রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১২

যারা যুদ্ধ করেছিল

সবাইকে লাইনে দাঁড় করায়। তাদের পিঠমোড়া করে বেঁধে ফেলার নির্দেশ দেওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে তাদের বেঁধে ফেলা হয়। তাদের অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন তিনি। অনেকগুলো ভারী অস্ত্র পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীষণ খুশি। যাদের বন্দি করা হলো তাদের তাৎক্ষণিক কী করা হবে তাই নিয়ে গ্রুপ কমান্ডারদের মধ্যে শলাপরামর্শ শুরু হলো। সিদ্ধান্ত হলো তাদের হত্যা করে মাটি চাপা দেবে। তাই করা হলো। ওদের কিছু বুঝতে না দিয়ে সবার পেছনে বেয়োনেট হাতে একজন করে দাঁড় করিয়ে একসঙ্গে তাদের হত্যা করে সঙ্গে সঙ্গে মাটি চাপা দেওয়া হলো।

এ ব্যাপারে পাশের গ্রামের লোকজন এসে সাহায্য করতে লাগল। তারা ভীষণ আনন্দিত। একসঙ্গে এতগুলো পাকিস্তানি মিলিটারি ধরা পড়েছে তাদের কাছে বিরাট গর্বের ব্যাপার। যুদ্ধ শেষ না হতেই কোত্থেকে এই লোকগুলো হুড়মুড় করে ছুটে এসেছে সেটাই ভাবনার ব্যাপার। মুহূর্তে গাঁয়ের লোকজন রাজাকারসহ মিলিটারিদের মাটি চাপা দিয়ে দেয়। কেউ কেউ বলছিল তাদের বন্দি করে নিয়ে যেতে। শুনে ধমকে ওঠেন কমান্ডার মোজাফ্ফর। বলেন, ‘বন্দি করে কোথায় নিয়ে যাবে? আমাদের নিজেদেরই নিরাপত্তা নেই। খাওয়া দাওয়ার ঠিক নেই। তার উপর এই বন্দিদের নিয়ে আমরা কোথায় যাব? আমাদের কি জেলখানা আছে? তাদের খেতে দেবে কে? আমাদের নিজেদেরই খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। অতএব যা বলছি তাই কর।’

ওদের মাটিচাপা দেওয়ার পর-পরই মজনু দৌড়ে এসে মমিনকে বলে, ‘ওস্তাদ সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমিনের হাতে গুলি লেগেছে।’
মমিন ছুটে যায় আমিনের কাছে। আমিন গেরিলা দলে ছিল। দুর্দান্ত সাহসী যুবক। তার হাতে গুলে লেগে গুলি ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে পাশের গ্রামের দিকে ছুটতে থাকে মমিন। সঙ্গে আরও কয়েকজন। শুনেছে ওই গ্রামে একজন ভালো ডাক্তার আছে। সবাই সেইদিকে ছুটতে থাকে।

১০.
সাথী মেয়েটাকে দেখে ফজলুর রহমানের মাথার মধ্যে কুনি পোকা কুর কুর করে কামড়াতে থাকে। কচি শষার মতো লকলকে শরীর। বুকজোড়া বেশ ডাসা। এমন কচি জিনিস বছরে এক দুবার খেলে জীবন ধন্য। আহা! হুরের স্বাদ পাওয়া যাবে। আর না হোক সুযোগ পেলে মেয়েটাকে দিয়ে হাত পা টিপে নিলেও পরানটা ঠান্ডা হবে।
আয়েশা বেগম সারারাত কোমরের ব্যথায় ছটফট করে, গোংড়ায়। একদম ঘুমোতে পারে না। ঘুমটা তার আসে দিনের বেলা। সকালে এক গ্লাস লেবুর শরবত খেয়ে সেই যে কাত হয়ে পড়ে থাকে না জাগালে আর জাগে না। ফজলুর রহমান থানা সদর থেকে বাড়িতে এসে সাথীকে ঘরে দেখে তার ভেতর যৌন অনুভূতি তীব্র হয়ে ওঠে। ইশারায় কাছে ডাকে। খেয়াল করে বউ আয়েশা বেগমের অবস্থা কী। জেগে আছে না ঘুমিয়ে গেছে।
কায়দা করে কথা শুরু করে ফজলুর রহমান। বলে, ‘তোমার চাচির কী অবস্থা? আজ কেমন আছে?’
সাথী মৃদু স্বরে বলে, ‘আজ চাচিআম্মা বেশ ভালো। সকালে ভাত খেয়েছে। এখন ঘুমোচ্ছে।’
‘আলহামদুলিল্লাহ।’ ফজলুর রহমান শব্দ করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। তারপর তার অভিনয় শুরু হয়। বলে, ‘তোমার চাচির খবর তো ভালোই দিলা। কিন্তু আমার খবর তো ভালো না।’
‘কেন, কী হয়েছে আপনার?’
‘মিলিটারিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করেছি কয়েক ঘণ্টা। মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।’ কথাটা বলে ফজলুর রহমান সাথীর মনোভাব বোঝার চেষ্টা করে। সে আশা করছে সাথী এখনই বলুক, ‘আসুন চাচা আমি আপনার মাথা টিপে দেই।’

কিন্তু এমন কোনো কথা সাথী বলে না। সে মাথা নামিয়ে থাকে। ফজলুর রহমানের মেজাজ খারাপ হতে থাকে। ইচ্ছা করছে জাপটে ধরে সাথীকে। ধরে বিছানায় নিয়ে যায়। ফজলুর রহমান অনেক কষ্টে নিজেকে সংযত করে। হাসি মুখে বলে, ‘তুমি কি একটু আমার মাথাটা টিপে দিতে পারবে?’ বলেই ফজলুর রহমান পাশের বিছানায় শুয়ে পড়ে। মাথা ধরে গড়াগড়ি দিতে থাকে। সাথী ধীর পায়ে এগিয়ে যায়। বাড়িতে এইসময় সাকিব থাকে না। ফজলুর রহমান সুযোগটা সেই হিসেবে নিয়েছে। সাথীর গা ঘিন ঘিন করছিল। তবু সে ফজলুর রহমানের মাথা টিপে দিতে থাকে। ভেতরে ভেতরে তার কান্নার ঠমক উথলে উঠছিল। কিন্তু সে নিরূপায়। ফজলুর রহমান চোখ বুজে আবেশে মজা নিচ্ছে। এইসময় আয়েশা বেগমের ঘুম ছুটে যায়। পাশের খাটে ফজলুর রহমান আর সাথীকে দেখে সে ধমকে ওঠে। ‘কী করেন আপনি?’
ফজলুর রহমান থতো-মতো করে বলে, না কিছু না। যন্ত্রণায় মাথাটা ছিঁড়ে যাচ্ছিল। ওকে দিয়া মাথাটা টিপে নিচ্ছিলাম।’
‘বাপ বেটা ভালো ব্যবসা শুরু করেছেন। মিলিটারির বাহানা দিয়ে যা শুরু করছেন এই পাপ আল্লাহ মাফ করবে না।’
‘কী যা-তা কও। তোমার কী মাথা খারাপ হলো?’ রাগত বলে ফজলুর রহমান।
আয়েশা বেগমও রাগত বলে, ‘আপনাকে আমারে নতুন করে চেনাতে আইছেন? আমি আপনাকে চিনি না?’
‘তুমি কিন্তু বাড়াবাড়ি করতাছ। জানো এর পরিণাম?’
‘আমার এক পা কব্বরে। আমারে পরিণামের ভয় দেখাইয়েন না। পরিণামের ভয় আপনি করেন। পাপ কইলাম বাপকেও ক্ষমা করে না।’
ধপাস করে দরোজায় আঘাত করে ফজলুর রহমান বেরিয়ে যায়। তার আগেই বেরিয়ে গেছে সাথী। সে ঠিক করেছে এই বাড়িতে সে আসবে না। কপালে যা থাকে তাই হবে। বাড়িতে এসে ঘরের দরোজা বন্ধ করে কাগজ কলম নিয়ে সে লিখতে বসে। দ্রুত সে লিখতে থাকে। লেখা শেষ করে কাগজটি ভাঁজ করে ঘরের বাতায় লুকিয়ে রাখে। তারপর সে ভেবে চিন্তে ফজলুর রহমানের বাড়ির দিকে হাঁটা দেয়।

করিম মিয়া রাতে খেতে বসে। ভাতের অবস্থা দেখে লম্বা করে শ্বাস ফেলে। ভাবে মেয়েটা ওই বাড়িতে গিয়া ভালোই করেছে। অন্তত ভাতের কষ্ট করতে হচ্ছে না।
করিম মিয়া ভাতের থালার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আর কিছু নাই?’
রমিছা বিবি হতাশ কণ্ঠে বলে, ‘আর কী থাকব? আমি কি চুরি কইরা আনমু?’
‘চুরির কথা কইতাছি না সাথীর মা। কাম কাজ নাই। ঘরে খাওয়াও নাই। কী যে গজব শুরু অইছে। আল্লাহ কপালে যে কী লেইখা রাখছে সেই জানে।’
এইসময় উঠোনে মৃদু কণ্ঠে সাথীর নাম ধরে কে যেন ডাকে। করিম মিয়া জিজ্ঞেস করে, ‘কে?’
কণ্ঠস্বরটি বলে, ‘খালুজান আমি রকিব।’
রমিছা বিবি কুপি বাতি হাতে বেরিয়ে আসে। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। একজন মাঝারি গোছের যুবক গায়ে কালো চাদর জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রমিছা বিবি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘কে বাবা তুমি?’
যুবক অবাক কণ্ঠে বলে, ‘খালা আমাকে চিনতে পারতাছেন না? আমি রকিব।’
‘তোমার এ অবস্থা ক্যা? এত গরমের মধ্যে চাদর গায়ে দিয়া আছ ক্যা?’
রকিবের চাদরের আড়ালে স্টেনগান লুকানো। সেটা সে বলতে চাচ্ছিল না।
শুধু বলে, ‘সে কথা পরে হুইনেন। আগে কন আপনারা কেমন আছেন?’
রমিছা বিবি জবাব না দিয়ে কেঁদে ফেলে। কাপড়ের আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছে রকিবকে ঘরে নিয়ে আসে। রকিব জিজ্ঞেস করে, ‘খালুজান, কেমন আছেন?’
‘ভালো নাই বাবা। কোনোমতে বাঁইচা আছি। আমার মমিনের কোনো খবর জানো তুমি? কোথায় কেমন আছে?’
‘ভালো আছে।’
তুমি কেমনে জানলা?’ করিম মিয়া আশ্চর্য হয়ে তাকায়।
রকিব মাথা নামিয়ে থাকে। নিচু স্বরে বলে। আমি ও মমিনভাই একই দলে আছি। সে আমাদের দলের কমান্ডার। সেই আমাকে আপনাদের খবর নিতে পাঠাইছে।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন-

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১১

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১০ 

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

এসএন 

Header Ad
Header Ad

সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) নিয়োগ-২০২৫-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর মোট ৫৯৯ জনকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) নিয়োগ-২০২৫-এ নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা এবং বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের রোল নম্বর প্রকাশ করা হলো।

তাদের মধ্যে মেধাভিত্তিক ৫৬৬ জনকে, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ জনকে, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী কোটায় ২ জনকে এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় ১ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে।

উত্তীর্ণ প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা রাজারবোগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি যথাসময়ে বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট (www.police.gov.bd) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে প্রার্থীদের নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে অবগত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু

মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবি। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, “দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিও- যাদের বিষয়ে আপনারা জানতে চেয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”

এর আগে সকালে ‘যুব অধিকার পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন এই দুই কর্মকর্তার দুর্নীতির তদন্ত দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল করে দুদক কার্যালয়ে যায়। পরে তারা একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।

দুদক মহাপরিচালক আরও জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যেই দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের নজরে এসেছে এবং এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, “শিগগিরই তদন্তের অগ্রগতি জানতে পারবেন।”

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যদিও উপদেষ্টা ৮ এপ্রিলই তাকে অব্যাহতির নির্দেশ দেন। তার আগে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ লক্ষ্যে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছে দলটি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ তথ্য জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তাহের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত টাইমলাইনের ওপরই জামায়াত আস্থা রাখবে।’ তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পরিদর্শক দল পাঠানোর অনুরোধও করেছে জামায়াত।

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে প্রচুর গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হয়। এ শিল্পের প্রসারের জন্য নির্দিষ্ট একটি এলাকা নির্ধারণ করে সেখানে আরও বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছি।’

নারীদের অধিকার ও জঙ্গিবাদ দমনে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ইইউ প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছি। নারীদের অংশগ্রহণের দিক থেকে জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী সদস্য রয়েছে, যা অন্য যেকোনো দলের তুলনায় বেশি।’

তিনি নারী সংস্কার কমিশনের পতিতাদের শ্রমিক স্বীকৃতির বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘এটি নারীদের জন্য চরম অপমানজনক।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭