মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঢাকাসহ সারাদেশে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ সমর্থনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‘মার্চ ফর জাস্টিস’ এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আদালত চত্বরে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, চট্টগ্রাম, সিলেট, বগুড়া, চাঁদপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, বরিশাল, খুলনা, ফরিদপুর, রাজশাহী, হবিগঞ্জ, নোয়াখালীতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ সমর্থনে শিক্ষার্থীদের এ পর্যন্ত বিক্ষোভের কথা জানা গেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যা।

জানা যায়, কোটা সংস্কার ও পরবর্তী সহিংসতায় ৯ দফা বাস্তবায়নের জন্য হাইকোর্টের সামনে আন্দোলন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় হাইকোর্টের প্রধান গেট ও আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবি বাহিনী ঘিরে রাখে।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে হাইকোর্টের সামনে ছাত্রসহ সচেতন নাগরিক সমাজ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে স্লোগান দেন।

এ সময় আন্দোলনকারীরা, বিজিবি বর্ডারে ফিরে যাও, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না স্লোগান দেন।

আজ সারাদেশের পালিত হচ্ছে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি। গতকাল এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর অংশ হিসেবে আজ রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে দুপুরে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমন্বয়কদের ডাকা আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আদালত চত্বরে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশ ও বিজিবির ব্যারিকেড ভেঙে চট্টগ্রাম আদালতে প্রবেশ করেন বিক্ষুব্ধরা।

আন্দোলনকারীদের সাথে যোগ দেয় আইনজীবীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে দোয়েল চত্বর এলাকায় স্লোগান দেন থাকেন আন্দোলনকারী।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা সেখানে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করেছে তুলেছে। শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ যোগ দিয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১১টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান নেন।

জানা গেছে , বেলা ১১টায় প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী জড়ো হন। পরে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর আরও শিক্ষার্থী যোগ দিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে। তখন পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে চলে যায়। বর্তমানে ২০০-৩০০ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে আছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বগুড়ায় বিক্ষোভ করেছে। দুপুরের শহরের জলেশ্বরীতলার আদালত চত্বরে সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্র-ছাত্রীরা। মিছিল নিয়ে তারা আদালত চত্বরে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে তারা শহরের খেলার মাঠ ও জলেশরীতলা সড়কে বিক্ষেভ করেছে।

এ সময় তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কের মুক্তি এবং আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় বিচার দাবি করেন।

এদিকে, শহরের সাতমাথাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমন্বয়কদের একাংশের আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে চাঁদপুর জেলা জজ আদালত ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় এলাকায় প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

বিক্ষোভের শুরুতে শিক্ষার্থীরা জেলা জজ আদালতের সম্মুখে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয় এবং তাদেরকে সরিয়ে সড়কের একপাশে নিয়ে আসে। সেখানে মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান নেয়।

দিনাজপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-ছাত্রীরা। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের ব্যানারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সাথে যোগ দেয় তাদের অভিভাবকরাও। ছাত্র-ছাত্রীরা শ্লোগান দেয়া শুরু করলে সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। বাকিদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।

কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের হয়রানি, আটককৃতদের মুক্তি ও আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিহতের বিচার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা স্কুলের সামনের সড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত করে।

এরআগে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ও ছাত্র-জনতা গণহত্যার বিচারের দাবিতে চৌরাস্তা সমবায় মার্কেটের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ময়মনসিংহেও মার্চ ফর জাস্টিস র্কমসূচি পালন করছেে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। সকাল সোয়া ১১টার দিকে শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় চিফ জুডিশিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে জড়ো হয় তারা। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ করে তারা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি টাউনহল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।

টাঙ্গাইলে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা জেলা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণের পাশে হেলিপ্যাড এলাকায় ‘মার্চ ফর জাস্টিs’ কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় তারা পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে কোর্ট এরিয়া এবং শহরের বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল করেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর নিকট তাদের দাবি-দাওয়া জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

বরিশালে 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে চার সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে শহরের সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হলের সামনে ও জজ কোর্টের সামনে ফজলুল হক এভিনিউতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কমপক্ষে ১০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে এদিন সকাল ১১টার পর কাঠপট্টি সড়কের মুখে মিছিল করার চেষ্টা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন অভিভাবকও ছিলেন। তবে কর্মসূচির শুরুতেই বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ হয়। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

এক পর্যায়ে পুলিশ সিটি কলেজের গলির মুখে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখে। পরে কয়েকশ আন্দোলনকারী সদর রোডে অবস্থান নিলে পুলিশ শুরুতে তাদের ধাওয়া দেয় ও পরে লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় ৪ সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হন।

৯ দফা দাবি আদায়ে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহর মাইজদী বাজার এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।

মিছিলটি নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক, জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ, শিল্পকলা একাডেমিক, চিকিৎসা সহকারী প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় সড়ক, নোয়াখালী প্রেসক্লাব ও জেলা জজকোর্ট সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জজকোর্টের সামনে এক সমাবেশ করেন।

Header Ad
Header Ad

রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘের প্রস্তাবে শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ রাজি হয়েছে। তবে শর্তাবলির বিষয়টি পরিষ্কার করেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান রাখাইনের মানবিক করিডর দেয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির এ আহ্বান জানান।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এ বিষয়টি জাতির সামনে স্পষ্ট করা দরকার। কারণ এর সঙ্গে অনেক নিরাপত্তা বিষয় জড়িত থাকতে পারে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর দেয়ার বিষয়ে ঢাকা রাজি বলে জানান।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটি একটি মানবিক প্যাসেজ হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্তাবলি আছে।...যদি শর্তাবলি পালিত হয়, তবে অবশ্যই আমরা সহায়তা করব।’
তবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অবশ্য ‘মানবিক প্যাসেজের’ শর্তাবলি প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, মিয়ানমারের একটি বিরাট জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে যা কিছু করা প্রয়োজন, সেটা করতে হবে।

রাখাইনে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্যাভাবসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার সংকট দেখা দেয়ার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ বাংলাদেশের কাছে ‘মানবিক প্যাসেজ’ চায়। বিশ্ব সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গত মার্চে ঢাকা ও কক্সবাজারে সফরের সময় বাংলাদেশকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানান।

রাখাইন ও আশপাশের এলাকার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সংগ্রামরত ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের (ইউএলএ) অস্ত্রধারী শাখা উইং আরাকান আর্মি ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে গত বছর (২০২৪) ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই শুরু করে। রাজধানী সিটোয়ে ও বন্দরনগরী চকপু ছাড়া রাখাইনের অধিকাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে।

Header Ad
Header Ad

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা শুরুতে ১২তম ও প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেড পাবেন। ফলে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে শিক্ষকদের।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রমতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদের নেতৃত্বাধীন ‘প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি’র সুপারিশ এবং আদালতের রায়ের আলোকে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সুপারিশ করা উন্নীত গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বেতন স্কেল উন্নীতকরণের চেকলিস্ট অনুযায়ী প্রস্তাব দিতে অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অধিদপ্তরকে এ চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, পরামর্শক কমিটি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শতাধিক সুপারিশ করে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে কমিটি ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্ত করে শুরুর পদ ‘শিক্ষক’ করার সুপারিশ করা হয়ে। এক্ষেত্রে শিক্ষক হিসেবে শুরুতে বেতন গ্রেড হবে ১২তম।

এরপর দুই বছর পর চাকরি স্থায়ীকরণ ও আরও দুই বছর পর তারা ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হবেন। তখন তাদের বেতন গ্রেড হবে ১১তম। এছাড়া পরামর্শক কমিটি প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড দশম করার সুপারিশ করে।

এরই মধ্যে উচ্চ আদালতের রায়ে প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড দশম করতে বলা হয়েছে। এখন পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ও আদালতের রায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নিয়মানুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাব পাঠাতে হবে। এরপর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সবার উদ্দেশে একটি ছোট ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উমামা ফাতেমা তাঁর ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।

তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, সবার উদ্দেশ্যে একটা ছোট ঘোষণা, আমি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। আমার অনেক পরিচিত ব্যক্তিবর্গ এই দলটির সঙ্গে আছেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই বলে জানান উমামা। তাই এনসিপি সংক্রান্ত পরামর্শ, সাংগঠনিক আলাপ বা প্রস্তাবনা আমার কাছে উপস্থাপন না করার অনুরোধ রইল। এতে আপনার, আমার দুইজনেরই সময় বাঁচবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম