মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জানা গেল পুরুষদের নিঃসন্তান থাকার পেছনে আসল কারণ

প্রতীকী ছবি

সারা বিশ্বে প্রজনন হার ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে, যতোটা কমবে বলে অনুমান করা হয়েছিল তার চাইতেও দ্রুত কমছে। চীনে জন্মহার হ্রাস আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে একের পর এক দেশে জন্মের হার পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক নেমে গিয়েছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায়ও জন্মহার প্রত্যাশার চেয়ে বেশ নাটকীয় হারে কমছে।

মানুষ যে শুধু আগের চাইতে কম সন্তান ধারণ করছে তাই নয়, একইসঙ্গে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে অনেকেই এখন আর সন্তান নিচ্ছে না। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরা সন্তান নিতে চাইলেও তাদের সেই সক্ষমতা নেই। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পুরুষদের।

নরওয়েতে ২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে পাঁচ শতাংশ পুরুষ সবচেয়ে কম আয় করেন, তাদের মধ্যে সন্তানহীনতার হার অন্তত ৭২ শতাংশ। অন্যদিকে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ উপার্জনকারীদের মধ্যে সন্তানহীনতার হার মাত্র ১১ শতাংশ—তবে এই ব্যবধান গত ৩০ বছরে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।

রবিন হ্যাডলির বয়স যখন ত্রিশের কোটায়, তখন তিনি বাবা হতে প্রবল আগ্রহী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি, তবে উত্তর ইংল্যান্ডে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে তিনি টেকনিক্যাল ফটোগ্রাফার হিসেবে চাকরি করতেন। তার বয়স যখন ২০ এর কোটায় তখন তিনি বিয়ে করেছিলেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদের আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে তিনি একটি সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি বন্ধ্যাত্বে জড়িয়ে পড়ে অর্থ পরিশোধ করতে তিনি এতোটাই হিমশিম খেয়েছেন যে নতুন করে কোন সম্পর্ক গড়ার সামর্থ্য তার ছিল না। অন্যদিকে তার বন্ধু এবং সহকর্মীদের অনেকেই বাবা হয়ে যেতে দেখে তার মধ্যে এক ধরনের শূন্যতার অনুভূতি জন্ম নেয়।

রবিন হ্যাডলি বলছেন, বাচ্চাদের জন্য জন্মদিনের কার্ড বা নতুন বাচ্চাদের জিনিসপত্র দেখেই আমার মনে হতো আমি কারো বাবা নই, এবং আমি বাবা হতে চাই৷ এর সঙ্গে অনেক কষ্ট জুড়ে আছে। নিজের এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি পুরুষদের সন্তানহীনতার বিষয়ে একটি বই লিখতে অনুপ্রাণিত হন। যখন তিনি বইটি লিখেছিলেন, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এমন নানা কিছুর সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে - অর্থনীতি, জীববিজ্ঞান, নানা ঘটনা প্রবাহ, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন।

তিনি লক্ষ্য করেছেন যে বার্ধক্য এবং প্রজনন বিষয়ে তিনি যা কিছু পড়েছেন তার বেশিরভাগেই সন্তানহীন পুরুষদের কথা অনুপস্থিত- জাতীয় পরিসংখ্যানেও তাদের জায়গা হয়নি। আগে দরিদ্র পরিবারের লোকেরা খুব দ্রুত পরিণত হয়ে উঠতেন। তারা আগেভাগেই পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করতেন এবং অল্প বয়সে পরিবার শুরু করতেন।

সামাজিক বন্ধ্যত্ব বৃদ্ধি:

সামাজিক বন্ধ্যাত্বের বিভিন্ন কারণ রয়েছে, সন্তান ধারণের জন্য সম্পদের অভাব বা সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা না হওয়া। কিন্তু এর মূলে অন্য কিছু রয়েছে বলে মনে করেন ফিনল্যান্ডের পপুলেশন রিসার্চ ইন্সটিটিউটের একজন সমাজবিজ্ঞানী এবং জনসংখ্যাবিদ আনা রটকির্চ।

তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপ এবং ফিনল্যান্ডে ‘ফার্টিলিটি ইনটেনশন’ বা প্রজননের উদ্দেশ্য নিয়ে গবেষণা করেছেন। আমরা সন্তান ধারণের বিষয়টিকে যেভাবে দেখি তাতে তিনি বড় ধরনের পরিবর্তন দেখেছেন।

এশিয়ার বাইরে, ফিনল্যান্ডে সন্তানহীনতার হার সবচেয়ে বেশি। অথচ ফিনল্যান্ড তাদের কমতে থাকা জন্মহারের সঙ্গে লড়াই করতে ১৯৯০ এবং ২০০০ এর দশকের গোঁড়ার দিকে শিশুবান্ধব নীতি প্রণয়ন করে। যেটি কিনা বিশ্বের অন্যতম শিশুবান্ধব নীতি হিসেবে স্বীকৃত।

এখানে বাবা মায়ের ছুটিতে উদারনীতি নিশ্চিত করা হয়েছে, শিশুর যত্ন যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী করা হয়, নারী-পুরুষরা যেন ঘরের কাজে সমানভাবে অংশ নিতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়। এরপরও ২০১০ সাল থেকে দেশটিতে শিশু জন্মহার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পায়।

অধ্যাপক রটকির্চ বলেছেন, বিয়ের মতো, সন্তান ধারণকে একসময় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে দেখা হত। কেউ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরপরই বিয়ে করে দ্রুত সন্তান নিয়ে নিতেন। কিন্তু আজকাল বিষয়টি উল্টে গিয়েছে। এখন সবাই জীবনের অন্যান্য লক্ষ্যগুলো অর্জনের পর সন্তান ধারণের কথা ভাবে।

এই অধ্যাপক ব্যাখ্যা করেন, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মনে করে যে একটি সন্তান হলে তাদের জীবনে অনিশ্চয়তা যোগ হবে।
ফিনল্যান্ডে, তিনি দেখেছেন যে সবচেয়ে ধনী নারীদের নিজের ইচ্ছার বাইরে সন্তানহীন হওয়া আশঙ্কা কম। অর্থাৎ তাদের ইচ্ছা আছে সন্তান নেওয়ার কিন্তু পারছেন না-এমনটা বেশি হয় না। তারা সন্তানহীন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিজ ইচ্ছাতেই নেন।

অন্যদিকে, নিম্ন-আয়ের পুরুষদের অনিচ্ছা স্বত্বেও সন্তানহীন অবস্থাতেই থেকে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। অতীতের সাথে বর্তমানে ঠিক এই জায়গাতেই বড় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে দরিদ্র পরিবারের লোকেরা খুব দ্রুত পরিণত হয়ে উঠতেন। তারা আগেভাগেই পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করতেন এবং অল্প বয়সে পরিবার শুরু করতেন।

পুরুষতন্ত্রের সংকট:

পুরুষদের জন্য, সন্তান নেয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়ার পেছনে আর্থিক অনিশ্চয়তা একটি বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। একে সমাজবিজ্ঞানীরা ‘দ্য সিলেকশন এফেক্ট’ বা ‘বেছে নেওয়ার প্রভাব’ বলে থাকে। যেখানে নারীরা সঙ্গী বেছে নেওয়ার সময় একই সামাজিক শ্রেণীর বা তার চেয়ে উঁচু শ্রেণীর কাউকে খুঁজে থাকেন।

রবিন হ্যাডলি বলছেন, আমি বুঝতে পারি যে, আমি আমার আওতার বাইরে হাতড়ে বেড়াচ্ছিলাম। আমার সম্পর্ক ত্রিশের কঠোয় ভেঙে গিয়েছিল। আমার মনে হয়, আমার এই অবস্থার জন্য ‘বেছে নেয়ার প্রভাব’ একটি বড় কারণ হতে পারে।

প্রায় ৪০ বছর বয়সে তার বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে তার দেখা হয়। এই নারী তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনে সাহায্য করেছেন। সে না থাকলে, আমি এখন যেখানে আছি সেখানে থাকতাম না। যখন তারা সন্তান ধারণের কথা ভাবছিলেন তখন তাদের বয়স চল্লিশের কোঠায় এবং অনেক দেরি হয়ে গেছে।

বিশ্বব্যাপী ৭০ শতাংশ দেশে নারীরা শিক্ষাদীক্ষায় পুরুষদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যাকে ‘দ্য মেইটিং গ্যাপ বা’ ‘সঙ্গমের ব্যবধান’ বলে অভিহিত করেছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী মার্সিয়া ইনহর্ন। ইউরোপে, এখন একটি বড় সংখ্যক পুরুষ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিচ্ছেন না। তাদেরই নিঃসন্তান হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

এসব সমস্যা থেকে বেড় হওয়ার উপায় কী?

হ্যাডলির মতে, প্রজনন নিয়ে সব ধরনের আলোচনাই হয় শুধুমাত্র নারীকে ঘিরে। এবং জন্মহার বাড়াতে যে নীতিগুলো প্রণয়ন করা হয় সেগুলো ডিজাইন করা হয় অর্ধেক জনগোষ্ঠী অর্থাৎ পুরুষদের বাদ দিয়েই।

রবিন হ্যাডলি বলেছেন, আমাদের আরও ভাল তথ্য দরকার। যতক্ষণ না আমরা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার বিষয়টি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো তার আগ পর্যন্ত এটি তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে সেটা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারবো না।

তথ্য উপাত্তের বাইরেও প্রজনন সংক্রান্ত সব আলোচনাতেই পুরুষ অনুপস্থিত। যেখানে কিনা নারীদের প্রজনন নিয়ে সচেতনতা দেখা যাচ্ছে।

নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বয়সের সাথে সাথে কমতে থাকে-এটি যে ভাববার বিষয় সেটা নিয়েও সচেতনতা বাড়ছে। কিন্তু পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা নিয়ে এমন কোন আলাপ হয় না। কিন্তু সত্যি হলো নারীদের মতো পুরুষদেরও একটি জৈবিক ঘড়ি আছে, হ্যাডলি বলেছেন, গবেষণার দেখা গিয়েছে যে ৩৫ বছরের পরে শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমতে থাকে।

তার মতে, এই অদৃশ্য গোষ্ঠীটিকে (পুরুষ) দৃশ্যমান করা সামাজিক বন্ধ্যাত্ব মোকাবেলার একটি উপায়। আরেকটি হতে পারে অভিভাবকত্বের সংজ্ঞা প্রসারিত করা। যেসব গবেষকরা সন্তানহীনতার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন তারা সকলেই একটি বিষয় আগ্রহের সাথে উল্লেখ করেছেন যে সন্তানহীন লোকেরা এখনও শিশু লালন-পালনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিহেভিয়েরাল ইকোলজিস্টরা একে অ্যালোপ্যারেন্টিং বলে থাকে বলে জানিয়েছেন অ্যানা রটকির্চ। অ্যালোপ্যারেন্টিং হল শিশুদের জন্মদাতা বাবা-মা ছাড়া যখন অন্য কেউ তার যত্ন করে। সেটা শিশুর বেবিসিটার, পালক বাবা-মা, দাদা-দাদী হতে পারেন। মানব বিবর্তনের বেশিরভাগ সময়ে একটি শিশুর এমন একাধিক পরিচর্যাকারী ছিল।

ড. হ্যাডলি তার গবেষণায় যে নিঃসন্তান পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তার স্থানীয় ফুটবল ক্লাবে নিয়মিত দেখা হতো। ওই ব্যক্তি এমন এক পরিবারের কথা বলেছেন যেখানে ছোট দুই ছেলের একটি স্কুল প্রজেক্টের জন্য দাদা-দাদীর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাদের দাদা-দাদীর কেউই ছিলেন না। তখন ওই ব্যক্তি তাদের সারোগেট দাদা হিসাবে আবির্ভূত হন এবং ওই ঘটনার কয়েক বছর পরে, ও শিশুরা তাকে ফুটবলে খেলতে দেখে "হাই দাদা" বলে ডাক দেয়।

অধ্যাপক রটকির্চ বলছেন, আমি মনে করি বেশিরভাগ নিঃসন্তান পুরুষেরা আসলে এভাবে শিশুদের যত্ন নিয়ে থাকেন বা যত্ন নিতে পারদর্শী কিন্তু তাদের এই বিষয়টি অদৃশ্য থেকে যাচ্ছে। জন্ম নিবন্ধনে এর প্রতিফলন না থাকলেও এটি সত্যিই জরুরি।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ