রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বছর ধরে ইউএনও অফিসে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন

রংপুরে একজন বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন ঝুলে আছে এক বছর ধরে ইউএনও অফিসে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তার এ আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও এক বছর ধরে তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। কোরাম পূরণ করতে না পারার অজুহাতে থেমে গেছে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া। এমন পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণ না করে বিষয়টি গুরুত্বসহ আমলে নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় দিন যাপন করা বীরাঙ্গনা সুইটি আক্তার পুতুল।

বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন করা ভুক্তভোগী নারী ও প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা প্রায়াত আওয়ামী লীগ নেতা ইসাহাক আলী ওরফে টেঙ্গারু মিয়ার মেয়ে সুইটি আক্তার পুতুল। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন।

মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর পর সম্ভ্রম হারানো নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকায় বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেন সুইটি আক্তার পুতুল। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃপক্ষ রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তদন্তের নির্দেশ দেন।

রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কিন্তু কমিটি গঠনের প্রায় এক বছর হলেও এখন পর্যন্ত নানা কারণে কমিটির সদস্যরা একত্রিত হতে না পারায় কোরাম পূরণ হয়নি। কোরাম পূরণ না হওয়া ছাড়া তদন্ত বিলম্বে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা- এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি উপজেলা প্রশাসন।

সুইটি আক্তার পুতুল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বাবা ইছাহাক আলী ওরফে টেঙ্গারু মিয়া ছিলেন রংপুরের আলমনগর রেলস্টেশন এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা সহ স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। সেই ক্ষোভেই স্থানীয় ওয়াহেদ মিয়া নামে এক পাকিস্তানি দোসর আমাকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে তাদের কাছে বাহবা নিয়ে সটকে পড়েন। সেই থেকে আমি চার মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

যুদ্ধ শেষে ১৭ ডিসেম্বর ভারতীয় মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা আমাকে উদ্ধার করে আমার পরিবারের হাতে তুলে দেয়। সেই সময়ে আমার বাবা পরিবারের সম্মানহানির ভয়ে এ ঘটনা আড়াল করে বিষয়টি গোপন রাখেন। কয়েক বছর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশনা দেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশ পুনর্বাসন সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এম এ সামাদ সরকার আমাকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করেন।

তারপর থেকে আমি সেই রাজাকার ওয়াহেদ মিয়াকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন আন্দোলন করেছি। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রংপুর সদর উপজেলা কমান্ডার ও ইউনিট কমান্ডার বিগত ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা সহ আমাকে বীরাঙ্গনা নারী হিসেবে সুপারিশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করেছিলেন।

এই বীরাঙ্গনা আরও বলেন, আমার ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম সাল ১৯৫৩ সালের পরিবর্তে ভুলবশত ১৯৭৪ সাল হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আমার বীরাঙ্গনা স্বীকৃতির আবেদন বাতিল করে দেয়। এরপর ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ভুল সংশোধন করতে দীর্ঘ কয়েক বছর সময় লেগে যায়।

অবশেষে ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর সংশোধিত আইডি কার্ড দিয়ে আমি পুনরায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে নতুন করে আবেদন করি। জামুকা কর্তৃপক্ষ আমার আবেদনটি গুরুত্বসহ আমলে নিয়ে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বীরাঙ্গনা যাচাইয়ের জন্য নির্দেশনা দেয়। আজ প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও আবেদনটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ হারুন বলেন, আমি নিজেই অনেকবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তারপরও তিনি এ বিষয়টি আমলে নেননি। একজন অবহেলিত বীরাঙ্গনার যাচাই-বাছাই হয় না, এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে।

মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন প্লাটুন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রভাবশালী কথিত কিছু মুক্তিযোদ্ধা ওই রাজাকারের টাকা খেয়ে পুতুলের প্রতি অবিচার করেছে। তবে নিঃসন্দেহে পুতুল একজন বীরাঙ্গনা নারী। তার বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন।

এ বিষয়ে মুজিব ক্যাম্পের প্রশিক্ষক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন চাঁদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন ইছাহাক আলী টেঙ্গারু মিয়া। তার মেয়ে পুতুল পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। পুতুলের আবেদনটি কী কারণে আটকে রাখা হয়েছে, তা আমার বোধগম্য নয়। কোনো একটি চক্র তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র করছে বলে মনে হচ্ছে।

খোঁজ জানা গেছে, পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাই তদন্ত কমিটি গত এক বছরে একবারও কোরাম পূরণ করতে পারেনি। এই কমিটিতে কারা‌ রয়েছেন এবং কত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা করতে হবে এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে রাজি হয়নি উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নুর নাহার বেগম বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তবে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করছি না। ইতোমধ্যে তদন্তে‌ সহযোগিতা করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছ থেকে দুইজন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চেয়েছি। তবে কেন তদন্তে বিলম্ব এবং কোরাম পূরণ হচ্ছে না, এটিও খতিয়ে দেখা হবে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) সাড়ে ৫ মেট্রিকটন চাল ও ১০৪টি খালি চালের বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব চাল একটি ধান ভাঙ্গা মিলের গুদামে মজুদ করা ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ এপ্রিল, শনিবার রাতে, যখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায় অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করেন।

গুদামটির মালিক আসাদুজ্জামান আসাদ, যিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্য, তার বিরুদ্ধে চাল মজুদ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, আলীহাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের কাছে তার মিলের গুদামে এসব চাল মজুদ ছিল। অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৫ মেট্রিকটন চাল জব্দ করা হয়, তবে অভিযানের সময় মিল মালিক এবং কোনো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় আসাদকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও তাকে আসামী করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, চাল মজুদ করা বেআইনি এবং এটি অপরাধ। উদ্ধারকৃত চাল উপজেলা খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে নিয়মিত মামলায় তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খালেদা খাতুন জানিয়েছেন, মামলাটি রবিবার বিকালে থানায় করা হবে, যেখানে আসাদুজ্জামান আসাদকে প্রধান আসামী হিসেবে দায়ের করা হবে।

এদিকে, আসাদ আগেও বৈষম্যবিরোধী দুই ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ক্যামেরার লেন্স চুরির অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের আনাস আহমেদ ও শামীম ভূঁইয়া।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম। 

আনাস আহমেদকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার ও আবাসিক হলের সীট বাতিল এবং শামীম ভুঁইয়াকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া তার ব্যাপারে পরিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল সিন্ডিকেটে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম বলেন, "গণমাধ্যমে আনাসকে নিয়ে রিপোর্ট হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হয়েছে। এছাড়া তার চুরির সত্যতা পাওয়া গেছে। ফলে তাকে এক বছরের বহিষ্কার এবং হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর শামীমের ব্যাপারে শৃঙ্খলা বোর্ড বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। আগামীকাল বিষয়টি সিন্ডিকেটে আলোচনা হবে।'

এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'শৃঙ্খলা বোর্ড দুইটি সিদ্ধান্তের সুপারিশ করেছে। এখনো সাইন হয়নি পেপারে। আগামীকাল সিন্ডিকেটে ফাইনাল হবে বিষয়টি।'

উল্লেখ্য, এর আগে কুমিল্লার একটি অভিজাত হোটেল থেকে ক্যামেরার লেন্স চুরি করে আনাস এবং শামীম। সিসি ফোটেজ বিশ্লেষণ করে এর সত্যতাও পাওয়া যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ এপ্রিল রাতে বেশ কয়েকজন বহিরাগত এসে ক্যাম্পাসে আনাসকে মারধরও করে।

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বেড়েই চলছে। তবে এই ইস্যুতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চলমান উত্তেজনা প্রশমনের পক্ষে বাংলাদেশ। দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশ চাইলে বাংলাদেশ মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে তার আগে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা।

রোববার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, আমরা শান্তি চাই দক্ষিণ এশিয়ায়। আমরা জানি, বিভিন্ন ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতময় সম্পর্ক আছে। কিন্তু আমরা চাই না এখানে কোনো বড় কোনো সংঘাত সৃষ্টি হোক, যাতে এটা এ অঞ্চলের মানুষের কোনো বিপদের কারণ না হয়ে উঠতে পারে। ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বিদ্যমান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাইব তারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করে ফেলুক। আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি, দু’একটি দেশের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব এসেছে। যেভাবে হোক মধ্যস্থতার মাধ্যমে হোক, দ্বিপক্ষীয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হোক, আমরা চাই উত্তেজনা প্রশমিত হোক এবং শান্তি বজায় থাকুক।

ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইরান ও সৌদি আরব ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশও মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে পারি কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি মনে করি না এই মুহূর্তে আমাদের মধ্যস্থতা করার মতো কোনো ভূমিকা নেওয়া উচিত। আমরা চাইব, তারা নিজেরা নিজেরা সমস্যার সমাধান করুক। তারা যদি আমাদের সহায়তা চায়, আপনারা মধ্যস্থতা করুন তাহলে হয়ত আমরা যাব। কিন্তু তার আগে আমরা আগবাড়িয়ে কিছু করতে চাই না।

ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে কি না– জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আধুনিক জামানায় সবকিছু সবাইকে কমবেশি প্রভাবিত করে। কাজেই কোনো কিছু আমাদের একটুও প্রভাবিত করবে না, সেটা আমি বলি না। তাদের যেই সংঘাত সেটা আমাদের সরাসরি প্রভাবিত করার কিছু নাই। কারণ, আমরা এতে কোনো পক্ষ নিইনি। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেকোনো সংঘাত বা সম্পর্ক খারাপ হলে প্রভাব পড়ে।

‘তবে তাদের কাছ থেকে আমাদের যদি কোনো স্বার্থ থাকে আমদানি করার, আমরা করব।’, যোগ করেন তৌহিদ হোসেন।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে উপদেষ্টা জানান, এটা হয়ত নিরাপত্তা নিয়ে যারা সরাসরি কাজ করেন তারা বলতে পারবেন। এই মুহূর্তে আমার কাছে এরকম কোনো তথ্য নেই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত