মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তারিক আহমেদ সিদ্দিক’

তারিক আহমেদ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডিকে দেশের ইতিহাসে একটি ভয়ংকর অধ্যায় হয়ে রয়েছে। তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালায়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ভয়ংকর নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেছেন সাবেক ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক। তিনি বলেন, ‘পুরো ঘটনার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন তারিক আহমেদ সিদ্দিক’।

সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, ‘এটাকে আমি বিডিআর বিদ্রোহ বলতে চাই না। এটা ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কতিপয় সামরিক, বেসামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সময় আমি এমআইএসটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমাকে প্রথমে পিলখানা থেকে ফোন করে ক্যাপ্টেন তানভীর (যিনি পরে শহিদ হয়েছেন) বললেন, উই আর ইন ট্রাবল, জুনায়েদকে (যিনি তত্কালীন সেনাপ্রধান মইনের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন) বিষয়টি জানাও।

তিনি আরও বলেন, আমি তাকে (জুনায়েদ) বার্তাটি পাঠাই। জুনায়েদ আমাকে বললেন, সেনাপ্রধান বিষয়টি অবহিত। এরপর এমআইএসটি থেকে আমরা ১০-১৫ জন ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডে চলে যাই। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে যাওয়ার পর তৎকালীন মেজর জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া (যিনি পরে সেনাপ্রধান হন) আমাদেরকে বাধা দেন। এরপর আমরা সাত-আট জন সেনা অফিসার অস্ত্রসহ আমাদের ব্রাদার-অফিসার ও তাদের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য আবাহনী মাঠের দিকে রওনা হই। কয়েকটি গণমাধ্যমে তখন এই ছবি প্রচারও হয়েছিল। আমাদের ওপর কয়েক জন বিডিআর সদস্য গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ অবস্থায় আমাদের রিইনফোর্সমেন্ট দরকার ছিল। এজন্য আমি এমআইএসটির তখনকার কমান্ডার মে. জে. ওয়াদুদকে ফোন করি, উনি আমাকে প্রচণ্ড গালাগাল করেন। উনি বরং পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমাকে সেখান থেকে চলে আসতে বলেন।’

ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, সেদিন সেনাবাহিনী পিলখানায় ঢুকতে পারলে এই গণহত্যা হতো না। ২৭ ঘণ্টা পর ঢুকেছিল সেনাবাহিনী। এর আগেই সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়। ট্র্যাক করে করে পিলখানায় সেনা অফিসারদের অবস্থানের তথ্য দেওয়া হয়েছিল, সে অনুযায়ী তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনার চার মাস পর বিডিআরে আমার পোস্টিং হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের লক্ষ্যে একাধিক তদন্ত চলতে থাকে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে করা তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বর্তমানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। র‍্যাবের পক্ষ থেকেও তদন্ত চলে। পুলিশের পক্ষ থেকে চলা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল কাহার আকন্দ ও মনিরুল ইসলাম। আর বিডিআরের অভ্যন্তরীণ তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন আজিজ আহমেদ (সাবেক সেনাপ্রধান)। আর আমার দায়িত্ব ছিল সবগুলো তদন্ত কমিটির মধ্যে সমন্বয় করা। সে হিসেবে আমার কাছে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ, রিপোর্ট চলে আসে। সুষ্ঠু তদন্তের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, প্রাপ্ত রিপোর্টসমূহে দেখতে পাই—ঘটনার পরিকল্পনা হয় ২০০৮ সালের ডিসেম্বর থেকে। এরপর তিন মাস ধরে (২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) বিডিআরের ৫০ জনের মতো সদস্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বেসামরিক ব্যক্তির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এসব তথ্য জানতে পারেনি—এটা সম্পূর্ণ অসত্য। জেনেও তারা গোপন করেছিল। আওয়ামী লীগের একজন সাবেক এমপি প্রতি শুক্রবার পিলখানা মসজিদে জুমা পড়তে যেতেন। নামাজের পর তিনি সেখানে এক-দেড় ঘণ্টা বিডিআরের সৈনিকদের সঙ্গে মিটিং করতেন। পরে তার বাসায়ও একাধিক মিটিং হয়। সেসব মিটিংয়ে আওয়ামী লীগের আরেক জন সাবেক এমপি থাকতেন। মিটিংয়ে বিডিআরের সৈনিকদের উদ্দেশে সাবেক এক এমপি বলেছিলেন, বেশি মারার দরকার নেই, দুই-তিন জন অফিসার মেরে ফেললেই হয়, বাকিটা আমরা দেখব। এই দুই সাবেক এমপি হলেন ফজলে নূর তাপস ও জাহাঙ্গীর কবির নানক।

ঘটনাবলীর বর্ণনায় ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, তদন্তকাজে মইনুল ইসলাম ও আজিজ আহমেদ সহযোগিতা করতেন না। বরং সুনির্দিষ্টভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে চাই- ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে বিডিআরের তিন জন পিলখানার ভেতরে আত্মহত্যা করেন। তবে আদৌ তারা আত্মহত্যা করেছিলেন কিনা, সেটি তদন্ত হয়নি। এই তিন জন ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। ২০০৯ সালের ১৪ অক্টোবর বিডিআরের তৎকালীন ডিজি মইনুল ইসলাম ও আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে ডাকেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করি। উনি রিপোর্টটি ছুড়ে ফেলে বলেন, কী আবোল-তাবোল রিপোর্ট, যেভাবে ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছে সেভাবে কাজ করতে হবে।

ড. খান সুবায়েল বিন রফিক বলেন, তখন মইনুল ইসলাম আমাকে বলেন, রিপোর্টে যেন কোনো রাজনৈতিক নেতার নাম না আসে, পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সবকিছু করতে হবে, সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের রিপোর্টের ভিত্তিতে কিছু করা যাবে না। এরপর আবারও আমাদের দুই জনকে প্রধানমন্ত্রী ডাকেন। সেদিনও আমি রিপোর্ট পরিবর্তন করিনি। আমি বলেছিলাম, আমার ভাইয়ের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারব না। এরপর আমাকে পিলখানা থেকে তুলে নেওয়া হয়। ৩৬১ দিন ডিজিএফআইতে রাখা হয় আমাকে। সেখান থেকেই এই আয়নাঘরের শুরু। পাঁচ বছর আমি অন্তরীণ থাকি। এরপর ছাড়া পেলেও আর দেশে থাকতে পারিনি। আজিজ, মইনুল, আকবর, জিয়াউল আহসান—এদের সবার হাত সে সময়ের রক্তে রঞ্জিত।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালটা শুরু হয়েছিল তৎকালীন বিডিআরের বার্ষিক বিশেষ আয়োজন দিয়ে। কিন্তু শেষ হয় রক্ত, লাশ আর বারুদের গন্ধে। ১৫ বছর আগে বর্তমান বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্য। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবিদাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালান।

ওই দুই দিনে তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা এবং আরো ১৭ জন বেসামরিক লোককে হত্যা করেন বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ