মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঘুষ খেয়ে ৫৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ভোটার বানান সাবেক ইসি সচিব!

নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫৫ হাজার ৩১০ জন শরণার্থীকে এদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে ভোটার বানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আওয়ামী লীগের হয়েও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার খায়েশ ছিল তার। এজন্য নিজের ভোটব্যাংক বাড়াতে এই দুর্নীতির আশ্রয় নেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হেলালুদ্দীন।

সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত রোহিঙ্গা ডাকাতের কাছে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র অনুসন্ধানে গিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কিন্তু হাসিনা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজন জড়িত থাকায় বিষয়টি আর আলোর মুখ দেখেনি। উল্টো দুদকের যে কর্মকর্তা এই বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন তারই চাকরি চলে যায় ‘ঠুনকো অজুহাতে’।

দুদক সূত্র জানায়, অবসরের পর কক্সবাজারের ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ ও ইসলামপুর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনের অংশ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে নাগরিকত্ব দিয়ে ভোটার বানান হেলালুদ্দীন। এই প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে হয় তাকে।

দুদকের ধারণা, এই চক্র শুধু ঈদগাঁও, ইসলামাবাদেই নয়, বরং কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, লামা, আলীকদমে আশ্রয় নেওয়া আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে ভোটার বানিয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ায় লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। পরে নির্বাচন কমিশনও আলাদা একটি তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায়। নির্বাচন কমিশন ও দুদকের করা চাঞ্চল্যকর ওই তদন্ত প্রতিবেদন দুটি দৈনিক জাতীয় পত্রিকার হাতে এসেছে।

২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী আমলা হিসেবে পরিচিত হেলালুদ্দীন আহমদ। দুদক সূত্র জানায়, অবসরের পর নির্বাচন করার খায়েশ থেকে ওই এলাকায় আশ্রিত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভোটার বানাতে শুরু করেন তিনি। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারার কাজ হয়। একদিকে যেমন এলাকায় তার ভোটার তৈরি হয়। অন্যদিকে প্রতিটি এনআইডি কার্ড দেওয়ার জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

দুদক ও নির্বাচন কমিশনের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, হেলালুদ্দীনের গড়ে তোলা সিন্ডিকেটটি শুধু তার নির্বাচনী এলাকাতেই থেমে থাকেনি। বরং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করেছে তারা। তবে পতিত সরকারের বাধায় বিস্তারিত অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি। বিস্তারিত অনুসন্ধান করতে পারলে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা অন্তত ৫ লাখ রোহিঙ্গাকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হতো, যার মধ্যে অন্তত ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে পাসপোর্টও দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলম। এ সময় তার কাছ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড পায় পুলিশ, যা ইস্যু করা হয় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে। ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে নুর ওই এনআইডি সংগ্রহ করে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তদন্তে নামে দুদক। এতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।

হেলালুদ্দীনের নাম এলো যেভাবে

২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তদন্তের স্বার্থে দুদকের একটি অনুসন্ধানী টিম চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজে ব্যবহৃত আটটি ল্যাপটপ হারিয়ে যাওয়ার তথ্য পায় দুদক। তবে সাতটি ল্যাপটপের ব্যাপারে জিডি ও মামলা রেকর্ড করাসহ আইডি ব্লক করার কথা জানানো হলেও ইসির দাবি করা মিরসরাই থেকে খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটপের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি অজ্ঞাত কারণে।

৪৩৯১ আইডি নম্বরের ল্যাপটপটির আইডিও ব্লক করা হয়নি তখনও। ওই একটি ল্যাপটপ দিয়েই ২০১৬ সাল থেকে টানা ৩ বছর ধরে ৫৫ হাজার ৩১০ জন রোহিঙ্গাকে ভোটার বানানো হয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজারই কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার বাসিন্দা। অনুসন্ধানী দল ইসির সার্ভারে ঢুকে দেখতে পায়, ভোটার হওয়ার জন্য যে নিবন্ধন ফর্ম ব্যবহার করা হয় তার সিরিয়াল নম্বর ৪১৮৬৬৩০১ হতে ৪১৮৬৬৪০০ পর্যন্ত ১০০টি ফর্মের একটি বই একটি অফিসের নামে ইস্যু করার নিয়ম থাকলেও এর ৬৩টি ফরম ব্যবহার করা হয়েছে দেশের ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে।

এ ছাড়া ২৩৯১ নম্বরের ল্যাপটপ থেকে যে ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে ভোটার বানানো হয়েছে তাদের কারোর ক্ষেত্রেই পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র আপলোড করা হয়নি নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে। অনুসন্ধান চলাকালেই সে সময়ের নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুউদ্দীন ফোন করে দুদকের অনুসন্ধানী টিমকে অভিযান অসমাপ্ত রেখেই ফিরে আসতে চাপ দেন। এতেই হেলালের নাম সন্দেহের তালিকায় আসে দুদকের।

যেভাবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হতো

মূলত চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের পিয়ন জয়নাল আবেদিন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য সুন্দর দে, নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মহিউদ্দিন তারেখ, সৈকত বড়ুয়া, শাহ জামাল ও পাভেল বড়ুয়া টেকনিক্যাল কাজগুলো করতেন। নির্বাচন অফিসে বসে অফিসের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেই ভুয়া ভোটার তৈরির কাজ করতেন তারা।

এ ছাড়া জয়নালের বাঁশখালীর বাড়িতে আলাদা সার্ভার রুম বসিয়েও অফিস টাইমের পড়ে সবাই মিলে রোহিঙ্গাদের ভোটার বানানোর এই কাজ চালিয়ে গেছেন টানা তিন বছর। এসব কাজে ডাবলমুরিং নির্বাচন অফিসের স্ক্যানার, ফিঙ্গারিং মেশিন, আইরিশ ডিটেক্টর ও সিগনেচার প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিসের আরেক অফিস সহায়ক নুর আহম্মদ ও আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারী ঋষিকেশ দাশ ভোটার নিবন্ধন ফরমগুলো চুরি করে জয়নালের কাছে দিত। প্রক্রিয়া শেষে তথ্যগুলো কথিত খোয়া যাওয়া ৪৩৯১ নম্বরের ল্যাপটপ থেকে আপলোড করতেন জয়নাল। আর ঢাকা থেকে সেগুলো দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের আইডি ও মডেম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে ইমপোর্ট দিতেন সত্য সুন্দর দে ও মহিউদ্দিন তারেখ।

রোহিঙ্গা ইস্যু থাকায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার ৩২ উপজেলাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করে খাতা-কলমে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তৈরি করা নিবন্ধন ফরমের ৪১টি কলাম যথাযথভাবে পূরণ করাসহ পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন অফিসের প্রত্যয়নপত্র, বিদ্যালয়ের সনদ, জাতীয়তা সনদ, জন্মনিবন্ধন, ভূমিসনদ, উদ্যোক্তা সনদের প্রয়োজন হয়।

এসব ডকুমেন্টের কোনোটির ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির সত্যায়নপত্রসহ সব ডকুমেন্টের সফটকপি নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে আপলোড করতে হয়। কিন্তু এই ৫৫ হাজার ৩১০ জনের একজনের ক্ষেত্রেও পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্ট নেই ইসিতে।

হেলালুদ্দীনের সহযোগী হিসেবে যারা

রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, পাসপোর্ট পেতে সহায়তা করা ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১০৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এরা সবাই হেলালুদ্দীনের সিন্ডিকেটের সদস্য।

এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন হেলালের ভাই নাইক্ষ্যংছড়ি কলেজের শিক্ষক মুজিবুর রহমান, নির্বাচন কমিশনের তৎকালীন পরিচালক খোরশেদ আলম, কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, কক্সবাজার জেলা সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন, চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, নির্বাচন কমিশন ঢাকার টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য সুন্দর দে, ডাবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অফিসার সৈকত বড়ুয়া, শাহ জামাল, কক্সবাজার পূর্ব গোমাতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক নুর আহম্মদ, নির্বাচন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মহিউদ্দিন তারেক, আউট সোর্সিং কর্মচারী ঋষিকেশ দাশ, পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসার আবদুল লতিফ শেখ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল, সরফরাজ কাদের রাসেল, জেলা নির্বাচন অফিসের উচ্চমান সহকারী মাহফুজুল ইসলাম, সাবেক চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার খোরশেদ আলমসহ ১০৬ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই সিন্ডিকেটে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আইনজীবী, শিক্ষক সবাই রয়েছে।

রোহিঙ্গা ভোটার জালিয়াতি ধরায় চাকরি যায় দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের

দুদকের পরিচালক জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের অনুসন্ধানী কমিটি গঠিত হয়। তবে কার্যত অনুসন্ধানের সব কাজ করেন উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। ২০১৯ সাল থেকে টানা দুই বছর অনুসন্ধান শেষে ২০২১ সালের ১৬ জুন প্রথম একসঙ্গে ৫টি মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই দিনই হেলাল উদ্দিনের প্রভাবে তাকে বদলি করা হয় পটুয়াখালীতে। এর কয়েকদিন পর চাকরিবিধি লঙ্ঘন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয় তাকে।

সূত্র: আমার দেশ

 

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ