সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়াদের নিয়ে কী বলে ইসলাম?

ছবি সংগৃহিত

বর্তমানে বিভিন্ন মাধ্যমে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু সময়ের অন্যতম চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে মনে করছে ট্রান্সজেন্ডার আর তৃতীয় লিঙ্গ একই। এ বিষয়ে কথা হয় ইসলামিক স্কলার, লেখক, গবেষকদের সাথে। সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ব‌ই থেকে শরীফ ও শরীফার গল্প নিয়ে তৈরী হয়েছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস কয়েক দিন আগে একটি সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘শরিফ ও শরিফা’র গল্পাংশ ছিঁড়ে ফেলেন। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তার পক্ষে-বিপক্ষে দেশে নেটিজেনদের দুটি ভাগ হয়ে যায়। একপক্ষ আসিফের পক্ষ নেন, অপর পক্ষ তার বিপক্ষে অবস্থান নেন। অনেকে আবার দুই ভাগের মাঝে সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা করছেন। সমকালীন এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে নয়, আমাদের মূলত সঠিকভাবে বিষয়টি জানা অত্যন্ত আবশ্যক। ইস্যু দুদিন পর এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এ বিষয়ে ইসলামের কী শিক্ষা সেটি আমাদের একজন মুসলিম হিসেবে জানা জরুরি। জেন্ডার সম্পর্কে ইসলাম কী বলে? কুরআন-হাদিসে কি ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া সম্পর্কে কিছু আলোচনা আছে? কুরআন-হাদিস ও বাস্তবতার আলোকে ইসলাম এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত দেয় তা আমাদের বুঝতে হবে।

ইসলাম এক সামগ্রিক ধর্ম। এর অর্থ প্রতিটি বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট বিধান আছে। হয়তো কুরআনে থাকবে, নয়তো হাদিসে, অথবা কুরআন-হাদিসের মূলনীতির আলোকে বাস্তবতার নিরিখে সেটির সমাধান বের করতে হবে। এটিকেই ফিকহ বলা হয়। বিজ্ঞানে যেটা প্রতিষ্ঠিত সত্য সেটিকে কুরআন-হাদিসের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো যায় না। কারণ, কুরআন-হাদিস ও বিজ্ঞান একটি আরেকটির প্রতিপক্ষ নয়। বরং একটি আরেকটির সহায়ক। আল কুরআনে বিবেক বুদ্ধি ও কমনসেন্স ব্যবহার করতে বারবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ‘তারা কি বোঝে না? তারা কি চিন্তাভাবনা করে না? এতে নিদর্শন আছে বুদ্ধিমানদের জন্য, আকলমন্দদের জন্য, যাদের ভেতর বিবেক আছে তাদের জন্য এতে এভিডেন্স আছে, উলুল আলবাব, উলুন নুহা, আফালা ইয়াকিলুন, তারা কি ভাবে না? পরিণাম সম্পর্কে চিন্তা করে না? হে অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন লোকেরা, উপদেশ গ্রহণ কর।’ ইত্যাদি বিভিন্নভাবে অসংখ্য আয়াতে আল কুরআনে বুদ্ধি ও মেধা ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। বুদ্ধির ব্যবহার থেকেই বিজ্ঞান। পবিত্র কুরআনই পৃথিবীতে বিজ্ঞানের দরজা উন্মুক্ত করেছে। এখন আসি জেন্ডার বিষয়ে। নারী ও পুরুষ এই দুটিতেই কি সীমাবদ্ধ? থার্ড জেন্ডার বা ট্রান্সজেন্ডার সম্পর্কে ইসলামের অবস্থান কী?

প্রথমেই আমরা পবিত্র কুরআন খুলে দেখি। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আর এই যে, তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল পুরুষ ও নারী, শুক্রবিন্দু হতে, যখন তা স্খলিত হয়। [সুরা নাজম, আয়াত: ৪৬, ৪৭]

তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়াদের জন্মগত কিছু শারীরিক পরিবর্তনের জন্যে হয়ে থাকে, যা আল্লাহ প্রদত্ত। আর ট্রান্সজেন্ডার মানে হচ্ছে রূপান্তরিত লিঙ্গ। অর্থাৎ জন্মের সময় আল্লাহ তাকে ছেলে বা মেয়ে বানিয়েছেন, কিন্তু সে নিজে থেকে সেটার পরিবর্তন করছে। সেটা মানসিক বা শারীরিক যেকোনটাই হতে পারে।

অর্থাৎ ট্রান্সজেন্ডার বলতে আল্লাহর যে সর্বোত্তম সৃষ্টি করেছেন সেটার উপর নিজে থেকে কিছু পরিবর্তন করা, অনেকটা খোদার উপর খোদাগিরি করা।

আল্লাহর রাসূল (সা.) হাদিসে লিঙ্গ পরিবর্তন তো অনেক দূরে, বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে সাদৃশ্য অবিলম্বন করাকেও লানত জানিয়েছেন। হজরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারীর সাদৃশ্য গ্রহণকারী পুরুষ এবং পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণকারিণী নারীদের ওপর অভিশাপ দিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘তাদেরকে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও।’ (বুখারি, দারেমি, আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু আরও বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর লানত সে পুরুষদের ওপর যারা নারী সাদৃশ্য ধারণ করে এবং সে সব নারীদের ওপর যারা পুরুষ সাদৃশ্য ধারণ করে।’ (বুখারি, মিশকাত)

তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়াদের নিয়ে হাদিসে আছে, আহলে বাইতে রাসূল (সা.) স্ত্রীদের ইন্যে অবস্থান করার সময় সেখানে একজন তৃতীয় লিঙ্গের লোক এসেছিলেন। এ সময় তারা নারী ভেবে সেভাবে পর্দা করেননি। তৃতীয় লিঙ্গের লোকটি বের হয়ে যাবার পরে রাসূল (সা.) স্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যখন পরবর্তীতে আসবে পর্দা করবে। স্ত্রীরা বলেন, তারা তো হিজড়া। তখন রাসূল (সা.) বলেন, হিজড়া বলতে কিছু নাই। হয় সে নারী নয়তো পুরুষ। যে পুরুষ হয়তো তার সঙ্গে নারীর কিছু সাদৃশ্য বা বৈশিষ্ট আছে, অথবা যে নারী তার সঙ্গে পুরুষের কিছু সাদৃশ্য বা বৈশিষ্ট আছে। অর্থাৎ মিশ্র লিঙ্গ বলা যেতে পারে।

ট্রান্সজেন্ডার সম্পর্কেও বিস্তর গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। যেটা ইসলামবিরুদ্ধ সেটা তো মুসলিম হিসেবে আমরা মেনে নিতে পারি না। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে যেসব ছেলে-মেয়ে রূপান্তরকামী বা এক জেন্ডার হয়ে অন্য জেন্ডারের হরমোন বয়ে বেড়াচ্ছে বা মানসিকভাবে নিজেদেরকে ভিন্ন জেন্ডার মনে করছে তাদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব। এ বিষয়টিকেও নিষিদ্ধ গন্দম না বানিয়ে এ সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা হওয়া জরুরি। আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে অনেক নতুন নতুন বিষয় আমাদের সামনে আসবে। কুরআন-হাদিসের দিকনির্দেশনা সম্পর্কেও আমরা সম্যক অবহিত হতে পারব। উত্তেজনা না ছড়িয়ে মূল বিষয়ের সঠিক জ্ঞান আহরণই আমাদের জন্য কল্যাণকর হবে। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের তাওফিক দিন। আমিন।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে