রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ইন্টারেস্ট বাড়ালেই সুবিধা করা যায় না

 

আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য মূলত নির্ভর করে ইউরোপিয়ান ও আমেরিকান মার্কেটের উপর। ওদের ওখানে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়া মানে আমাদের এখানেও রপ্তানি আয় কমে যাওয়া স্বাভাবিকভাবেই। এটির একমাত্র উপায় হচ্ছে ডাইভার্সিফিকেশন করা অর্থাৎ অন্য মার্কেট দেখা। যেমন- চাইনিজ মার্কেট, ইন্ডিয়ান মার্কেট, জাপানিজ মার্কেট, কোরিয়ান মার্কেট ও রাশিয়ান মার্কেট। তবে আমাদের রপ্তানিকারকরা কতটুকু অগ্রসর হচ্ছে সেটি নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।

রেমিট্যান্স যেটি আছে সেটি কমার কথা নয়। জানুয়ারি থেকেই অনেক লোক প্রায় আট থেকে দশ লাখ লোক বাইরে গিয়েছে। রেটের গরমিলের কারণে কিছু লোক ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে পাঠাচ্ছে। যেটি গণনাতে আসছে না। তবে ইকোনমিতে ভিন্নভাবে আসছে। একটি রিপোর্ট এসেছে অন্য মিডিয়াতে। বিজনেস ক্লাস ও ফার্স্টক্লাস বিমান ভর্তি বাংলাদেশি লোকেরা যাচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এরা কারা? এরা বড় অংকের টাকা নিয়ে যাচ্ছে বাইরে। এখন একটি ক্লাস তৈরি হয়েছে তথাকথিত ব্যবসায়ী, ঠিকাদার পরিচয়ে যারা বাইরে গিয়ে টাকা পয়সা অপচয় করছে। আমি এ বিষয়ে একটি মতামত দিয়েছিলাম যে, এদের টুরিস্ট ভিসায় বিদেশে একবারের বেশি যেতে না দেওয়ার ব্যাপারে। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত আকারে করা হয়েছে। সেখানে রেস্ট্রিকশন দিলে এমনিতেই ডলারের দাম কমে আসবে।

ফরেন একচেঞ্জ রিজার্ভ বলতে আমাদের যদি এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে রিজার্ভ বেড়ে যায়। আমি মনে করি, রেমিট্যান্স কম হওয়ার যে কারণ, সেটি আবার অন্যপথে আসছে। ব্যাংক ৯৫ হলে বাইরে নিচ্ছে ১১০ টাকা করে। এদের টাকা পয়সার কোনো অভাব নেই। আমি মনে করি, আগামী ছয় সাত মাস আমাদের একটি চিন্তার একটি বিষয় আছে। এজন্য ব্যয় কমানোটা এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আছে, তাদের কৃচ্ছতা সাধন করার দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত। কাজের সময় কমিয়ে দিয়ে কোনো লাভ নেই। তাহলে বলা উচিত যে, তোমাদের বেতন ভাতা এমনিতেই হবে। ওদের ইকোনমি প্রডাক্টিভিটি কমে যাবে।

রিজার্ভ কমে যাওয়া শঙ্কার বিষয়। এত দ্রুত কমতে দেওয়াটা ঠিক না। এটি কমছে কেন সেটি বাংলাদেশ ব্যাংক জানে। প্রাইভেট লোকজন টুরিজম করতে গিয়েই তো বহু টাকা নিচ্ছে। এই কথাটিই আমি বুঝাতে চেয়েছি। আমাদের স্ট্র্যাটেজিক হতে হবে। তা না হলে আমাদের অর্থনীতি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিছু লোক ফর নাথিং টাকা পয়সা নিয়ে যায়। এটি তো অন্যায়। এসব যখন চলতে থাকে তখন কিছু লোক ডলার এমনিতেই হোল্ড করতে থাকে। এসবের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক পলিসি রেট বাড়িয়েছে। যদিও এতসব কিছু বাড়ানোর পক্ষে আমি না। ইন্টারেস্ট বাড়িয়ে পৃথিবীর কেউ কখনো সুবিধা করতে পারে নেই। ইনভেস্টম্যানরা তখন নিরুৎসাহিত হয়। আমাদের ইকোনোমিতে সুদের হার বাড়ানো আমার কাছে মনে হয় না এগুলো ভালো কিছু। এর ফলে কখনো মূল্যস্ফীতি কমবে না।

মূল জায়গা হলো কস্ট অব প্রডাকশন। উৎপাদন বাড়লে মূল্যস্ফীতি কমবে। সাধারণ মানুষ আজ ভুক্তোভোগী মূল্যস্ফীতির কারণেই। মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে দারিদ্র্যের পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান আরও কমে যাবে। আমাদের ফরেন একচেঞ্জ রিজার্ভ ভালো হলেই কেবল আমরা শঙ্কামুক্ত থাকব। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় আগামী ছয় থেকে সাত মাস আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে পরিগণিত হবে।

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এসএন

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক