রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

গত দেড় দশকে রেল ও সড়কের সবচেয়ে বেশি অর্থের কাজ পেয়েছে যেসব ঠিকাদার

গত দেড় দশকে রেল ও সড়কের সবচেয়ে বেশি অর্থের কাজ পেয়েছে যেসব ঠিকাদার। ছবি: সংগৃহীত

আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাজেটে সব থেকে বেশি বরাদ্দ পেত পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাত। নতুন সড়ক, সেতু, রেলপথ নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। খাতটিতে বিভিন্ন বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন স্থানীয় ঠিকাদাররাও। তবে এসব ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। তৎকালীন সরকারের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে গত দেড় দশকে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি টাকার কাজ করেছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও তমা কনস্ট্রাকশন। অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরে শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)। এছাড়াও তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে থাকা অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রানা বিল্ডার্স, হাসান টেকনো বিল্ডার্স, মোজাহার এন্টারপ্রাইজ, ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড, মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স ও মুহাম্মদ আমিনুল হক। দেশের একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

গত দেড় দশকে রেল ও সড়কের সবচেয়ে বেশি অর্থের কাজ পেয়েছে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে কাজ করা স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। লাকসাম-চিনকি আস্তানা, কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ রেলপথসহ রেলওয়ের একাধিক অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে রেলের চলমান দুটি প্রকল্পের কাজ করছে ম্যাক্স। এর মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে ৩ হাজার ৫০২ কোটি টাকার। আর আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ প্রকল্পে চীন ও বাংলাদেশের দুই প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে ৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকার কাজ করছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। অভিযোগ আছে বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া ঠিকাদারদের অন্যতম তিনি। এ বিষয়ে জানতে গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করেও গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রেলওয়ে ছাড়াও সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ২ হাজার ৩২০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ পেয়েছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে সড়কটির একাংশের নির্মাণকাজ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

রেলের আরেক শীর্ষ ঠিকাদার তমা কনস্ট্রাকশন। দোহাজারী-কক্সবাজার ও আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে ৬ হাজার ১৬১ কোটি টাকার কাজ করছে তমা। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আতাউর রহমান ভূঁইয়া।

একসময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন তিনি। তমা কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

অন্যদিকে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে শীর্ষে রয়েছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)। সরকারি ক্রয়সম্পর্কিত তথ্যভাণ্ডার সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ১১৩টি কার্যাদেশ পেয়েছে। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার বেশি। সড়ক, সেতুর পাশাপাশি বিদ্যুৎ, আবাসনসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের কাজও করে এনডিই। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন সরকার।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আরেক শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৪২২টি কার্যাদেশ পেয়েছে। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। রানা বিল্ডার্সের মালিক মো. আলম।

গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, চার দশকের বেশি সময় ধরে ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত মো. আলমের উত্থান হয়েছে মূলত গত এক দশকে। এর আগে সওজসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ছোট ছোট কাজ করত রানা বিল্ডার্স। তবে ২০১০ সালের পর থেকেই সওজের বড় বড় উন্নয়নকাজ পেতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পটুয়াখালীর শেখ রাসেল সেতু, খেপুপাড়া সেতু, মহিপুর সেতু, জিঞ্জিরা-দোহার মহাসড়ক, যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর মহাসড়ক, জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়ক, কাঁচপুর-ভৈরব-সিলেট-জাফলং মহাসড়ক, দৌলতদিয়া-খুলনা-যশোর মহাসড়ক, লাকসাম-মাইজদী মহাসড়ক, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েসহ একাধিক বড় বড় প্রকল্পের কাজ করেছে রানা বিল্ডার্স।

রানা বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আলমের ভাগনে নাজমুল হাসান (পাখি)। তার মালিকানায় থাকা হাসান টেকনো বিল্ডার্স ২০১৫ সালের অক্টোবরের পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৪২০টি কাজ পেয়েছে, যেগুলোর চুক্তি মূল্য ৪ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। একইভাবে আলমের ভাতিজা জুলফিকার হোসেন মাসুদ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকার কাজ পেয়েছে।

রানা বিল্ডার্সের মালিক মো. আলমের দাবি, তারা সব ধরনের নিয়মকানুন মেনেই কাজ পেয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যেসব কাজ পেয়েছি, সবই যথাযথ দরপত্র অনুযায়ী হয়েছে। কোথাও কোনো গরমিল কেউ পাবে না। ২০২০ সালের পর আমাদের কাজের পরিমাণ কমে এসেছে। এজন্য মূলত সরকারের ক্রয় পদ্ধতি (ইজিপি) দায়ী। সড়কে অনেক ঠিকাদার রয়েছে, যাদের কাজ বেশি কিন্তু মূল্য কম। অথচ দরপত্র প্রক্রিয়ায় যাদের কাজের পরিমাণ বেশি, তাদেরই কাজ দেয়া হয়। এ সুযোগে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে অস্বাভাবিকভাবে কাজ পেয়েছে।’

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আরেক শীর্ষ ঠিকাদার মোজাহার এন্টারপ্রাইজ। সিপিটিইউর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ১৭৬টি কাজ পেয়েছে। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৪ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। মোজাহার এন্টারপ্রাইজের মালিক কাজী মোজাহারুল হকের বাড়ি খুলনায়। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ঠিকাদারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৬৪১টি কার্যাদেশ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৪ হাজার ৬০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের নভেম্বরের পর থেকে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ১৮৯ কোটি টাকার কার্যাদেশ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খান মো. আফতাব উদ্দিন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে উঠে এসেছে নওগাঁর মুহাম্মদ আমিনুল হক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির মালিক নওগাঁর আমিনুল হক। নব্বইয়ের দশকে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত আমিনুল হকের পাওয়া কাজের সংখ্যা হাতে গোনা। এরও একটি অংশ আবার তিনি পেয়েছিলেন অন্য কোম্পানির সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে।

সিপিটিইউর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ৮১১টি কার্যাদেশ পেয়েছে আমিনুল হক লিমিটেড। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ২ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা।

এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে গতকাল আমিনুল হকের সেলফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের শীর্ষ ঠিকাদারের মধ্যে আরো রয়েছে এমএম বিল্ডার্স, মাহফুজ খান, ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স ও আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কয়েকটির বিরুদ্ধে জাল সনদ ব্যবহার করে কার্যাদেশ বাগিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান করে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ, আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন, মাসুদ হাইটেক, ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড, রানা বিল্ডার্স, হাসান টেকনো বিল্ডার্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‌আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন কিন্তু এক ঠিকাদারের বেশি কাজ পাওয়ার ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে আরো কমে আসবে। আর দেশে কাজের বিপরীতে ঠিকাদারের সংখ্যা কিন্তু কম। তাই অনেক ঠিকাদারকে বেশি বেশি কাজ করতেই হবে।’

এদিকে বিদ্যমান সরকারি ক্রয় পদ্ধতি বাংলাদেশে ঠিকাদারদের বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রত্যেক ঠিকাদারেরই নিজস্ব সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ঠিকাদারের যে পরিমাণ আর্থিক সক্ষমতা, জনবল ও যন্ত্রপাতি রয়েছে, তার চেয়ে তার কাজের পরিমাণ বেশি হলে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। কাজ বিলম্বিত হয়। মান খারাপ হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার বেশি কাজ পায়, সে তৃতীয় পক্ষকে সেটা হস্তান্তর করে। এ ধরনের ঘটনা কাজের গুণগত মান আরো খারাপ করতে ভূমিকা রাখে। এ ধরনের জটিলতা এড়াতে দরপত্র পদ্ধতিতে মৌলিক কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। আহ্বান করা দরপত্রের শর্ত কিছুটা শিথিল করে বেশি বেশি ঠিকাদারদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিলে এ খাতে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। এর বাইরে প্রত্যেক ঠিকাদারের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা সীমারেখা বেঁধে দেয়া উচিত। বলেও মনে করেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু

মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবি। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, “দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিও- যাদের বিষয়ে আপনারা জানতে চেয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”

এর আগে সকালে ‘যুব অধিকার পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন এই দুই কর্মকর্তার দুর্নীতির তদন্ত দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল করে দুদক কার্যালয়ে যায়। পরে তারা একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।

দুদক মহাপরিচালক আরও জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যেই দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের নজরে এসেছে এবং এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, “শিগগিরই তদন্তের অগ্রগতি জানতে পারবেন।”

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যদিও উপদেষ্টা ৮ এপ্রিলই তাকে অব্যাহতির নির্দেশ দেন। তার আগে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ লক্ষ্যে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছে দলটি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ তথ্য জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তাহের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত টাইমলাইনের ওপরই জামায়াত আস্থা রাখবে।’ তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পরিদর্শক দল পাঠানোর অনুরোধও করেছে জামায়াত।

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে প্রচুর গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হয়। এ শিল্পের প্রসারের জন্য নির্দিষ্ট একটি এলাকা নির্ধারণ করে সেখানে আরও বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছি।’

নারীদের অধিকার ও জঙ্গিবাদ দমনে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ইইউ প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছি। নারীদের অংশগ্রহণের দিক থেকে জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী সদস্য রয়েছে, যা অন্য যেকোনো দলের তুলনায় বেশি।’

তিনি নারী সংস্কার কমিশনের পতিতাদের শ্রমিক স্বীকৃতির বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘এটি নারীদের জন্য চরম অপমানজনক।’

Header Ad
Header Ad

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. জাফর আলম। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ধানমণ্ডি এলাকা থেকে মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে ঠিক কী অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২