে। শিক্ষকতা , গবেষণা এখন প্রান্তিক বিষয়। এখন মূল বিষয় হচ্ছে যেকোনো ভাবে অর্থ উপার্জন করা । এই প্রক্রিয়া পুরো অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ, সমস্ত কিছুকে গ্রাস করেছে, এর সাথে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাস। যেকোনভাবে পুঁজি সঞ্চয় যদি মূল লক্ষ্য হয় তাহলে সেই সমাজে সন্ত্রাস , সহিংসতা , আধিপত্য এগুলো বাড়বেই।

আমরা তাই দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো একেকটা সন্ত্রাসের আস্তানা , নির্যাতনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। সেখানে গণরুম এবং সিট বাণিজ্যের মাধ্যমে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যে কোন রকমে সিট পাওয়ার জন্য কিংবা নিরাপদে থাকার জন্য কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকে থাকার জন্য কিংবা মার না খাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সরকারী ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচী, নির্দেশ অনুযায়ী যেভাবে চলতে বলা হয় সেভাবে চলতে হচ্ছে। আজকে যে ছেলেদের দেখছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মিছিল করছে কিংবা হামলা করছে তাদের হাতে রাম দা , লাঠি। এই ছেলেরা তো রাম দা, লাঠি ব্যাবহার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি। রামদা , লাঠি দিয়ে তাদেরই সহপাঠীদের আক্রমণ করার জন্য তো এই ছেলেদের বাবা মা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাননি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি একটা খুবই কঠিন প্রতিযোগিতা। এভাবে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে তাদের মেধা, তাদের অঙ্গীকার , তাদের লেখাপড়া , তাদের অভিভাবকদের ইচ্ছা সমস্ত কিছু যে পর্যায়ে থাকে, তার উপর একের পর এক আঘাত করে এই ছেলেদের বানানো হয় সন্ত্রাসী। এই ছেলেদের ক্ষমতাবানরা সন্ত্রাসী বানায় কেন ? বানায় এই বয়সের তরুণদের আরেকটা অংশকে কাবু করার জন্য কিংবা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

তরুনরাই তো সৃজনশীলতা দিয়ে , বিজ্ঞানচিন্তা দিয়ে, বিশ্লেষণ দিয়ে, পুরো দেশের ভবিষ্যৎ গতিমুখ পরিবর্তন করবে। তরুণদেরই দায়িত্ব হচ্ছে , অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, তরুনদেরই দায়িত্ব হচ্ছে অন্যায় , অবিচার , বৈষম্যকে প্রশ্ন করা। তরুণদেরই দায়িত্ব হচ্ছে যারা প্রবীণ তাঁদের ভুলভ্রান্তি , বিভিন্ন ধরণের নিপীড়নমূলক তৎপরতা রাষ্ট্রের অবিচার সেগুলোর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো । সেই তরুনদের মধ্যে যদি সর্বক্ষণ আতঙ্ক তৈরী করার জন্য তরুনদেরই আরেকটা অংশকে ব্যাবহার করা হয় তাহলে কী হয়? একটা দেশে যে তরুনদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব দেওয়ার কথা সেই তরুনদের ভয় আতঙ্কে জড়সড় নির্বিকার নির্লিপ্ত জনগোষ্ঠীতে অথবা তৈরী করা হয় যন্ত্র , অস্ত্র এবং অন্যদের হাতিয়ার হিসেবে। এভাবে একটা দেশে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় নয় একটা দেশের ভবিষ্যৎকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা যে দেশের আছে, মুক্তিযুদ্ধে তরুণরা তাদের যে ভূমিকা, তারুণ্যের যে প্রকাশ ঘটিয়েছেন সেই দেশে তো এইরকম চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চলতে পারে না। সেই তরুণদের মধ্য থেকেই আসতে হবে সৃজনশীলতা , সেই তরুণদের মধ্য থেকেই আসতে হবে বিশ্লেষণী ক্ষমতা, তরুনদের মধ্য থেকেই অসতে হবে দৃঢ়তা এবং যত ধরনের নিপীড়ন বৈষম্য আছে সেটা যৌন নিপীড়ন হোক , লিঙ্গীয় বৈষম্য হোক , সাম্প্রদায়িকতা জাতি বিদ্বেষ, প্রাণ প্রকৃতি বিনাশী তৎপরতা যাইহোক এগুলোর বিরুদ্ধে সবচাইতে সরব উচ্চারণটা তরুনদের মধ্য থেকেই আসতে হবে। নইলে এই বাংলাদেশ পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা নাই।

লেখক: শিক্ষাবিদ

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক