রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১১

যারা যুদ্ধ করেছিল

সন্ধ্যা থেকে সবাই প্রস্তুত। আজ বড় অপারেশন করতে যাচ্ছে তারা। একটি হাইস্কুলে তারা আক্রমণ করবে। সেখানে শ’খানেক মিলিটারি, জনা পঞ্চাশেক রাজাকার আর পাঞ্জাবি পুলিশ আছে বিশ-পঁচিশ জন। তারা সুযোগ পেলেই গ্রামে এসে গরু-ছাগল এবং যুবতী মেয়েদের ধরে নিয়ে যায়।

মোজাফফরের দল আর মমিনের দল আবার একসঙ্গে অপারেশন করতে একত্রিত হয়েছে। আজ তারা বজ্রকঠিন শপথ নিয়েছে। পরিকল্পনা করেছে পুঙ্খানুপুঙ্খ। স্কুলের পাশ দিয়ে উঁচু রাস্তা চলে গেছে। লোকজন বলে ওয়াপদার বাঁধ। ওই বাঁধের আড়ালে পজিশন নেবে মূল দল। দক্ষিণ পাশে থাকবে আরেকটি দল। স্কুলের উত্তরে আখের ক্ষেত। ওখানে কয়েকজন দুর্ধর্ষ গেরিলা থাকবে। তাদের হাতে থাকবে গ্রেনেড। তারা নির্দেশ পাওয়া মাত্র ক্রোলিং করে গিয়ে পাকিস্তানিদের বাংকারে গ্রেনেড ছুড়বে।

রাত তিনটে। চারদিকে নিঝুম নিস্তব্ধতা। দূরে একটি রাতজাগা পাখি ডেকে উঠলে সে আওয়াজ স্পষ্ট শোনা যায়। নির্দেশ মতো সবাই নিঃশব্দে যার যার মতো পজিশন নেয়। তারপর বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ফায়ার। আকস্মিক আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী হকচকিয়ে গেলেও একটু পর তারা বাংকার থেকে ফায়ার শুরু করে। রাতের নিস্তব্ধতা খান খান করে মেশিনগানের বিকট শব্দে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হতে থাকে। মুক্তিবাহিনীর চেয়ে পাকিস্তানি বাহিনী গুলি ছুড়ছে বৃষ্টির মতো। টানা ফায়ার চলে আধা ঘণ্টা। তারপর দু’পক্ষই চুপ। এটাও যুদ্ধের কৌশল। শত্রুপক্ষের অবস্থান বোঝার জন্য ফায়ার বন্ধ করে অবস্থা বুঝতে হয়। টানা গোলাগুলির পর এতটাই নীরবতা নেমে আসল যে দূরের ফিসফাস কথাও স্পষ্ট শোনা যায়। এই সময় পাকিস্তানি মিলিটারিরা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলে ধ্বনি দিয়ে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে গর্জে ওঠে ‘জয়বাংলা’ ধ্বনি।

জয়বাংলা ধ্বনির পর পরই পাকিস্তানি মিলিটারি গালাগালি করতে থাকে। পাল্টা মুক্তিবাহিনীও গালাগাল করতে থাকে। যুদ্ধের এই ব্যাপারটা মজনুর ভীষণ মজা লাগে। সে সিনেমায় দেখেছে তলোয়ার দিয়ে যখন যুদ্ধ হতো তখন দুজন সৈন্য থাকত কাছাকাছি। তারা নানা রকম গরম গরম কথা বলে একে অন্যকে আক্রমণ করত। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে যুদ্ধেও পরস্পরের কথা বিনিময় হয়- এটাই মজনুর বিস্ময়ের কারণ।

পাকিস্তানিরা মা-বাপ তুলে বেশি গালাগাল দেয়। ‘মাদারচোদ’, ‘বার্স্টাড’, ‘মালাউন কা বাচ্চা’। এই শব্দগুলোর মানে আগে জানত না মজনু। মমিনের কাছ থেকে জেনেছে এসব খুব খারাপ-খারাপ গাল। মুক্তিবাহিনী গাল দেয় বাংলায়। সেটাও খুব খারাপ। ‘কুত্তার বাচ্চা’, ‘তোর মারেরে......’ যুদ্ধে যে কত কী হয় যুদ্ধ যারা করেনি তারা বুঝবে না।

মজনু ফিস ফিস করে বলে, ‘মালাউন কা বাচ্চার’ জবাবে কী কমু ওস্তাদ?’ মমিন খানিক ভাবে। তারপর বলে, ‘বলো, জাহেল কা বাচ্চা’। ‘মানে কী?’ মজনু জিজ্ঞেস করে। মমিন বলে, ‘জাহেল একজন খারাপ মানুষের নাম।’ নবীজী তার নাম দিয়েছিল ‘আবু জেহেল’।

পাকিস্তানি মিলিটারি যখন ‘মালাউন কা বাচ্চা’ বলছিল মজনু তখন গলা ফাটিয়ে ‘জাহেল কা বাচ্চা’ বলতে থাকে। এরই মধ্যে কমান্ডারের নির্দেষ এলো মমিনের কাছে। কমান্ডার মোজাফফর খবর পাঠিয়েছেন, আর কালবিলম্ব না করে গেরিলা বাহিনী পাঠাতে বলেছেন।

কিছুক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে গালাগাল বিনিময় হয়। তারপর আবার শুরু হয় গোলাগুলি। এইবার গোলাগুলির মধ্যে মুক্তিবাহিনীর কয়েকজন দুর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা ক্রোলিং করে পাকিস্তানি সেনাদের বাংকারের কাছে গিয়ে গ্রেনেড ছুড়বে। ভয়ংকর বিপজ্জনক কাজ। প্রাণ হাতে নিয়ে যেতে হবে। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বিশেষ করে ক্রোলিং করার সময় পাকিস্তারিা যদি টের পায় তাহলে হাতে নাতে ধরা পড়ার ভয় আছে। এবার আর গুলি থামানো যাবে না। গোলাগুলির আওয়াজের মধ্যে গেরিলারা ক্রোলিং করে যাবে। তাতে বাইরে থেকে শব্দ বুঝতে পারবে না পাকিস্তানি মিলিটারিরা।

স্কুলের পেছনে আখক্ষেত। সেই আখক্ষেতের ভেতর দিয়ে সাপের মতো এঁকে-বেঁকে গেরিলারা এগিয়ে যাচ্ছে। বাঁধের আড়ালে যারা পজিশন নিয়েছে তারা ক্রমাগত ফায়ার করে যাবে। তবে এলোমেলোভাবে গুলি ছোড়া যাবে না। মুক্তিবাহিনীর হিসেব করা গুলি। তারা পাকিস্তানি মিলিটারির ন্যায় বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে পারে না। এতো গুলি তাদের নেই।

অনেকক্ষণ হয়ে গেল। গ্রেনেড ফাটার আওয়াজ আসছে না। মমিন চিন্তিত হয়ে পড়ে। এতক্ষণ তো লাগার কথা না। তাহলে কি কোনো বিপদ হলো? মমিন ফায়ার না দিয়ে ভাবতে থাকে। গোলাগুলি বেড়ে চলেছে। মমিন খেয়াল করে মজনু কাত হয়ে পড়ে আছে। মমিনের আত্মা ধক করে ওঠে। তবে কি গুলি খেয়ে মজনু শহীদ হয়ে গেল? মমিন
ক্রোলিং করে মজনুর কাছে যায়। গায়ে হাত দিয়ে মৃদু স্বরে ডাকে, মজনু। মজনু ধুচমুচ করে পাশ ফিরে তাকায়। বলে, ‘কী অইছে ওস্তাদ?’
‘কিছু হয় নাই। তুমি ঠিক আছো তো?’
‘জ্বি ঠিক আছি।’
‘তুমি কাত হয়ে পড়ে আছো তাই ভাবলাম গুলি টুলি লাগল কি না?’
মজনু বলে, ‘হয়রান হয়ে গেছি ওস্তাদ। রাইফেল কোনো ভালো অস্ত্র না। এটা দিয়ে দুই মিনিট যুদ্ধ করলে শরীলে আর বল পাওয়া যায় না। শরীল আইপসা আসে।’
‘ঠিকই বলেছ। রাইফেল কোনো আধুনিক অস্ত্র না। কী আর করা। আমাদের তো এর চেয়ে ভালো অস্ত্র নাই।’

মমিন কথা বলতে বলতে এসএলআর এ আরও একটি ম্যাগাজিন লোড করে। তারপর খেয়াল করে টার্গেট করে। খুব বেশি দূরে নেই পাকিস্তানি মিলিটারিরা। তাদের অস্ত্রের নল থেকে যে আগুনের ফুলকি বেরুচ্ছে তাতে বোঝা যায় শত্রুপক্ষ নিকটেই আছে। মমিন টার্গেট ঠিক করছে। এই সময় পরপর কয়েকটি গ্রেনেড ব্রাস্ট হওয়ার শব্দ চারপাশ কাঁপিয়ে তুলল। সঙ্গে সঙ্গে মমিনরা জয়বাংলা ধ্বনি দিয়ে গেরিলাদের স্বাগত জানাল।

পরেরবার গ্রেনেড ব্রাস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি মিলিটারিদের আর্তনাদ ভেসে আসতে লাগল। তারা ভীষণ শব্দ করে ‘হে আল্লাহ রহম করেগা’, ‘হে আল্লাহ রহম করেগা’ বলে চিৎকার করছে। আর জোরে জোরে দোয়া দরুদ পড়ছে। একজনের কণ্ঠে কোরআনের আয়াত শোনা গেল। সে শব্দ করে সুরা ইয়াসিন পাঠ করছে। আবার গ্রেনেড ফাটার শব্দ। পাকিস্তানি মিলিটারিদের আর্তনাদের পাল্লা আরও ভারী হয়ে ওঠে। আর মমিনদের আনন্দ উল্লাস এবং জয়বাংলা ধ্বনি আকাশ বাতাস কাঁপাতে থাকে।

পাকিস্তানিদের গোলাগুলি থেমে গেছে। তারা আত্মরক্ষার জন্য পালাবার পথ খুঁজছে। কিন্তু সে পথ আপাতত বন্ধ। চারদিক থেকে ছুটছে গুলি। আর বাংকারে পড়ছে গ্রেনেড। উপায় নেই। আজ তাদের খতম তারাবি পড়ানো হবে। এটা তারা বুঝে গেছে। আকাশ ক্রমশ ফর্সা হচ্ছে। দূরের গ্রামের মসজিদে হয়তো আজান হয়েছে। গোলাগুলির শব্দে আজানের ধ্বনি শোনা যায়নি। ভয়ে মোয়াজ্জিন সাহেব পালিয়ে গেছে কি না তাই বা কে জানে। ভোরের সূর্য উঠছে ডগমগ হয়ে। মমিন দেখতে পেল কমান্ডার মোজাফফর তার দলবল নিয়ে ঘিরে ফেলেছে পাকিস্তানিদের ক্যাম্প এবং সে চিৎকার করে বলছে ‘সারেন্ডার কর। নইলে সবাইকে খতম করা হবে।’

এই দৃশ্য দেখে মমিন তার বাহিনী নিয়ে ক্যাম্পের দিকে এগুতে থাকে। পাকিস্তানি মিলিটারি অস্ত্র ফেলে হাত উপরে তুলে সামনে এসে দাঁড়াতে থাকে। অধিকাংশ পাকসেনা আহত এবং রক্তাক্ত। একই লাইনে এসে রাজাকাররা এসে দাঁড়ালে তাদের আলাদাভাবে দাঁড় করায় কমান্ডার মোজাফফর। রাজাকারদের কাঁপাকাঁপি দেখে মুক্তিযোদ্ধারা হাসতে থাকে। ভয়ে দু’একজন কাপড় নষ্ট করে ফেলে।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন-

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১০ 

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৯

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৮

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৭

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৬

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

Header Ad
Header Ad

সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) নিয়োগ-২০২৫-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর মোট ৫৯৯ জনকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) নিয়োগ-২০২৫-এ নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা এবং বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের রোল নম্বর প্রকাশ করা হলো।

তাদের মধ্যে মেধাভিত্তিক ৫৬৬ জনকে, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ জনকে, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী কোটায় ২ জনকে এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় ১ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে।

উত্তীর্ণ প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা রাজারবোগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি যথাসময়ে বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট (www.police.gov.bd) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে প্রার্থীদের নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে অবগত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু

মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবি। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, “দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিও- যাদের বিষয়ে আপনারা জানতে চেয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”

এর আগে সকালে ‘যুব অধিকার পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন এই দুই কর্মকর্তার দুর্নীতির তদন্ত দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল করে দুদক কার্যালয়ে যায়। পরে তারা একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।

দুদক মহাপরিচালক আরও জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যেই দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের নজরে এসেছে এবং এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, “শিগগিরই তদন্তের অগ্রগতি জানতে পারবেন।”

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যদিও উপদেষ্টা ৮ এপ্রিলই তাকে অব্যাহতির নির্দেশ দেন। তার আগে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ লক্ষ্যে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছে দলটি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ তথ্য জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তাহের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত টাইমলাইনের ওপরই জামায়াত আস্থা রাখবে।’ তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পরিদর্শক দল পাঠানোর অনুরোধও করেছে জামায়াত।

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে প্রচুর গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হয়। এ শিল্পের প্রসারের জন্য নির্দিষ্ট একটি এলাকা নির্ধারণ করে সেখানে আরও বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছি।’

নারীদের অধিকার ও জঙ্গিবাদ দমনে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ইইউ প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছি। নারীদের অংশগ্রহণের দিক থেকে জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী সদস্য রয়েছে, যা অন্য যেকোনো দলের তুলনায় বেশি।’

তিনি নারী সংস্কার কমিশনের পতিতাদের শ্রমিক স্বীকৃতির বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘এটি নারীদের জন্য চরম অপমানজনক।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭