রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি জনগণ ও অর্থনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা

আমি মনে করি, তেলের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি ছিল না। সরকার যে যুক্তিতে এটি করেছে তার কোনো ভিত্তি নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে তাই এখানেও দাম বেড়েছে এই কথার কোনো ভিত্তি নেই। এটির যুক্তি এজন্য নেই যে, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে যাচ্ছে। যেটি ১২০/১৩০ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল, সেটি কমতে কমতে ৯০ ডলার পর্যন্ত চলে এসেছে। এটি আরও কমবে সামনে, সেরকম লক্ষণই দেখা যাচ্ছে। সুতরাং তেলের দাম বিশ্ব বাজারে বেশি এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

দ্বিতীয়ত, সরকার বলছে কয়েক মাসে লোকসান হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা। গরমিল থাকলেও আমরা যদি এটিই মনে করি, সরকারের ক্ষতি হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা। তবে এর আগে কয়েক বছরে সরকারের লাভ হয়েছিল ৪৭ হাজার কোটি টাকা। সেটির কারণ হচ্ছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কম ছিল, কিন্তু সরকার এখানে তেলের দাম কমায়নি। যেকারণে বাংলাদেশের মানুষকে অনেক বেশি দামে তেল কিনতে হয়েছে। তার মানে বাংলাদেশের মানুষের পকেটের টাকা দিয়ে সরকার মুনাফা করেছে ৪৭ হাজার কোটি টাকা। সুতরাং লোকসান বাদ দিলেও তাদের হাতে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা থাকে। সে হিসেবে আমাদের টাকা নেই, আমাদের টাকা খালি হয়ে গেছে, আমাদের কোনো উপায় নেই। এই কথাগুলি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মুনাফার সঙ্গে যদি বিষয়গুলো এডজাস্ট করা যেত, তাহলে সরকার দাম না বাড়িয়ে বরং দাম কমানোর কথা চিন্তা করতে পারত।

তৃতীয়ত, তেলের উপর সরকার অনেক শুল্ক পায়। সেটি অনেক দেশে শুল্ক কম রেখে তেলের দাম কম রাখা হয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সেটি কিন্তু বাদ দেওয়া হয়নি। সরকার এখন পর্যন্ত সেটি আদায় করে যাচ্ছে।

চতুর্থত, প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগেই বলছেন যে, অকটেন এবং পেট্রল দেশে গ্যাস উৎপাদনের মধ্য দিয়ে বাই প্রডাক্ট হিসেবে আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি আমাদের দেশে যা আছে তা চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত। চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত যদি থাকে, তাহলে বিশ্ববাজারে দামের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ এটি খুব সহজেই দাম কমানো সম্ভব ছিল। যেহেতু এটি বাই প্রডাক্ট হিসেবে হয়, এটির কোনো উৎপাদন ব্যয় ছিল না। সুতরাং সব জায়গায় চিন্তা করতে পারত দাম কমানোর।

কাজেই যে চারটি পয়েন্ট আলোচনা করা হল, সেটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সরকারের কোনো যুক্তিই আসলে ধোপে টিকে না। আরেকটি বিষয় যেটি তারা বলতে চায়, ভারতে দাম বেশি সুতরাং তেল পাচার হয়ে যাবে। পাচার ঠেকানোর জন্য তাদের নানারকম ব্যবস্থা আছে। বাহিনী আছে। কাজেই পাচার হয়ে যাচ্ছে মানে তাহলে সরকারের কাজটি কি? সরকারতো আছেই যেন পাচার না হয় সেটি ঠেকানোর জন্য। শুধু তেলের দাম বললে হবে না। মজুরি বলতে হবে। অন্যান্য জিনিসের দাম বলতে হবে। এটির কোনো যুক্তি হয় না।

সরকার সম্পূর্ণ নির্মমভাবে, সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে তেলের দাম বাড়াল, জ্বালানি তেলের দাম শতকরা ৫০% বাড়ানো হল, এর প্রভাব সবকিছুতে পড়বে। যেমন— বাসা ভাড়া বাড়বে, পরিবহন ভাড়া বাড়বে, উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। অর্থাৎ অর্থনীতির গতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনগণের প্রাত্যহিক জীবনের যে গতিশীলতা সেটিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজেই যেকোনোভাবেই হোক তহবিল বাড়ানোর দিকে সরকারের নজর। কারণ সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় আমদানিতে, টাকা পাচার হওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রাসহ বিভিন্নক্ষেত্রে সরকারের তহবিলের উপরে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সেই চাপটি কমানোর জন্য মুদ্রাপাচার বন্ধ করতে পারত অথবা নিয়ন্ত্রণ করতে পারত, অপ্রয়োজনীয় আমদানি বন্ধ করতে পারত। সরকার জনগণের পক্ষ থেকে আরও টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছে, আইএমএফের কাছে থেকে লোন নিচ্ছে এবং যে লোনের শর্ত হিসেবে আবার জনগণের উপর নতুন নতুন আক্রমণ করা হচ্ছে। কাজেই সবকিছু দেখে এটি বলা বোধ হয় ভুল হবে না যে, এটি জনগণের বিরুদ্ধে এবং অর্থনীতির বিরুদ্ধে একরকম যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

লেখক: অর্থনীতিবিদ
আরএ/

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক