রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিজয় দিবস: পেছনে দেখা আর সামনে তাকানো

অতীতের অর্জন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে শুধু স্মৃতিচারণ নয় স্বপ্নের পরিভ্রমণও ঘটে। আমাদের দেশের জীবনে তেমনি এক দিন বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২ তারিখ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, ৩ মার্চ ইশতেহার ঘোষণা, ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্সের ঘোষণা, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১০ এপ্রিল অস্থায়ী সরকার গঠন, ১৭ এপ্রিল অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ আর ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, এক বছরেই এতগুলো অর্জন।

স্বাধীনতা দিবস থেকে বিজয় দিবস ২৬৬ দিনের এক অবিস্মরণীয় যাত্রা। রক্তে ভেজা ভুখণ্ড, একটি পতাকা, জাতীয় সংগীত আর এক বুক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের। আকাশচুম্বী আশা নিয়ে, সাগর পরিমাণ রক্ত দিয়ে, প্রতিজ্ঞা আর সাহসে ভর করে পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। কাঁধে রাইফেল, মুখে বিজয়ের উল্লাস নিয়ে আর সবুজের বুকে লাল বৃত্ত আঁকা পতাকা উড়িয়ে যখন তারা দেশে মার্চ করছিল তখন সন্তানহারা মা তার হাহাকার ভুলে গিয়েছিল আর সম্ভ্রমহারা বোনটি মাথা উঁচু করে বাঁচার প্রেরণা পেয়েছিল। ভেবেছিল সবাই, এবার দেশটা আমাদের হবে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, সময়ের হিসাবে পার হয়ে গেছে ৫১ বছর, কিন্তু মনে হয় এই তো সেদিনের কথা! এই ৫১ বছরে বাংলাদেশের অর্জন কম নয় বরং অনেকেই বলছেন বিস্ময়কর। যদি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতির চিত্র দেখি তাহলে দেখব মাথাপিছু আয় ১১০ ডলার থেকে বেড়ে এখন ২৮২৪ ডলার, জিডিপি ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে হয়েছে ৩৯৭ বিলিয়ন ডলার, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩৯ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা।

খাদ্য উৎপাদন ১ কোটি ১০ লাখ টন থেকে বেড়ে ৫ কোটি টনে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া, সেতু, হাইওয়ে, ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল আর মেট্রোরেল অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে দৃশ্যমান করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের পূর্বসুরিরা তাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করেছিলেন দেশের ভবিষ্যতের জন্য। নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে একটা জাতিকে যে পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল তার নজীর পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। ৩০ লাখ মানুষের জীবন দান, ২ লক্ষাধিক নারীর সম্ভ্রম, কোটি মানুষের গৃহহারা হয়ে দেশান্তরী হওয়া, গোটা দেশটাই একটা নির্যাতন ক্যাম্পে পরিণত হওয়ার ঘটনা যেমন বিশ্ববাসী জানে, তেমনি জানে কী অপরিসীম সাহস ও দেশপ্রেমের বলে বলিয়ান হয়ে মাত্র ৮/১০/১২ সপ্তাহ ট্রেনিং নিয়ে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছিল বাংলার দামাল ছেলে-মেয়েরা।

এই অসম লড়াইয়ে সাহসের উৎস কী ছিল? ছিল দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা, মুক্তি অর্জন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আকুতি। প্রায় দুইশ বছরের ব্রিটিশ শাসনে এই ভূখণ্ডের মানুষের বুকে পরাধীনতার গ্লানি আর চোখে স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে সংগ্রাম করেছে। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সর্ব ভারতীয় জাতিয়তাবোধ ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল। কিন্তু তা পরিণত রূপ পায়নি নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাব ও ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের কারণে।

দ্বিজাতি তত্ত্বের নামে ধর্ম ভিত্তিক জাতিয়তার যে বীজ বপন করা হয় তার ফলশ্রুতিতে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে গড়ে উঠে পাকিস্তান। পৃথিবীর কোথাও ধর্মের ভিত্তিতে দেশ হয়নি। যদি তা হত তাহলে এশিয়া আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সব কটি মুসলিম ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত অঞ্চল মিলে একটি মুসলিম দেশ হয়ে যেত। কিন্তু তা হয়নি। ইউরোপের সবগুলো দেশ মিলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের দেশ হয়নি। চীন, জাপান, কোরিয়া মিলে যেমন বৌদ্ধ ধর্মের দেশ হয়নি তেমনি ভারত নেপাল মিলে হিন্দু বা সনাতন ধর্মের দেশ হয়নি। কারণ, দেশ হতে গেলে ভূখণ্ডগত ঐক্য, সাংস্কৃতিক বন্ধন, ভাষা, অর্থনৈতিক জীবনধারা প্রভৃতি দরকার হয়। যে কারণে এক ধর্মের মানুষ হলেও তাদেরকে নিয়ে এক দেশ হয় না। তাই হাজার মাইলের ভৌগলিক দূরত্ব, ভাষা সংস্কৃতির পার্থক্য নিয়ে শুধু মাত্র ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান নামের যে দেশ গড়ে তোলা হয়েছিল তা কোন বিচারেই এক রাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল না।

এই কৃত্রিম রাষ্ট্র ঐক্য প্রতিষ্ঠার নামে যে সব পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিল তাতে মোহ ভঙ্গ হতে বেশি দেরি লাগেনি। ভাষার উপর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ৫২ সালে, শিক্ষার অধিকার সংকুচিত করার প্রতিবাদে ৬২ সালে, সংস্কৃতির উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে ৬৫ সালে, ৬ দফার লড়াইয়ে ৬৬ সালে, সামরিক শাসক আইয়ুবের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান ৬৯ সালে, মানুষের বিপুল অংশগ্রহণে নির্বাচনে ধস নামানো বিজয় ৭০ সালে এবং এর ধারাবাহিকতায় ৭১ এর সশস্ত্র লড়াই আমাদের আকাঙক্ষা খাকে একটি যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। পাকিস্তান ছিল একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র তার বিপরীতে ধর্ম নিরপেক্ষতা, পাকিস্তান ছিল সামরিক শাসন দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্র তার বিপরীতে গণতন্ত্র, ব্রিটিশ শোষণ ও পাকিস্তানের ২২ পরিবারের শোষণের বিরুদ্ধে শোষণ মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে সমাজতন্ত্র আর দীর্ঘদিনের উপনিবেশিক ও পাকিস্তানি প্রায় উপনিবেশিক শাসনের বিপরীতে জাতীয়তাবাদ, এই আকাঙ্ক্ষাগুলো মূর্ত হয়ে উঠেছিল আমাদের চেতনায়।

তাই ঘোষণা করা হয়েছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনে গ্রাম শহরের শ্রমজীবী মানুষ, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, বিভিন্ন পেশায় কর্মরত মধ্যবিত্ত নেমে এসেছিল আন্দোলন, অভ্যুত্থান আর স্বাধীনতার লড়াইয়ে। সব পথ যেন মিশে গিয়েছিল মুক্তির আকাঙ্ক্ষায়, স্বাধীনতার মোহনায়। কিন্তু ৫১ বছর পরে আকাঙক্ষায় আর প্রাপ্তির হিসেব মেলাতে গেলে দেখা যাবে অনতিক্রম্য এক বিশাল ফারাক তৈরি হয়েছে তাই নয় মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক সুউচ্চ দেয়াল। স্বাধীনতার জন্য লড়েছিল যারা আর সুফল ভোগ করছে যারা তারা একদেশের মানুষ হয়েও যেন এক জাতের মানুষ নয়।

এক দেশে অর্থনৈতিকভাবে দুই জনগোষ্ঠী তৈরি হয়ে গেল যাদের স্বপ্ন আলাদা, শিক্ষা আলাদা এমন কী ভাষাও আলাদা হয়ে গেছে দিনে দিনে। কেউ অভাবের চাপে বিদেশে গিয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে টাকা পাঠায় দেশে আবার কেউ দেশে লুটপাট করে টাকা পাচার করে বিদেশে। বন্যা, খরা, ঝড় বেশিরভাগ মানুষের জীবন ছিন্নভিন্ন করে দেয় আবার কারও জন্য মুনাফার সুযোগ অবারিত করে দেয়। তাইতো ২ জন কোটিপতি নিয়ে যে দেশের যাত্রা শুরু সে দেশে এখন সোয়া লাখের বেশি কোটিপতি আর ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচেই থেকে গেছে। যেখানে বলা হচ্ছে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ ডলার সেখানে দেশের শ্রমজীবীদের ১৫০০ ডলার রোজগার করাই কঠিন। এই টাকা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করা হলে কত দাঁড়াবে? গণতন্ত্র এবং নির্বাচন যেন সুদুরের স্বপ্ন হয়েই রইল। মানবিক মর্যাদা যেন বেদনাময় আকুতি, ন্যায়বিচার যেন দীর্ঘশ্বাসের উচ্চারিত শব্দ। স্বাধীনতার পর দেশের বয়স যত বাড়ছে স্বাধীনতার স্বপ্নগুলো যেন তত দূরে সরে যাচ্ছে। বিজয় দিবস তাই স্মরণ করিয়ে দেয়, বিজয়ের স্বাদ পেতে হলে এখানে থেমনা, আরও পথ বাকি আছে, লড়তে হবে আরও বহুদিন।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়োগে ৭ ধরনের পদে মোট ৬০৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে অবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: প্রোগ্রামার।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে স্নাতক বা সমমান।
বেতন: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।

পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ১৬৬টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার।
পদসংখ্যা: ৩৫টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৩১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ১টি ও কর্মসংস্থান ব্যাংকে ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার/অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ৬৯টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৪৭টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: অফিসার (আইটি)।
পদসংখ্যা: ৩৩২টি।
ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ১৮৩টি, জনতা ব্যাংকে ১০০টি, অগ্রণী ব্যাংকে ৪৩টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ৬টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট নেটওয়ার্ক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার।
পদসংখ্যা: ২টি।
ব্যাংক: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের ফি: ২০০ টাকা। তবে অনগ্রসর গোষ্ঠীর নাগরিকদের জন্য আবেদনের ফি ৫০ টাকা।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ২১ মে, ২০২৫।

Header Ad
Header Ad

ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ

অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‍ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "এটা শুধু অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।”

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের এলডি হলে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপের সময় আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, পুঞ্জীভূত সংকট থেকে উত্তরণে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে এসেছে। এবার দ্রুত সময়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, “গত ৫৩ বছর ধরে যারা গণতন্ত্র ও অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করেছেন, তাদের প্রতি আমাদের দায় আছে। এই ঐক্য বজায় না রাখতে পারলে সব অর্জন হারিয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নই শেষ কথা নয়, প্রয়োজন গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলা এবং গণতন্ত্রচর্চার মাধ্যমে রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ঐক্য অটুট রাখা।”

সংলাপে অংশ নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, “অংশীজনদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই সনদ গঠিত হবে। আর দ্বিমতের বিষয়গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরাই হবে আমাদের দায়িত্ব।”

এর আগেও বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ঐকমত্য কমিশন। আজ বিকেলে জেএসডির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রাষ্ট্র সংস্কারে ১১টি কমিশন গঠিত হয়েছে। এসব কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেছে এই কমিশন, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Header Ad
Header Ad

মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই বাংলাদেশি যুবক। রোববার (২৭ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার মধুপুর সীমান্তের ওপারে, ভারতের অংশে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মোহাম্মদ মিকাইল (২২) ও মো. ওবায়দুল (২৩)। তারা দুজনই মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, রোববার ভোরে যাদবপুর সীমান্তের ওপার থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর কয়েকজন গ্রামবাসী সীমান্তের কাছাকাছি গিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে পড়ে থাকা দুটি মরদেহ দেখতে পান। তারা দাবি করেন, মরদেহ দুটি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা। তবে বিএসএফের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকাজুড়ে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক