রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৩

যারা যুদ্ধ করেছিল

রমিছা বিবি হাত ধরে রকিবকে ঘরে নিয়ে এসে বসায়। গলা নামিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মুখ শুকনা দেখতাছি। কিছু মনে হয় খাও নাই?’
রকিব সহজে বলে, ‘না খালা। সকালে চারটা মুড়ি খাইছিলাম। তারপর মুখে আর কিছু দেওয়ার সুযোগ হয় নাই। ভীষণ খিধা লাগছে।’
রমিছা বিবি অসহায়ভাবে স্বামী করিম মিয়ার দিকে তাকায়। করিম মিয়া লুকোছাপা না করে সোজাসুজি বলে, ‘আমরাও না খায়া আছি বাবা। ঘরে এক চিমটি দানা নাই।’
রকিব হতভম্ব মুখে তাকিয়ে থাকে। তারপর পকেট থেকে টাকা বের করে করিম মিয়াকে দেয়। বলে, ‘এখন কি দোকান-টোকান খোলা পাবেন? পাইলে কিছু চাল ডাল কিনা আনেন।’
রমিছা বিবি বলে, ‘এক সের চাইল আনেন। ডাইল আনেন আর আলু আনেন ভর্তা খাওয়ার জন্য। ছোয়ালডারে শুধু ডাইল দিয়া ভাত দিবেন?’
করিম মিয়া থলি নিয়ে বেরিয়ে যায়।

রকিব শব্দ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। রমিছা বিবি বলে, মমিন আসবে না?
‘রকিব সে কথার জবাব না দিয়ে আচমকা জিজ্ঞেস করে, ‘সাথীর খবর কি? ওকে দেখতাছি না যে?’
এই প্রশ্নে রমিছা বিবি বোবা হয়ে যায়। একই প্রশ্ন দ্বিতীয়বার করায় রমিছা বিবি আঁচলে মুখ ঢেকে কান্না শুরু করে। রকিব ভয়ংকর খারাপ খবরের আশঙ্কা করে। সে তাগাদা দিতে থাকে। বলে, ‘খালা কান্না বন্ধ করেন। কি হইছে তাই কন। মমিন ভাই সাথীর খবর নিতেই আমাকে পাঠাইছে।’
বেশ কিছুক্ষণ পর রমিছা বিবি ধাতস্থ হয়ে চোখ মোছে। তারপর কান্না কন্ঠে ঘটনা খুলে বলে রকিবকে। রকিব শুনে হতভম্ব হয়ে বসে থাকে।

করিম মিয়া চাল ডাল আর আলু পেঁয়াজ নিয়ে এলে রমিছা বিবি দেরি করে না। দ্রুত রান্না চড়িয়ে দেয়। ঘরে ফিস ফিস করে কথা বলছিল করিম মিয়া ও রকিব। করিম মিয়া বলে, ‘তোমাদের বাড়ির কী খবর? সবাই আছে কেমন?’
‘ভালো না খালুজান। আমাদের বাড়ি-ঘর মিলিটারি পোড়াইয়া দিছে। নানাকে ধইরা নিয়া গেছিল। মাইরা হাড়হাড্ডি ভাইঙ্গা গুঁড়া কইরা দিছে। তবে ভাগ্যিস জানে মারে নাই। এখন জ্যান্তমরা হয়ে বিছানায় পইড়া আছে।’
‘কও কী! এখন তাইলে সবাই আছে কোথায়?’
‘বন্যাকান্দি বোনের বাড়ি। ওখানে শুনছি তেমন ভয়-টয় নাই।’
‘কী যে দিন আইলো বাবা। কবে যে এর আবসান হবে আল্লাই জানে।’
সকালে সাথীর সঙ্গে রকিবের দেখা হয়ে যায়। সাথী বাড়ি এসেছে প্রতিদিন যেমন আসে। এসেই রকিবকে দেখে চমকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। রকিব দেখতে পেয়ে ডাক দেয় সাথীকে। সাথী ফিরে এসে মাথা নামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। রকিব বলে, ‘আমি এতক্ষণ চলে যেতাম। শুধু তোমার অপেক্ষায় দেরি করছি।’
কান্না গলায় সাথী বলে, ‘আর কীসের অপেক্ষা? আমাকে তুমি ভুলে যাও।’
‘ভুলে যেতে চাইলে কি ভোলা যায়?’
‘জোর করে আমাকে ভুলতে হবে। আমি কী আর আমি আছি। আমি নষ্ট হয়ে গেছি।’
‘না। তুমি নষ্ট হও নাই। আমার কাছে তুমি পবিত্র। দেশের জন্য যেমন আমরা যুদ্ধ করছি। তুমি যেটা করছ সেটাও যুদ্ধ। তুমি চিন্তা কর না। এর জবাব সে পাবে। ভালো থাকার চেষ্টা কর।’
এ কথা বলে রকিব বলার মতো আর কোনো কথা খুঁজে পায় না। একটু পর সে উঠে দাঁড়ায়। বলে, ‘বিদায় দাও সাথী। আর কোনোদিন দেখা হবে কি না জানি না।’
সাথী কাঁদতে থাকে। রকিব বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাথী পেছন থেকে ডাক দেয়। ঘর থেকে সাথী একটি ভাঁজ করা কাগজ এনে রকিবের হাতে দেয়।’
‘কী এটা?’ রকিব প্রশ্ন করে।
সাথী বলে, ‘ভাইয়াকে দেবে। পথে তুমিও পড়ে নিতে পার। তাহলে আমার কলঙ্কময় জীবনের নির্মম ইতিহাস তুমিও পরিষ্কার জানতে পারবে।’
করিম মিয়া আর রমিছা বিবিকে সালাম করে রকিব বেরিয়ে যায়। চাদর দিয়ে মাথা মুখ ঢেকে সে পথ চলতে থাকে। সড়ক পথে না গিয়ে রকিব আইল পথে নেমে পড়ে।

দুপুর নাগাদ নয়নগাঁতি এসে উপস্থিত হয় রকিব। পাশের গ্রামেই তাদের বাড়ি। বাড়িতে এখন আর কেউ থাকে না। তাই সেখানে যাওয়ার কথা ভাবছে না। নয়নগাঁতির প্রথমেই সুবলদের বাড়ি। বাড়ির পোড়া জিনিস এখনো আগের মতো যত্রতত্র পড়ে আছে। সুবলের বাবাকে মেরে ফেলেছে মিলিটারিরা। সুবল ও ওদের ভাইবোন, মা, কাকি, পিসি সবাই ইন্ডিয়া চলে গেছে। বাড়িটার দিকে তাকিয়ে রকিবের বুকটা হাহাকার করে ওঠে। এই বাড়িতে কত আড্ডা দিয়েছে। সুবলের ছোটবোন স্মৃতির কণ্ঠে কতদিন গান শুনেছে। আহা কী সুন্দর দিন ছিল তখন। আর কি সেদিন ফিরে আসবে?
নয়নগাঁতির অর্ধেক পরিবার ছিল হিন্দু। বারো মাস পূজা-পার্বণ লেগেই থাকত। প্রতি রাতে কোনো না কোনো বাড়িতে বসতো গানের আসর। না হলে যাত্রাপালা। সেই উৎসবমুখর দিন কোথায় হারিয়ে গেল। রকিবের মন খারাপ হয়ে গেল এইসব ভাবতে ভাবতে।
ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। একটি গাছের তলায় খানিক বিশ্রাম নিয়ে রকিব আবার হাঁটতে শুরু করে। বার বার শুধু সাথীর কথা মনে হতে থাকে। সাথীকে সে মনে মনে ভীষণ পছন্দ করত। খালার বাড়ি আসত রকিব ঘন-ঘন। সেটা সাথীর টানে। সে যখন গান গাইত জানালা দিয়ে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকত সাথী। তার মায়াভরা চোখ রকিবকে উদাস করে দিত।
একদিন কথায় কথায় সাথী বলেই ফেলে আপনার গান আমার খুব ভালো লাগে।
‘সত্যি?’
‘তবে কি মিথ্যে বলছি?’
বিদায় বেলায় জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আবার কবে আসবেন?’
রকিব তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দিতে পারেনি। বুকটা তির তির করে কাঁপছিল। এই প্রথম হৃদয়ে তুমুল ঝড় ওঠে রকিবের। অনেকখানি পথ হেঁটে আসার পরও ফিরে দেখে সাথী পথ চেয়ে আছে। সেই থেকে সাথীর প্রতি রকিবের দুর্বলতা।
রকিব চলে যাবার পর থেকে সাথীর বেদনা ভারি হয়ে ওঠে। ঘরে একাকি শুয়ে থাকে। রকিবের কণ্ঠে একটি গান তার ভীষণ প্রিয়। ‘এতোদিন পরে এলে একটু বসো। তোমায় অনেক কথা বলার ছিল যদি শোন।’ এই গানটি সাথী বার বার শুনেছে। এই মুহূর্তে বার বার মনে হতে থাকে। কিন্তু সে গাইতে পারে না। মনে মনে গুণ গুণ করে। কী ভেবে তার চোখ ভিজে আসে। রকিবকে নিয়ে মনে মনে কত স্বপ্ন দেখেছিল। যুদ্ধ এসে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিল। কখনো কখনো মমিন ভাইকে দায়ী করে। সে যদি মুক্তিযুদ্ধে যোগ না দিত তাহলে তাকে আজ ঘানি টানা গরুর মতো এমন করে ফেঁসে যেতে হতো না। জীবনটা এমনভাবে ত্যানা ছেঁড়া কাঁথার মতো জুবু থুবু হয়ে যাবে সাথী কোনোভাবেই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছে না। ভাবতে ভাবতে সাথী নিঃশব্দে চোখের জল ফেলতে থাকে।
এই এলোমেলো ভাবনার মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি হৈচৈ হট্টগোল চারদিকে ভয়ার্ত আর্তনাদ সাথীকে সজাগ করে তুলল। ঘরের বাইরে এসে দেখতে পায় দক্ষিণ পাড়ায় আগুনের কুণ্ডলি পাঁক খেয়ে আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে। ত্রস্ত্র ছুটছে মানুষজন। যে যেদিকে পারে পালাচ্ছে।

খবর নিয়ে জানতে পারে দক্ষিণ পাড়ার সোলেমান মিয়ার বাড়িতে আগুন দিয়েছে মিলিটারি। সোলেমানের বাড়িতে নাকি রাতে রাতে মুক্তিফৌজ এসে থাকে। সোলেমান মিয়া তাদের থাকতে দেয়। খেতে দেয়। এই খবর শান্তি কমিটির সদস্যরা মিলিটারিদের জানালে তারা এসে সোলেমান মিয়াকে খোঁজে। তাকে না পেয়ে তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। গোলাগুলির শব্দ হলে মানুষ দিকবিদিক ছুটতে থাকে। মুহূর্তে প্রচার হয়ে যায় সোলেমান মিয়ার বৃদ্ধ মাকে পাকিস্তানি মিলিটারি গুলি করে মেরে ফেলেছে। গোয়াল থেকে গরু খুলে নিয়ে গেছে। গুলির শব্দে রমিছা বিবি দৌড়ে পালাতে গিয়ে সাথীকে দেখতে পেয়ে সে জোর করে সাথীকে ফজলুর রহমানের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন-

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১১

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১০ 

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন 

Header Ad
Header Ad

সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) নিয়োগ-২০২৫-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর মোট ৫৯৯ জনকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) নিয়োগ-২০২৫-এ নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা এবং বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের রোল নম্বর প্রকাশ করা হলো।

তাদের মধ্যে মেধাভিত্তিক ৫৬৬ জনকে, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ জনকে, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী কোটায় ২ জনকে এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় ১ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে।

উত্তীর্ণ প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা রাজারবোগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি যথাসময়ে বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট (www.police.gov.bd) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে প্রার্থীদের নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে অবগত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু

মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবি। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, “দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিও- যাদের বিষয়ে আপনারা জানতে চেয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”

এর আগে সকালে ‘যুব অধিকার পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন এই দুই কর্মকর্তার দুর্নীতির তদন্ত দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল করে দুদক কার্যালয়ে যায়। পরে তারা একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।

দুদক মহাপরিচালক আরও জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যেই দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের নজরে এসেছে এবং এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, “শিগগিরই তদন্তের অগ্রগতি জানতে পারবেন।”

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যদিও উপদেষ্টা ৮ এপ্রিলই তাকে অব্যাহতির নির্দেশ দেন। তার আগে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ লক্ষ্যে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছে দলটি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ তথ্য জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তাহের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত টাইমলাইনের ওপরই জামায়াত আস্থা রাখবে।’ তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পরিদর্শক দল পাঠানোর অনুরোধও করেছে জামায়াত।

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে প্রচুর গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হয়। এ শিল্পের প্রসারের জন্য নির্দিষ্ট একটি এলাকা নির্ধারণ করে সেখানে আরও বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছি।’

নারীদের অধিকার ও জঙ্গিবাদ দমনে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ইইউ প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছি। নারীদের অংশগ্রহণের দিক থেকে জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী সদস্য রয়েছে, যা অন্য যেকোনো দলের তুলনায় বেশি।’

তিনি নারী সংস্কার কমিশনের পতিতাদের শ্রমিক স্বীকৃতির বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘এটি নারীদের জন্য চরম অপমানজনক।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭