রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পরিবারে আয় কমায় ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা

পাঁচটি মূল অনুষঙ্গের অন্যতম একটি হল শিক্ষা। আমরা বলে থাকি শিক্ষাই একটি জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ঘুণপোকা ধরেছে বহু আগেই। সব জায়গাতেই অসঙ্গতি আমরা জানি। এখন সেটি শিক্ষাব্যবস্থাকেও গ্রাস করে খাচ্ছে। আমরা যতই সৃজনশীলতার বুলি আওড়াই না কেন, আমরা দেখেছি একজন শিক্ষক নিজেই জানেন না সৃজনশীল প্রশ্নপত্র কিভাবে করতে হয়। কাজেই শিক্ষা শিক্ষক শিক্ষার্থী শিক্ষাঙ্গন কোনো কিছুই আজ ঠিক নেই!

বর্তমান প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা স্কুল বিমুখ হয়ে পড়েছে। করোনা মহামারি আমাদের একটা বড় রকমের সংকট ছিল। তখন এমনিতেই ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনার পরিবেশে ছিল না। স্কুল কলেজগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেশ বড় একটি সময় ধরে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারেনি যে কারণে পড়াশোনার ধারাবাহিকতা ছিল না। করোনা পরবর্তী সময়ে পরিবারগুলোতে সংকটের কারণ হচ্ছে ,মানুষের কর্মসংস্থান কমে গিয়েছে।

অনেকের আয় কমে গেছে, কিন্তু জীবনযাপনে ব্যয় বেড়েছে প্রচুর। তা ছাড়া, যেহেতু দেশের কর্ম বাজারে একটি বড় অংশ, শতকরা ৮০ ভাগ, যারা ইনফরমাল সেক্টরে করোনাকালে তাদের সংকট ছিল সবচেয়ে বেশি। কারণ তারা কোনো কাজই করতে পারেনি। আরেকটি কারণ হলো, শুধুমাত্র কম আয়ের মানুষ নয়, প্রান্তিক আয়ের মানুষের কথাও যদি চিন্তা করি, যেমন স্বল্প পুঁজির মানুষ, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মুদি দোকান, চায়ের দোকান, নতুন ব্যবসা তারা অনেকেই ধরা খেয়ে গেছে। তাদের জন্য সরকার থেকে সেভাবে প্রণোদনা ছিল না। সরকারের প্রণোদনা ছিল বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে। যার ফলে প্রান্তিক মানুষ অথবা স্বল্প আয়ের মানুষের গুছিয়ে উঠাটাই বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছে।

পরবর্তীকালে যখন তারা গুছিয়ে উঠতে শুরু করেছে, তখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, তেলের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি তাদের আক্রমণ করেছে। যার ফলে অনেক পরিবার ঘুরে দাঁড়াতেও পারেনি। যখনই একটি পরিবারে আর্থিক সংকট আসে, তাদেরকে বাজেট কাটছাঁট করতে হয়। বাজেট কাটছাঁটের মধ্যে এরা প্রথমেই খাদ্যদ্রব্য মূল্য কমাতে চেষ্টা করে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যেটি দেখা যায়, তাদের ছেলেমেয়েরা যখন শিক্ষাগ্রহণ করতে থাকে, আর্থিক সংকট হলে তাদের উপরেই চাপটি গিয়ে পড়ে। মেয়েদের ক্ষেত্রে চাপটি আরও বেশি পড়ে।

করোনাকালীন দেখেছি শিশুশ্রম বেড়ে গিয়েছে। স্কুলের ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গেলে আমরা দেখতে পাব, কম বয়সী স্কুলগামী ছেলে-মেয়েরা কাজ করছে। এটির একটি বড় কারণ হলো, তাদের অভিভাবকদের আয় অনেক কমে গেছে। গত কয়েক মাসের জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এত বড় ধাক্কা আসছে, করোনা পরবর্তী সময়ে প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার ফলে, টিকে থাকার জন্যই অনেক পরিবারে ছেলেমেয়েদের লেখা পড়া বন্ধ।

সাধারণভাবে মনে করা হয় যে, সরকারি স্কুলে পড়লে বোধহয় খরচ নেই। কথাটি ঠিক নয়। সরকারি স্কুলে পড়লে সেখানেও খরচ আছে। কারণ, টিউশন ছাড়া পরীক্ষায় পাশ করা যায় না। গাইড বই কিনতে হয় বাধ্যতামূলকভাবেই। কোচিং এ যেতে হয়। সরকারি স্কুলে মেয়েদের হয়তো বেতন নেই। অন্যান্য খরচগুলো মিলে বেশ ভাল ব্যয় হয়। ফলে পড়াশোনা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয় না। সেকারণেই ছাত্র-ছাত্রীদের ঝরে পড়ার হার অপেক্ষাকৃত বেশি।

একজন শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে মনে হয়, শিক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া যেভাবে নেওয়া হয়, এগুলোর মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য নেই। সৃজনশীলতার নিয়ম-কানুনগুলি যেভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো না জেনে না বুঝেই, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত চিন্তা না করে, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের যে কাঠামোগত অবস্থা সেগুলি চিন্তা না করে, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করে, শিক্ষকদের গুণগতমান উন্নয়নের ব্যবস্থা না রেখে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেটি চাকা বিহীন গাড়ির মতোই অকেজো হয়ে গিয়েছে। পুরো ব্যাপারটিই একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে।

লেখক: শিক্ষাবিদ

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক