রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

একজন লড়াকু মানুষের বিদায়

দেশের এখন সবচেয়ে বড় সংকট অনুসরণ করার মতো কোনো চরিত্র নেই। মানুষ কার কাছে শিখবে, কার কাছে যাবে, কোথা থেকে পাবে সাহস? চারিদিকে চালাক মানুষের ভিড়ে কোথায় পাবে সরল মানুষ যার কাছে দুঃখের কথা বলা যায়। ক্যারিয়ারের কথা বলছে সবাই, চরিত্র তৈরি করার কথা তো বলছে না কেউ। নিজেকে বড় ভাবার মানুষের অভাব নেই কিন্তু নিজেকে বড় করে তোলার সংগ্রামে লিপ্ত আছেন তেমন মানুষ কই? লক্ষ্যে অবিচল থেকে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধ্যমতো সব করা যায়, কিন্তু কোনো কিছুর জন্যই লক্ষ্য বিচ্যুত হওয়া যায় না- এমন দৃষ্টান্ত কোথাও তো দেখি না।

কারো কাছে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। ক্রমাগত বাড়ে কিন্তু কাবু করে ফেলে না, উদ্যমকে লাগাম পরাতে দেয় না, কৌতূহলকে অবদমন করেন না বরং কৌতূহলের বাতাসে পাল উড়িয়ে দেন, সবসময় থাকেন আগ্রহী ও উদ্যোগী। কেউ আবার বয়সজনিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান বর্তমানের সমস্যা সমাধানে। তার তো বয়স নিয়ে ভাবনার সময়ই থাকে না। একজন সেরকম আমৃত্যু যুবক ছিলেন আমাদেরই মাঝে। যিনি তার ৮১ বছর বয়সকে থোরাইকেয়ার করে ১৮ বছরে নামিয়ে এনেছিলেন। ছুটেছেন অবিরাম। কিন্তু আমরা কি তার যৌবনের শক্তিকে মূল্যায়ন করেছি?

শিক্ষার উদ্দেশ্য কী? জানতে চাইলে নির্দ্বিধায় প্রায় সবাই বলে উঠবেন, কী আবার? ক্যারিয়ার গড়ে তোলা। কারণ শেখানো হয়েছে, লেখা পড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। অথবা বাবা- মা উদ্বেগ জড়ানো কণ্ঠে বলেন, ভালো করে পড়াশুনা কর, তা না হলে খাবি কী করে? আর এদেশে থেকে কোনো লাভ নেই, বাইরে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। সেই লক্ষ্যে চলতে থাকে বিদেশে পড়াশুনা এবং শিক্ষাজীবন শেষে সেখানেই স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা। এর বিকল্প যারা ভাবেন তাদের বাস্তব জ্ঞানের বিষয়ে সকলেই প্রশ্ন তুলবেন। একবাক্যে বলেন যে, তারা হয় বোকা অথবা তাদের যোগ্যতা নেই। কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, বিলাসী জীবনযাপনের মতো আয় রোজগার আছে, বিস্তর সামাজিক যোগাযোগ আছে তার পরও ফিরে এসেছেন দেশের মাটিতে এমন মানুষকে কী বলা যায়?

বাইরে থেকে দেখলে তার জীবন বিতর্কপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ, বৈচিত্র্যময় ও বর্ণিল। জীবনের প্রতিটি বাঁক ফেরানোর মুখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজের কথা ভেবে নয়, দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিবেচনায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল থেকেএমবিবিএস পাস করে লন্ডনে গিয়েছিলেন এফআরসিএস পড়তে। তখন তার জীবনযাপন ছিল শখ ও বিলাসিতায় পূর্ণ। তিনি প্রাইভেট জেট চালানোর লাইসেন্স পেয়েছিলেন, যুবকদের আকাঙ্ক্ষিত দামি স্যুট, টাই, শার্ট, জুতা পরতেন। ৪ বছরের এফআরসিএস কোর্স তখন শেষের দিকে। প্রাইমারি পরীক্ষায় ভালোভাবেই উত্তীর্ণ হয়েছেন, আর কয়েকদিন পরেই ফাইনাল পরীক্ষা। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। তার মনে কি এই প্রশ্ন আসেনি যে কী করবেন তিনি তখন? উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আর অনিশ্চিত জীবনের টানাপোড়েন। কিন্তু তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন সংগ্রামের অনিশ্চিত অথচ মহত্তম পথটাই বেছে নেবেন। ক্যারিয়ারের পরীক্ষা নয় দেশপ্রেমের পরীক্ষায় অংশ নিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে নেমে পড়লেন লন্ডনের রাস্তায়।

লন্ডনের হাইড পার্কে অনুষ্ঠিত এরকম একটি সমাবেশে প্রকাশ্যে তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেললেন। পরে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই যে পাসপোর্ট ছিঁড়ে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব বর্জন করলেন, সিদ্ধান্তটা কী তিনি হঠাৎ করে, না চিন্তা-ভাবনা করে নিয়েছিলেন? হাসতে হাসতে তিনি বলেছিলেন, 'পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলা ছিল পাকিস্তানিদের গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ। তোমরা আমাদের হত্যা করছ, আমি তোমার পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেললাম, নাগরিকত্ব বর্জন করলাম।'

তো পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেললেন এরপর কাজ কী? আপাত নিরাপদ বিদেশে থেকে স্বাধীনতার জন্য সহায়তা করা নাকি সংগ্রামে অংশ নেওয়া? তিনি বেছে নিলেন সেই ঝুঁকিপূর্ণ পথ।

১৯৭১ সালের মে মাসের শেষে তিনি পৌঁছালেন আগরতলায় মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরে। সেখানেই গড়ে তুলেছিলেন একটি হাসপাতাল। যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল এই হাসপাতাল যার নাম দেওয়া হয়েছিল 'বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল'। ভবন তৈরির অপেক্ষা না করে ছন-বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করাহয়েছিল ৪৮০ শয্যার হাসপাতাল আর এর অপারেশন থিয়েটার। যুদ্ধে গুরুতর আহত মুক্তিযোদ্ধাদের জটিল অপারেশনও করা হতো বাঁশের তৈরি এই হাসপাতালে। প্রশিক্ষিত নার্স নেই তো কী হয়েছে হাতের কাছে তো আগ্রহী মানুষ আছে? ফলে প্যারামেডিক প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল একদল সেবাদানকারী। মুক্তিযুদ্ধে এই ফিল্ড হাসপাতালের ভূমিকা অপরিসীম। এই হাসপাতালটিই স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম নিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে।

স্বাধীনতার পর তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ওষুধ নীতি প্রণয়ন। দেশের ওষুধের বাজার প্রায় পুরোটাই ছিল বহুজাতিক কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। অনেক অপ্রয়োজনীয় ওষুধসহ প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ওষুধ ছিল বাজারে। দেশে কারখানা তৈরি করে উৎপাদন করা হতো আর অধিকাংশই কোম্পানিগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করত। ফলে ওষুধের দাম ছিল বেশি আর কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা চলে যেত দেশের বাইরে। গণমানুষের জন্য চিকিৎসা সহজলভ্য করার জন্য স্বাধীনতার পর থেকেই দেশীয় ওষুধ শিল্প গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সমাজতান্ত্রিক দেশ থেকে কম দামে ওষুধ আমদানির কথা নীতি নির্ধারক মহলের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন তিনি। অবশেষে ওষুধ নীতি করাতে সক্ষম হন ১৯৮২ সালে। এর ফলে সাড়ে ৪ হাজার ওষুধ থেকে প্রায় ২ হাজার ৮০০ ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়। আজ দেশীয় পুঁজিপতিদের মালিকানায় ওষুধ শিল্পের যে বিকাশ, তা সেই ওষুধ নীতিরই সুফল। এখন মানুষের চাহিদার ৯৫ শতাংশেরও বেশি ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ এখন ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ।

যখন কোভিড মহামারির আতঙ্ক, তখন তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালেই হয়েছিল তার চিকিৎসা। 'যে হাসপাতাল তৈরি করলাম, সেখানে যদি নিজে আস্থা না রাখি, সাধারণ মানুষ আস্থা রাখবেন না' এটাই ছিল তার যুক্তি। আবার করোনা চিকিৎসায় দামি ওষুধ গ্রহণ করতে রাজি হননি। তার যুক্তি ছিল, 'প্রথমত করোনা চিকিৎসায় এত দামি ওষুধ দরকার নেই। দ্বিতীয়ত, যে ওষুধ কেনার সামর্থ্য সাধারণ মানুষের নেই, সেই ওষুধ আমি খাব না।' অনুরোধ করেও কোনো ডাক্তার তার এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করাতে পারেননি।

আবার যখন তার কিডনি রোগ যখন ধরা পড়ল, তার আমেরিকান ডাক্তার বন্ধুরা তাকে আমেরিকায় নিয়ে ট্রান্সপ্লান্ট করে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি কারণ বাংলাদেশে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট আইন পরিবর্তনের জন্য তিনি আন্দোলন করছিলেন। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কাছের আত্মীয় ছাড়া কেউ কিডনি দান করতে পারেন না। এতে মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। 'দেশের সাধারণ মানুষ কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের সুযোগ পাবে না, আর আমি আমেরিকা থেকে করে আসব বা দেশে মিথ্যা কথা বলে করতে হবে, তা হয় না। আমি ট্রান্সপ্লান্ট করব না। বরং ডায়ালাইসিস করব, যে সেবা গরিব মানুষকেও দিতে পারব।'

তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল আপনার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সম্পদের পরিমাণ কত? 'হবে কয়েক হাজার কোটি টাকার', তার নির্বিকার উত্তর। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এত টাকার সম্পদ, আপনার কখনো মনে হয় না এখান থেকে নিজের কিছু পাওয়ার ছিল? 'না, না আমি টাকা-সম্পদ দিয়ে কী করব। দেশের মানুষের জন্যে আরও অনেক কিছু করার ছিল।' এই ছিল তার উত্তর। তার আরও স্বপ্ন ছিল, চিকিৎসা বাণিজ্য বন্ধ করার, একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশের, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের এবং সেই স্বপ্ন পুরনের লক্ষ্যে তার আমৃত্যু লড়াই ছিল। তিনি কি বামপন্থী ছিলেন? না। তিনি কি প্রথাগত অর্থে ডানপন্থী ছিলেন? তাও নয়। ফলে রাজনৈতিক নানা প্রশ্নে তার সঙ্গে অনেক দ্বিমত থাকলেও মানুষের প্রতি তার দায়বোধ নিয়ে বিতর্ক করবেন না কেউ।

তার জীবন আমাদের শেখায়, জিততে চাইলে মানুষ নাও জিততে পারে কিন্তু কোনো মানুষ যদি প্রতিজ্ঞা করে তিনি হারবেন না তাহলে তাকে হারানো সম্ভব না কিছুতেই। সে রকম মানুষ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কিন্তু হার মানে না কিছুতেই। আমাদের তেমনি একজন হার না মানা যোদ্ধা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

এসএন

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়োগে ৭ ধরনের পদে মোট ৬০৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে অবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: প্রোগ্রামার।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে স্নাতক বা সমমান।
বেতন: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।

পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ১৬৬টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার।
পদসংখ্যা: ৩৫টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৩১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ১টি ও কর্মসংস্থান ব্যাংকে ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার/অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ৬৯টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৪৭টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অফিসার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ৩৩২টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ১৮৩টি, জনতা ব্যাংকে ১০০টি, অগ্রণী ব্যাংকে ৪৩টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ৬টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট নেটওয়ার্ক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের ফি: ২০০ টাকা। তবে অনগ্রসর গোষ্ঠীর নাগরিকদের জন্য আবেদনের ফি ৫০ টাকা।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ২১ মে, ২০২৫।

Header Ad
Header Ad

ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ

অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‍ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "এটা শুধু অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।”

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের এলডি হলে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপের সময় আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, পুঞ্জীভূত সংকট থেকে উত্তরণে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে এসেছে। এবার দ্রুত সময়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, “গত ৫৩ বছর ধরে যারা গণতন্ত্র ও অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করেছেন, তাদের প্রতি আমাদের দায় আছে। এই ঐক্য বজায় না রাখতে পারলে সব অর্জন হারিয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নই শেষ কথা নয়, প্রয়োজন গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলা এবং গণতন্ত্রচর্চার মাধ্যমে রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ঐক্য অটুট রাখা।”

সংলাপে অংশ নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, “অংশীজনদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই সনদ গঠিত হবে। আর দ্বিমতের বিষয়গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরাই হবে আমাদের দায়িত্ব।”

এর আগেও বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ঐকমত্য কমিশন। আজ বিকেলে জেএসডির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রাষ্ট্র সংস্কারে ১১টি কমিশন গঠিত হয়েছে। এসব কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেছে এই কমিশন, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Header Ad
Header Ad

মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই বাংলাদেশি যুবক। রোববার (২৭ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার মধুপুর সীমান্তের ওপারে, ভারতের অংশে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মোহাম্মদ মিকাইল (২২) ও মো. ওবায়দুল (২৩)। তারা দুজনই মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, রোববার ভোরে যাদবপুর সীমান্তের ওপার থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর কয়েকজন গ্রামবাসী সীমান্তের কাছাকাছি গিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে পড়ে থাকা দুটি মরদেহ দেখতে পান। তারা দাবি করেন, মরদেহ দুটি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা। তবে বিএসএফের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকাজুড়ে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক