রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অবিবাহিতদের নিয়ে মানুষ কেন রসিকতা করে? গবেষণা কী বলছে

ছবি: সংগৃহীত

জীবনের দীর্ঘ একটা সময় একাই কাটাতে হয়। পড়াশোনার হিসেব চুকিয়ে কর্ম জীবনে প্রবেশ করে তারপরেই সাধারনত বেশিরভাগ মানুষই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় । অনেকে আবার এতো কিছুর তোয়াক্কা না করেই আগেই করে ফেলে । কেউ জীবনে একাকী থাকতে চাইলে, অর্থাৎ প্রেম বা জীবনসঙ্গীর সাথে আবদ্ধ না হলে প্রায়ই তাকে অন্যদের থেকে কিছু কথা শুনতে হয়। বন্ধুমহলের অনেকেই তাকে নিয়ে হাসি-তামাশা করে এবং জীবনে একা থাকা নিয়ে মজার ছলে কটাক্ষ করে। এমনকি প্রায় সময়ই তাকে শুনতে হয়, "তুমি এখনো কেন একা আছো?"

এরমধ্যে অনেককে আবার সান্ত্বনার সুরে আশ্বস্ত করতে বলতে শোনা যায়, চিন্তার কোনো কারণ নেই খুব শীঘ্রই তুমি তোমার মনের মানুষ খুঁজে পাবে। কথাগুলো শুনে মনে হতেই পারে তারা তাদের বন্ধুদের ব্যাপারে ভাবেন এবং তাদের ভালোর জন্য কথাগুলো বলছেন। কিন্তু জরিপ বলছে, কথাগুলো সংবেদনশীল শোনালেও এটি আসলে সিঙ্গেলদের কটাক্ষ ও শেমিং করতেই বলা হয়, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ও ক্ষতি করছে।

সঙ্গীহীন বা সিঙ্গেল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে একধরনের নেতিবাচক চিন্তা অন্যদের মনে কাজ করে। একাকী থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে অন্যরা ভাবেন, এই মানুষটার জীবনে যেহেতু কোনো সঙ্গী নেই, তাহলে নিশ্চয়ই তার জীবনে সুখ নেই। অধিকাংশের ধারণা, একা থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে কোনো সমস্যা আছে, নাহলে কেন তারা জীবন সঙ্গী খুঁজে পায়নি বা পাচ্ছে না! ফলে সমাজে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা এই বদ্ধমূল ধারণাগুলো ও অন্যদের কথার রোষানলে পরে আমরা ভাবতে শুরু করি, জীবনে সুখী হতে হলেন অবশ্যই একজন মানুষকে বিয়ে করে সংসার করতে হবে এবং বাচ্চা নিতে হবে।

যদিও সামাজিকভাবে মেনে আসা এই ধারণাগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কয়েক দশক ধরে এর পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে এখনো সঙ্গীহীন মানুষদের তীব্র কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে। 'বিবিসি ওয়ার্কলাইভ এই গবেষণাটি করতে গিয়ে লক্ষ্য করে, ডেটিং সাইটগুলো (যেখানে মানুষ নিজেদের সাথে মিল রয়েছে এমন কাউকে সঙ্গী হিসেবে খুঁজে নেয়) ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক ১ হাজার জনের মধ্যে ৫২ শতাংশ লোক জানিয়েছিল একাকী থাকায় তাদের কী পরিমাণ কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়েছিল। এই কটাক্ষের মাত্রা আরও তীব্র আকারে বেড়ে গিয়েছিল মহামারীর সময় ঘরবন্ধি সময় কাটানোর সময়। তখন মানুষ চিন্তা করতে লাগলো বন্ধী এই সময়তে তারা কার ওপর ভরসা করতে পারে, কে তাদের একান্ত আপনজন। এরমধ্যে ৫৯ শতাংশ মানুষ ছিল যারা তাদের একাকিত্ব জীবনকে উপভোগ করছিলো জানানোর পরেও তাদেরকে অন্যরা নানারকম প্রশ্ন করতো, এমনকি এখনো তাদেরকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

কটাক্ষের শিকার হলে তা কী ক্ষতি করে

গবেষণাটি করতে গিয়ে গবেষকরা কটাক্ষের স্বীকার হওয়া ব্যক্তিদের কাছে জানতে চেয়েছিল, অন্যদের থেকে কোন কথাটি তাদের সবচেয়ে বেশিবার শুনতে হয়েছিল? তাদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ লোকের উত্তর ছিল, তাদেরকে অন্যরা বলতো, "চিন্তা কোরো না, শীঘ্রই তুমি কাউকে খুঁজে পাবে, দেখ।" ২৯ শতাংশ লোকেদের অন্যরা বলেছিল, "নিশ্চয়ই তুমি জীবনে খুব একা বোধ করো, তাই না?" আর ৩৮ শতাংশ মানুষকে অন্যের করুণার শিকার হতে হয়েছিল, যখন অন্যরা শুনেছিল তারা একা।

প্রচলিত আছে, আমাদের সমাজের বেশিরভাগের ধারণা সিঙ্গেল ব্যক্তিদের তুলনায় বিবাহিতরা বেশি সুখী। যারা সিঙ্গেল, তাদের জীবনে সুখের লেশমাত্র তেমন থাকে না এবং একা থাকতে থাকতে তারা একরকম স্বার্থপর হয়ে উঠে। কিন্তু কিছু গবেষণা এই ধারণাগুলোকে ভ্রান্ত ধারণা বলে উল্লেখ করেছে। ২০১৮ সালে করা জার্মান স্টাডি বলেছে, সমাজে কিছু বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে- একা থাকা ব্যক্তির জীবন দুঃখময় হয় আর বিবাহিতদের জীবনের সুখের হয়, কিন্তু এগুলো একেবারেই সঠিক নয়।

একা থাকতে চাওয়া ব্যক্তিদের কটাক্ষের শুরুটা হয় পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে। এটার পেছনে একটা দেশের সরকারের কিছু ভূমিকা থাকে, তারা বিবাহিতদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করে দেয়, যা একজন অবিবাহিত ব্যক্তিকে দেওয়া হয়না। কিছু মানুষের তখন মনে হতে শুরু করে বিয়ে করাটাই জীবনের সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। এক্ষেত্রে যারা এই ধারার উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করে অর্থাৎ একা থাকার সিদ্ধান্ত নেয় তাদের জন্য এটাকে অন্যরা জীবনের ভুল সিদ্ধান্ত বলে গণ্য করে।

আমেরিকার কথাই বলা যাক, সেখানে একজন বিবাহিত চাকরিজীবী ব্যক্তি তার স্ত্রীর নামে স্বাস্থ্য সেবা পরিকল্পনা বীমা করতে পারেন। কিন্তু যে ব্যক্তি বিয়ে করেননি তিনি তার ঘনিষ্ঠ কেউ অর্থাৎ ভাই-বোন বা বন্ধুদের জন্য চাইলেই এই বীমা সুবিধা পাচ্ছে না। এমনকি বিবাহিতরা অফিসের ছুটির ক্ষেত্রে পরিবারের সাথে কাটাতে কয়েকদিন বেশি পেয়ে থাকে এবং বেশি বোনাস পায়।

অবিবাহিত নারী-পু্রুষের জন্য কটাক্ষের মাত্রা সমান হয় না

প্রতিটি সমাজেই অবিবাহিত নারী ও পুরুষদের কে সমানভাবে দেখা হয় না বা একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় না। নারীদেরকেই বেশি কথা শুনতে হয় এবং কিছু কিছু সমাজে নারীদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় ও বাচ্চা নিতে বাধ্য করা হয়। ধরেই নেওয়া হয় অবিবাহিত নারীরা পুরুষবিদ্বেষী হয়, তাই তারা বিয়ে করেনি। যেখানে অবিবাহিত পুরুষদের বয়স নিয়ে কটাক্ষ করা হয় না, সেখানে ওই একই বয়সের কোনো নারী অবিবাহিত থাকলে তার বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে বলে নিন্দে করা হয়। অবিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে এটাও ভাবা হয়, নিশ্চয়ই পুরুষটি তার জীবন উপভোগ করতে একা আছেন এবং আনন্দের সাথে জীবনের একাকিত্ব কাটাচ্ছেন। কিন্তু অবিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটিকে দেখা হয় সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে।

সামাজিক ও ভৌগলিক অবস্থানের ওপরেও 'সিঙ্গেল শেমিং' নির্ভর করে। যেমন—চীন, কোরিয়া ও ভারতে বসবাসকারী অবিবাহিত একজন নাগরিককে যেভাবে কটাক্ষের শিকার হতে হয়, আমেরিকা বা মধ্য আমেরিকার একজনকে ওই একইভাবে কটাক্ষের শিকার হতে হয় না। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থান নির্ধারণ করে দেয় সমাজে নারী-পুরুষের ভূমিকা ও কে কখন বিয়ে করবে।

সূত্র: বিবিসি

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দায় সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি’র সভাপতি ও জাতীয় পার্টি’র নেতা আব্দুল মান্নানকে গণধোলাই এর শিকার হয়েছেন। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তাকে গণধোলাই দিয়ে সতীহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকায় আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। মান্নান উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মান্দা উপজেলা জাতীয়পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

গ্রাহকদের অভিযোগ, বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে এফডিআরের নামে আমানত সংগ্রহ করেন আব্দুল মান্নান ও ওই সমবায় সমিতির সম্পাদক শাহিন আক্তার মিঠু। শুরুর দিকে মুনাফার টাকা দিলেও বেশ কিছুদিন টালবাহানা করেন তারা। এ অবস্থায় আমানতের টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিলে সমিতির সাইনবোর্ড গুটিয়ে নিয়ে সটকে পড়ার পাঁয়তারা করেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক লাখপতি অফারে আমানতের নামে শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন। প্রত্যেক মাসে এক লাখ টাকায় দুই হাজার টাকা করে মুনাফা দেওয়ার চুক্তি ছিল। প্রথমদিকে সঠিকভাবে মুনাফার টাকা পরিশোধ করা হলেও গত ছয় মাস ধরে টালবাহানা শুরু করেন তারা।

গ্রাহক ফারমিন আক্তার বলেন, ‘বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে ওই সংস্থার সভাপতি আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নেয়। গত দেড় বছর ধরে মুনাফা দিচ্ছেন না। আমানতের টাকা ফেরত দিতেও টালবাহানা করছে তিনি।’

আরেক গ্রাহক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এক লাখ টাকায় মাসিক দুই হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ার অঙ্গীকারে আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সঠিকভাবে কয়েক মাস মুনাফা পেয়েছি। বর্তমানে সংস্থার লোকজন কার্যক্রম গুটিয়ে আত্মগোপনে আছেন। রবিবার সকালে আব্দুল মান্নানকে পেয়ে গ্রাহকরা আটকিয়ে গণধোলাই দেয়।’

সংস্থার সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া টাকা মাঠেই পড়ে আছে। যারা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তারা টাকা ফেরত দিচ্ছে না। মাঠ থেকে টাকা উঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। টাকাগুলো উঠে এলেই গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

স্থানীয় গনেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে গ্রাহকরা আমানতের টাকা ফেরতের জন্য আমার কাছে অভিযোগ দিয়ে আসছিল। পর্যায়ক্রমে টাকা ফেরতের অঙ্গীকারও করেছিলেন সংস্থার সভাপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা। এ অবস্থায় আজ তাকে ধরে গণধোলাই দেয় গ্রাহকরা।’

মান্দা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহকের টাকা আটকে রাখা সঠিক হয়নি। আমানতের টাকা ফেরত পাওয়া গ্রাহকের ন্যায্য অধিকার।’

এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। তবে,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ