রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পর্ব-২

তিনি আমাদের এক অসামান্য লড়াকু মন দিয়ে গেছেন

১৯৫৬ সাল। ৬ ফেব্রুয়ারি। আবার গণপরিষদের এক অধিবেশনে বললেন, “পূর্ব বাংলায় জনসাধারণ কাফনের কাপড় পাচ্ছে না। লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। জনগণের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধানে এ নিশ্চয়তা দিতে হবে।’ ১৯৭০ সালের ২৮ অক্টোবর নির্বাচনী প্রস্ততিমূলক ভাষণেও তিনি জনগণের এসব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন।

মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বে অসহযোগের দিনগুলোতে কার্যত তিনিই বাংলাদেশের অঘোষিত সরকার প্রধান ছিলেন। সে সময়ও তিনি সাধারণ মানুষের জীবন চলায় যাতে সামান্য কষ্ট না হয় সে দিকটায় পুরোপুরি সচেতন ছিলেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় তিনি মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অতি অল্প সময়ে যে সংবিধান রচনা করলেন তার রাষ্ট্রীয় মৌলনীতিতে রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করলেন। মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তিনি সাম্যভিত্তিক আর্থ-সামাজিক কাঠামো গড়ার অঙ্গীকার করেন। নারীর ক্ষমতায়ন, নগর ও গ্রামের বিদ্যমান বৈষম্য দূরিকরণের মতো অঙ্গীকারগুলোও লিপিবদ্ধ করা হয় ওই সংবিধানে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জারক রসে সিক্ত ওই সংবিধানের আলোকেই তিনি বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক নীতিকৌশল নির্ধারণ করেন। আর তাই ১৯৭৪ সালে অকাল বন্যায় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সহযোগিতা বন্ধের কারণে বাংলাদেশে যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তা মোকাবিলার জন্যে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। এ সময়টায় তিনি সর্বক্ষণ ছট্ফট করতেন। দুবেলা ঠিক মতো ভাতও খেতেন না। অনাহারে ক্লিষ্ট মানুষের কষ্ট ভাগ করে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতেন।

গাফ্ফার চৌধুরিকে তিনি বলেছেন (সমকাল ১৭/৩/১৮): “গাফ্ফার তুমি বিশ্বাস করবে, এই দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে না পারলে আমি আত্মহত্যা করব ভেবেছিলাম। করিনি কেন জান? আমি একজন মুসলমান। আত্মহত্যা করা ইসলাম ধর্মে মহাপাপ। দ্বিতীয়ত, বাংলার মানুষের আমার প্রতি বিশ্বাস আছে। আমি তাদের ফেলে রেখে বিশ্বাসহন্তার কাজ করতে পারি না।” সেই বিশ্বাস তিনি রেখেছিলেন। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি পঁচাত্তরেই বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ফসল ফলানোর ডাক দিয়েছিলেন। ওই বছরই বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।

প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তার প্রচুর অভিযোগ ছিল; যা তিনি সুযোগ পেলেই প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে গণভবনে গাফ্ফার চৌধুরিকে তার লেখা একটি কবিতার কথা জানিয়েছিলেন। গাফ্ফার ভাই জানিয়েছেন যে, রবীন্দ্রনাথের ‘বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে’ কবিতার অনুরূপ এক কবিতা লেখেন বঙ্গবন্ধু।
‘আমার বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে/
বাংলার ভদ্রলোকেরা শুধু চুরি করে, পোটলা বাঁধে।’

১৯৭৫ এর ২৬ মার্চ সোহওরাওয়ার্দী উদ্যানে তাই তিনি বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলেছিলেন, “আমার কৃষক দুর্নীতিবাজ? আমার শ্রমিক দুর্নীতিবাজ? ... ওরাই মালিক, ওদের দ্বারাই আপনার সংসার চলে।... আমাদের লেখাপড়া শিখিয়েছে কে? ডাক্তারি পাস করায় কে? অফিসার করে কে? কার টাকায়? বাংলার দুঃখী জনগণের টাকায়?” তাই শিক্ষিত জনদের বলেছেন “ওদের ইজ্জত করুন।” আর প্রশ্ন করেছেন, “আপনি দিচ্ছেন কী? কী ফেরত দিচ্ছেন?” সাধারণ মানুষের জন্য তার অন্তর সর্বক্ষণ কাঁদত। এই আবেগমথিত ভাষণই তার বড় প্রমাণ।

১৯৫৩-৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে বঙ্গবন্ধু প্রার্থী ছাত্রনেতা খালেক নেওয়াজ খানের নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহের নান্দাইল গিয়েছিলেন। কর্মীদের সঙ্গে ডাক বাংলোয় উঠেছিলেন। মশারি ছিল না। ছিল একটি কাঁথা। মাঝরাতে তিনি গাফ্ফার চৌধুরিকে সেই কাঁথাটি দিয়ে জড়িয়ে দিলেন। টের পেয়ে তা ফেরত দিতে গেলে গাফ্ফার চৌধুরিকে তিনি বলেন, ‘বাংলার মশা আমাকে কামড়াবে না।’ বাংলার মশা না কামড়ালেও, এদেশেরই কিছু ষড়যন্ত্রকারী কু-সন্তান অতর্কিতে হামলা করে ‘বাংলাদেশের আরেক নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে শারীরিকভাবে তার প্রিয় দেশবাসীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে।

এর পরের দিন অর্থাৎ ১৬ আগস্ট লন্ডনের ‘দ্যা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ লিখেছিল, ‘এই করুণ মৃত্যুই যদি মুজিবের ভাগ্যে অবধারিত ছিল তাহলে বাংলাদেশের জন্মের মোটেই প্রয়োজন ছিল না।’ এর কয়েকদিন পরে ২৮ আগস্ট বিবিসির সংবাদদাতা ব্রায়ান ব্যারন ‘দি লিসনার’ পত্রিকায় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, “বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে উচ্চতর আসনেই অবস্থান করবেন। তার বুলেটবিদ্ধ বাসগৃহটি গুরুত্বপূর্ণ ‘স্মারকচিহ্ন’ ও কবরস্থানটি ‘পুণ্যতীর্থে’ পরিণত হবে।’ তার সেই ভবিষ্যদ্বাণী আজ অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়েছে।

তাকে আমাদের তরুণ প্রজন্মের মনে চিরদিনের জন্যে গেঁথে দিতে হলে তার মৌল চাওয়াগুলোর আলোকে আমাদের দেশকে সুশাসনের চাদর দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। দুর্নীতি, বঞ্চনা, অন্যায্যতা, অবিচার যেন সমাজের অলি-গলিতে অবাধে বিচরণ না করতে পারে সেজন্য মানবকল্যাণধর্মী গরিব-হিতৈষী বঙ্গবন্ধুর ভাবনাসমূহকে আমাদের চলার পথের পাথেয় করতে হবে। জাতির মনে তার সুদূরপ্রসারি কল্যাণ ভাবনা চিন্তার আলোকে কাঙ্ক্ষিত মুক্তির দিশা দিতে হবে।

চলমান বিশ্বঅর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি যে অনেক দেশ থেকে অনেকটাই ভালো করছে তার কারণ বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন কী করে সংকট উত্তরণ করতে হয়। কী অসামান্য নেতৃত্বের গুণে তিনি ধ্বংসস্তুপ থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাসঘাতকদের হামলায় সাময়িকভাবে লাইনচ্যুত হলেও বাংলাদেশ ফের খুঁজে পেয়েছে তার কাঙ্ক্ষিত পথরেখা বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের বিস্ময়। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনীতির এক বিস্ময়কর রূপান্তর ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। ধ্বংসস্তুপ থেকে ডানা ঝাপ্টা দিয়ে ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়িয়েছে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য বাংলাদেশ।

তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে উপচে পড়ছে সমৃদ্ধির ফসল। তা সত্ত্বেও হতাশা ছড়ানোর মানুষের অভাব কিন্তু নেই। তারা সারাক্ষণ আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। তাই আমাদের নিরন্তর সজাগ থাকতে হবে যেন আমাদের অবহেলায়, অপরিণামদর্শিতার কারণে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অভিযাত্রা কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন না হয়। আমাদের নিরন্তর শুভকর্মের মাধ্যমেই প্রকাশ করে যেতে হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। আর তা করতে পারলেই শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে তাকে আমরা অনুভব করতে পারব আমাদের নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে। আর উচ্চারণ করতে পারব মহাদেব সাহার ভাষায়, “এই নাম স্বতোৎসারিত।”
‘... তুমি কেউ নও, বলে ওরা, কিন্তু বাংলাদেশের আড়াইশত নদী বলে,
তুমি এই বাংলার নদী, বাংলার সবুজ প্রান্তর
তুমি এই চর্যাপদের গান, তুমি এই বাংলা অক্ষর,
বলে ওরা, তুমি কেউ নও, কিন্তু তোমার পায়ের শব্দে
নেচে ওঠে পদ্মার ইলিশ;
তুমি কেউ নও, বলে ওরা, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গান আর নজরুলের
বিদ্রোহী কবিতা বলে,
তুমি বাংলাদেশের হৃদয়।’

লেখক: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সাবেক বঙ্গবন্ধু চেয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এসএন

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক