রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পর্ব-৩

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ

রাত গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে। ফিলোপেতরের চোখে ঘুম নেই।
‘রাজ্ঞী ফিলোপেতর? আসতে পারি?‘ নপুংসক দিমিত্রিউস এসেছে। প্রথম যখন এক যুদ্ধবন্দী কিশোর হিসেবে এই দেশে তার আসা, তখনি তার অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছিল। আজ সে নিশ্চিত মেনে নিয়েছে মেয়েলী সাজ, প্রসাধন, আবরণ ও আভরণের জীবন। তবে গোটা প্রাসাদে দিমিত্রিউসের মত বিশ্বস্ত একজনও নেই।
‘চারপাশে কি অবস্থা দিমিত্রিউস?‘
‘অবস্থা খুবই গুরুতর, আশঙ্কাজনক।’
‘যেমন?‘

‘দেখুন- থিওস টলেমি ত্রয়োদশবর্ষীয় নাবালক মাত্র। আপনার বৈমাত্রেয় ভগ্নি আর্সিনোয়ে কিন্তা ওই ঘাঘু রাজনীতিক পোথেইনসের সঙ্গে মিলে আপনাকে ক্ষমতাচ্যূত করার ষড়যন্ত্র করছে। প্রজাদের তারা এই বলে ক্ষেপানোর চেষ্টা করছে যে আপনার অদক্ষতা বা দেশপ্রেমের অভাবেই দূর রোম থেকে সিজার তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে আমাদের জলসীমায় ঢুকে পড়ে আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছেন। আপনি...আপনি বুঝতে পারছেন না যে আপনি কিন্তা ইতোমধ্যে অংশতঃ বন্দী হয়ে পড়ছেন!’
‘কি?‘
‘হ্যাঁ- আপনার প্রাসাদ ইতোমধ্যেই এই রাতের অন্ধকারে চারপাশ থেকে ঘেরাও করা হয়েছে। কাল সকাল নাগাদ আপনার স্বজনেরাই আপনাকে বন্দী করবে।’
‘কি বলছো এসব?‘
‘যা বলছি ঠিকই বলছি।’
‘তাহলে? বাঁচার উপায়?‘
‘এক কাজ করুন। আপনি সোজা সিজারের কাছে চলে গিয়ে তার আশ্রয় প্রার্থনা করুন ও তার সাহায্যকারীনী হবার প্রতিশ্রুতি দিন।’
‘এত রাতে কীভাবে যাব?‘
‘আমি একটা উপায় স্থির করেছি। এদিকে তাকিয়ে দেখুন-।’
‘কি? এটা?‘
‘এই গালিচাটি এনেছি। এই পুরনো গালিচার ভেতর আপনাকে আমরা মুড়ে যেন বা লেপ-তোশক-গালিচা সারাইয়ের লোক রাজপ্রাসাদ থেকে বের হচ্ছে, এভাবে কাঁধে বহন করে আজ মাঝ রাত না হতেই সিজারের সামনে নিয়ে গিয়ে হাজির করব। বাকিটা ভাগ্য।’
‘এই গালিচার ভেতরে?’
‘আপনি ছোটখাটো মানুষ-দিব্যি এঁটে যাবেন! নয়তো সকাল হতেই আপনার ভাই-বোনরাই আপনাকে বন্দী করে খুনও করে ফেলতে পারে।’
এক মুহূর্ত শুধু ভাবলেন ফিলোপেতর। তারপর হ্রস্ব দেহটি মুড়িয়ে দিতে দিলেন একটি জীর্ণ গালিচার ভেতরে যা সেই রাতেই কাঁধে বহন হয়ে বাতাসের বেগে ছুটে গেল আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে রোমক সম্রিাট গাইয়াস জুলিয়াস সিজারের পদতলে।

ভেতরে ভেতরে নিজের প্রতি ঘৃণা ও অপমানবোধে পুড়ে যাচ্ছিলেন ফিলিপেতর। নিজে তিনি গ্রিক বংশোদ্ভুত রাজকন্যা! জানেন নয়টি ভাষা। শুধু আজ দরিদ্র মিশরের রানী বলে, পুরুষজন্ম নয় বলে বালক ভ্রাতার পত্নী হয়ে, রণকুশল বলে গালিচার ভেতর প্রায় অর্দ্ধ-নগ্ন অবস্থায় কতিপয় বাহকের কাঁধে সওয়ার হয়ে ছুটছেন জুলিয়াস সীজারের পদতলে পথের গণিকার মত নিজেকে মেলে দেবেন বলে। কিন্তা এ ছাড়া উপায়ই বা কি? ঘাঘু বুড়ো পোথেইনস, তেরো বছরের নাবালক থিওস আর অর্দ্ধ-ভগ্নী আর্সিনোয়ে...মিশরকে রোমক বাহিনীর হাত থেকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বাঁচানোর বুদ্ধি এদের একজনেরও কি আছে? পোথেইনস চায় থিওসকে সামনে রেখে আড়ালে গোটা দেশ চালানোর ক্ষমতা, থিওস পারলে এখনো ঘুড়ি ওড়ায় কি মার্বেল খেলে আর আর্সিনোয়ে চায় বেরেনিস হত্যার শোধ! এইই তো? কাজেই বরঞ্চ এই জীর্ণ গালিচার ভেতরে বসেই দু‘চোখের অশ্রু মুছে ফেলা যাক, মুখে ফুটিয়ে তোলা যাক মোহিনী হাসি যখন কি না সিজারের পদপ্রান্তে গালিচাটি উন্মোচিত করে খোদ ফিলোপেতরকেই উন্মোচিত করা হচ্ছে...রোমক বহিরাগতদের কাছে নীল নদের এই দেশ যেন নিজেকেই নিজে মেলে দিচ্ছে ভোগ্যা হবার জন্য!

‘বারাঙ্গণা ফিলোপেতরের বিরুদ্ধে এই দেশপ্রেমিক যুদ্ধে সবাই সামিল হোন!‘ তেরো বছরের নাবালাক ভাই, স্বামী ও টলেমি থিওস সেনাবাহিনীর সবার সামনে।

‘ওই পতিতা ফিলোপেতর আমাকে আমার প্রাপ্য দেয়নি-সে আজ বহিরগাত সিজারের অঙ্কশায়িনী! তাকে থু তু! আসুন-সবাই সিজারের ঘাঁটি ঘেরাও করি- চলুন!‘ পোথেইনসের শেখানো বুলি তোতা পাখির মত মুখস্থ করা বালক থিওস জনতার দিকে হাত নাড়ে।
‘বারাঙ্গণা-বারাঙ্গণা-বারাঙ্গণা ফিলোপেতর!’

আলেকান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে খোদ সীজারের ঘাঁটি ঘেরাও করেছে অসংখ্য ক্ষুব্ধ মিশরীয়। কিন্তÍ ততক্ষণে কুশাগ্র বুদ্ধি সিজার ছুটে গেছেন নীল নদে। সূচনা হলো নীল নদের যুদ্ধ। ফিলোপেতর নিজেও আছেন জাহাজে সিজারের কামরায়। দুজনে মিলে দেখছেন নৌপথ যুদ্ধেও আয়োজন।
‘পতিতা-বেশ্যা ফিলোপেতর!‘
তেরো ছাড়িয়ে চোদ্দতে পা রাখতে যাচ্ছে থিওস। শৈশবে ফিলোপেতরের কোলে বসে কত গল্প শুনেছে সে! মুখোমুখি রণতরীতে দাঁড়িয়ে আছে সে বিশাল কামানটার পাশে।
‘হয় আজ মরবো নয় মারব!‘
‘কী করব আমরা?‘ সীজার প্রেমময় চোখে তাকান ফিলোপেতরের দিকে।
একটি দীর্ঘশ্বাস ভেতরে পাক খেলেও ঠোঁট কামড়ান ফিলোপেতর, স্মিত হেসে মাথা হেলান যার অর্থ হলো ওপক্ষ থেকে আসা তীরন্দাজির উত্তর এপক্ষ থেকেও দেওয়া হোক।

...দেখতে দেখতে মিশরীয় জাহাজের দিকে রোমক জাহাজ থেকে অসংখ্য তীর ছুটতে শুরু করল। বিপুল রোমক সাম্রাজ্যের এক প্রান্তিক, করদ রাষ্ট্র মিশরের বেশিক্ষণ সময় যুদ্ধ করার ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই থাকল না। নাবালক থিওস অবশ্য অনেকটা সময় যুদ্ধ করেছিল। শেষ তীরটা তার বুকে বেঁধার আগ পর্যন্ত ফিলোপেতর ও তার রোমক প্রেমিক সীজারের মুখোমুখি রণতরীতে মিশরের পতাকার নিচে দাঁড়িয়েই সে যুদ্ধ করে গেছে।
‘বেশ্যা-আমি মিশরের জন্য লড়ে গেলাম!‘
সিজার-হ্যাঁ, সিজারের হাত থেকেই শেষ তীরটা ছুটে যাবার পর রণতরী থেকে উল্টে নীল নদে পড়ে যেতে যেতে চেঁচিয়ে উঠল থিওস।
‘কেন তুমি আমাকে তোমার সব দিলে না, ফিলোপেতর? কেন তুমি ঐ বিদেশির হলে...আমাকে ঠকালে কেন তুমি? শেষ যেদিন তোমার কক্ষে কথা হয়েছিল, কত অনুরোধ করলাম আমার সামনে পোশাক খুলতে...তুমি বললে তুমি বোন...আবার সবাই বলে তুমি আমার বধূও বটে...তুমি...তুমি...তুমি আমার হলে না কেন?‘
রোমক ও মিশরীয় সৈন্যদের রক্তে নীল নদ ভরে ওঠে।

১১.‘আমরা-আমরা জয়ী হয়েছি, প্রিয়তমা! তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা-এভাবে পাশে থেকে যুদ্ধে প্রেরণা দেবার জন্য- রোমক সাম্রাজ্যকে আরও শক্তিশালী করার জন্য!’
আবেগ ভরে সীজার ফিলোপেতরের কাঁধে-বাহুতে-কুঞ্চিত কেশে চুমু খেতে থাকেন। ফিলোপেতর মুখে তার মোহিনী হাসিটি ধরে রাখলেও অন্তরে যেন জানেন যে এক জীবনে কোনোদিনই তাঁর আর সুখী হওয়া হবে না। মিশরীয় রণতরী থেকে নীলনদে উল্টে পড়ে যাওয়া থিওসের রক্তাক্ত দেহ সারাজীবনই তার চোখে ভাসবে। ছোট্ট থিওস যে স্বামী হয়ে উঠতে চেয়েছিল। তবু সীজারের চুমুর প্রত্যুত্তরে তিনিও চুমু দেন সিজারকে-যেমনটা নীল নদের দেশ মিশরকে বছর শেষে নিয়মিত খাজনা দিতেই হয় প্রবল প্রতাপশালী রোমক সাম্রাজ্যকে।
‘এবার আমাকে কী করতে হবে, মহামান্য সম্রাট?’

‘আমরা নীল নদে একটি নৌযাত্রা করব। তুমি আমার পাশে থাকবে। মিশরের জনতা বুঝে যাবে তুমিই আমার তথা রোমক সাম্রাজ্যের নির্বাচিত রাণী-মিশরের জন্য। থিওস ও তোমার অর্দ্ধ-ভগ্নি ইতোমধ্যে নিহত। তোমার ক্ষমতা সুসংহত।’
‘আর?‘
‘হুম-দ্যাখো-দেশে আমার রোমক রাণী ক্যালপূর্ণিয়া আছেন। তাকে আমি কোথায় ফেলে দেব? তাকে কি আমি প্রাসাদ থেকে সরিয়ে পথে নামাতে পারি? আমি এখানে কিছু সময় থাকব। চাইলে তুমিও আমার সঙ্গে রোমে ভ্রমণে যেতে পার। তোমাকে পৃথক প্রাসাদে রাখা হবে। আর-এখানে-
‘এখানে?’
‘তোমার ছোট ভাই তো এখনো জীবিত, তাই না?’
‘হ্যাঁ-’
‘তাকেই আমি টলেমি ত্রয়োদশ হিসেবে নির্বাচিত করে দেব, তোমার সঙ্গে বিয়ে হবে তার।’
‘আর আমি-’
‘আমি?’
‘আমি যে প্রথমবারের মতো মা হতে যাচ্ছি? তোমার সন্তানের মা!’
‘আমি কৃতজ্ঞ। কি নাম রাখবে তার?’
‘সিজারিওন।’

‘অনেক ধন্যবাদ-কিন্তা যেহেতু ক্যালপূর্ণিয়া আজো মা হতে পারেনি, অন্য কোনো নারীর সঙ্গে পিতা হবার সংবাদ আমি রোমে কাউকেই জানাতে পারব না। তবে আমি রোমে ফেরার আগে তোমার দ্বিতীয় শিশু ভাই তথা ত্রয়োদশ টলেমির সঙ্গে তোমার বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে যাব যাতে করে মিশরের পুরোহিত শ্রেণি, রাজপরিবারের যত অভিজাত ও মিশরের জনগণ আশ্বস্ত হয় যে টলেমিয় রাজবংশের সব রীতি-নীতি এখনো সুষ্ঠুভাবে পালিত হচ্ছে।’

আগের পর্ব পড়ুন...

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ: পর্ব-১

যে তুমি টলেমির বোন, বধূ: পর্ব-২

 

 

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ লক্ষ্যে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছে দলটি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ তথ্য জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তাহের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত টাইমলাইনের ওপরই জামায়াত আস্থা রাখবে।’ তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পরিদর্শক দল পাঠানোর অনুরোধও করেছে জামায়াত।

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে প্রচুর গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হয়। এ শিল্পের প্রসারের জন্য নির্দিষ্ট একটি এলাকা নির্ধারণ করে সেখানে আরও বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছি।’

নারীদের অধিকার ও জঙ্গিবাদ দমনে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ইইউ প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছি। নারীদের অংশগ্রহণের দিক থেকে জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী সদস্য রয়েছে, যা অন্য যেকোনো দলের তুলনায় বেশি।’

তিনি নারী সংস্কার কমিশনের পতিতাদের শ্রমিক স্বীকৃতির বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘এটি নারীদের জন্য চরম অপমানজনক।’

Header Ad
Header Ad

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. জাফর আলম। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ধানমণ্ডি এলাকা থেকে মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে ঠিক কী অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

Header Ad
Header Ad

ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ভয়াবহ হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সীমান্তে প্রতিদিন গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে, বাড়ছে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা। এর মধ্যেই পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী ভারতে পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে হানিফ আব্বাসী বলেন, "শুধুমাত্র ভারতের জন্য ১৩০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে রাখা হয়েছে। ঘৌরি, শাহিন এবং গজনবির মতো অত্যাধুনিক মিসাইলও প্রস্তুত আছে।" ভারতের প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, "তারা যদি সিন্ধু নদীর পানি বন্ধ করার চেষ্টা করে, তাহলে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।"

মন্ত্রী আরও বলেন, "আমরা মিলিটারি সরঞ্জাম ও মিসাইল শুধু প্রদর্শনের জন্য রাখিনি। পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোথায় রাখা আছে তা কেউ জানে না, তবে এটুকু নিশ্চিত - এগুলো ভারতের দিকেই তাক করে রয়েছে।"

পাকিস্তানের আকাশসীমা ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে হানিফ আব্বাসী বলেন, "নয়া দিল্লি এখন বুঝতে শুরু করেছে তাদের কর্মকাণ্ডের কঠোর পরিণতি কী হতে পারে। যদি এই পরিস্থিতি ১০ দিন চলতে থাকে, তাহলে ভারতের এয়ারলাইন্সগুলো দেউলিয়া হয়ে যাবে।"

পহেলগাম হামলার জন্য ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতাকেই দায়ী করেন তিনি। তাঁর ভাষায়, "ভারত কিছু ঘটলেই অকারণে পাকিস্তানকে দোষারোপ করে।"

প্রসঙ্গত, পহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সমস্ত ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত।

ভারতীয় অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। ইসলামাবাদ ইতিমধ্যে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে ভারতের বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পাশাপাশি সিন্ধু নদীর পানি বন্ধ করা হলে যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে পাকিস্তান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা